চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের শাহজাহান মাষ্টার ও সাইফুল ইসলামের মধ্যে বিরোধ থাকায় গ্রামের পুরুষদের আতঙ্কিত অবস্থায় নিরাপত্তার অভাবে পাঁকা ধান কাটা হচ্ছিল না।
এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদের নেতৃত্বে বিজয়নগর থানার পুলিশ সদস্যদের আশ্বাস ও উপস্থিতিতে পাঁকা ধান কাটা হয়েছে।
আজ ২৯ এপ্রিল শনিবার দিনব্যাপী এই ধান কাটা ও এলাকায় যেন নতুন করে দাঙ্গা সংঘটিত না হয় সেই জন্য বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদের উপস্থিতিতে বিজয়নগর থানার পুলিশ সদস্যরা ব্যবস্থা গ্রহন করেন।
এসময় সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত হোসেনপুর গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, মনির হোসেন, ফরিদ মিয়া, জাহাঙ্গীর হোসেনদের জমির ধান কেটে ঘরে তোলার ব্যবস্থা করা হয়।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ জানান, ঝগড়াঝাটির জন্য পাঁকা ধান কাটা বন্ধ ছিল। খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও নতুন করে যেন কোন দাঙ্গা সংঘটিত না হয় সে জন্য সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে ধান কাটার সহায়তা ও নিরাপত্তা প্রদান করেন বিজয়নগর থানা পুলিশ। পাশাপাশি বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদকের টাকার জন্য বাবা-মাকে মারধরের অভিযোগে মো. রিপন মিয়া (২৮) নামের এক যুবককে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি তাকে একশ টাকা জরিমানা করা হয়। আজ ১৩ আগস্ট বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সোনামুড়া গ্রামে এই অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরা। দন্ডপ্রাপ্ত রিপন মিয়া উপজেলার সোনামুড়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, রিপন নিয়মিত মাদক সেবন করেন। আর নেশার টাকার জন্য বাবা ইদ্রিস আলী ও মা রেজিয়া বেগমসহ স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশীদের প্রায় মারধর করেন তিনি। তার অত্যাচারে বাবা-মা অতিষ্ট হয়ে উঠেছে।
আজ বুধবার দুপুরে বাবা ইদ্রিস আলী ও মা রেজিয়া বেগম বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরার কার্যালয়ে স্বশরীরে হাজির হয়ে ছেলের অত্যাচারের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরা দুপুরে সোনামুড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে রিপনকে মাদকাসক্ত অবস্থায় পান। নিজের দোষ স্বীকার করায় রিপনকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ ১০০ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরা।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরা বলেন, ওই যুবক মাদকাসক্ত। প্রায় বাবা-মাসহ পাড়া প্রতিবেশীকে মারধর করেন। অভিযান চালিয়ে মাদক সেবনের অপরাধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬ (৫) ধারায় তাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। পাশাপাশি তাকে একশ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে খাদিজা আক্তার ময়না (২৫) অপহরণের মামলায় গৃহবধূর শ্বশুর, শ্বাশুড়ি ও ননদকে গ্রেফতার করেছে বিজয়নগর থানার পুলিশ।
তবে, এখনো অপহৃত গৃহবধুকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ।
পুলিশ বলছে, প্রধান আসামীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের দেয়া বিভিন্ন তথ্য সূত্রে ভিকটিম উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার ভোর রাতে পার্শ্ববর্তী মাধবপুর উপজেলার মনতলা এলাকায় তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ও মাধবপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় এক আত্মীয় বাড়িতে থেকে প্রধান আসামী নিখোঁজ গৃহবধূর ননদ ইয়াছমিন আক্তার পপি (৩০) গ্রেফতার করা হয়। এর আগে শনিবার বিকালে উপজেলার আমতলী বাজার থেকে গৃহবধূ খাদিজা আক্তার ময়নার শ্বশুর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর এলাকার মো.