চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্য মোকাবেলায় সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
তিনি বলেন, দেশ শান্তিশৃঙ্খলার সঙ্গে স্থিতিশীল থাকলে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। আর আমি আগামী ৫ বছরের দায়িত্ব পালন করতে পারলে ৫০ শয্যা হাসপাতালকে ১০০ শয্যা করব, একটি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ করব, টিটিসি করব, সাবরেজিস্ট্রার অফিসের জন্য কাজ করব, একটি উপশহর করব, একটি ৫০ জনের মিলনায়তন করব, আপনাদের কোনো আশা আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণ রাখব না।
২ ফেব্রুয়াির শুক্রবার বিকাল ৪টায় বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম ও ভিপি সোহেলের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর মৃধা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল চৌধুরী মন্টু, সহ-সভাপতি হাজী মো. হেলাল উদ্দিন সহ জেলা, উপজেলা চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
গণসংবর্ধনার পর সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। সাবেক সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমসহ দেশবরেণ্য সঙ্গীত শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রীতি খন্দকার খন্দকার ওরফে হালিমা নিখোঁজ রয়েছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে বিজয়নগর থানায় জিডি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার তার স্বামী এই জিডি করেন।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টা থেকে বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটায় এই রির্পোট লেখা পর্যন্ত প্রার্থীর কোন খবর পাওয়া যায়নি বলে মাসুদ খন্দকার জানিয়েছেন। তিনি জানান প্রচারণা চালাতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। তবে পুলিশ বলছে বিষয়টি সাজানো হতে পারে। তবে জিডির অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওসি আসাদুল ইসলাম।
প্রীতি খন্দকারের স্বামী মাসুদ খন্দকার বলেন, ৫ জুন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে তার স্ত্রী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে (পদ্মফুল প্রতীক) নির্বাচন করছেন। সার্ভার ক্রুটির কারণে প্রীতির মনোনয়ন জমা দিতে সমস্যা হওয়ার ফলে হাইকোর্ট থেকে প্রার্থীতা ফিরে পান তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নে দুইজন সহযোগী নিয়ে নির্বাচনি প্রচারনায় যান প্রীতি। হরষপুরের ঋষি পাড়ায় ঢুকে প্রচার করা অবস্থায় দুজন মহিলা বাহিরে আসেন আর প্রীতি ভোটারদের সাথে ভিতরে কথা বলছিলেন। ১০মিনিট ২০মিনিট পার হলেও যখন বের হচ্ছেনা বিধায় দুইজন মহিলা ভিতরে যান। ভিতরে গিয়ে প্রীতিকে খোঁজে পাচ্ছিলো না।
বিষয়টি সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ থানার ওসি মহোদয়কে অবগত করা হয়।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন, প্রার্থীর স্বামী রাতে এসেছিলেন। তাকে নিয়ে রাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। যেখান থেকে নিখোঁজ হয়েছেন সেখানে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন প্রার্থী প্রচারে এসেছিলেন। তবে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে অগ্নিকাণ্ডে গোয়াল ঘরে থাকা চারটি গরু ও ২শ মন ধানসহ ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
৩ অক্টোবর মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াই টার দিকে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের হাজী বাড়ির মৃত রশুদ মীর এর ছেলে মোঃ তাহের মীর এর বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত তাহের মীর ২০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
