চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় এবছর এসএসসি সমমান পরীক্ষায় বসছে ২হাজার ১৪০ ছাত্রছাত্রী। সুষ্ঠু পরিবেশে নকলমুক্ত পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এবছর এরই প্রেক্ষিতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলো। ইতোমধ্যে পরীক্ষা গ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলার ৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৩০ এপ্রিল সারা দেশে একযোগে এসএসসি সমমান পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।
আখাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৭টি মাদ্রাসা ও ১টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল স্কুল থেকে ২হাজার ১৪০ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিবে। এর মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার্থী ১৭৩৮ জন, দাখিল পরীক্ষার্থী ৩১৪ জন এবং ভোকেশনালের পরীক্ষার্থী ৮৮ জন। মোট পরীক্ষার্থীর ৮৯৬ জন ছাত্র এবং ১ হাজার ২৪৪ জন ছাত্রী।
পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো হলো আখাউড়া রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয় ছতুরা চান্দপুর স্কুল এন্ড কলেজ, আখাউড়া টেকনিক্যাল মাদ্রাসা, সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল। এছাড়া নাছরীন নবী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার একটি ভেন্যু রয়েছে।
তবে, সরজমিনে রেলওয়ে স্কুল, আখাউড়া টেকনিকেল মাদ্রাসা ও মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়নি। বিদ্যালয় প্রধানরা বলেছেন ক্যামেরা স্থাপনের প্রস্তুতি চলছে।
জানতে চাইলে মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শশাঙ্ক রায় চৌধুরী বলেন, সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিকে বলা হয়েছে। কমিটি ক্যামেরা স্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ২২টি ক্যামেরা লাগানো হবে তিনি জানান। তবে এখনও লাগানো হয়নি।
আখাউড়া নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বনিক বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে পূর্ব থেকেই ১৬টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা আছে। সিসি ক্যামেরা থাকায় পরীক্ষা মনিটরিং করতে সুবিধা হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিবেশেরও সহায়ক হবে।
জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয় পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন। সুষ্ঠু পরিবেশে নকুল মুক্ত পরীক্ষা গ্রহণের জন্য আমরা সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।
ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ জিয়াউল হক মীর জানান, এসএসসি পরীক্ষা সংক্রান্ত সভার কার্যবিবরণীর সিদ্ধান্তে পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে সুষ্ঠু পরিবেশে নকুলমুক্ত পরীক্ষা গ্রহণে সহায়ক হবে। মনিটরিং করতে সুবিধা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলায় শ্বশুরবাড়িতে রাসেল মিয়া নামে এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনায় স্ত্রী, শাশুড়ি, স্ত্রীর ভাই-বোনসহ ৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আখাউড়া) আদালতে নিহতের মা আরজু বেগম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। রাসেল আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ধলেশ্বর গ্রামের মো. আবুল খায়ের মিয়ার ছেলে।
মামলার আসামিরা হলেন রাসেলের স্ত্রী শামীমা আক্তার (২৬), শামীমার মা হালিমা (৬০), বড় ভাই বেদন ভূঁইয়া (৪৫), সুমন ভূঁইয়া (৪০), রাজন ভূঁইয়া (৩৫), বড় বোন দিপালী (৩০) ও বড় কুড়িপাইকা গ্রামের সুরুজ ভূঁইয়ার ছেলে সাকিন ভূঁইয়া (৩৫)।
৯ জুলাই রবিবার বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হিরাপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে আত্মহত্যা করেন রাসেল মিয়া।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, ৭ বছর আগে শামীমাকে বিয়ে করেন রাসেল মিয়া। তাদের ৬ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। কিন্তু শামীমা নানান জায়গায় বিচরণ করতেন। এছাড়াও একাধিক পর পুরুষের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমালাপ ও ব্যভিচারসহ ইত্যাদি অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকতেন। স্বামী রাসেলের আদেশ-নিষেধ না মেনে তার খেয়াল-খুশিমত উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন শুরু করে। শামীমাকে বুঝিয়ে ভালোভাবে ঘর-সংসার করতে অনুরোধ জানালে সে বিভিন্ন প্রকার হুমকি-ধামকি প্রদান করতো। বহু চেষ্টা করেও শামীমাকে ভালো পথে ব্যর্থ হয় রাসেল।
