চলারপথে রিপোর্ট :
খোকন নামের এক মাদকসেবিকে ৩ মাসের কারাদন্ড ও এবং ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাহিদা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ওই যুবককে এই দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাহিদা আক্তার জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনকে টিকেট কালোবাজারি মুক্ত করতে প্রায়ই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বিকেলে রেলওয়ে স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে টিকেট কালোবাজারিরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এক পর্যায়ে স্টেশনে খোকন নামে এক যুবকের আচরণবিধি সন্দেহ হলে তাকে তল্লাশি করা হলে তার কাছে ট্রেনের একটি টিকেট ও এক পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। পরে ওই যুবককে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩ মাসের কারাদন্ড এবং ৫০০টাকা জরিমানা করা হয়। ট্রেনের টিকেটটি যাচাই করে এর বৈধতা পাওয়া যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তুকী মূল্যে নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মধ্যে টিবিসির নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে।
আজ ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলা পরিষদ চত্ত¡রে এই বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন। প্রত্যেক কার্ডধারীকে ৭০টাকা কেজি দরে ২ কেজি মশুর ডাল, ১১০ টাকা লিটার দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল এবং ৬০ টাকা কেজি দরে ১ কেজি চিনি দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, সদর উপজেলার স্বল্প আয় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। উপজেলার ১৬ হাজার ৬১৮ জন কার্ডধারীর মধ্যে এই পণ্য বিক্রি করা হবে।
মঙ্গলবার পৌর এলাকার মেড্ডা সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর, কালভৈরব, কারখানাঘাট আনন্দবাজার ও শেরপুর ঈদগাহ মাঠে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হয়। পর্যায়ক্রমে সদর উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে চাঁদের হাসি ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি ক্লিনিককে সিলগালার ও স্ট্যান্ডার্ড হসপিটাল এন্ড টোটাল হেলথকেয়ার হাসপাতাল নামে একটি হাসপাতালকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফয়সাল আহমেদ শহরের কুমারশীলমোড় ও লোকনাথ উদ্যান (ট্যাংকেরপাড়) এলাকায় পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
দেশব্যাপী চলমান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনিবন্ধিত ও মানহীন হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্স না থাকায় কুমারশীল মোড়ের চাঁদের হাসি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়া শহরের লোকনাথ উদ্যানের (টেংকের পাড়) পাশে অবস্থিত স্ট্যান্ডার্ড হসপিটাল এন্ড টোটাল হেলথকেয়ার হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে মেয়াদোর্ত্তীন ওষুধ সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি পাওয়া যায়। এছাড়া হাসপাতালটিতে প্যাথলজি পরীক্ষায় অতিরিক্ত মূল্য আদায়ের প্রমান পাওয়া যায়। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০, ৫২ ও ৫৩ ধারায় উক্ত হাসপাতালকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানকালে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে মেডিকেল অফিসার ডা. আশরাফুর রহমান হিমেল, ডা. তাসনুভা তাবাসসুম নোভা, ডাঃ ফাইরোজ মায়িশ, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোঃ ছফিউর রহমান ও সদর মডেল থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু করণ, আন্তঃনগর বিজয় ও কালনী এক্সপ্রেসের ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে যাত্রা বিরতি ও বিদ্যমান ট্রেনসমূহের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম-এর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে জেলা নাগরিক ফোরাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
আজ ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ে উক্ত স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য্য ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সমাজকর্মী কমরেড নজরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর সানলাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড হাসপাতাল-এর চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ও সমাজকর্মী মো. আল আমিন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের এই দাবির পক্ষে জেলা নাগরিক ফোরাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন সময় সভা-সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে আসছে। এক পর্যায়ে ২০২৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বরাবর এক স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
উক্ত স্মারকলিপির প্রেক্ষাপটে বিগত ২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, মাঠ প্রশাসন সংযোগ অধিশাখার স্মারক নং ০৪.০০.০০০০.৫১২.১৬.০০২.১৮.১০১-এর এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয় যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর রেল ভ্রমণের দুর্দশা লাঘবে জেলাবাসীর এই প্রাণের দাবি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। তারপর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী এই দাবিটির বাস্তবায়ন দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। কিন্তু আঠারো মাস অতিক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এই নির্দেশনার বাস্তবায়ন না হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত নিয়ে অনেক দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এমতাবস্থায় দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্মারকলিপিতে আবেদন জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
অনাড়ম্বর আয়োজনে ৩ ফুট উচ্চতার যুবকের সঙ্গে আড়াই ফুট উচ্চতার তরুণীর বিয়ে দিয়েছে দুই পরিবার।
১০ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়ন উলচাপাড়া গ্রামের মন মিয়ার ছেলে মো. ফরহাদ মিয়ার সঙ্গ বিয়ে হয় পূর্ব তালশহর ইউনিয়ন পুথাই গ্রামের আলী আকবর এর মেয়ে মোছা. আরিফা আক্তারের। দুজনেরই শারীরিক উচ্চতা অস্বাভাবিক।
বরের মামা জুয়েল মিয়া বলেন, ফরহাদের বয়স ২৭ বছর। কিন্তু তার উচ্চতা মাত্র তিন ফুট। বিয়ের বয়স হওয়ার পর থেকে কনে খুঁজছিলাম। দীর্ঘদিন কনে খুঁজে না পেয়ে, অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার পুথাই গ্রামে একটি মেয়ে খুঁজে পাই। মেয়েটির উচ্চতা আড়াই ফুট। আমরা দুই পরিবারের সম্মতিক্রমে তাদের বিয়ের আয়োজন করি। বিয়েতে ৪০ বরযাত্রী গিয়েছি। দেড় লাখ টাকা কাবিনে তাদের বিয়ে হয়।
বরের প্রতিবেশী শেখ তারেক আহমেদ বলেন, বর ফরহাদের জন্ম দরিদ্র পরিবারে। সে রুপার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। তার উচ্চতা তিন ফুট হলেও তাকে পরিবারের সদস্যসহ গ্রামবাসী খুব আদর করেন। পরিবারের সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতায় তার বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কনের উচ্চতাও আড়াই ফুট। বিয়ের পর বর-কনেকে দেখতে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকজন ভিড় করছেন। তাদের বিয়ের আয়োজনে আমরা খুব খুশি।
বর মো. ফরহাদ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, দু’জনের সম্মতিতেই বিয়ে হয়েছে। বিয়ে করতে পেরে অনেক আনন্দ লাগছে। দেশবাসীর কাছে আমরা দোয়া চাই। আমরা যেন সুন্দরভাবে সংসার করতে পারি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাপদাহের কারণে তৃষ্ণার্ত সাধারণ মানুষের মাঝে প্রশান্তি এনে দিতে বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ২৮ এপ্রিল রবিবার দুপুরে জেলা পরিষদের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় সড়কে চলাচলকারী অন্তত দেড়হাজার পথচারি ও গাড়ি চালকদের মাঝে নেতা-কর্মীরা পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেন।
এ সময় জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকনসহ যুবদল, ছাত্রদল ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।