আজিজুল ইসলাম রমজান (৫৫), শ্বাশুড়ি রহিমা বেগম (৫১) কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়। পরে নিখোঁজ গৃহবধূর মা সুমি বেগম সন্ধ্যায় বাদী হয়ে বিজয়নগর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় শ্বশুর শ্বাশুড়ি ও ননদকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গাজী রবিউল ইসলাম বলেন, অপহরণ মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু ক্লু পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা হচ্ছে না। অপহৃত গৃহবধু উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অপহৃত গৃহবধূর মা ও মামলার বাদি সুমি বেগম জানান, আমার মেয়েকে দ্রুত উদ্ধার করার জন্য পুলিশের নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদনের অভিযোগে এক কারখানা মালিককে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১১ জানুয়ারি শনিবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বৈশামুড়া গ্রামে পলিথিন তৈরির কারখানায় সরাইল ইউএনও মো. মোশারফ হোসাইন এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। সাজাপ্রাপ্ত কামাল মিয়া (৪০) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার আবদুল গফুরের ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সরাইল ইউএনও মো. মোশারফ হোসাইন জানান, উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বৈশামুড়া গ্রামে অবৈধভাবে পলিথিন প্রস্তুত করা হচ্ছিল। এমন সূত্রের ভিত্তিতে ভিত্তিতে দুপুরে কারখানায় অভিযান চালিয়ে কারখানার মালিক কামাল মিয়াকে আটক করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর ৬ (ক) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ১৫ ধারায় এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা না দিলে আরো ১৫ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় সরাইল থানা পুলিশ উপস্থিত ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখী সংঘর্ষে ১৪জন আহত হয়েছেন। আজ ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের বীরপাশা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহতদেরকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৪ জনের নাম জানা গেছে। এরা হচ্ছে- রামিম (১৬), জিহান (১৬), নোমান (১৬), সামিয়া (৮), তামিম (১৫), রাহুল (১৪), হোসাইন (১৫), শফিকুল (১৭), তানভীর (১৭), রাতুল (১৭), ফাহিম (১৫), আতিক (১৭), শরীফ (১৬) ও জাহেদ আলী (৬০)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, বিকেলে দিগন্ত পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর যাওয়ার পথে বীরপাশা এলাকায় পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের সাথে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এ সময় মাইক্রোবাসের চালকসহ ১৪ যাত্রী আহত হয়।
তিনি বলেন, মাইক্রোবাসের যাত্রীরা সবাই শিক্ষার্থী। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে পিকনিক করার জন্য হবিগঞ্জ জেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
পরবর্তীতে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও বেশ কয়েকজন আহতকে ঢাকায় পাঠানো হয়। তিনি বলেন, বাসটিকে আটক করা হলেও এর চালক পালিয়ে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় দালালসহ ৫ বাংলাদেশী নাগরিকে আটক করেছে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) সদস্যরা।
আজ ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে মাধবপুর দেবনগর এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহজাদপুর এলাকার মৃত গনেশ সরকারের ছেলে পরিমল সরকার (৫৫), একই এলাকার লক্ষ্মী সরকারের ছেলে তাপস সরকার (৩৫) ও শ্যামল সরকারের ছেলে স্বপন সরকার (৪৫), বিজয়নগর উপজেলার মির্জাপুর এলাকার রায় কুমার মজুমদারের ছেলে দুর্জয় মজুমদার (১৯), মাধবপুর উপজেলা দেবনগর এলাকার মৃত আবু সামার ছেলে দালাল মোহাম্মদ আলী (৬০)।
২৫ বিজিবি জানায়, অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় ৫ বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করা হয়। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, দালাল মোহাম্মদ আলীর মাধ্যমে তারা ভারতে চিকিৎসা ও কাজের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন।
আটককৃত মানব পাচারকারী দালালসহ ৫ বাংলাদেশী নাগরিকদের মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের করে হস্তান্তর করা হয়েছে। অবৈধ অনুপ্রবেশকারী সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে সে ব্যাপারে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) অভিযান চলমান থাকবে।