চলারপথে ডেস্ক :
আজ ২৪ এপ্রিল সোমবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীতে অবস্থিত বঙ্গভবনের দরবার হলে বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন মো. সাহাবুদ্দিন। চেয়ার বদলের মাধ্যমে এদিন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে দায়িত্ব নেন তিনি। তাকে শপথ পড়ান বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, জাতীয় সংসদ সদস্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন নেতা, তিন বাহিনীর প্রধান, কূটনীতিক, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকসহ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক।
শপথ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নতুন রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ও ছেলে আরশাদ আদনান রনিসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। আর শপথ অনুষ্ঠান আয়োজন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের আপন বিভাগ।
এই শপথের মধ্যে দিয়ে রাষ্ট্রপতি হিসেবে টানা দুই বারের মেয়াদ শেষ হলো আবদুল হামিদের। তিনিই বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি দিন দায়িত্ব পালন করা রাষ্ট্রপ্রধান।
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে ৪১ দিনসহ টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ১০ বছর ৪১ দিন অতিবাহিত করে বিদায় নেন আবদুল হামিদ।
এদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন সাহাবুদ্দিন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে ২১ মেয়াদে এই পদে কয়েকজন একাধিকবার নির্বাচিত হয়েছেন। সেই হিসাবে সাহাবুদ্দিন সপ্তদশ ব্যক্তি, যিনি দায়িত্ব নিলেন।
শপথ বাক্য পাঠের পরে আবদুল হামিদের সঙ্গে করমর্দন করবেন। এরপর চেয়ার বদলের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়।
বিদায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শপথ অনুষ্ঠানের পর ঢাকার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকায় তার বাসভবন প্রেসিডেন্ট প্যালেসে উঠবেন। ২০০০ সালে সংসদ সদস্য হিসেবে তিন কাঠার এই জমি বরাদ্দ পান তিনি। সেখানে কয়েক বছর পর তোলেন বাড়ি।
জানা যায়, নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ১৯৪৯ সালের ১০ ডিসেম্বর পাবনা শহরের শিবরামপুরের জুবিলী ট্যাংক পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম চুপ্পু। পিতা শরফুদ্দিন আনছারী, মাতা খায়রুন্নেসা।
১৯৭৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। পরে এলএলবি ও বিসিএস (বিচার) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, পাবনা জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। জেলা বাকশালের যুগ্ম-সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
সাহাবুদ্দিন ৬৬’র ৬ দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
পাবনা জেলার আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেন। ওই সময় সামরিক স্বৈরশাসকদের রোষানলে তিন বছর জেল খাটেন এবং অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হন।
মো. সাহাবুদ্দিন দৈনিক বাংলার বাণীতে সাংবাদিকতাও করেছেন। তার অনেক কলাম বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ছাপা হয়েছে।
কর্মজীবনে তিনি জেলা ও দায়রা জজ এবং দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক এবং বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সাহাবুদ্দিন পরপর দুবার বিসিএস (বিচার) অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত হন। চাকরি থেকে অবসরের পর হাইকোর্টে আইন পেশায় নিযুক্ত হন।
২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। দুদক কমিশনার হিসেবে সাহাবুদ্দিন পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিরুদ্ধে ওঠা তথাকথিত দুর্নীতির ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দৃঢ়তার পরিচয় দেন।
সাবেক এ ছাত্রনেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সাহাবুদ্দিন।
চলারপথে রিপোর্ট :
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সিএনজি অটোরিক্সা ও এক্সকেভেটরের সংঘর্ষে দুই ভাই নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে একই পরিবারের আরও তিনজন।আজ ২৫ মার্চ শনিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কের ভাটিপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতরা হলো- বানিয়াচং উপজেলার ছিলাপাঞ্জা গ্রামের কালাই উল্লাহর ছেলে আব্দুল মঈন (৬০) ও তাজ উদ্দিন (৩৫)।
বানিয়াচং থানার (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব জানান, আব্দুল মঈনের শাশুড়ির নামাজে জানাজায় যোগ দিতে দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে একই উপজেলার উজিরপুরে যান পরিবারের পাঁচজন। সেখান থেকে সন্ধ্যায় পাঁচজন সিএনজি অটোরিক্সায় বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় তাদের সিএনজি অটোরিক্সাটি ভাটিপাড়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি এক্সকেভেটরের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই ভাই মারা যান। বাকি তিন আহতকে উদ্ধার করে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সিলেটে প্রেরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
উচ্চ মাত্রায় হাইড্রোলিক হর্ন বাজিয়ে শব্দদূষণ সৃষ্ঠি করার অপরাধে ছয়টি যানবাহনকে জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদফতর শেরপুর। আজ ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা শহরের গৌরিপুর এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় গাড়ির শব্দদূষণ রোধে ছয়জনকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দ করা হয় ১১টি হর্ন এবং অভিযুক্তদের সাবধানও করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর শেরপুর জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক সুশীল কুমার দাস এই তথ্য জানিয়েছেন।
সুশীল কুমার দাস জানান, শব্দদূষণের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে। উচ্চমাত্রায় হাইড্রলিক ব্যবহার পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর। বৃহস্পতিবার শেরপুর শহরের গৌরিপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে ও শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালায় এই শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন শেরপুর জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মো. আশরাফুল আলম রাসেল।
চলারপথে রিপোর্ট :
অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে হোটেল পরিচালনা ও খেজুরের প্যাকেটে মেয়াদ ও মূল্য তথ্য না থাকায় ফল ব্যবসায়ীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুর।
