অনলাইন ডেস্ক :
সুদানে দেশটির সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যে লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত ২৯৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে তিন হাজারেরও বেশি।
এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, মৃতের সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে। কারণ মরদেহগুলো রাস্তায় পড়ে থাকে এবং সেগুলি সংগ্রহ করা এই মুহূর্তে খুব বিপজ্জনক। চিকিৎসকদের একটি সিন্ডিকেট হতাহতদের পর্যবেক্ষণ করছেন। তারা বলছেন মঙ্গলবার পর্যন্ত কমপক্ষে ১৭৪ জন বেসামরিক নিহত হয়েছেন। আহত শতাধিক।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বব্যাপী শান্তিপূর্ণ, ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তোলার প্রয়াসে সামাজিক ন্যায়বিচারে বিনিয়োগ করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একমাত্র সামাজিক ন্যায়বিচারই স্থায়ী শান্তি ও টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি রচনা করতে পারে। বিশ্বব্যাপী শান্তিপূর্ণ, ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের প্রয়াসে সামাজিক ন্যায়বিচারকে আমাদের বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।’
আজ ১৪ জুন বুধবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় প্যালেস ডি নেশনস-এ ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট-২০২৩’ এর পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে একটি বৈশ্বিক জোট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসহ সকল আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এজেন্ডার কেন্দ্রে সামাজিক ন্যায়বিচারকে স্থান দেওয়ার একটি সুযোগ করে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের দৃষ্টিকোণ থেকে পাঁচটি পরামর্শ দেন।
শেখ হাসিনা তার প্রথম পরামর্শে বলেন, এই জোটটিকে একটি মান-নির্ধারক বা দরকষাকষির ফোরামের পরিবর্তে একটি পরামর্শমূলক বা অ্যাডভোকেসি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তোলাই বাঞ্ছনীয় হবে। দ্বিতীয়ত, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সামাজিক ন্যায়বিচারকে এক আন্তর্জাতিক মহল কর্তৃক অন্য মহলের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের বিষয়ে এই জোটকে সতর্ক থাকতে হবে। তৃতীয়ত, এই জোটকে একটি নিয়মতান্ত্রিক বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থার আওতায় সামাজিক ন্যায়বিচারকে একটি সংরক্ষণবাদী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করে, বরং এর ব্যাপক প্রসারে ভূমিকা রাখার বিষয়ে প্রচারণা চালাতে হবে। চতুর্থত, শোভনকর্ম এবং উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পৃক্ত করার জন্য এ জোটের বিষয়ে আইএলও’র নিজস্ব অংশীজনদের থেকে ব্যাপক সমর্থন নিশ্চিত করতে হবে। পরিশেষে, আমাদের তরুণ সমাজকে সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রবক্তা হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এ জোটকে মনোযোগী হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান শতাব্দীর বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বের জন্য আমাদের একটি নতুন সামাজিক চুক্তি তৈরি করতে হবে। এই সামাজিক চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হবে- টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সবার জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।’
উল্লেখ্য যে, শ্রম অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশ আইএলও’র দশটি মৌলিক সনদের মধ্যে আটটিতে অনুস্বাক্ষর করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ক দুটি নতুন মৌলিক আইএলও সনদ অনুস্বাক্ষরের বিষয়টিও আমরা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছি। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, শ্রম অধিকার নিয়ে সোচ্চার কয়েকটি উন্নত দেশ এখন পর্যন্ত নিজেরা অধিকাংশ মৌলিক আইএলও সনদ অনুস্বাক্ষর করেনি। যেমন, একটি বড়ো শিল্পোন্নত দেশ মাত্র দুটি মৌলিক সনদ অনুস্বাক্ষর করেছে।’
শিশুশ্রমের ন্যূনতম বয়স নির্ধারণে বাংলাদেশ সম্প্রতি আইএলও সনদ ১৩৮ অনুস্বাক্ষর করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার আটটি ঝুঁকিপূর্ণ খাতকে শিশু শ্রমমুক্ত ঘোষণা করেছে। এছাড়া, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত এক লাখ শিশুকে উপানুষ্ঠানিক ও কারিগরি শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম চলছে।
তিনি বলেন, ‘আমি একটি সুস্থ ও নিরাপদ আগামী প্রজন্মের স্বার্থে শিশু শ্রমের অভিশাপ থেকে মুক্তি চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইএলও’র সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৩ ও ২০১৮ সালে দুইবার বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ সংশোধন করেছে। অধিকন্তু, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫-এ সংশোধন করা হয়েছে। এ বছর নাগাদ শ্রম আইন, ২০০৬-এ আরও সংশোধনী আনার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ প্রয়োগর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল ও সাতটি শ্রম আদালতের সঙ্গে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার আরও ছয়টি শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠা করেছে। এ ছাড়া, সামাজিক অংশীদারদের অংশগ্রহণে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) কার্যক্রম প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জোরদার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, দেশের কারখানাগুলোর জন্য একটি ‘শিল্প পুলিশ’ ইউনিট গঠন করা হয়েছে।
সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় এক রাতেই নিহত হয়েছেন চার শতাধিক ফিলিস্তিনি। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে চালানো বর্বর এ হামলায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের অনেকেই নারী ও শিশু।
এমন অবস্থায় গাজায় ইসরায়েলের নারকীয় এই তাণ্ডব নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় তিনি ক্ষুব্ধ বলেও জানিয়েছেন।
