চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের শাহজাহান মাষ্টার ও সাইফুল ইসলামের মধ্যে বিরোধ থাকায় গ্রামের পুরুষদের আতঙ্কিত অবস্থায় নিরাপত্তার অভাবে পাঁকা ধান কাটা হচ্ছিল না।
এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদের নেতৃত্বে বিজয়নগর থানার পুলিশ সদস্যদের আশ্বাস ও উপস্থিতিতে পাঁকা ধান কাটা হয়েছে।
আজ ২৯ এপ্রিল শনিবার দিনব্যাপী এই ধান কাটা ও এলাকায় যেন নতুন করে দাঙ্গা সংঘটিত না হয় সেই জন্য বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদের উপস্থিতিতে বিজয়নগর থানার পুলিশ সদস্যরা ব্যবস্থা গ্রহন করেন।
এসময় সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত হোসেনপুর গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, মনির হোসেন, ফরিদ মিয়া, জাহাঙ্গীর হোসেনদের জমির ধান কেটে ঘরে তোলার ব্যবস্থা করা হয়।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ জানান, ঝগড়াঝাটির জন্য পাঁকা ধান কাটা বন্ধ ছিল। খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও নতুন করে যেন কোন দাঙ্গা সংঘটিত না হয় সে জন্য সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে ধান কাটার সহায়তা ও নিরাপত্তা প্রদান করেন বিজয়নগর থানা পুলিশ। পাশাপাশি বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমানুষের নেতা, স্থানীয় সংসদ সদস্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন এদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান, জাতির গর্বিত সন্তান।
তিনি আজ ৪ অক্টোবর বুধবার দুপুরে বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিজয়নগর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহবায়ক এ.এইচ.এম. ইরফান উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন, বিগত সরকার গুলোর সময় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা অবহেলিত ছিলেন। তাঁরা তাদের প্রাপ্য সম্মান পাননি।
বর্তমান সরকারের আমলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদেরকে মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাকে থাকার জন্য “বীর নিবাস” করে দিচ্ছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা বৃদ্ধি করেছেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদেরকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে আসছেন।
তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন ও তাদের কোন সমস্যা আছে কিনা জানতে চান। তিনি বলেন, আমি আমৃত্যু মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সেবা ও সহযোগীতা করে যাব। তিনি বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। একটি অশুভ চক্র নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। তারা নির্বাচনকে বাঁধাগ্রস্ত করতে চায়। তিনি ওই ষড়যন্ত্রকারীদের সম্পর্কে সজাগ থাকার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসিমা লুৎফুর রহমান (নাসিমা মুকাই আলী), বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জিতু মিয়া, দবিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহযোগীতায় ভিক্ষুক পুর্নবাসন প্রকল্পের আওতায় একজন ভিক্ষুকের হাতে একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা তুলে দেন প্রধান অতিথি।
আলোচনা সভা শেষে উপজেলার সেজামুড়া গ্রামে নির্মিতব্য মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও বিশ্রামাগারের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন প্রধান অতিথি। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, মুক্তিযোদ্ধা ও দলীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদনের অভিযোগে এক কারখানা মালিককে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১১ জানুয়ারি শনিবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বৈশামুড়া গ্রামে পলিথিন তৈরির কারখানায় সরাইল ইউএনও মো. মোশারফ হোসাইন এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। সাজাপ্রাপ্ত কামাল মিয়া (৪০) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার আবদুল গফুরের ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সরাইল ইউএনও মো. মোশারফ হোসাইন জানান, উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বৈশামুড়া গ্রামে অবৈধভাবে পলিথিন প্রস্তুত করা হচ্ছিল। এমন সূত্রের ভিত্তিতে ভিত্তিতে দুপুরে কারখানায় অভিযান চালিয়ে কারখানার মালিক কামাল মিয়াকে আটক করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর ৬ (ক) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ১৫ ধারায় এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা না দিলে আরো ১৫ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় সরাইল থানা পুলিশ উপস্থিত ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি গ্রামে গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে সাঁতার প্রতিযোগীতা।
স্থানীয় ভূইয়া মানবকল্যাণ পরিষদ এই সাঁতার প্রতিযোগীতার আয়োজন করে। প্রতিযোগীতায় মোট ১০টি ইভেন্টে শতাধিক প্রতিযোগী অংশ নেন।
