চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় এবছর এসএসসি সমমান পরীক্ষায় বসছে ২হাজার ১৪০ ছাত্রছাত্রী। সুষ্ঠু পরিবেশে নকলমুক্ত পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এবছর এরই প্রেক্ষিতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলো। ইতোমধ্যে পরীক্ষা গ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলার ৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৩০ এপ্রিল সারা দেশে একযোগে এসএসসি সমমান পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।
আখাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৭টি মাদ্রাসা ও ১টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল স্কুল থেকে ২হাজার ১৪০ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিবে। এর মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার্থী ১৭৩৮ জন, দাখিল পরীক্ষার্থী ৩১৪ জন এবং ভোকেশনালের পরীক্ষার্থী ৮৮ জন। মোট পরীক্ষার্থীর ৮৯৬ জন ছাত্র এবং ১ হাজার ২৪৪ জন ছাত্রী।
পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো হলো আখাউড়া রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয় ছতুরা চান্দপুর স্কুল এন্ড কলেজ, আখাউড়া টেকনিক্যাল মাদ্রাসা, সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল। এছাড়া নাছরীন নবী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার একটি ভেন্যু রয়েছে।
তবে, সরজমিনে রেলওয়ে স্কুল, আখাউড়া টেকনিকেল মাদ্রাসা ও মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়নি। বিদ্যালয় প্রধানরা বলেছেন ক্যামেরা স্থাপনের প্রস্তুতি চলছে।
জানতে চাইলে মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শশাঙ্ক রায় চৌধুরী বলেন, সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিকে বলা হয়েছে। কমিটি ক্যামেরা স্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ২২টি ক্যামেরা লাগানো হবে তিনি জানান। তবে এখনও লাগানো হয়নি।
আখাউড়া নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বনিক বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে পূর্ব থেকেই ১৬টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা আছে। সিসি ক্যামেরা থাকায় পরীক্ষা মনিটরিং করতে সুবিধা হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিবেশেরও সহায়ক হবে।
জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয় পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন। সুষ্ঠু পরিবেশে নকুল মুক্ত পরীক্ষা গ্রহণের জন্য আমরা সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।
ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ জিয়াউল হক মীর জানান, এসএসসি পরীক্ষা সংক্রান্ত সভার কার্যবিবরণীর সিদ্ধান্তে পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে সুষ্ঠু পরিবেশে নকুলমুক্ত পরীক্ষা গ্রহণে সহায়ক হবে। মনিটরিং করতে সুবিধা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন।
আজ ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন পুতুল বেগম (৬০) কালা মিয়া (২৮), তাজুল ইসলাম ছোটন (২৫), আলো আক্তার (২২), জহুরা বেগম (৫০), রুনা আক্তার (২৫) ও সোহেদা বেগম (৫০)। আহতদের মধ্যে পুতুল বেগম আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার রাজেন্দ্রপুর গ্রামে মৃত মজো মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া তার সৎ চাচা ফারুকের কাছ থেকে এক বছর আগে টাকা ধার নেয়। ওই পাওনা টাকা ফেরত চাইলে দু’জনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এরই সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হৃদয়ের বড় চাচা আলফাজ মিয়াসহ তাদের লোকজন ফারুক মিয়াকে লাঞ্ছিত করে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৭ জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত পুতুল বেগমকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদের আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আখাউড়া থানার ওসি নূরে আলম জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবসরের বিষণ্নতা কাটিয়ে ৪০ বছরের কর্মজীবন শেষে রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা পেলেন আখাউড়া থানার পুলিশ সদস্য মো. মুজিবুল আলম ভূঁইয়া। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেনের সার্বিক দিকনির্দেশনায় এই সংবর্ধনা দিলেন আখাউড়া থানার ওসি নূরে আলম।
৩ জানুয়ারি বুধবার সকালে থানা চত্বরে পুলিশ কনস্টেবল মুজিবুল আলম ভূঁইয়ার জন্য এই বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করেন। পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে তাকে সম্মাননা স্মারক ও বিভিন্ন উপহার প্রদান করা হয়।
এ সময় আখাউড়া থানার ওসির গাড়িটি ফুল দিয়ে সাজিয়ে কর্মস্থল থেকে তার নিজ বাস ভবন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার তালতলা গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হয়।
এর আগে সহকর্মীরা ভালোবাসার সঙ্গে বিদায় দেন এই পুলিশ সদস্যকে। এ সময় এক আবেগঘন মুহূর্তের সৃষ্টি হয়।
