চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে ঐতিহাসিক সাতই মার্চ সতেরই মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহ তিন তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে আজ ০৫ মার্চ রবিবার উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রস্তুুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রস্তুতিমূলক সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিকের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরী সহান, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক, সহকারী কমিশনার ভূমি মাহমুদা জাহান, নবীনগর থানার ওসি তদন্ত মো. সোহেল , বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম শাহন, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আবু কামাল খন্দকার, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকারম হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া মিনাজ, মাদক মুক্ত নবীনগর চাই ও মডেল প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ আবু কাওসার, শিক্ষক সমিতির সভাপতি এটিএম রেজাউল করিম সবুজ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান, দপ্তরের প্রধান এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সরকারি নির্দেশনার আলোকে প্রথমে ঐতিহাসিক সাতই মার্চ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের ওপর শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অতিথিগণ বলেন সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে ঐতিহাসিক ভাষণের তাৎপর্য পৌঁছে দিতে হবে, সঠিক ইতিহাস উপস্থাপন করতে হবে।
পর্যায়ক্রমে ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের জন্য সকল প্রতিষ্ঠান এবং দপ্তরকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়, সকাল ১০ ঘটিকায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হবে। দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণের পাশাপাশি উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে তিন দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে নিশ্চিত করা হয়। ২৫ শে মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে রাত ১০ঃ৩০ মিনিট হতে ১০ টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত ব্ল্যাকআউট থাকার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। মহান ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে কুচ কাওয়াজ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা সহ দিবসটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে ঝুলন্ত অবস্থায় যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে নবীনগর উপজেলার দড়িশ্রীরামপুর দক্ষিণপাড়া এলাকা থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত যুবকের নাম সাগর মিয়া (২৩)। তার বাবার নাম ফজলু মিয়া ।নিহতের ফুফাতো ভাই বাহার উদ্দিন রুবেল জানান, সোমবার রাতে গনিশাই ওরশে ঘুরতে গিয়েছিলেন সাগর মিয়া। পরে মঙ্গলবার সকালে বাড়ির সামনে মসজিদের পাশে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী। পুলিশকে বিষয়টি জানানো হলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
নবীনগর থানার এসআই রামকানাই বলেন, ‘সাগর মিয়ার লাশ কাঁঠালগাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। তার গলায় শীতে ব্যবহৃত (মাফলার) দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায়ই ছিল এবং তার পা মাটিতে লেগেছিল তবে মানুষ ফাঁসিতে মারা গেলে বডি লম্বা হয়ে মাটিতে লাগতে পারে। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারলাম সাগর মিয়া অত্যন্ত ভালো ছেলে।’
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে। তবে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে ছেলের হাতে লিল মিয়া (৭৫) নামের এক বৃদ্ধ খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ ১৪ আগস্ট সোমবার দুপুরে উপজেলার জিনোদপুর ইউনিয়নের কাঠালিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ বৃদ্ধের ছেলে জসিমকে (৪০) আটক করেছে। নবীনগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, লিল মিয়ার ছেলে জসিম প্রায় ১৫ বছর যাবত মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত। সোমবার দুপুরে লিল মিয়া জমিতে পাট কাটতে যান। এ সময় জসিমকে পাট কাটায় সহযোগিতা করতে বলেন লিল মিয়া। এ নিয়ে ছেলের সঙ্গে লিল মিয়ার বাকবিতণ্ডা হয়। এরই জেরে ধান ভাঙার ছিয়া দিয়ে জসিম তার বাবার মাথায় আঘাত করেন। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে লিল মিয়া মারা যান।
তিনি আরো জানান, এই ঘটনায় ঘাতক ছেলে জসিমকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রতিবেশী এক ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন আব্দুল কুদ্দুছ নামের ওই ব্যক্তি।
আব্দুল কুদ্দুছ একই ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা। আজ ৫ মে শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া এসপির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযুক্ত হোসেন সরকার (৪২) একই গ্রামের মৃত আব্দুল হাজিদ মিয়ার ছেলে। তিনি জোড়া খুন, গরু চুরিসহ ডজনখানেক মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আব্দুল কুদ্দুছের স্ত্রী সেলেনা বেগমের সঙ্গে হোসেন সরকার পরকীয়ায় লিপ্ত। সেলেনা বেগম পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ের জননী।
হোসেন সরকার ও সেলেনা বেগম অসামাজিক কাজে লিপ্ত উল্লেখ করে আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, এ বিষয়ে হোসেন সরকারকে সতর্ক করা হলে তিনি উল্টো তাকে হুমকি-ধমকি দেন।
গত ৩০ এপ্রিল সেলিনা বেগম ও হোসেন সরকার অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত হন বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, এর প্রমাণস্বরূপ ফোনের কল রেকর্ড আব্দুল কুদ্দুছের কাছে সংরক্ষিত আছে।
অভিযোগপত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন সরকারের লালসার শিকার হয়ে তার প্রতিবন্ধী ছোট বোন অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন সরকার বলেন, ‘প্রতিবেশী আব্দুল কুদ্দুছ চাচার স্ত্রীর সঙ্গে আমার বিশেষ কোনো সম্পর্ক নেই। ওনার ছেলে এবং মেয়ের ফোন নম্বর আপনাকে পাঠাই। আপনি ইচ্ছা করলে তাদের সঙ্গে কথা বলে যাচাই করে দেখতে পারেন।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শফিকুল ইসলাম বাদল :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড্ডা ও বাড়াইল দুই গ্রামবাসীর মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে। আজ ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বাড্ডা গ্রামের মুন্সি বাড়ির মৃত শরিফ উদ্দিনের ছেলে আজিজ মিয়া (৬০) নিহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সলিমগঞ্জ বাজারে গত ৩ এপ্রিল ইসহাক মিয়ার দোকানে পেপসি ক্রয় করতে গিয়ে দোকানদারের সাথে বাড্ডা গ্রামের এক যুবকের ঝগড়া হয়। এতে বাড্ডা গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে সহ তিনজন আহত হয়। খবর পেয়ে বাড্ডা গ্রামের লোকজন বাড়াইল গ্রামের একটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় ও কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনার পর থেকে উভয় গ্রামের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এমনকি দুই গ্রামে লোকজন আলাদা আলাদা ভাবে মিটিং করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঝগড়ার প্রস্তুতি নেয়। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসনের সহযোগিতায় ১ মে বৃহস্পতিবার সমঝোতায় বসার কথা ছিল কিন্তু বাড্ডা গ্রামের লোকজন মঙ্গলবার দুপুরে বাড়াইল গ্রামের লোকজনের উপর শ্রীঘর বাজারে হামলা করে তিনজনকে আহত করে। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে বাড্ডা গ্রামের আজিজ মিয়া নিহত হন। এই সময় উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উভয় গ্রামের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।