ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবলীগের ৩ টি শাখার সম্মেলন হলেও কোনটিরই কমিটি হয়নি। আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এসব কমিটি গঠনে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির মতামতের ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য মোকতাদির চৌধুরী পরামর্শ করে পরবর্তীতে কমিটি দেবেন বলে কাউন্সিল অধিবেশন শেষে জানিয়ে দেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
আজ ২৯ এপ্রিল শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও পৌর ইউনিটের সম্মেলন হয়।
বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের আবদুল কুদ্দুস মাখন মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত্র সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। সম্মানিত অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান চপল, সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন হয় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে। কিন্তু কাউন্সিল অধিবেশনের পর কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। সদর উপজেলা যুবলীগ বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আলী আজম জানান, বিকেলে কাউন্সিল অধিবেশন হয়েছে। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট আমাদের নেতা মোকতাদির চৌধুরী এমপির পরামর্শক্রমে পরবর্তীতে কমিটি ঘোষণা দেবেন। এরআগে ২৮ এপ্রিল বিজয়নগর উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন হয়। এ শাখার কমিটিও ঘোষণা পায়নি।
বিজয়নগরেও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এমপি মোকতাদির চৌধুরীর সাথে পরামশক্রমে কমিটি করা হবে বলে জানিয়েছিলেন। জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস বলেন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সম্পাদক ব্যারিস্টার ফজলে নাঈম বলেছেন, এ আসনে আগামী নিবাচনে প্রাথী আমার শ্রদ্ধেয় চাচা মোকতাদির চৌধুরী। আমাদের যুবলীগের চেয়ারম্যান মোকতাদির চাচার সাথে পরামশ করে কমিটি ঘোষণা দেবেন।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা ফিরোজুর রহমানের সমর্থনকারী শতকরা এক ভাগ ভোটারের প্রায় ২৫০ স্বাক্ষরপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আজ ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপারের কাছে মৌখিকভাবে এ অভিযোগ দিয়েছেন ফিরোজুর রহমান।
তিনি (ফিরোজুর রহমান) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য। নির্বাচনে অংশ নিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হচ্ছে ফিরোজুর রহমানকে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে এখন পর্যন্ত একক এবং হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী।
ফিরোজুর রহমান সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, মোট ভোটার সংখ্যার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনস্বরূপ সাক্ষরিত একটি তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ভোটারদের তালিকা নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসার পথে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের খালকাটা এলাকায় আমার কর্মী মহিবুর রহমানের কাছ থেকে ২৫০ জন ভোটারের স্বাক্ষরিত একটি তালিকা ছিনতাই করে স্থানীয় কয়েকজন যুবক।
তিনি আরো বলেন, শুনেছি বর্তমান সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী আবু মূসা আনসারির মদদে ভোটার তালিকা ছিনতাই করা হয়েছে। আমি যেন নির্বাচনে অংশ না নিতে পারি সেজন্যই এটি করা হয়েছে।
ফিরোজুর রহমানের কর্মী মহিবুর রহমান বলেন, আমরা ভোটারদের তালিকা নিয়ে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে খালকাটা মোড়ের সেতুর ওপর অবুঝ নামের এক যুবকসহ সাত-আটজন আমাদের পথরোধ করে। এ সময় তারা আমার কাছ থেকে সমর্থনকারী ভোটারদের স্বাক্ষরিত তালিকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
তবে অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী আবু মূসা আনসারি বলেন, উনি (ফিরোজুর রহমান) একেক সময় একেক কথা বলছেন। একবার বলছেন খালকাটার লোকজন ছিনতাই করেছে, আবার বলছেন চিনাইরের লোকজন করেছে। আরেকবার বলছেন আমার লোক নিয়েছে। আমি কেন ছিনতাই করাব? উনার কথাবার্তা অসংলগ্ন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভোটার তালিকার কয়েকটি পাতা ছিনতাই হয়েছে বলে মৌখিকভাবে ফিরোজুর রহমান আমাকে জানিয়েছেন। তবে তার কাছে তালিকার অতিরিক্ত কপি আছে। এছাড়া তিনি নিজেই ছিনতাই হওয়া তালিকা উদ্ধার করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
স্বাধীনতার মহান স্থপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌড়াইল শাখার উদ্যোগে আজ ১৪ আগস্ট সোমবার সকালে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
সকাল ১১টায় স্থানীয় ইউনাইটেড কলেজ প্রাঙ্গনে প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও জেলা বিএমএর সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আবু সাঈদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএমএ’র সভাপতি ডাঃ এফ জামান, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, ডাঃ মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খাঁন খোকনসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, মোস্তাকের অনুসারীরা সব সময় ঘাপটি মেরে থাকে। ১৯৭১ সালেও এই মোস্তাক ছিলো কিন্তু সে সময় কেউ তাকে চিনতে পারেনি। সেই মোস্তাক ১৯৭৫ সালে তার প্রকৃত চরিত্রের বহিঃ প্রকাশ করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দেশের প্রচলিত আইনেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছে। তারা জাতির পিতাকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করেছিল। বাংলার জনগণ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসিয়ে তার প্রতিশোধ নিয়েছে। তারা মানুষ হত্যা করেছে আর আমরা নিজেদের রক্ত দিয়ে মানুষকে বাঁচিয়ে রক্তের ঋণ শোধ করব।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক গণপূর্ত ও গৃহায়ণমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক ৮ সংসদ সদস্যসহ ২৪০ জনের নাম উল্লেখ করে ও গত দুই থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে নাশকতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা করা হয়েছে।
২৫ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের শেরপুরের বাসিন্দা আনিছুর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাফফর হোসেন মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এই প্রথম কোনো মামলায় জেলার সব সাবেক এমপিকে একসঙ্গে আসামি করা হয়েছে।
সাবেক মন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা ও আখাউড়া) আসনের সাবেক এমপি ও কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
মামলার অন্য উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সাবেক এমপি সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান, একই আসনের সাবেক এমপি বি এম ফরহাদ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি মঈন উদ্দিন, একই আসনের সাবেক এমপি শাহজাহান আলম ও জিয়াউল হক মৃধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সাবেক এমপি ফয়জুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনের সাবেক এমপি তাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সাবেক এমপি শাহ আলম, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল আলম ও মো. বিল্লাল মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মো. হেলাল উদ্দিন, সাবেক পৌর মেয়র ও সহ-সভাপতি নায়ার কবির প্রমুখ। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গত ৪ আগস্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে মিছিল নিয়ে শহরের ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড মোড় থেকে ছাত্র–জনতার মিছিল বের হয়। ওই মিছিলে সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সাবেক জনপ্রতিনিধিসহ আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের প্রত্যক্ষ প্ররোচনা ও হুকুমে অন্যান্য আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা বিভিন্ন ধরনের দা, হকিস্টিক, লোহার রড, ককটেল, হাতবোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। এতে অজ্ঞাতনামা অনেক ছাত্রছাত্রী আহত হন।
এজাহারের উল্লেখ করা হয়, ওই সময় মামলার বাদী, সাক্ষীসহ আশপাশের এলাকার সাধারণ মানুষ বাধা দিলে আসামিরা ককটেল ও হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটান। বাদীসহ সাক্ষীদের নম্বরবিহীন একাধিক মোটরসাইকেল ও পথচারীদের একাধিক অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় অগ্নিসংযোগ করে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আতিকুল ইসলাম নামে এক বিএনপি কর্মী গুমের অভিযোগে সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ ১০ জনের নামে মামলা হয়েছে।
আজ ২ সেপ্টেম্বর সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় এ মামলা হয়।
মামলাটি করেন ওই বিএনপি কর্মীর স্ত্রী নাছিমা ইসলাম।
অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী আবু মুছা আনসারী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম, চিনাইর গ্রামের হামদু মিয়া, শহরের কাজিপাড়ার রাজ্জাক মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়া ও জসিম মিয়া, আতাউর রহমান ভূঁইয়া শাহীন, নবীনগরের নান্দুরার আবুল কাশেম, জিলানী ও শহরের মেড্ডা এলাকার জাকির মিয়া।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১১ সালের শেষ দিকে কাজিপাড়ার সেলিম মিয়ার সঙ্গে আতিকুল ইসলামের জায়গা নিয়ে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে সেলিম সে সময়ের এমপি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নির্দেশে আতিকের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আতিকুল ইসলামকে গুম করে প্রাণে হত্যা করার জন্য পরিকল্পনা করেন তারা। ২০১২ সালের ১৩ অক্টোবর দুটি মাইক্রোবাস যোগে আতিককে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয়। তুলে নেওয়ার সময় তারা বলেছিলেন- র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী সাহেব আপনাকে সালাম দিয়েছেন। আপনাকে আমাদের সঙ্গে উনার বাড়ি যেতে হবে। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়ার পর আর কোনো সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় তখন থানায় অভিযোগ দিতে গেলে মোকতাদির চৌধুরীর হস্তক্ষেপে গ্রহণ করেনি। ১২ বছর যাবত আতিককে সন্ধান না পাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে তাকে নির্যাতনের পর হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলা হয়।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী আত্মগোপনে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত একমাসে ৩টি হত্যাসহ পাঁচটি মামলা হয়েছে।