চলারপথে রিপোর্ট :
পটুয়াখালীর দশমিনায় বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে বরযাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে এক নারী নিহত এবং বর ও বরের মাসহ চারজন নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস, নৌপুলিশসহ উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে।
আজ ২৮ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার রণগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে এ ঘটনা।
নিখোঁজ বরের নাম রাব্বি হাওলাদার। তিনি উপজেলার রণগোপালদী ইউনিয়নের গুলি আউলিয়ার গ্রামের মনির হাওলাদারের ছেলে।
নিহত নারীর নাম লিপি বেগম (৩০)। তিনি বর রাব্বি হাওলাদারের ফুপু। লিপি বেগম উত্তর রণগোপালদী এলাকার ধলু হাওলাদারের স্ত্রী।
বরের স্বজন মঞ্জুর এলাহী জানান, কয়েকদিন আগে রাব্বি হাওলাদারের সঙ্গে চরবোরহান ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হুমায়ুন মুন্সির মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের বিয়ে হয়। ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার বর রাব্বি হাওলাদার তার স্বজনদের নিয়ে নববধূকে আনতে কনের বাড়িতে যান। শুক্রবার নববধূ সুমাইয়াসহ ১৪-১৫ জন আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে চরবোরহান থেকে ট্রলারযোগে বাড়ির ফিরছিলেন। এসময় তাদের ট্রলার আউলিয়াপুর লঞ্চঘাটের কাছাকাছি গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে ডুবে যায়।
নিখোঁজ অন্যরা হলেন বরের মা সেলিনা আক্তার (৪০), উত্তর রণগোপালদী এলাকার ধলু হাওলাদারের মেয়ে খাদিজা (৫) ও উত্তর চর শাহজালাল এলাকার বেল্লাল মুন্সির মেয়ে মানসুরা (৮)।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দশমিনা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন লিডার আনোয়ার হোসেন বলেন, নিখোঁজদের সন্ধানে অভিযান চলছে। তবে এখন পর্যন্ত চারজনের কাউকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা বলেন, আমি ঘটনাস্থলে আছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ সদস্যরা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি বসতবাড়িতে চেতনানাশক স্প্রে ছিটিয়ে জানালার গ্রিল কেটে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে সানকিভাঙ্গা গ্রামের প্রায়াত পুলিশ সদস্য মীর শওকত হোসেনের বাড়ির জানালার গ্রিল কেটে ৩ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়েছে অজ্ঞাত চোরেরা।
শওকত হোসেনের স্ত্রী নারগিস বেগম বলেন, রাতে ওই ঘরে তার বিদেশ ফেরত ছেলে আশিকুর রহমান রনি (৩৪) একা ঘুমিয়ে ছিল। শেষ রাতের দিকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা ঘরে চেতনানাশক স্প্রে ছিটিয়ে রনিকে অজ্ঞান করে জানালার গ্রীল কেটে ভবনের মধ্যে প্রবেশ করে ৪টি কক্ষের সকল আলমিরার তালা ভেঙে স্বর্ণালংকার ও টাকা হাতিয়ে নেয়।
চেতনানাশক স্প্রেতে আহত রনিকে উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিতে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর ৭৫ সদস্য দেশ ত্যাগ করেছেন। তারা লেবাননের নেশন্স ইন্টারিম ফোর্স ইন লেবাননে (ইউনিফিল) যোগ দিতে চট্টগ্রাম ত্যাগ করেছেন।
আজ ১৩ অক্টোবর শুক্রবার শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লেবাননগামী নৌ সদস্যদের বিদায় জানান চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী। বাংলাদেশ নৌ বাহিনী কন্টিনজেন্ট ‘ব্যানকন-১৪’-এর আওতায় লেবাননে মোতায়েন করা নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘সংগ্রাম’-এ নৌ সদস্যরা যোগদান করবেন।
এর আগে চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী বানৌজা ঈসা খানে লেবাননগামী নৌ সদস্যদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান। তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘সততা, নিষ্ঠা এবং পেশাগত দক্ষতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ নৌবাহিনী তথা দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত ও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করতে একযোগে কাজ করতে হবে।’
২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে আসছে। ভূমধ্যসাগরে মাল্টিন্যাশনাল মেরিটাইম টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত রয়েছে। বর্তমানে নিয়োজিত সংগ্রাম যুদ্ধজাহাজ লেবাননের ভূখণ্ড অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করতে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি লেবানিজ জলসীমায় মেরিটাইম ইন্টারডিকশন অপারেশন পরিচালনা, সন্দেহজনক জাহাজ ও উড়োজাহাজের ওপর নজরদারি, দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজে উদ্ধার তৎপরতা এবং লেবানিজ নৌবাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ করছে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতি দমনে পুলিশ বাহিনীকে জনগণের সেবা অব্যাহত রাখার এবং এ জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের বলব, আপনারা দেশের মানুষের সেবা করেন। দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন, এটা হচ্ছে পুলিশের মূলমন্ত্র। কাজেই পুলিশ বাহিনী মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করবে―এটাই সব সময় আমাদের কাম্য।’