রাসেল তাকে বুঝালেও উল্টো শামীমা তার মা, ভাই ও বোনের কু-প্ররোচনায় বিনা অনুমতিতে বাবার বাড়িতে চলে যায়। বাবার বাড়িতে থেকে রাসেলকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কটূকথা ও অযৌক্তিক দাবি-দাওয়া উত্থাপন করে মানসিক যন্ত্রণা দিতে থাকে। রাসেল মিয়া নিজ সন্তানের ভবিষ্যৎ ও পরিবারের মান সম্মানের কথা চিন্তা করে শামীমার সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রেখে আসছিল। তারপরও রাসেলকে কারণে-অকারণে মিথ্যা অপবাদ রটিয়ে আত্মহত্যা করতে মানসিক অত্যাচার নির্যাতন করে আসছিল। অবশেষে শামীমা, তার মা, ভাই ও বোনের মানসিক নির্যাতনে রাসেল আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদি পক্ষের আইনজীবী ড. আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া বাদল জানান, রাসেলের মা বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলাটি করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আখাউড়া) আদালতে বিচারক ফরহাদ হোসেন মামলাটি আমলে নিয়েছেন। পাশাপাশি আখাউড়া থানায় এ সংক্রান্ত আর কোন মামলা আছে কি না, তা জানাতে বলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৬ জানুয়ারি রবিবার দিনব্যাপী স্কুল প্রাঙ্গণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
‘পিড়িতের তাবিজ লাগবে গো তাবিজ’, বেদের মেয়ের সাজে এক শিক্ষার্থীর এমন হাঁক শুনে হাসিতে ভেঙ্গে পড়েন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভিন রুহিসহ অতিথিরা। দু’দিকে মাথা নাড়িয়ে লজ্জায় ইউএনও ‘না’ বোধক ইঙ্গিত করেন তিনি। তবে, এসময় পাশে দাঁড়ানো উপজেলা বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন আব্দু হাসতে হাসতে বলেন- লাগবে লাগবে। সাথে সাথে আরেক দফা হাসির রুল উঠে। পরে হাত বাড়িয়ে বেদের মেয়ের কাছ থেকে তাবিজ (!) নেন ইউএনও।
আখাউড়া উজেলার অন্যতম নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এমন সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। রং বেরংয়ের পোষাক ও বাহারি সাজ আর দুর্দান্ত অভিনয়ের মাধ্যমে পিড়িতের তাবিজ ফেরি করে সবাইকে চমকে দেয় ওই শিক্ষার্থী। সকালে পৌরশহরের প্রাণকেন্দ্রে স্কুল মাঠে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে, বিভিন্ন খেলাধুলা, যেমন মানায় তেমন সাজোসহ শিক্ষা ও সচেতনতামূলক ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। দৌড়, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, মিউজিকেল চেয়ার, রশি লাফ খেলাধুলায় অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বাল্য বিবাহ রোধ ও ইভটিজিং বিষয়ে সচেতনতামূলক নাটিকায় অভিনয় করে শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বাল্য বিবাহ রোধ এবং ইভটিজিং বিষয়ে সচেতনতামূলক নাটিকা প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানের শেষে এক শিক্ষার্থীর গানের সাথে গলা মেলান ইউএনও গাজালা পারভিন রুহি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বণিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ জয়নাল আবেদীন আব্দু, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ খোরশেদ আলম, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফকরুল আলম হানিফ, উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার কফিল উদ্দিন মাহমুদ, পৌর বিএনপির সভাপতি মোঃ সেলিম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আক্তার খাঁন, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওঃ বোরহান উদ্দিন, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কাজী মোঃ ইকবাল, বিএনপি নেতা মোঃ শাহনেওয়াজ খান, আবুল ফারুক বকুল, জালাল উদ্দিন জালাল, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ জাকির হোসেন প্রমুখ। এছাড়াও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিক্ষক কাজী সাফিয়া খাতুন।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭০ জন।
আজ ১২ মে রবিবার সারাদেশের ন্যায় আখাউড়ায় এসএসসি সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়। পাশের হারের দিক থেকে সবচেয়ে ভালো করেছে ছয়গড়িয়া আলহাজ¦ শাহ আলম উচ্চস বিদ্যালয়। ২৯ জন পরীক্ষা দিয়ে ৯৬.৫৫ গড়ে ২৮ জন পাশ করেছে। তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ের শতকরা পাশের হার ৯২.৫২।
আখাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১ হাজার ৬২৮ জন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে পাশ করেছে ১ হাজার ১৯৫ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৪৩৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৪ জন। শতকরা পাশের হার ৭৩.৪০।
ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আখাউড়া নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠেোনর ৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। ৭ জন জিপিএ-৫ পেয়ে ৩য় স্থানে আখাউড়া রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়।
এদিকে দাখিল পরীক্ষায় উপজেলার ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৩০০ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ২৬৯ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৩১ জন। শতকরা পাশের হার ৮৯.৬৭। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১জন। এরমধ্যে আখাউড়া টেকনিক্যাল ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা সবচেয়ে বেশি ১২টি জিপিএ-৫ পেয়েছে। শতকরা শতভাগ পাশসহ মাদরাসাতু ছালেহা খাতুন দাখিল মাদরাসার ৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
কারগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৭০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে পাশ করেছে ৬৪জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৬ জন। শতকরা পাশের হার ৯১.৪৩। এরমধ্যে সরকারী ভোকেশনাল টেক্সটাইল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩জন এবং নুরপুর রুটি আব্দুল হক ভূঞা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন।
