চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলেক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে গরীব ও অসহায় মানুষের মধ্যে শাড়ি ও লুঙ্গী বিতরণ করেছেন বাংলাদেশ কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া।
আজ ১৭ এপ্রিল সোমবার সকালে নাজির মিয়া তার নাসিরনগর সদরের বাসভবনে এসব ঈদ বস্ত্র বিতরণ করেন। শাড়ী-লুঙ্গি বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ অলি মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষকলীগের অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রুমা আক্তার, জেলা কৃষকলীগের সদস্য এম.এ কাসেম, হাজী সামছু মিয়া, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম নুরে আলম, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গোলাম মোঃ আরমান মিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপজেলার সদর ও বুড়িশ্বর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের দুঃস্থ ও অসহায় মানুষদের মধ্যে শাড়ি ও লুঙ্গী বিতরণ করা হয়। পর্যায়ক্রমে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করা হবে।
নাসিরনগরে তথ্যকেন্দ্রের আয়োজনে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৩ ডিসেম্বর সোমবার সকালে নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের কাহেতুরা গ্রামে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় জাতীয় মহিলা সংস্থার অধীনে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প(২য় পর্যায়) এর উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
নাসিরনগর তথ্য সেবা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বিপাশা জাহান কনার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় মহিলা সংস্থার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কর্মকর্তা মো: শাহ আলম।
বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের উপজেলা কো-অর্ডিনেটর মো: আজাহারুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: জামাল মিয়া, সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি করতে নারীর অধিকার,নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, মাদক, বাল্যবিবাহ রোধে, যৌতুক নিরোধ আইন এবং নারী নীতি,গ্রাম আদালত কি, কোন ধরণের মামলা নেয়া হয়, কিভাবে নিষ্পত্তি করা হয়,মামলা কিভাবে করতে হয়, কোথায় গিয়ে করতে হয়, মামলা নিষ্পত্তির সময়সীমা সম্পর্কে মুক্ত আলোচনা করা হয়। উঠান বৈঠকে কুন্ডা ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াডের শতাধিক নারী উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলায় সেপ্টেম্বর মাসে সর্বাধিক দিন লাইব্রেরিতে উপস্থিত থেকে বই পড়ায় ২৩ শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। গতকাল ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ইউএনও মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া শিক্ষার্থীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন বালিকা বিভাগে ২৫ দিন উপস্থিত থেকে প্রথম হয়েছেন হাফছা বেগম, সুমাইয়া আফরিন, সাদিয়া বুশরা, মহিমা রায়, সৃষ্টি রায়, নুসরাত সাকুরা, লামিয়া আক্তার, আদ্রিতা, নুসরাত জাহান সোহা ও শাহ সামিয়া। ২১ দিন উপস্হিত থেকে ২য় হয়েছে ইস্পা আক্তার ও সানিয়া আক্তার। ১১ দিন উপস্হিত থেকে ৩য় হয়েছে তারিয়া চৌধুরী নাবিলা।
বালক বিভাগে ২৫ দিন উপস্থিত থেকে ১ম হয়েছেন আরিয়ান ইসলাম সোহান, সৌমিক রায় ও গগনদীপ কুন্ডু।
২৪ দিন উপস্থিত থেকে ২য় হয়েছেন মেহেদী হাসান, ওয়ালী উল্লাহ হাসানাত, আব্দুল গফফার মাহাদী, ওমর ফারুক ও তন্ময় সরকার।
২৩ দিন উপস্থিত থেকে ৩য় হয়েছেন পৃথিবী দাস সূর্য্য ও সপ্তদীপ কুন্ডু।
নাসিরনগরের ইউএনও মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশের অনেক উপজেলায় কোনো পাবলিক লাইব্রেরি নেই। নাসিরনগরবাসীর সৌভাগ্য যে উপজেলায় একটি পাবলিক লাইব্রেরি রয়েছে, সেটি অনেক সৌভাগ্যের। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে উপজেলায় একটি বইমেলার আয়োজন করি, বইমেলায় তখন শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দেখি। তখন জানতে পারি নাসিরনগরের একটি পাবলিক লাইব্রেরি রয়েছে। তখন এই লাইব্রেরিতে দুই থেকে তিনজন শিক্ষার্থী বই পড়তে আসতো। তখন ঘোষণা দেন, যে শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরিতে এসে বই পড়বে তাদের পুরস্কৃত করা হবে। এরপর থেকে প্রতিদিন প্রায় গড়ে ৩০ থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থী প্রতিদিন লাইব্রেরিতে বই পড়তে আসে।