পুলিশ সুপারের সার্বিক দিকনির্দেশনায় ওসির এমন আয়োজনে খুশিতে আÍহারা পুলিশ কনস্টেবল মুজিবুল আলম ভূঁইয়া। এ আয়োজনে কর্মজীবনের শেষে এক সুখস্মৃতি দিয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
বিদায়ি অশ্রুসিক্ত পুলিশ কনস্টেবল মুজিবুল আলম ভূঁইয়া জানান, চাকরি জীবনে আমি কখনো দায়িত্বে অবহেলা করিনি। এতোদিন দেখে আসছি বড় বড় পুলিশ কর্মকর্তাদের ঢাকঢোল পিটিয়ে বিদায় দেওয়া হয়। কিন্তু একজন সাধারণ পুলিশ সদস্যকে এভাবে বিদায় জানাবে কল্পনাও করিনি। আমি ধন্য, আমি কৃতজ্ঞ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলায় খেলাঘর আসরের নববন্ধন খেলাঘর আসরের প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সম্মেলন উদ্বোধন করেন খেলাঘর আসর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত।
শিক্ষক অলক কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, খেলাঘর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারন সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুয়েলুর রহমান।
সম্মেলনে শিশুদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, প্রান্তিকা সাহা, হুমায়রা লাবিবা খুশবু ও রুদ্রজিৎ পাল। তাদের বক্তব্যে অচিরেই আখাউড়াতে একটি আঞ্চলিক ক্যাম্প করার দাবি জানানো হয়। এ দাবির প্রতি সমর্থন জানান প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা। আলোচনা শেষে ২১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটিতে দৈনিক কালের কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবুকে সভাপতি, দৈনিক ভোরের কাগজের আখাউড়া প্রতিনিধি জুটন বনিককে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়।
কমিটিতে সহ-সভাপতি কাজী স্বপ্না সিফাত, পরিমল সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান খান, আশীষ সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ সঞ্জয় সাহা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ রুবেল আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক মাসুকুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক তাহমিনা আক্তার।
কার্যকরি সদস্য হলেন, আশিষ বিশ্বাস, পলাশ সাহা, নাহিদা আহমেদ শিথিলা, বাসুদেব বিশ্বাস, শুক্লা রায়, মোঃ সাগর, প্রানেশ ঘোষ, সাজ্জাদ খান প্রান্ত, দুর্জয় বনিক, মনি দাস।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় মেয়ের সঙ্গে অভিমান করে জালাল মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তি বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন।
আজ ১৬ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকাল ৫টার দিকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় জালাল মিয়ার মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মনিয়ন্দ গ্রামে বিষপানের এ ঘটনা ঘটে। নিহত জালাল মিয়া একই গ্রামের তুফানী বাড়ির মৃত সারু মিয়ার ছেলে।
নিহত জালাল মিয়ার ছেলে তানভীর জানান, শনিবার সন্ধ্যার দিকে তারা বাবা জালাল মিয়া তার মেয়ে জিন্নাতকে কলা ও রুটি কিনে খাওয়ার জন্য ২০ টাকা দিয়েছিল। পরে জিন্নাতের ছোটবোনকে দিয়ে ২টি কলা ও ২টি রুটি কিনেন। কলাটি পঁচা হওয়ায় জিন্নাত তার বাবা জালাল মিয়ার সামনে ঢিল দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। এতে জালাল মিয়া খুব কষ্ট পায়। পরে ঘরে রাখা গাছের পোকামাকড় মারার বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে জালাল মিয়াকে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরবর্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে বিকাল ৫টার দিকে সে মারা যায়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসাইন জানান, হাসপাতাল থেকে জেনেছি এক লোক বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে। আখাউড়া থানাকে জানানো হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জনগণকে সাথে নিয়ে বিশৃঙ্খলাকারীদের প্রতিহত করা হবে মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমরা বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে এবং স্থিতিশীল জীবন যাপন করছি। এটা বিএনপি-জামাতের সহ্য হচ্ছে না। তারা দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে আজ ৩ জুলাই সোমবার বিকেলে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ঈদ পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, আপনাদেরকে মনে রাখতে হবে ‘কোন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যদি বিএনপির দূর্নীতিবাজরা ক্ষমতায় আসে তাহলে দেশ আর দেশ থাকবে না।’ এসময় তিনি নেতাকর্মীদেরকে জনগণের কাছে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে নিজ নির্বাচনী এলাকা কসবা ও আখাউড়ার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরেন। এসময় আখাউড়া সড়ক বাজারে জনগণের চলাচলের অসুবিধার বিষয়টি উল্লেখ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. তাকজিল খলিফা কাজলসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।