আজ ৮ এপ্রিল শনিবার দুপুরে দিনাজপুর শহরে অভিযান চালিয়ে ওই দুটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম রুনী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন র্যাব-১৩ সিপিসি-১দিনাজপুরের স্কোট কমান্ডার এএসপি সালমান নুর আলমসহ র্যাব সদস্যরা।
দিনাজপুর শহরে স্টেশন রোড এলাকায় অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে কার্যক্রম পরিচালনা ও ঘোল এর বোতলে তথ্য ট্যাগ না থাকায় মামা বিরিয়ানি হাউজকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং খেজুরের প্যাকেটে মেয়াদ ও মূল্য তথ্য না থাকায় স্বাধীন ফল ভান্ডারকে ৫ হাজার জরিমানা করা হয়। এছাড়া শহরের বিভিন্ন শপিংমল, হোটেল-রেস্তোরাঁয় অভিযানের পাশাপাশি সতর্কও করা হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুরের সহকারী পরিচালক মমতাজ রুনী সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর ও চলমান রমজানকে কেন্দ্র করে নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে এবং অনিয়ম পেলে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
৭ মার্চ বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি ঐতিহাসিক দিন। স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে ১৯৭১ সালের এদিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দেন।
মুক্তিযুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী এবং যে কোনো সময় জাতিকে অস্ত্র হাতে শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে হবে ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু সেটা স্পষ্ট করেছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার সেই ঐতিহাসিক ৭ মার্চ।
পরাধীনতা থেকে বাঙালি জাতির মুক্তি এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটি এক অনন্য সাধারণ ও তাৎপর্যপূর্ণ। এ ভাষণের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্পষ্টভাবেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা শব্দটি উচ্চারণ করেছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সেই স্বাধীনতা অর্জনে যে গেরিলাযুদ্ধের প্রয়োজন তার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণটি আজ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবেও স্বীকৃত। এটি বিশ্বে সর্বাধিকবার প্রচারিত অলিখিত ভাষণ। ২০১৭ সালের অক্টোবরে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটি বিশ্ব ঐতিহ্যের (ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ) স্বীকৃতি দেয়।
এদিনে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক উত্তাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম।’ ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের এ ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন। তার এ ভাষণ ছিল জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার চূড়ান্ত নির্দেশনা।
এদিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখ লাখ জনতার সামনে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু তার এ ভাষণে শতাব্দির পর শতাব্দি ধরে পরাধীন জাতিকে স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন। মাত্র ১৮ মিনিটের ভাষণে তিনি কেন মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজন এবং মুক্তিযুদ্ধের জন্য জাতিকে কী করতে হবে সব দিক নির্দেশনায়ই দিয়ে দেন। তার ওই ভাষণের মধ্য দিয়েই স্পষ্ট হয়ে উঠে স্বাধীনতার ঘোষণা। মুক্তিযুদ্ধের জন্য জাতিকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোলো। আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি…, তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে প্রস্তুত থাক।’ পাকিস্তানের শাসন-শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত পর্বে বঙ্গবন্ধু এ ভাষণ দেন।
স্বাধীনতার জন্য অদম্য স্পৃহা নিয়ে সংগ্রামরত মুক্তিকামী জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু সেদিন বজ্র কণ্ঠে উচ্চারণ করেছিলেন, ‘প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক মহল্লায়, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলো এবং তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। মনে রাখবা রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।’ বঙ্গবন্ধুর ওই নির্দেশের পর ছাত্র, যুবক, কৃষক, শ্রমিক, পেশাজীবীসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের জন্য সেভাবেই প্রস্তুতি নেয়।
১৯৪৭ সালে ধর্মভিত্তিক ভ্রান্ত দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে চাপিয়ে দেওয়া অসম পাকিস্তান রাষ্ট্রের শাসন-শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতি দীর্ঘ দিন ধরে লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যায়। ধাপে ধাপে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এড়িয়ে চলা বাঙালি পাকিস্তান রাষ্ট্র থেকে আলাদা হতে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু করে। বাঙালির এ স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে নতুন মাত্রাযুক্ত হয়। এর পরই ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং মুক্তিযুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির বিজয় অর্জিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ময়মনসিংহ নগরীতে অভিনব কায়দায় একটি জুয়েলারি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩২ লাখ টাকা মূল্যের ৩০ ভরি সোনা লুট হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী মালিক। ১৭ জানুয়ারি বুধবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে নগরীর ৩২ নম্বর বাসাবাড়ী রোড ট্রাঙ্কপট্টি এসএস কমপ্লেক্সের কিরণ জুয়েলার্সে একটি চুরির ঘটনা ঘটে।
আজ ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন দোকানের মালিক শ্রী রিপন সেন।
তিনি জানান, ঘটনার পর সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে ৬/৭ জন অজ্ঞাত লোক দোকানের সাঁটারের সামনে চাদর ও ছাতা ধরে রেখে ৪টি তালা ভেঙে এক নারীকে দোকানের ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়ে ৩০ ভরি সোনা লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় মার্কেটের নাইটগার্ড তাদের শব্দ শুনে বেরিয়ে এলে তারা আসামি ধরতে এসেছে বলে ডিবি পুলিশ বলে পরিচয় দেয়।
রিপন বলেন, সকাল ৮টার দিকে দোকান খুলে দেখি দোকানের সাটার ও কেচি গেট এবং কাউন্টারের তালা ভাঙা। তারা এ দোকান থেকে ৩০ ভরি সোনা ও ৫০ ভরি রোপার গহনা চুরি করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনার খবরে ডিবি ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলেও জানান ভুক্তভোগী রিপন সেন।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। খুব দ্রুত এই চোর চক্রকে ধরতে অভিযান চলছে।