তিনি আরো জানান, মেধা ভিত্তিক সমাজ গঠনে বই পাঠের কোনো বিকল্প নেই। নাসিরনগর উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরি নাসিরনগরে মননশীল পাঠক তৈরিতে ভূমিকা রাখবে। পাবলিক লাইব্রেরিতে অনেক কিছু সংস্কার করা হয়েছে। আরো কিছু সংস্কার করা হবে। ছাত্র-ছাত্রীরা অনেকগুলো বইয়ের নাম বলেছিলো, সেই বই গুলো তাদের পড়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলনের অপরাধে দুই ব্যক্তিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোনাব্বর হোসেন উপজেলার কুন্ডা বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুইটি ড্রেজার মেশিন জব্দ করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার জিম্মায় দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোনাব্বর হোসেন বলেন, উপজেলার কুন্ডা বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে ভূ-গর্ভস্থ বালি/ মাটি উত্তোলনের দায়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুই ব্যক্তিকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর ৫(১) ধারা লঙ্ঘনের অপরাধে ১৫(১) ধারায় প্রতিজনকে ৫ লাখ টাকা করে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি বলেন ইতি পূর্বেও নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলনের অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দোষী ব্যক্তিদের অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে। জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত পরাজিত প্রার্থী ও এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানায় দায়েরকৃত মামলা বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।
থানায় মামলা দায়েরের জন্য পাঠানো চিঠির কার্যকারিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন নিজের সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনাক্রমে পরিবর্তন করে সাবেক সংসদ সদস্যকে সর্তক করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
গত মঙ্গলবার রাতে নির্বাচন কমিশনের এই চিঠি নাসিরনগর থানায় পাঠিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম ৪৩ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির চেয়ারপারসনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা (কলার ছড়ি প্রতিক) আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামানের কাছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা, সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান (কলার ছড়ি) ৮৯ হাজার ৪২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বি.এম. ফরহাদ হোসেন-(নৌকা প্রতিক) পেয়েছেন ৪৬ হাজার ১৮৯ ভোট।
গত মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের উপসচিব (আইন) আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত পরিবর্তিত নতুন আদেশের একটি চিঠি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল ইসলামের কাছে পৌঁছে। নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম সংক্রান্তে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনাক্রমে পরিবর্তিত সিদ্ধান্ত অবগতকরণের জন্য গত মঙ্গলবার আবার চিঠি পাঠানো হয়।
চিঠি সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য বদরুন্দোজা মোঃ ফরহাদ হােসেন।
গত ২২ ডিসেম্বর নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের কুন্ডা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি দেন ফরহাদ হোসেন। হুমকি প্রদানের ঘটনায় গত ১১ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর বিধি ১৮ এর অধীনে ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানায় এজাহার দায়েরের জন্য উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে চিঠি পাঠানো হয়।
নির্বাচন কমিশন মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনাক্রমে তা পরিবর্তন করেন। সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের আলোকে এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ,
ক্ষমতাবলে গত ১১ জানুয়ারি জারিকৃত চিঠির কার্যকরতা রহিতপূর্বক বণিত প্রার্থীকে (ফরহাদ হোসেন) সর্তক করে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত প্রদান করেন নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের নেয়া সর্বশেষ সিদ্ধান্তের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ করা হয়।
এর আগে গত রোববার নাসিরনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৩ এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী নাসিরনগর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
যা নাসিরনগর থানার মামলা হিসেবে রজু করা হয়। এজাহারে বলা হয়, গত ২২শে ডিসেম্বর নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী জনসভায় তৎকালীন সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি প্রদান করেন।
এতে ওই ব্যক্তি (ফরহাদ হোসেন) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এর বিধান এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর ১১ বিধির বিধান লঙ্ঘন করেছেন মর্মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দিয়েছেন। বর্নিত অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৩ এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর বিধি ১৮ এর অধীন এজাহার দায়ের করার জন্যে নিম্ন স্বাক্ষরকারী (নাসিরনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম)কে নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সোহাগ রানা বলেন, আগের আদেশ রহিত করে মামলার কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছেন। অর্থাৎ এই মামলা আর চলবেনা। আর সাবেক সংসদ সদস্যকে সতর্ক করেছে নির্বাচন কমিশন।