চলারপথে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কোনো ঘটনার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার এবং বিএনপি-জামায়াত চক্রের অগ্নি সন্ত্রাসের কথা ভুলে না যেতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেছেন, কারণ তারা অন্য কোনো রূপে এর পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোটের অগ্নি সন্ত্রাসের কথা ভুলে যাবেন না। কারণ, তাদের অগ্নি সন্ত্রাস অন্য কোন উপায়ে আছে কি-না বা তারা বিভিন্ন উপায়ে তা ঘটিয়েছে কিনা-সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
আজ ১৫ এপ্রলি শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় নগরীর বাজারগুলোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াত চক্রের অতীত অপকর্মের কথা মাথায় রেখে শুধু ঢাকাসহ সারাদেশের সকল শহরে বসবাসকারী সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
সরকার প্রধান সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ‘আগুনের মতো ঘটনা ঘটিয়ে তারা (বিএনপি-জামায়াত) ভিন্ন পথ বেছে নিচ্ছে কি-না তা খতিয়ে দেখা উচিত।
বিভিন্ন মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ষড়যন্ত্র নাকি নাশকতা তা খতিয়ে দেখতে বলেন শেখ হাসিনা।
এছাড়া সারাদেশের গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটগুলোতে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে। প্রত্যেককে নিজ উদ্যোগে নিজের স্থাপনা পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারের সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর সময় বিনা প্রয়োজনে ভিড়ের অনুমতি দেয়া যাবে না ও এ ব্যাপারে কেউ কোনো বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, যখন প্রথম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, তখন ধারণা করা হয়েছিল যে এটি একটি দুর্ঘটনা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিন্তু প্রথমটির একই সময়ে আরও কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে সকাল ৬টার পরে। নজরদারি বাড়াতে হবে এবং অন্যান্য মার্কেটগুলোকেও সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, এটি লক্ষণীয় যে, ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা যখন আসে তখন তারা কিছু লোকের বাধার সম্মুখীন হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘কেন তারা বাধার সম্মুখীন হবে? সেই সময় আগুন নেভাতে গিয়ে কিছু লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে দমকল কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এই লোক গুলো কারা?’
শেখ হাসিনা বলেন, যে কেউ এই চারটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে নিয়ে একটু চিন্তা করলেই তার মনে এই প্রশ্ন আসবে যে-‘এগুলো কী সাধারণ দুর্ঘটনা, নাকি এসব ঘটনার পেছনে কোনো কারসাজি আছে?’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা জানি- কিছু রাজনৈতিক দল ঈদের পর আন্দোলন করতে, অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিতে ও সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়। হ্যাঁ, আপনি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারেন-তবে এই সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের কী দোষ?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কারণ, তারা তাদের ব্যবসার জন্য এই মৌসুমের অপেক্ষা করতেন। ‘যারা এসব করেছে তারা সহজে রেহাই পাবে না, আমরা এই বিষয়ে আমাদের নজরদারি বাড়িয়েছি।’
দেশবাসীকেও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
অতীতে বিএনপি-জামায়াত চক্রের অগ্নি সন্ত্রাসের কথা স্মরণ করে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন যে, তারা অন্য পথও বেছে নিতে পারে এবং এটি সঠিকভাবে তদন্ত করা উচিত।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগে তারা সাধারণ মানুষকে পুড়িয়েছে ও এখন তারা অর্থনীতিকে পঙ্গু করার পথ নিয়েছে কিনা-আমাদের এই রহস্য বের করতে হবে।’
তিনি সবাইকে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নি সন্ত্রাসের কৌশল পরিবর্তনের বিষয়ে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান। কারণ, তারা ৩,৫০০টিরও বেশি যানবাহন, ২৯টি ট্রেন এবং ৮/৯টি লঞ্চ, ৫০০ স্কুল, ৭০টি সরকারি অফিস এবং ছয়টি ভূমি অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে। তারা ৩ হাজারের বেশি লোক আহত ও ৫শ’ জনকে হত্যা করেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের এটি নজরে রাখতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে তার সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ ২২ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে তাঁর সাম্প্রতিক জেনেভা সফর। সরকার প্রধান রাষ্ট্রপতিকে তাঁর সাম্প্রতিক বিদেশ সফরের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সফল সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। সূত্র : বাসস
রাষ্ট্রপতি আশা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের ফলে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য বিনিয়োগসহ দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে।
বঙ্গভবনের মুখপাত্র জানান, বৈঠকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী একে অপরকে শুভেচ্ছা জানান ও কুশলাদি বিনিময় করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং তাঁর সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রীও এসময় রাষ্ট্রপতি এবং তাঁর সহধর্মিনীকে ফুলের তোড়া উপহার দেন।
বৈঠকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
স্টাফ রিপোর্টার:
আগামীকাল ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২২ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। কর্মসূচীমতে, সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাউতলীস্থ সৌধ হিরন্ময়ে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বেলা ১১টায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা। এছাড়া কাল বাদ জোর জেলার সকল মসজিদে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে মোনাজাত ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। একইদিন বিকেল সাড়ে ৫টায় শহরের সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে তিতাস আবৃত্তি সংগঠন। এদিকে জাতীয় কর্মসূচীমতে, দিবসটিতে সকাল ৭টা ৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি এবং ৭টা ৬ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার করবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং যুদ্ধাহত ও উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা একই দিনে সকাল ৭টা ২২ মিনিটে মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এবং