চলারপথে রিপোর্ট :
তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রুটের বিভিন্ন অংশে গতি কমিয়ে ট্রেন চলাচলের নির্দেশ দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেলপথের বিভিন্ন অংশে সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার গতিতে আন্তঃনগর ও লোকাল ট্রেন চালাতে লোকো মাস্টারদের এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মালবাহী ট্রেন সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার গতিতে চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে কর্তব্যরত সহকারী স্টেশন মাস্টার শাকির জাহান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, স্বাভাবিক সময়ে ৭২ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে ট্রেন চলাচল করে। কিন্তু তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কা থাকায় গতি কমিয়ে ট্রেন চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গতি কমিয়ে ট্রেন চলাচল করে। গত ১১ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন এ নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বাররা (সদস্য) কোনো দলীয় প্রার্থী ছিলেননা- এমন দাবি করে পরিষদ বহাল রাখার দাবি জানানো হয়েছে। আজ ২০ অক্টোবর রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে হওয়া এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। পরে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সংস্থা (বাইসস) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে বেলা ১১টার দিকে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ইউপি সদস্য মোহাস্মদ রফিকুল ইসলাম সবুজের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ শাহীন, রাবিহার বেগম, দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। পরে একই দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জেসমিন সুলতানা স্মারকলিপি গ্রহন করেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘স্থানীয় সরকার বিভাগের একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি হচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যরা। আমরা দলীয় প্রার্থী ছিলাম না। ইউনিয়ন পরিষদ বিলুপ্ত করা হলে জনভোগান্তির সৃষ্টি হবে। আমরা আশা করবো জনভোগান্তি যেন না হয় সে চিন্তা করে ইউনিয়ন পরিষদ বহাল রাখা হবে।’
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১০ মার্চ রবিবার রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়েছে, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সবশেষ ২০২২ সালের ১৯ জুন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব পদে আরও দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান ইহসানুল করিম। তিনি ২০১৫ সাল থেকে সচিব পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে কাজ করছিলেন।
ইহসানুল করিম রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা ১৪ মে রবিবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপত্বি করেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হেলেনা পারভীনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরামউল্লাহ, পিপি অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত প্রমুখ।
সভায় শহরের মসজিদ রোড ও পুরাতন কোর্ট রোডকে স্থায়ীভাবে ওয়ানওয়ে করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। নম্বরবিহীন ও ফিটনেসবিহীন যানবাহনগুলোতে যেন পেট্টোল পাম্পগুলো থেকে জ্বালানী সরবরাহ করা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য পেট্টোল পাম্পের মালিকদেরকে খেয়াল রাখার আহবান জানানো হয়। সভায় টিকেট কালোবাজারী রোধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনকে সিসিটিভির আওতায় আনার ও রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফরমে থাকা অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভায় নৌ-পথে ফিটনেসবিহীন নৌযান যাতে চলাচল করতে না পারে ও নৌযানগুলোতে লাইফ জ্যাকেটসহ যাত্রীদের সুরক্ষা সামগ্রী যাতে রাখা হয় তা নিশ্চিত করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদেরকে নির্দেশনা দেয়া হয়।
সভায় দাঙ্গা-ফ্যাসাদ রোধে জেলার নাসিরনগর ও সরাইলে জেলা পুলিশের উদ্যোগে দেশীয় অস্ত্র অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়ে জেলার সকল উপজেলায় দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালানোর উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
সভায় “নো হেলমেট, নো-ফুয়েল” সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য পেট্টোল পাম্প মালিকেদের কঠোরভাবে নির্দেশ দেয়া হয় এবং অবৈধ মোটর সাইকেলের বিরুদ্ধে অভিযান আরো জোরদার করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সার্বিক আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক। এই পরিস্থিতিকে ধরে রাখতে হবে।
তিনি মাদক বিরোধী অভিযান আরো জোরদার করার জন্য সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারদেরকে নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, কেউ যাতে গুজব রটিয়ে কোন ধরনের বিশৃংখলার সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।
সভায় সরকারি, বে-সরকারি পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তাগণ, সকল উপজেলার নির্বাহী অফিসারগণ, উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো ব্যতয় হবে না। ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে।সকলের প্রতি একটাই নির্দেশনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। এটি জাতির জন্য, দেশের অর্থনীতির জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আজ ২২ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে বিশেষ আইনশৃংখলা সভা ও মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।
এ সময় নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে, কে কোন পদের সেটা বড় কথা না। কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, যারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করছেন, তারা রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করছে। তারা কোনো দলের কর্মচারী না। সংবিধানের ১২৬ নং অনুচ্ছেদে বলা আছে যে নির্বাহী বিভাগের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দেয়া। নির্বাচন কমিশনার প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যে কোন দায়িত্বে পাঠাতে পারেন।
তিনি বলেন, আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে বিজিবি, র্যাব ও সেনাবাহিনী মাঠে নামবে। এবার ব্যালট পেপার ভোটকেন্দ্রে সকালে যাবে। ব্যালট পেপার যে অংশটুকু ভোটারকে দেয়া হবে সেই পেপারটিতে ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের সিল থাকতে হবে। এটি ছাড়া যদি কেউ ভোট দেয় সেই ভোট বাতিল ও অবৈধ বলে গণ্য করা হবে। এগুলো নির্বাচনী বিধিমালায় নতুন সংযোজন করা হয়েছে।
আচরণবিধি প্রশ্নে আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচনী আইনে আছে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ১টি ও ইউনিয়নে ১টি করে প্রার্থীর অফিস থাকবে। এর বেশি যদি থাকে তাহলে সেগুলো স্থানীয় রিটানিং কর্মকর্তা অপসারণ করতে হবে। তাছাড়া প্রচারণা সময়সীমা রাত ৮টা পর্যন্ত দেয়া হয়েছে। এরপর যদি কেউ বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে প্রচারণা চলায় তাহলে ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনে কোনো রকম ছাড় দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, মোটরসাইকেল দিয়েও কোনো প্রচারণা চালানো যাবে না। সেজন্য চেকপোস্ট বসিয়ে মোটর সাইকেলে বৈধ কাগজ নেই সেগুলোকে আটক করা হবে। শুধু মটর সাইকেল নয়, কোনো রকম যানবাহন দিয়ে মহড়া করতে পারবে না। এগুলো যদি চোখে পড়ে তাহলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যারা রয়েছে তাদের কাছে অভিযোগ দেবেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, ৬০ বিজিবির ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক লে. কর্ণেল আশিক হাসান উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।