মোঃ তাহের মীর জানান, রাতে মশার উপদ্রব থেকে গরুকে বাচানোর জন্য প্রতিদিনের ন্যায় গোয়ালঘরে মশার কয়েল জালিয়ে রাখি। রাত আড়াই টার দিকে হঠাৎ করে পাশের বাড়ির চাচাতো ভাইয়ের ডাক শুনে আমার ঘুম ভাঙ্গে। উঠে দেখি আমার ঘরে আগুন জ্বলছে। আমার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে অনেক চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু এরই মধ্যে গোয়ালে থাকা চারটি গরু এবং দুইশ মন ধানসহ ঘরটি পুড় যায়। ফায়ার সার্ভিসকে বহুবার কল দিলেও তারা আসে নাই। আগুনে আমার প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বিজয়নগর উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ স্টেশন লিডার মোঃ মোশাররফ হোসেন মিয়াজী বলেন, খবর পাওয়ার ৩০ সেকেন্ড মধ্যে আমরা স্টেশন ত্যাগ করে গ্রামীণ ছোট রাস্তা দিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিভাতে সক্ষম হয়েছি। প্রাথমকি ভাবে মনে হয়েছে ধরনা করা হচ্ছে মশা মারার কয়েক থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছি। ক্ষয়ক্ষতির নিরূপণ করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিতি করেছি।
সরকারি ভাবে কোন বরাদ্দ পেলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তানভীর ভূঁইয়া ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ ৩০ অক্টোবর সোমবার সকাল পৌনে ৬টার দিকে জেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো (৬৫) বছর।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই কণ্যাসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে যান। বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, তানভীর ভূঁইয়া বেশ কয়েক মাস ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলেন। গত দুই সপ্তাহ আগে তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে জেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে তিনি মারা যান।
তিনি বলেন, তানভীর ভূঁইয়া গত কয়েক মাস ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলেন। দুই সপ্তাহ আগে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে জেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে আইসিসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে তিনি মারা যান।
এদিকে সোমবার বাদ জোহর শহরের লোকনাথ উদ্যান (টেংকেরপাড়) জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে মরহুমের প্রথম জানাযার নামাজ ও বাদ আসর তার নিজের গ্রাম বিজয় উপজেলার চর-ইসলামপুরে দ্বিতীয় নামাজে জানাযা শেষে তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, বিজয়নগর উপজেলার চর-ইসলামপুরের বাসিন্দা বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন।
বিজয়নগর প্রতিনিধি :
মৃত মহিষ জবাই দেখিয়ে বিক্রির পাইতারার অভিযোগে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মেহেদী হাসান খাঁন শাওন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এক ব্যক্তিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে এবং মহিষকে ১০ ফিট গর্ত করে পুঁতে ফেলার নির্দেশনা প্রদান করেন। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের প্রকাশ্যে জনসম্মুখে পশু জবাই পূর্বক বিক্রির নির্দেশ প্রদান করেন।
২৫ জানুয়ারি গভীর রাতে এক ব্যবসায়ী উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের রোগাক্রান্ত মহিষ ট্রাক যোগে নিয়ে যাওয়া সময় মহিষটি ট্রাকের উপরেই মারা যায়। এসময় উক্ত ব্যবসায়ী ক্ষতি থেকে বাঁচতে মৃত মহিষটির গলা কেটে জবাই দেখিয়ে মাংস বিক্রি করার পাইতারা কালে বিজয়নগর উপজেলা প্রশাসনের গোপনে অনুসন্ধানী চলমান অবস্থায় তাদের নজরে পরলে তারা এমন পরিস্থিতি হাতে নাতে গভীর রাতে আটক করে এই অর্থদন্ড প্রদান করেন।
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ জানান, উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির সিদ্ধান্ত মতে গরুর মাংস যেই স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে সেখানে জনসাধারণের সামনে গরু জবাই করে বিক্রি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে কয়েক মাস আগেই।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, সেনেটারি ইন্সপেক্টর, পুলিশ, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, বাজারের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা বিষয়টি নিশ্চিত করার দায়িত্ব পেয়েছেন। তার পরেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক লাভের আশায় বিভিন্ন জায়গায় চোরাই গরু এবং রোগাক্রান্ত গরু জবাই করে বিক্রি করছে এমন খবরের ভিত্তিতে গোপন নজরদারি ফলে এমন ঘৃণিত ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ২৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড আরোপ করা হয় এবং মহিষটি ১০ ফিট গর্ত করে পুঁতে ফেলার নির্দেশনা দেওয়া হয়।