প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়া সাতারু মোস্তাক মিয়া বলেন, সাঁতার প্রতিযোগীতা গ্রাম বাংলার একটি ঐতিহ্য। এই প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে।
ভূঁইয়া মানবকল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ভূঁইয়া বলেন, সাঁতার একটি ঐতিহ্যবাহী খেলা। সেই ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্যই আমরা এই প্রতিযোগীতার আয়োজন করি। তিনি বলেন, সরকারিভাবে সহযোগীতা পেলে আগামীতে আরো বড় পরিসরে সাঁতার প্রতিযোগীতার আয়োজন করব। তিনি বলেন, মূলক ঈদের আনন্দ উদযাপন করতেই আমরা এই আয়োজন করি।
এ ব্যাপারে ভূঁইয়া মানবকল্যাণ পরিষদের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা গত বছরও সাঁতার প্রতিযোগীতার আয়োজন করেছিলাম। এ বছরও করেছি। তিনি বলেন, সাঁতার প্রতিযোগীতা যুব সমাজকে মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্ম থেকে দূরে রাখতে সহায়ক। সেজন্যই আমরা এই আয়োজন করি।
প্রতিযোগীতা শেষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শামীম আহমেদ সহ অতিথিরা বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন। এদিকে বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে সাঁতার প্রতিযোগীতা উপভোগ করতে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী উপস্থিত হন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বার্ষিক কর্মসম্পাদন চূক্তির (এপিএ)”র আওতায় বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নোয়াগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পৃথক উঠান বৈঠক আজ ২ ডিসেম্বর সোমবার অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠান সমূহে তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাস এর সভাপতিত্বে ভিডিও কলে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (মাঠ প্রচার) ফাহিমা জাহান।
প্রধান অতিথি উপপরিচালক (মাঠ প্রচার) ফাহিমা জাহান ডেঙ্গু, শিশুকে মাতৃদুগ্ধ দান, শিশু ও নারীর অধিকার, শিশুর যথাযথ বিকাশ, অটিজম, ও শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য, জন্ম নিবন্ধন, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধ, পরিবেশ সুরক্ষা ও দুর্যোগকালীন নারী- শিশুর সচেতনতা, জেণ্ডার সমতা, নিরাপদ মাতৃত্ব, বাল্য বিবাহ, ইত্যাদি বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে উন্মুক্ত আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠান সমূহে ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আমজাদ হোসেন খান, সহকারী শিক্ষক জিন্নাত সুলতানা, সহকারী শিক্ষক রুমা আক্তার, সহকারী শিক্ষক সালেমা বেগম, সহকারী শিক্ষক শিউলী বেগম, সহকারী শিক্ষক রোহেনা বেগু, সহকারী শিক্ষক মাজেদা আক্তার, সহকারী শিক্ষক মাহবুবা বেগম, সহকারী শিক্ষক তানজিনা আক্তার, সহকারী শিক্ষক জুলহাসা বেগম, সহকারী শিক্ষক আমেনা বেগম এবং নোঁয়াগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ মাহবুব উল্লাহ ভুঞা, সহকারী শিক্ষক রুনা লাইলা, সহকারী শিক্ষক মোঃ আজাহারুল ইসলাম ভুঞা, সহকারী শিক্ষক তাহমিনা আক্তার, সহকারী শিক্ষক তানজুমা আক্তার সহ প্রায় ছয় শতাধিক নারী ও পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মনিপুর এলাকার আতকাপাড়া গ্রামে প্রতিবেশীদের সংঘর্ষ দেখতে গিয়ে টেটাবিদ্ধ হয়ে ময়না (১২) নামে এক কিশোরী নিহত হয়েছে। নিহত ময়না আক্তার ওই গ্রামের ফারুক মিয়ার কন্যা। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর আতকাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও গ্রামবাসী জানায়, পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর আতকাপাড়া গ্রামের শাহজাহানের মিয়ার ছেলে সুমন মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের হানিফ মিয়ার মেয়ে তাইবা আক্তার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের আয়োজন ছিল বৃহস্পতিবার। এ বিয়ের অনুষ্ঠানে বিকেলে পাশের গ্রাম চাউরাখোলা গ্রামের ছেলেরা গানবাজনা শুনতে আসে বরপক্ষের বাড়িতে। উচ্চশব্দে গান বাজনাকে কেন্দ্র করে বর পক্ষের সঙ্গে চাউরাখোলা ছেলেদের ঝগড়া হয়। পরে চাউরাখোলার ছেলেরা বিষয়টি মীমাংসার জন্যে কনের চাচা হোসেন মিয়া মিয়াকে জানায়। হোসেন মিয়া বিষয়টি মীমাংসা না করে উলটো চাউড়াখোলা ছেলেদের উপর ক্ষুব্ধ হয়। এক পর্যায়ে চাউড়াখোলা গ্রামের বেলাল মিয়া নামে এক যুবককে চর থাপ্পড় দেয়।
পরে চাউরাখোলা গ্রামের যুবকেরা সংঘবদ্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মনিপুর আতকাপাড়া গ্রামে কনেপক্ষের লোকজনের ওপর হামলা করেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। উভয়পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলাকালে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে ময়না আক্তার নামে ১২ বছরের এক শিশুকন্যা ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ সময় ইট পাটকেলের আঘাতে আরো অন্তত পাঁচজন আহত হয়। আহতদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার ওসি রওশন আলী জানান, এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।