চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে প্রাণ গেছে চাচাত ভাই-বোনের। গতকাল রবিবার দুপুরে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের শংকরাদহ গ্রামে নিহতদের নিজ বাড়ি সংলগ্ন পুকুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো-হরিপুর ইউনিয়নের শংকরাদহ গ্রামের দুবাই প্রবাসী আক্তার শাহের মেয়ে রউজা (৬), প্রবাসী শাহানুর শাহের ছেলে সামি (৫)। তারা দুজন চাচাত ভাই-বোন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রবিবার দুপুরে নিজ বাড়ি সংলগ্ন পুকুরে গোসল করতে যায় রউজা ও সামি। গোসলের একপর্যায়ে পানিতে ডুবে যায় ওই দুই শিশু। পুকুরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে তাদের পরিবারের লোকজন। পরে পুকুরে নেমে খোঁজ করলে তাদের মরদেহ পাওয়া যায়।
বিকেলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতদের চাচা মামুন শাহ বলেন, রবিবার দুপুরে তারা দুজন পুকুরে গোসল করতে যায়। এ সময় একজন তাদের ধমকও দেয় যে তোমরা এখানে গোসল করতে আসছ কেন? কিন্তু তারা ঐসময় বলে যে তারা তাদের মাকে বলে আসছে। পরে তারা পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায়।
এ বিষয়ে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি -৩ (আরইআর) এর পক্ষ থেকে চেক বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ১২৮ স্বামী পরিত্যক্তা ও বিধবা নারীর মধ্যে এ চেক বিতরণ করা হয়।
আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন হলরুমে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি -৩ (আরইআর) এর নারী কর্মীদের মাঝে তাদের সঞ্চয়কৃত অর্থের চেক ও সনদ বিতরণ করা হয়। উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সুরুজ্জামানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহালম মিয়া।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম ও উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান। বক্তব্যে উপকার ভোগী নারী হেলেনা বেগম ও গীতা রানী সরকার বলেন, আমরা এখন সমাজের অন্য মানুষের মতই সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারুম। ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার জন্য খরচ করার পাশাপাশি স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য সবজি চাষ, ছাগল পালন এবং খামারের কাজে ব্যবহার করবো। আমরা অনেক খুশি।
উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের আওতায় কর্মরত প্রত্যেক মহিলাকে ১ লক্ষ ২০ হাজার ৫শহ ৭২ টাকা করে মোট ১ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ৮৩২ টাকার চেক পেয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ৬শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মোর্শেদ মিয়া নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের ভোলাউক গ্রামের দক্ষিণপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মোর্শেদ মিয়া ভোলাউক গ্রামের দক্ষিণপাড়ার জসিম উদ্দিনের ছেলে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা জানান, শনিবার বিকেলে ভোলাউক গ্রামের দক্ষিণপাড়ায় অভিযান চালিয়ে মোর্শেদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার শরীরে তল্লাশী চালিয়ে ৬শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘কৃষক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে বাংলাদেশ কৃষকলীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ কৃষকলীগ নাসিরনগর উপজেলা শাখার আয়োজনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ, শোভাযাত্রা, কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ¦ মোঃ নাজির মিয়া নেতৃত্বে উপজেলা সদরে একটি শোভাযাত্রা বের হয়।
শোভাযাত্রা শেষে উপজেলা কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পরে নাসিরনগরস্থ আলহাজ¦ নাজির মিয়ার বাসভবন প্রাঙ্গণে উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি হাজী মোঃ অলি মিয়ার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ¦ মোঃ নাজির মিয়া।
উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম নুরে আলমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুমা আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবদুল আহাদ, সাবেক জেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য শাহিন আরা খানম, অ্যাডভোকেট রেজাউল হক আমজাদ, আওয়ামী লীগ নেতা আলীরাজ ও উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান।
সভায় ইউপি সদস্য মো: জজ মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল কুদ্দুস খাঁন, ধরমন্ডল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ উদ্দিন জালালসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
এ সময় কৃষকলীগের দলীয় নেতৃবৃন্দসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ¦ মোঃ নাজির মিয়া বলেন, দেশের কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের স্বার্থ রক্ষার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষকলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাতাকাল থেকে কৃষকলীগ কৃষকদের সংগঠিত করা, তাদের দাবি আদায় এবং দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে আসছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পাবলিক লাইব্রেরিতে এসে বই পড়ায় পুরস্কৃত করা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় ১২ শিক্ষার্থীকে। এপ্রিল মাসে লাইব্রেরিতে সর্বাধিক উপস্থিত হয়ে বই পড়ায় পুরস্কৃত করা হয় তাদের।
আজ ১৫ মে বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া শিক্ষার্থীদের হাতে এ পুরষ্কার তুলে দেন। পুরস্কার পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে বালিকা ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে প্রথম হয়েছেন ছাত্রী সাদিয়া বুশরা, হাফসা বেগম, সুমাইয়া আফরিন, ২য় হয়েছেন ইসরাত জাহান ও সৃষ্টি রায় এবং ৩য় হয়েছে সানিয়া আক্তার ও মহিমা রায়। বালক ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন পৃথিবী দাস সূর্য্য, ২য় স্নেহাল গোপ পান্না, সৌমক রায়, গগনদীপ কুন্ডু, ৩য় হয়েছেন শয়ন গোপ। জানা যায়, আগে উপজেলার লাইব্রেরিতে আগে তেমন পাঠক ছিলো না। জরাজীর্ণ ভবনে নানান রকমের বই থাকলেও গড়ে এক বা দুইজন শিক্ষার্থী এখানে আসতেন। পাঠক ফেরাতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত সপ্তাহব্যাপী বই মেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘোষণা দিয়েছিলেন লাইব্রেরিতে সর্বাধিক উপস্থিত ব্যক্তি পাবেন পুরস্কার। সেই ঘোষণায় বেড়েছে নাসিরনগর পাবলিক লাইব্রেরিতে পাঠক উপস্থিতি।
এ উপলক্ষে পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চাতলপাড় ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মানিরুল হোসাইন, নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম, নাসিরনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অজিত কুমার দাস, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শুভ সিদ্দীক, গণমাধ্যমকর্মী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সুজিত কুমার চক্রবর্তী প্রমুখ।
এ সময় মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশের অনেক উপজেলায় পাবলিক লাইব্রেরি নেই। এটি নাসিরনগরের সৌভাগ্য যে উপজেলায় একটি পাবলিক লাইব্রেরি আছে। আমি উপজেলায় যোগদানের পর লাইব্রেরি ভিজিট করতে গিয়ে দেখতে পাই প্রতিদিন পাঠক সংখ্যা খুবই কম। পরে ফেব্রুয়ারি মাসে আয়োজিত অমর একুশে বইমেলায় আমি ঘোষণা দিয়েছিলাম পাবলিক লাইব্রেরিতে যারা সর্বাধিক দিন উপস্থিত থেকে সর্বোচ্চ বই পড়বেন, তারা আমার পক্ষ থেকে পুরস্কার পাবেন। পাশাপাশি লাইব্রেরিটি সংস্কার করা হচ্ছে। ঘোষণা অনুযায়ী এপ্রিল মাসে সর্বাধিক দিন উপস্থিত থেকে সর্বোচ্চ বইয়ের পাঠকদেরকে আমরা পুরস্কৃত করেছি।