অনলাইন ডেস্ক :
জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট টোকিওর উদ্দেশে রওনা দেয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী তিন দিন টোকিওতে থাকবেন। ২৮ এপ্রিল টোকিও থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেবেন। পরে যুক্তরাজ্যে যাবেন। সফর শেষে আগামী ৯ মে সকালে তিনি দেশে ফিরবেন।
ঢাকা ছাড়ার আগে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতারা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
জাপন সফরকালে টোকিওর সঙ্গে আটটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করছে ঢাকা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, ‘দুই প্রধানমন্ত্রীর (বাংলাদেশ ও জাপান) উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে আটটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, জাপান সফরকালে কৃষি, মেট্রোরেল, শিল্প উন্নয়ন, জাহাজ রিসাইক্লিং, শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়, মেধা স্বত্ব, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আইসিটি ও সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই সফর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ উন্নীত করার বিষয়ে আলোচনার সুযোগ তৈরি করবে।
জাপান সফরের কর্মসূচি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় (স্থানীয় সময়) টোকিও পৌঁছাবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ এপ্রিল জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। একই দিনে তিনি চুক্তি স্বাক্ষরের পর তার জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নৈশভোজের মাধ্যমে বৈঠকটি শেষ হবে।
২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টোকিওতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) এবং জেট্রোর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন।
একই দিনে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য চার জাপানি নাগরিককে ‘ফ্রেন্ড অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ তুলে দেবেন।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসী ও কমিউনিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। টোকিও সফরকালে প্রধানমন্ত্রী জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশির সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়াও তিনি জাইকা, জেইটিআরও, জেইইআইসি, জেবিপিএফএল, জেবিসিসিইসি-এর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকসহ আরও কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দেবেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাপানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সহধর্মিণী আকি আবে ও একজন জাপানি স্থপতি তাদাও আন্দোর সঙ্গেও দেখা করবেন।
এছাড়া, জাপানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল এনএইচকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি সাক্ষাৎকার সম্প্রচার করবে।
জাপান সফরে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ সংশ্লিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা তাঁর সঙ্গে রয়েছেন।
এটি হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ষষ্ঠ জাপান সফর। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৭, ২০১০, ২০১৪, ২০১৬ ও ২০১৯ সালে জাপান সফর করেন।
যুক্তরাষ্ট্র সফর
ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছে আগামী ১ মে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে ৫০ বছরের অংশীদারিত্ব উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক সেমিনারে এক অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা “বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের ৫০ বছরের অংশীদারিত্বের প্রতিফলন” শীর্ষক একটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করবেন। ওই অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টও বক্তৃতা করবেন।
একই দিন শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে এক একান্ত বৈঠকে যোগ দেবেন। সেমিনারে বাংলাদেশের উন্নয়নের জয় যাত্রা ও বিগত পাঁচ দশকে দেশে বিশ্বব্যাংকের কার্যক্রম তুলে ধরা হবে। এছাড়া, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও শিল্পকর্ম তুলে ধরতে “বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংকের ৫০ বছরের অংশীদারিত্ব” শীর্ষক মাল্টিমিডিয়া প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।
এর আগে ২৯ এপ্রিল বিকেলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। আগামী ২ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ‘ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল’-এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা একান্ত বৈঠকে যোগ দেবেন। পরে ইউএস চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুজান পি ক্লার্ক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