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ছয় দিনব্যাপী ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪’-এর উদ্বোধনকালে দেওয়া প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে দেশের মানুষ পুলিশের প্রতি সে আস্থা রাখতে পারছে। কাজেই আপনারা আন্তরিকতার সাথে মানুষের সেবা করবেন, সেটাই আমরা চাই। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আর এই ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করতে হলে দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা একান্তভাবে অপরিহার্য।’
তিনি আরো বলেন, ‘দেশের মানুষ যখনই কোনো বিপদে পড়ে তখনই আশ্রয় খোঁজে পুলিশের কাছে। কাজেই পুলিশ জনগণের বন্ধু, এটা সব সময় চলে আসছে এবং এটাকেই প্রতিষ্ঠা করা একান্তভাবে দরকার। সে কারণেই আমি মনে করি আমাদের পুলিশ বাহিনী তাদের সততা, পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা, দক্ষতা, নিরপেক্ষতা, ত্যাগ, বীরত্ব ও দেশপ্রেম ও মানবীয় মূল্যবোধ নিয়েই জনগণের সেবা করবে। পুলিশ বাহিনীকে আমরা সেভাবেই গড়ে তুলছি।’
১৯৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি প্রথম পুলিশ সপ্তাহে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে জাতির পিতা প্রদত্ত ভাষণের উদ্ধৃতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের জনগণের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে আরো একনিষ্ঠ হয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘জাতির পিতা বলেছিলেন, তোমরা স্বাধীন দেশের পুলিশ। তোমরা ইংরেজের পুলিশ নও। তোমরা পাকিস্তানি শোষকদের পুলিশ নও।
তোমরা জনগণের পুলিশ। তোমাদের কর্তব্য জনগণকে সেবা করা। বাংলার মানুষ চায় তারা শান্তিতে ঘুমাক। তোমাদের কাছ থেকে আশা করে যে, চোর, বদমাশ, গুণ্ডা, দুর্নীতিবাজ তাদের ওপর অত্যাচার না করে। তোমাদের কর্তব্য অনেক বেশি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার ভাষণের এই মর্মবাণী ধারণ করে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য গভীর দেশপ্রেম ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে কাজ করে যাবে, এই আমার প্রত্যাশা।’
প্রধানমন্ত্রী খোলা জিপে চড়ে বাংলাদেশ পুলিশের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং সালাম গ্রহণ করেন। পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বিভিন্ন পুলিশ বাহিনী বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ করেছে। প্রধানমন্ত্রী সাহসী কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৩৫ পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম-বীরত্ব) এবং ৬০ জনকে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম-বীরত্ব) প্রদান করেন।
এ ছাড়া ৯৫ জন পুলিশ সদস্য বিপিএম সেবা পদক এবং ২১০ জন পিপিএম সেবা পদক পেয়েছেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন তাঁকে স্বাগত জানান। এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। সূত্র : বাসস
চলারপথে ডেস্ক :
আঞ্চলিক মহাসড়কে টোল আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে অবকাঠামো নির্মাণ করছে। তাই আঞ্চলিক মহাসড়কে ন্যূনতম হারে হলেও টোল আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে মানুষের মধ্যে টোল দেওয়ার সংস্কৃতিও গড়ে উঠবে।
সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। সূত্র : বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান বলেছেন, আদালত প্রাঙ্গণে প্রকাশ্যে দিবালোকে অ্যাড: সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়েছে। ইসলাম হত্যা সমর্থন করে না। যারা হত্যা করেছে এবং জড়িত ইসকনের সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
আজ ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উদ্যোগে পৌর শহরে ইসকন নিষিদ্ধ ও অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল শেষে শহরের কাউতুলী মোড়ে সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
হেফাজত নেতা বলেন, ২০২১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৫ জনকে হত্যা করা হয়। তাদেরকে এই বাংলার মাটিতে প্রকাশ্যে বিচার করতে হবে। হত্যার বিচার হলো ফাঁসি। শহিদ সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যাকারীদের ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামেয়া ইউনুছিয়া এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সমস্ত ওলামায়ে কেরাম-তৌহিদী জনতা এ সমস্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত আছি। জালেম যে কেউ হবে, এসব জালেমের ঠাঁই বাংলার মাটিতে হবে না। আমরা সমস্ত সন্ত্রাসী জঙ্গীদের বিচার চাই। ইসলামের শত্রু, মানবতার শত্রু, দেশের সার্বভৌমের শত্রু ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। বিভিন্ন দেশে এই ইসকনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মুফতি মুবারকুল্লাহর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলী আজম কাসেমী, মুফতি বোরহান উদ্দিন কাসেমী, মাওলানা বোরহান উদ্দিন আল মতিন, মাওলানা দ্বীন মোহাম্মদ আশরাফ, মাওলানা গাজী ইয়াকুব উসমানী প্রমুখ।