এদিকে, উপজেলার দুটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এবছর তুলনামূলক খারাপ ফল করেছে। ২০৩ জন পরীক্ষা দিয়ে ১২৭ জন পাশ করেছে। শতকরা পাশের হার ৬২.৬৫। অপরদিকে দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১০৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৭৪ জন পাশ করেছে। শতকরা পাশের হার ৭১.৮৪। এছাড়াও হীরাপুর শহীদ নোয়াব মেমোরিয়্যালয় উচ্চ বিদ্যালয়, মনিয়ন্দ উচ্চ বিদ্যালয় ও শাহপীর কল্লা শহীদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শতকরা পাশের হার ৫০ এর কিছু বেশি।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে যে কয়েকটি পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়- তার মধ্যে সিংহভাগই বরফায়িত মাছ। তবে ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার থেকে আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত বন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানি বন্ধ থাকবে। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার আপত্তির কারণে সেখানকার ব্যবসায়ীরা মাছ আমদানি বন্ধ রাখবেন।আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৫০ থেকে ৬০ টন মাছ ভারতে রপ্তানি হয়। প্রতি কেজি মাছের রপ্তানি মূল্য আড়াই মার্কিন ডলার। প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ডলারের মাছ রপ্তানি হয়। তবে ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি আমদানিকৃত মাছের মান যাচাই করণে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং জনবল না থাকায় মাছ আমদানি বন্ধ রাখার জন্য বলেন সেখানকার ব্যবসায়ীদের। এর ফলে আজ থেকে এক মাস মাছ রপ্তানি বন্ধ থাকবে। এতে করে ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তেমনি সরকারও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হবে। পাশাপাশি বন্দরের রপ্তানি বাণিজ্য আরও বেশি সংকুচিত হয়ে পড়বে।
আখাউড়া স্থলবন্দরেরর সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ আতিকুল ইসলাম জানান, চিঠির মাধ্যমে মাছ আমদানি বন্ধের বিষয়টি ভারত থেকে ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছে। তবে যেহেতু বন্দর কর্তৃপক্ষ মাছের ট্রাক থেকে মাশুল আদায় হয় বেশি, সেজন্য রপ্তানি বন্ধের ফলে বন্দরের আয়ে ভাটা পড়বে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি আজ ১৯ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল ১০ টায় হানিফ বাংলাদেশীর নেতৃতে আখাউড়া উপজেলা এসেছে। এই মিছিল বাংলাদেশের সাথে ভারত ও মিয়ানমার সাথে সীমান্ত আছে এমন সব জেলা ও উপজেলা প্রদক্ষিণ করে প্রতিবাদ জানাবে। কর্মসূচি যশোরের বেনাপোল উপজেলায় গিয়ে শেষ হবে।
কর্মসূচি সম্পর্কে হানিফ বাংলাদেশী বলেন বাংলাদেশের প্রতিবেশি দুইটা দেশ ভারত ও মিয়ানমার সব সময় বাংলাদেশের উপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, ভারত সব সময় সীমান্তে নিরীহ মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করছে, কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একজন বিজিবি সদস্যকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছে, গত ৪ মাসে ভারত সীমান্তে ২১ জন বাংলাদেশী বি এস এফ এর গুলিতে নিহত হয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকারের অধিকারের হিসেবে ২০১০ সাল থেকে প্রায় ১২৭৬ জন বাংলাদেশীকে বি এস এফ হত্যা করেছে, ১১৮৩ জন আহত হয়েছে।
আরেক প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমার তাদের ১২ লাখ রহিঙ্গাকে অত্যাচার করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের আভান্তরিন যুদ্ধে মটারসেলে দুজন বাংলাদেশী নাগরিক নিহত হয়েছে। সীমান্ত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে আমি প্রতিকী লাশ কাঁধে নিয়ে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম পদযাত্রা করেছি। তিনি আরোও বলেন, বাংলদেশের জনগন সব সময় প্রতিবেশি ও বন্ধু দেশ গুলোর সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায়। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ দুইটি বাংলাদেশের সাথে বৈরি আচরণ করে। সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার পরে বলা হয় এরা গরু চোর চোরাকারবারি, হতে পারে এরা গরু চোর বা চোরাকারবারি এদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক গুলি করে হত্যা করবে কেন? ভারত ও মিয়ানমার যদি তাদের দেশের পাচারকারিদের দমন করে তাহলে বাংলাদেশের পাচারকারিরা এমনিতে বন্ধ হয়ে যাবে।
হানিফ বাংলাদেশী আরো বলেন স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যে দলই এসেছে সে দলই দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের মানুষের আর্ত মর্যাদা বিসর্জন দিয়ে বিদেশিদের দ্বারস্থ হয়েছে। শাসকদের এই দুর্বল নতজানুর কারনে ভারত ও মিয়ানমার সব সময় আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে।
হানিফ বাংলাদেশী বলেন এই কর্মসূচিতে আমারা দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। দেশের সচেতন মানুষদের এই কর্মসূচি অংশ গ্রহণ করার আহবান জানাচ্ছি। যেদিন যে জেলা উপজেলায় এই মিছিল যাবে সেখানে যেকোনো দল, সংগঠনকে আমাদের সাথে সংহতি জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি।