অনলাইন ডেস্ক :
বিয়ে বাড়িতে সব আনুষ্ঠানিকতা প্রায় শেষ দিকে। এ সময় উঠানে টানানো হলো একটি বড় দাঁড়িপাল্লা। এক পাল্লায় তোলা হলো কনেকে, অন্য পাল্লায় রাখা হলো কয়েন (টাকা)। এরপর কনের ওজনের সমপরিমাণ কয়েন উপহার হিসেবে দেওয়া হয় পাত্রপক্ষকে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের প্রাগপুর মাঠপাড়া গ্রামে গত মঙ্গলবার এমনই এক অভিনব বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সম্প্রতি ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রাগপুর মাঠপাড়া গ্রামের রতন আলীর মেয়ে মাছুরা খাতুন রিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের মাইনুল ইসলামের ছেলে বিপ্লবের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিছুদিন আগে তারা নিজেরা বিয়ে করেন। পরে উভয়ের পরিবারের সম্মতিতে গত মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। তবে বিয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে সবার উপস্থিতিতে মেয়ের বাবা দাঁড়িপাল্লায় মেপে কনের সমপরিমাণ কয়েন (টাকা) ছেলেকে উপঢৌকন দেন।
মেয়ের পরিবার বিষয়টিকে ‘মানত’ দাবি করলেও অনেকে একে যৌতুক হিসেবে দেখছেন। তবে ছেলে ও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মেয়ের বাবা রতন আলী বলেন, মেয়ের জন্মের সময় মানত করা হয়েছিল– মেয়ে বেঁচে থাকলে বিয়েতে তার ওজনের সমপরিমাণ টাকা উপঢৌকন দেব। তাই মেয়েকে দাঁড়িপাল্লায় মেপে কয়েন দেওয়া হয়েছে।
প্রাগপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দাঁড়িপাল্লায় মেপে টাকা দেওয়ার ঘটনা এলাকাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি করেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান মুকুল মাস্টার বলেন, দাঁড়িপাল্লায় মেপে টাকা দেওয়া অন্যায় হয়েছে। কেন এটি করা হয়েছে, সে বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
দৌলতপুরের ইউএনও মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি এখনও জানি না। এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে তা আইনত অপরাধ। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেছেন, সুস্থ-সবল, সৃজনশীল ও মেধাবী জাঁতি গঠনে ক্রীড়া ও সংস্কৃতির সমন্বয়ে শিক্ষা পরিপূর্ণতা লাভ করে। নিয়মিত খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার কোনো বিকল্প নেই।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর বারী চৌধুরী মন্টুর সভাপতিত্বে তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার ক্রীড়াবান্ধব সরকার, এ সরকার ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। এ স্বাধীন দেশকে ভালবাসতে হলে সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হতে হবে, আর সত্যিকারের দেশ প্রেমিক হতে হলে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ গঠন করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, খেলাধূলা মানুষকে অন্যান্য অপকর্ম থেকে দূরে রাখার একটি হাতিয়ার।
আজ ২ মার্চ শনিবার সন্ধ্যা ৮টায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ার (আব্দুল কুদ্দুস পৌর মুক্তমঞ্চে) জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত ও এম.আর টেক্সটাইল এর সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু ব্যাডমিন্টন টুর্ণামেন্টের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুস সাকির ছোটনের সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন এম.আর টেক্সটাইল এর সত্ত্বাধিকারী দিদারুল আলম মারুফ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন, সাবেক ভিপি হাসান সারোয়ার, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ ভূঁইয়া, সদস্য নাজমুল হক সেলিম, মহিম চৌধুরী, আল মামুন, মোঃ মাসুদ প্রমুখ।
ফাইনাল খেলায় নবারুন ক্রীড়াচক্রকে পরাজিত করে আমরা সবার বন্ধু সংগঠন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
অনলাইন ডেস্ক :
স্কটল্যান্ডের কাছে বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে ৩১ রানে হেরে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্ব থেকে ছিটকে গেল জিম্বাবুয়ে। এর আগে ২০১৮ বিশ্বকাপে আরব আমিরাতের কাছে হেরে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিতে হয়েছিল দলটিকে।
আজ ৪ জুলাই মঙ্গলবার টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩৪ রান তোলে স্কটল্যান্ড। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেছেন লিস্ক। এ ছাড়া ক্রস ৩৮, ম্যাকমালেন ৩৪, জর্জ মানজি ৩১ এবং ক্রিস্টোফার ম্যাকব্রাইড ২৮ রান করেছেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে উইলিয়ামস তিনটি এবং চাতারা নিয়েছেন দুটি উইকেট।
জবাবে খেলতে নেমে ১৮তম ওভারের মধ্যে ৯১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল জিম্বাবুয়ে। এখান থেকে রায়ান বার্ল ও ওয়েলেসলি মাধেভেরে ৭৪ বলে ৭৩ রানের জুটিতে জিম্বাবুয়ের আশা টিকিয়ে রেখেছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত দলকে টেনে তুলতে পারেননি তারা। ফলে ৪১.১ ওভারেই ২০৩ রান তুলে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ফলে ৩১ রানে পরাজয় বরণ করে জিম্বাবুয়ে।
বাছাইপর্ব থেকে দুটি দল খেলবে বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বে। শ্রীলঙ্কা আগেই চূড়ান্তপর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে। বাকি ছিল একটি জায়গা। জিম্বাবুয়ে আজ জিতলেই শূন্যস্থানটি পূরণ হতো। কিন্তু হারে ৫ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে নেমে গেল জিম্বাবুয়ে। ৩১ রানে হেরে নেট রান রেটে চতুর্থস্থানে থাকা নেদারল্যান্ডসের চেয়েও পিছিয়ে পড়েছে জিম্বাবুয়ে।
স্কটিশরা আবার শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে নেদারল্যান্ডসের। যার অর্থ ওই ম্যাচে স্কটল্যান্ড হেরে গেলেও দুইয়ে ওঠার কোনো সম্ভাবনা নেই জিম্বাবুয়ের।
আগামী পরশু নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি খেলবে স্কটল্যান্ড। এই ম্যাচটা জিতলেই চূড়ান্তপর্বে উঠবে স্কটল্যান্ড। কিন্তু হারলে? নেদারল্যান্ডস যদি অনেক বড় ব্যবধানে জেতে তাহলে ডাচরাই উঠে যাবে বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বে।
অনলাইন ডেস্ক :
বাতাসে যেন মিষ্টি এক আনন্দের আমেজ। শীতের রুক্ষতাকে বিদায় জানিয়ে ফুলে ফুলে সেজে উঠতে প্রস্তুত প্রকৃতি। একই দিনে বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে ভালোবাসার দিন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। ভালোবাসা দিবস আর বসন্তের রঙ যেন মিলেছে একই দিনে। সবার মুখে মুখে তাই আজ উচ্চারিত হচ্ছে, ‘বসন্তে রঙিন ভালোবাসার দিন। আজ বসন্ত, আজ ভালোবাসার দিন।’
প্রকৃতিতে ফাল্গুনের হাওয়া, বাতাসে বসন্তের উন্মাদনা। ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতে প্রকৃতি সেজেছে বর্ণিল সাজে। গাছে গাছে পলাশ আর শিমুলের মেলা। প্রকৃতিও আগুনরঙা ভালোবাসার রঙে নিজেকে রাঙিয়ে নিয়েছে। সবমিলিয়ে প্রকৃতি জানান দিচ্ছে আজ পহেলা ফাল্গুন।
একই দিনে বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে ভালোবাসার দিন। ভালোবাসা দিবস আর বসন্তের রঙ যেন মিলেমিশে এক হচ্ছে আজ (১৪ ফেব্রুয়ারি)। ফাল্গুনের হাত ধরেই ঋতুরাজ বসন্তের আগমন। সেই সঙ্গে ঋতুরাজের হাত ধরে এবারও এলো ভালোবাসার বিশেষ দিনটি। একদিকে বাসন্তী রঙ, অন্যদিকে ভালোবাসার রঙের জোয়ারে প্রকৃতি একাকার আজ।
ফাগুনের আগুনে মন রাঙিয়ে বাঙালি তার দীপ্ত চেতনায় উজ্জীবিত হবে আজ। বাসন্তী রঙের শাড়ি, কপালে টিপ, হাতে চুড়ি, পায়ে নূপুর, খোঁপায় ফুল অথবা রিং জড়িয়ে আজ বেরিয়ে পড়বেন তরুণীর দল। প্রকৃতির সঙ্গে নতুন সাজে সাজবেন তারাও। তাদের উচ্ছ্বাস মনে করিয়ে দেয় কবির কবিতার লাইন, ‘ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক, আজ বসন্ত’।
বেশ কয়েক বছর ধরে ঋতুরাজের হাত ধরে আসছে ভালোবাসার দিন। যদিও ভালোবাসা ক্ষণিকের নয়, চিরন্তন। ভালোবাসা শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার নয়, শুধু স্বামী-স্ত্রীর নয়, এ ভালোবাসা বয়সের ফ্রেমে বাঁধা নয়, এটা প্রসারিত হয় বন্ধু-বান্ধব, পরিচিতজনসহ সবার মাঝে। ইংরেজি বর্ষপঞ্জির ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি ভালোবাসা দিবস হিসেবে পরিচিত সারা বিশ্বে। বাংলাদেশেও দিবসটি ঘিরে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে।
আজ ঋতুরাজ বসন্ত বরণের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। পহেলা ফাল্গুন বসন্তবরণ উৎসব। ২২৫ নৃত্যশিল্পীর পরিবেশনার মধ্য দিয়ে বসন্তবরণের আয়োজন করেছে একাডেমি। রাজধানী রমনায় বিকাল সাড়ে ৩টায় শতায়ু অঙ্গনের পাশের মঞ্চে পরিবেশিত হবে শিশু-নৃত্যদল ও শিশু সঙ্গীত দলের বিশেষ পরিবেশনা।
অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বিকাল সাড়ে ৪টায় বসন্তের রঙিন শোভাযাত্রা শুরু হবে। শোভাযাত্রাটি রমনা পার্ক থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সমবেত হবে। বিকাল সাড়ে ৫টায় একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে আয়োজন করা হচ্ছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আজকের বসন্তের এ উৎসবে চারুকলার বিনোদনপ্রেমী মানুষের স্রোত গিয়ে মিলবে বইমেলায়। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, টিএসসি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার পর্যন্ত থাকবে এ কোলাহল। বসন্ত মানেই যেন নতুন কলেবর, তাই তো সর্বত্র রঙিন হবে মানুষের ঢলে।
ঋতুরাজ বসন্ত বরণের উন্মুক্ত মঞ্চের আয়োজনে শুরুতে পরিবেশিত হবে দলীয় ‘ঢাক-নৃত্য’। পরিবেশন করবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যদল। পরে তারা পরিবেশন করবে দলীয় নৃত্য ‘শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা’। এরপর দলীয় সংগীত ‘আনন্দ লোকে’ পরিবেশন করবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিশু সংগীত দল। দ্বৈত আবৃত্তি ‘রুমঝুম কে বাজায়’ পরিবেশন করবেন ডালিয়া আহমেদ ও জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। একক সংগীত ‘যেথা রামধনু ওঠে হেসে’ পরিবেশন করবেন মেহরিন মাহমুদ।
এরপর দ্বৈত সংগীত পরিবেশন করবেন নওশিন তাবাসসুম স্মরণ ও মোমিন বিশ্বাস। ধারাবাহিক পরিবেশনায় দলীয় নৃত্য ‘সুন্দরের অতন্দ্র প্রহরী’ পরিবেশন করবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিশু নৃত্য দল। এরপর দ্বৈত নৃত্য ‘আজি দক্ষিণ পবনে’ পরিবেশন করবে আবু নাইম ও আনন্দিতা খান। দ্বৈতসংগীত পরিবেশন করবেন শারমিন সাথী ইসলাম ও বুলবুল ইসলাম। এরপর আবার দলীয় সংগীত ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’ পরিবেশন করবে ঢাকা সাংস্কৃতিক দল। দ্বৈত আবৃত্তি করবেন তামান্না তিথি ও মাহিদূল ইসলাম।
দলীয় নৃত্য ‘বসন্ত মুখর আজি’/‘নীল দিগন্তে’ পরিবেশন করবে রেওয়াজ পারফর্মার্স স্কুল। নৃত্য পরিচালনা করবেন মুনমুন আহমেদ। দ্বৈত নৃত্য ‘বিশ্ববীণা রবে/আজ সখি’ পরিবেশন করবেন সামিনা হোসেন ও মাহতাব মেহেদী। একক সংগীত ‘চেনা চেনা লাগে’ পরিবেশন করবেন মো. ইউসুফ আহমেদ খান। দ্বৈত সংগীত পরিবেশন করবেন কিরণ চন্দ্র রায় ও চন্দনা মজুমদার। দ্বৈত নৃত্য ‘ফাগুন লেগেছে শাখে শাখে’ পরিবেশন করবেন জুয়েইরিয়াহ মৌলি ও মারিয়া ফারিহ উপমা। এরপর দলীয় ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী নৃত্য পরিবেশন করবে তপস্যা নৃত্যদল। পরিচালনা করবেন নৃত্যপরিচালক ফিফা চাকমা।
দ্বৈত আবৃত্তি করবেন শিমুল মোস্তফা ও রূপা চক্রবর্তী। দ্বৈত নৃত্য ‘একটুকু ছোঁয়া লাগে’ পরিবেশন করবেন অনিক বোস ও কস্তুরী মুখার্জী। এরপর দলীয় নৃত্য ‘অবাক চোখে’ পরিবেশন করবে কত্থক নৃত্য সম্প্রদায়। এটি পরিচালনা করবেন নৃত্যপরিচালক সাজু আহমেদ। পরে পরিবেশিত হবে দ্বৈত নৃত্য ‘বাগিচায় বুলবুলি’, পরিবেশন করবেন আরোহী ইসলাম (আরিফুল ইসলাম অর্ণব) ও হেনা হোসেন। সবশেষ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যদলের অংশগ্রহণে পরিবেশিত হবে ‘ফ্যাশন ডান্স প্যারেড’।
এদিকে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এ বছর বসন্তবরণ উৎসব ও ভালোবাসা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ‘ভালোবাসার দিনে বসন্ত উৎসব’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বেলা ১২টায় ডিআরইউ বাগানে বাউল গানের আসর বসবে। ফকির লালন সাঁই, বাউলসাধক শাহ আব্দুল করিমসহ বাংলার লোককবিদের বাউল গান শোনাবেন শিল্পকলা একাডেমির বাউল দল।
অনলাইন ডেস্ক :
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে জয় দিয়ে সাফ শুরু বাংলাদেশের। নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। বাংলাদেশের জয়ে গোল করেছেন আকলিমা খাতুন, শামসুন্নাহার জুনিয়র ও শাহেদা আক্তার রিপা।
আজ ৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোল পায় বাংলাদেশ। রিপার বাড়ানো পাসে বাংলাদেশকে লিড এনে দেন আকলিমা খাতুন। এরপর ম্যাচের ১৩ মিনিটে অধিনায়ক শামসুন্নাহার জুনিয়রের গোলে ব্যবধান দিগুণ করে বাংলাদেশ। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে নেপাল। ২৪ মিনিটে কর্নার থেকে থেকে গোল করে ব্যবধান কমান নেপালের মানমায়া দামাই।
প্রথমার্ধে শামসুন্নাহার আঘাত পাওয়ায় দ্বিতীয়ার্ধে তাকে ছাড়াই নামে বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবে দাঁড়াতে না পারায় তার বদলে আইরিনকে নামান কোচ। বাংলাদেশ ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়েছে শুরু থেকেই। তবে সেসব চেষ্টা আলোর মুখ দেখেনি। নেপালি রক্ষণ সেসব সামলেছে ভালোভাবেই। অন্তিম সময়ে এসে দলের ব্যবধান বাড়িয়ে স্বস্তি দিয়েছে শাহেদা আক্তার। এতে ৩-১ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
এ জয়ে গোলাম রাব্বানী ছোটনের শিষ্যরা ৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে সাফ পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে। দিনের প্রথম ম্যাচে ১২ গোলের ব্যবধানে জেতা ভার এখন আছে টেবিলের চূড়ায়। আগামী রোববার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
স্পোর্টস ডেস্ক :
অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত হতো। তা করতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তবে ৮ উইকেটের হারের পরও টাইগারদের সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পথ খোলা থাকছে। আগামীকাল রবিবার ভারতের বিপক্ষে নেদারল্যান্ডস হারলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোয়ালিফাই করবে বাংলাদেশ।
আজ ১১ নভেম্বর শনিবার পুনেতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রান এসেছে তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে। তাছাড়া ৪৫ রান করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অজিদের হয়ে ৩২ রানে ২ উইকেট শিকার করেছেন অ্যাডাম জাম্পা।
জবাবে খেলতে নেমে ৪৪ ওভার ৩ বলে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। অজিদের হয়ে অপরাজিত ১৭৭ রানের ইনিংস খেলেছেন মার্শ। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন ও মুস্তাফিজ।