একইসাথে যুদ্ধবিরতি মেনে চলতেও আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় তিনি ক্ষুব্ধ বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে নিজের অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি একথা বলেন।
গুতেরেস আরো বলেন, আমি যুদ্ধবিরতি মেনে চলার, নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং আটক থাকা অবশিষ্ট বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার জন্য জোরালোভাবে আবেদন করছি। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার কুররামে পৃথক গুলির ঘটনায় সাত শিক্ষকসহ আটজন নিহত হয়েছেন। আজ ৪ মে বৃহস্পতিবার জেলার আপার কুররাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জেলা সদর হাসপাতালের ডেপুটি মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট কায়সার আব্বাস নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা পুলিশ অফিসার মুহাম্মদ ইমরান জানান, শালোজান রোডে প্রথমে গুলির ঘটনা ঘটে এবং এর কিছুক্ষণ পর তেরি মেঙ্গল স্কুলে গুলির ঘটনা ঘটে।
আব্বাস জানান, শালোজান রোডে গুলিতে একজন নিহত হন। এর কিছুক্ষণ পর স্কুলে গুলিবর্ষণের ঘটনায় সাতজন শিক্ষক নিহত হন।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা বেড়েছে। এর বেশিরভাগ খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তানে।
সূত্র : ডন
অনলাইন ডেস্ক :
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে বলেছেন, যুদ্ধবিরতি এখন কার্যকর, দয়া করে লঙ্ঘন করবেন না।
এদিকে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বা আইডিএফ জানায় যে- ইরান থেকে কয়েক দফায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। দেশটিতে চার জন নিহত হওয়ার খবরও জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির কথা জানান। কিন্তু ইসরায়েল এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।
এর আগে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায় যে, যুদ্ধবিরতির জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘মিনতি’ করেছিলেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন নিউজ চ্যানেল আইআরআইএনএন জানায়, কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ‘সফল’ হামলার পর এই যুদ্ধবিরতি ইসরায়েলের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল এক বিবৃতিতে জানায়, ইরানের হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির জন্য ‘মিনতি’ করেছিলেন এবং এই বিবৃতিটি উপস্থাপক পড়ে শোনান।
বিবৃতিতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বা আইআরজিসি সেনাবাহিনীর প্রশংসা করা হয় এবং ইরানিদের প্রতিরোধকে সম্মানও জানান হয়েছে।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির মধ্যেই আজ মঙ্গলবার ইসরায়েলে কয়েক দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চার জনে দাঁড়িয়েছে।
ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের বিয়েরশেবা শহরে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এই নিহতের খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েলি সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসির অ্যারাবিক সার্ভিস।
এদিকে, ইসরায়েলি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ইরানের হামলার প্রভাব সম্পর্কে সম্প্রতি একটি আপডেট দিয়েছে।
তারা বলছে, এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে ও ২২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা মাঝারি এবং ২০ জন সামান্য আঘাত পেয়েছেন।
এর আগে ইসরায়েলের দক্ষিণে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তিনজন নিহতের কথা জানিয়েছিল দেশটির ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস।
তারা জানায়, যে এলাকায় হামলা হয়েছে সেখানে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস একাধিক ভবনে ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে পায়।
অনলাইন ডেস্ক :
ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারিয়ি ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা অব্যাহতের ঘোষণা দিয়েছেন। ৩ মে শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি জানান, ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণের প্রতি সমর্থন ও গাজায় মার্কিন-সমর্থিত ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী অধিকৃত ইয়াফা (তেল আবিব) এলাকার একটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে সফল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
এই অভিযানে ‘ফিলিস্তিন-২’ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, যা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
ইয়াহিয়া সারিয়ি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সমগ্র মুসলিম উম্মাহ নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তার পরিণতি ভোগ করবে। গাজায় যা ঘটছে, তার প্রভাব আগে বা পরে অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়বে। শত্রু তার আগ্রাসন বিস্তৃত করবেই। তাই সকলের উচিত নিরাপত্তার জন্য, হুমকি আসার আগেই গাজাকে সমর্থন করা।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, গাজায় আগ্রাসন ও অবরোধ অবসান না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
গতকাল ভোরে ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানায়, ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর ইসরায়েলের ১০০টিরও বেশি এলাকায় সাইরেন বেজে ওঠে। জেরুজালেম, তেল আবিব ও নেগেভ অঞ্চলে সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানো হয় এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় তৎপর হয়ে ওঠে।
ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ আন্দোলন সমর্থিক সশস্ত্র বাহিনী গত কয়েক মাস ধরে ইসরায়েলি জাহাজ ও ইসরায়েল-সমর্থক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে আসছে। এই হামলা ইঙ্গ-মার্কিন বাহিনী ও ইসরায়েলের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। সূত্র : পার্সটুডে