একই দিনে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট নিশা বিসওয়ালের আমন্ত্রণে মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সাথে একটি ‘উচ্চ পর্যায়ের নির্বাহী’ রাউন্ড টেবিলে মূল বক্তা হিসেবে যোগ দেবেন। এছাড়া বিশ্বব্যাংকের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট অজয় বঙ্গের সঙ্গেও বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী।
যুক্তরাজ্য সফর
৪ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য কমনওয়েলথ দেশের রাজা ও রাণী হিসাবে তৃতীয় চার্লস এবং তার পত্নী ক্যামিলার রাজ্যাভিষেকে যোগদানের জন্য লন্ডনের উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন ত্যাগ করবেন। প্রায় ১৩০ জন রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান ব্রিটিশ রাজার আসন্ন রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন, যা ৭০ বছর পর হতে চলেছে। সফরকালে কমনওয়েলথ মহাসচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ মন্ত্রীও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বহুল কাঙ্ক্ষিত আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে এই রেলপথ। উদ্বোধনের আগে আজ ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন থেকে ভারত সীমান্তবর্তী শিবনগর পর্যন্ত একটি খালি কনটেইনার ট্রেন চালানো হয়েছে।
এ সময় রেলপথ নির্মাণকারী ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার শরৎ শর্মা ও আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ প্রকল্পের পরিচালক (বাংলাদেশ অংশ) মো. আবু জাফর মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে আখাউড়ার গঙ্গাসাগর থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। করোনা মহামারিসহ নানা সংকটের কারণে দেড় বছর মেয়াদি প্রকল্পের কাজ শেষ করতে সময় লাগছে পাঁচ বছরেরও বেশি। রেললাইনের কাজ শেষ হলেও ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ভবন এবং প্ল্যাটফর্মের ফিনিশিং কাজ এখনো চলছে।
আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ প্রকল্পের পরিচালক (বাংলাদেশ অংশ) মো. আবু জাফর মিয়া জানান, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আমাদের অংশে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হয়েছে। ট্রেনটি ৪০ কিলোমিটার গতিতে চলেছে। উদ্বোধনের পর প্রথম দিকে পণ্যবাহী ট্রেন এবং পরবর্তীতে যাত্রীবাহী ট্রেনও চালানো হবে এই রুটে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে সদ্য উদ্বোধন হওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল ব্যবহারকারী যানবাহন সংখ্যা লাখের কাছাকাছি পৌঁছেছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪ দিনে এই টানেল ব্যবহার করেছে ৯৭,১৪৫টি যানবাহন। এসব যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ২৪ লাখ ১৫ হাজার ৬০ টাকা। রবিবার দিবাগত রাতের মধ্যে ব্যবহারকারী যানবাহন সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘টানেল ব্যবহারকারী যানবাহন সংখ্যা লাখ ছুঁই ছুঁই। গত ১৪ দিনে যে হারে যানবাহন চলেছে সে হিসেবে রবিবার মধ্যে ব্যবহারকারী যানবাহন লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা। এখানে প্রতিদিন রাত ১২টায় যানবাহন ও টোলের হিসেব করা হয়।’
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন সকাল ৬টা থেকে সাধারণের চলাচলের জন্য টানেলটি খুলে দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত ও ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সংসদের নেতৃবৃন্দ।
আজ ১০ জুলাই বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার মাজার প্রাঙ্গনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি হেলাল উদ্দিন, কামরুজ্জামান আনসারী, অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, সৈয়দ মিজানুর রেজা, কাজী হারিসুর রহমান, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, জাতীয় পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঞা, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য কাজী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, আজিজুল হক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এড. মাহবুবুল আলম খোকন, আবদুল হান্নান রতন, এড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. মহসিন, তানজিন আহমেদ, সৈয়দ এখতেশামুল বারী তানজিল, কোষাধ্যক্ষ মহসিন মিয়া, আইন সম্পাদক এড. মফিজুর রহমান বাবুল, ত্রাণ সমাজকল্যাণ সম্পাদক আবদুল খালেক বাবুল, বন ও পরিবেশ সম্পাদক শাহআলম আলম, মহিলা সম্পাদিকা ফারহানা সিদ্দিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, শিল্প বাণিজ্য সম্পাদক স্বপন রায়, যুব ক্রীড়া সম্পাদক এড. শাহানুর ইসলাম, শিক্ষা সম্পাদক অধ্যাপক নুরুন্নাহার বেগম, ধর্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কালাম, কৃষি সমবায় সম্পাদক এমবি কানিজ, শ্রম সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ ভূঞা, বিজ্ঞান প্রযুক্তি সম্পাদক অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল, উপপ্রচার সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, কার্যকরী সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলী আজাদ, এড. শিব শঙ্কর দাস, আলহাজ¦ নাজির মিয়া, জহিরুল ইসলাম ভূঞা, রফিকুল ইসলাম, কাজী মোরশেদ হোসেন কামাল, এড. লোকমান হোসেন, আলামিনুল হক আলামিন, হাজি বাবুল মিয়া, বাবুল মিয়া, আবুল হোসেন, সাইদুজ্জামান আরিফ। এছাড়া জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন শোভন, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আল জাবের উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুর নেতৃত্বে কার্যকরী সংসদের নেতৃবৃন্দ ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদী ও বিসিক শিল্পনগরীর খাল এবং পুকুর পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী।
আজ ৫ এপ্রিল বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তিনি সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের নন্দনপুর বিসিক শিল্পনগরীর বিভিন্ন কারখানা, পুকুর ও খাল এবং দুপুরে দুপুরে তিনি তিতাস নদীর মেড্ডা শ্মশান ঘাট এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে তিনি ছোট নৌযানে করে তিতাস নদীর বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।
বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা নদী রক্ষা কমিশনের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন, জেলা মৎস্য অফিসার তাজমহল বেগম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মনজুর রহমান, বিআইডব্লিউটি’র উপ-পরিচালক মোঃ রেজাউল করিম, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল কুদদুস, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন ফিরোজুর রহমান প্রমুখ।
সভায় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, তিতাস নদী ঐতিহাসিক নদী। এ নদীকে কেন্দ্র করে গল্প-উপন্যাস চলচ্চিত্র রচিত হয়েছে। কিন্তু দখল দুষনের কারণে নদীটির অস্তিত্ব বিলীনের পথে। মানুষ এখানে বর্জ্য ফেলে। প্রশাসন বার বার বলার পরও মানুষ শুনছেনা। এটি খুবই হতাশাজনক।
শুধু প্রশাসন কাজ করলে হবেনা। প্রশাসনের পাশাপাশি সর্বস্তরের মানুষকে সহযোগিতা করতে হবে। কারণ নদী আমাদের প্রাণ। এটিকে রক্ষা করার জন্যই আমরা কাজ করছি। নদী দখল করে মাছ চাষের ব্যাপারে তিনি অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে দখল ও দুষনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কর্মকর্তাদেরকে নির্দেশ দেন।
তিনি বিসিক শিল্পনগরীর বর্জ্য শোধানাগার (ইটিপি) যথাযথ বাস্তবায়ন না করায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এখানে সংগতি করার মতো কিছুই নেই। শিল্প বর্জ্য উৎপাদন হয় এখানে, কিন্তু বর্জ্য শোধানাগারের কোনো ব্যবস্থা নেই। আমরা কমিশন এসে এখানে হতবাক হয়েছি। এখানে শুধু মাত্র কেমিক্যাল নয়, এখানে পয়ঃ বর্জ্য নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। পরিবেশ অধিদপ্তর এখানে কাজ করছে না। এখানে নাকি মাঝে মাঝে জরিমানা করা হয়। কিন্তু জরিমানা করে এখানে কোনো কিছুই করা যাবেনা। আমরা আশা করি জনগণের স্বার্থে শিল্প মালিকদের শুভ বৃদ্ধির উদয় হবে।
সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
হবিগঞ্জের রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডে নতুন আরও দুটি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে। ফলে এ ক্ষেত্র থেকে জাতীয় গ্রিডে দিনে আরো ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হয়েছে।
আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুরে জেলার বাহুবল উপজেলায় অবস্থিত রশিদপুর গ্যাসফিল্ডে কূপ দুটির উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) জিলুফা সুলতানাসহ অন্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) জানায়, ‘রশিদপুর-১১ নম্বর কূপ খনন’ প্রকল্পে সরকারের ২৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে হয়েছে। গ্যাস উন্নয়ন তহবিল থেকে ৯৫ ভাগ এবং বেসরকারি কোম্পানির তহবিল থেকে বাকি ৫ ভাগ অর্থায়নের কথা। তবে এখন এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে।
রশিদপুর গ্যাস ক্ষেত্র থেকে আগে দিনে ২৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হত। এখন ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট বেড়ে তা হয়েছে ৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট।
পেট্রোবাংলা সূত্র আরো জানায়, দেশের পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র থেকে মোট ৬ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকার গ্যাস উৎপাদন করেছে সরকার। ৪৮ বছর ধরে উৎপাদনের পরও এ গ্যাসক্ষেত্রগুলোতে অবশিষ্ট মজুদ রয়েছে আরও ৩ লাখ ১৭ হাজার কোটি টাকার গ্যাস।
বক্তারা বলেন, দেশে উৎপাদিত মোট গ্যাসের অর্ধেকই হবিগঞ্জে। তবে ৪৮ বছরে যদি ৬ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকার গ্যাস উৎপাদন হয়ে থাকে তাহলে, ৩ লাখ কোটি টাকার বেশি গ্যাস উৎপাদন হলো হবিগঞ্জ জেলা থেকেই।