সকাল সাড়ে ৮টায় রায়ের বাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এছাড়া সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সর্বস্তরের জনগণ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী প্রদান করবেন। এদিন সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। দেশের সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেল দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে সকল মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হবে। অন্যদিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের পবিত্রতা রক্ষায় শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এলাকায় মাইক বা লাউডস্পিকার ব্যবহার না করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সর্বসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের সার্চ কমিটি হয়ে গেছে। নির্বাচনমুখী যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। এবার অসাধারণ একটা নির্বাচন হবে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে।
আজ ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। আসিফ নজরুল বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন ব্যক্ত করেছেন ভলকার তুর্ক। তিনি বিচার বিভাগ স্বাধীন করার কথা বলেছেন। আমি বলেছি আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে কথা বলেছেন। মৃত্যুদণ্ডের বিধান রহিত করা যায় কিনা সেটি সম্পর্কেও জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি ফ্যাসিস্টদের বিচারের আগে এটি পরিবর্তনের প্রশ্নই ওঠে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেত্রী অন্য দেশে বসে সন্ত্রাসী হুমকি দিচ্ছে। গণহত্যা চালানোর পর অনুশোচনাও নেই। বিচারের আগে এ দলের রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিত কিনা এটা মানুষ বিবেচনা করবে। এ সময় ভলকার তুর্ক বলেন, আইন উপদেষ্টার সঙ্গে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে কথা বলেছি। এই দুটি বিষয় একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
বর্তমান সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে, সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছে সেক্ষেত্রে মানবাধিকার যেন নিশ্চিত করা হয় সেটি বলেছি। তিনি বলেন, জুলাই গণহত্যার বিষয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি কাজ করছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বেরসঙ্গে বিবেচনা করছি। আমাদের হেড অফিস পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না, যথাসময়ে নির্বাচন হবে।’
আজ ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকালে রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে নতুনভাবে প্রকাশিত দৈনিক বাংলা পত্রিকার প্রথম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
দৈনিক বাংলার প্রকাশক ও কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত, বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাসোসিয়েশন ও ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবীর হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদের ‘তফসিল ঘোষণা হলেই যে নির্বাচন হয়ে যাবে, এতো সহজ নয়’ মন্তব্যের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে বিএনপি তো চায় দেশে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভন্ডুল করতে। ২০১৪ সালে তারা সে চেষ্টা করেছিল, ব্যর্থ হয়েছে। এবার সেই চেষ্টা করলে জনগণ কঠোর হস্তো দমন করবে। বাংলাদেশে বেশিরভাগ মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে, সেই মানুষগুলো বসে থাকবে না। আমরা আওয়ামী লীগও বসে থাকব না।’
‘আর নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য দাঁড়াবে না’, উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনের ট্রেন যেমন কারো জন্য দাঁড়ায়নি, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি পাদানিতে বসে নির্বাচনের ট্রেনে চড়েছিল। আমরা আশা করব, এবার নির্বাচনের ট্রেনে তারা ভালোভাবে বসবে। আর তারা না চড়লেও নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।’
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উনাদের কোন নেতা কী বললো এতে কিচ্ছু আসে যায় না। নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করল কি না সেটিই মুখ্য। যদি জনগণ ব্যাপকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলেই সেটি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে।’
‘তাদের বর্জন সত্ত্বেও যেভাবে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছে, আগামী নির্বাচনও যদি তারা বর্জন করে জনগণ ব্যাপকভাবেই অংশগ্রহণ করবে ইনশাআল্লাহ। তবে আশা করব, তারা অংশগ্রহণ করবে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করবে’ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন যে রোহিঙ্গারা এসেছিল তাদেরই তো তারা পরিপূর্ণভাবে ফেরত পাঠাতে পারেনি। ১৯৭৬-৭৭ সালে রোহিঙ্গারা এসেছিল সেই রোহিঙ্গারা এখনো আছে, ওরা এখন বাংলাদেশি হয়ে গেছে। ১৯৯১-৯২ সালে আবার রোহিঙ্গারা এসেছিল যখন বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী। সেই রোহিঙ্গাদের বহুজন চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এখন তারা রোহিঙ্গা ফেরত পাঠাতে সেমিনার করে বেড়াচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে তারা চায় না যে, রোহিঙ্গা সমস্যার কোনো সমাধান হোক। কারণ, বিএনপির সাথে যে জঙ্গিগোষ্ঠী আছে তাদের জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো রিক্রুট করার উর্বর ক্ষেত্র হয়েছে, এ জন্য উনারা প্রকৃতপক্ষে চায় না এ সমস্যার সমাধান হোক। আমরা চেষ্টা করছি, কূটনৈতিকভাবে চেষ্টা করছি এবং অনেক অগ্রগতিও আছে। ইনশাআল্লাহ এই সমস্যার সমাধান হবে।’
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কবে থেকে ট্রেন চলবে সেই সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। রেল সংশ্লিষ্ট সবার সাথে আলোচনা করে নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) সরদার সাহাদাত আলী গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ট্রেন চলাচলের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ট্রেন চালানো কোনো বিষয় না, বিষয়টি হচ্ছে এর নিরাপত্তা। সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে মন্ত্রী, সচিব এবং সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে কবে থেকে ট্রেন চলবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে শুধু কারফিউ শিথিল থাকা অবস্থায় আজ থেকে স্বল্প দূরত্বে চলাচলকারী যাত্রীবাহী ট্রেনগুলো চলাচল করার কথা থাকলেও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।