চলারপথে ডেস্ক :
সারাদেশে এক যোগে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে।
আজ ৩০ এপ্রিল রবিবার সকাল ১০ টার সারাদেশের নির্ধারিত কেন্দ্রে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীরা। আর বাইরে অবস্থান নেন অভিভাবকরা। এ সময় দায়িত্ব শিক্ষকরা তাদের সহযোগিতা করেন।
এদিকে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সকালে রাজধানীর কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
জানা যায়, এবারের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। তবে বিকালে জানা যাবে কতজন পরীক্ষার্থী এতে অনুপস্থিত ছিলেন।
আজ ৩০ এপ্রিল রবিবার সকাল ১০টা থেকে সারাদেশের কেন্দ্রগুলোতে একযোগে এই পরীক্ষা শুরু হয়। বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ।
গত কয়েকবছর করোনার কারণে পরীক্ষায় সংক্ষিপ্ত করণ করা হলেও এবার সব বিষয়েই পরীক্ষা নেওয়া হবে। রুটিন অনুযায়ী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে সৃজনশীল ও নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন থাকবে আগের মতোই। করোনা স্বাস্থ্যবিধিও এই পরীক্ষা নেই। তাই শিক্ষার্থীরা দলে দলে পরীক্ষা কেন্দ্রে যোগ দেন।
জানা যায়, এবার মোট ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। এরমধ্যে ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ জন ছাত্র ও ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন ছাত্রী।
এদিকে, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ২৭৫ জন সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, ২ লাখ ৯৫ হাজার ১২১ জন মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৬৭ জন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের।
গতবার এসএসসি ও সমমানে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২১ হাজার। এ বছর প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ২০৭টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি। আর এবার মোট কেন্দ্র ৩ হাজার ৮১০টি এবং মোট প্রতিষ্ঠান ২৯ হাজার ৭৯৮টি।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিতব্য এই পাবলিক পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী গত ২৬ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রয়েছে।
এবার প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে শিক্ষা ও পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে নেওয়ার সঙ্গে যুক্ত আছে আরও তিনটি মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসন। এছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনে শিক্ষার্থীদের কয়েকটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো- পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ করতে হবে। কোনো ধরণের মোবাইল বা ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
অনলাইন ডেস্ক :
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ৪-১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় স্মৃতিসৌধে সব ধরনের দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
আজ ৪ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল ফটকে এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ দেখা গেছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, মহান বিজয় দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে ভিআইপির নিরাপত্তা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজের জন্য ৪-১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় স্মৃতিসৌধে সব ধরনের দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ থাকবে।
গণপূর্ত বিভাগ জানায়, বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এরপর জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটক উম্মুক্ত করা হবে জনসাধারণের জন্য। এ কারণে আগামী ১২ দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হবে। তাই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত থাকবে।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের গণপূর্ত বিভাগের ইনচার্জ উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ দেশি-বিদেশি কূটনীতিকদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্মৃতিসৌধকে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হবে। প্রস্তুতির নানা ধরনের কাজ রয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তার বিষয়ও আছে। তাই আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস থেকে যথারীতি সবাই প্রবেশ করতে পারবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম পর্বের (বরিশাল, সিলেট, রংপুর বিভাগ) লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় ৯ হাজার ৩৩৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মোবাইল ফোনেও মেসেজ পাবেন।
মৌখিক পরীক্ষার তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে। চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি এ পরীক্ষা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
গত ৮ ডিসেম্বর রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলায় একযোগে প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন।
এদিকে, অনিয়ম-জালিয়াতি এবং হরতাল-অবরোধের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়ায় ১ লাখ ৫৮ হাজার প্রার্থী অনুপস্থিত দাবি করে পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন কিছু প্রার্থী। তারা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত আবেদন এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচিও করেছেন।
পাশাপাশি ৫৪ জন প্রার্থীর পক্ষে ফাতেমা আক্তার নামে একজন প্রার্থী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন। এ রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ফল প্রকাশ ও নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে দুই মন্ত্রণালয়সহ ১৩ অধিদপ্তর-দপ্তরে নোটিশও পাঠিয়েছেন। তবে নিয়োগ সংশ্লিষ্টরা এ নোটিশ পাননি বলে জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, আমি আইনের শাসনে বিশ্বাস করি, উপজেলা পরিষদও আইনের শাসনে পরিচালিত হয়। আইন ও বিধি-বিধান মেনে এই পরিষদ চললে, আমি পরিষদের পাশে থাকবো। আইন ও বিধি-বিধান মেনে না চললে আমি পরিষদের পাশে থাকবো না। এই উপজেলা পরিষদ নিজেদের ক্ষমতা ও পরিধি মেনে চলবে ও কাজ করবে বলে বিশ্বাস করি।
আজ ৯ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সদর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী এই কথা বলেন। মন্ত্রী আরো বলেন, সদর উপজেলা পরিষদ একটি আদর্শ উপজেলা পরিষদ হবে। সকলের সাথে সমন্বয় করে এই উপজেলা পরিষদ চলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি বলেন, যারা আপনারা নির্বাচিত হয়েছেন, সদর উপজেলাবাসীর প্রতি আপনাদের অনেক দায়িত্ব। জনগণের কল্যাণে যেনো পরিষদের টাকা খরচ হয়, সে দিকে খেয়াল রাখবেন। নিজের টাকা যে চিন্তা করে খরচ করেন, ঠিক তেমনি পরিষদের টাকাও চিন্তা করে খরচ করবেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদৎ হোসেন শোভন, বিদায়ী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম ভূঁইয়া, নব-নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল আলম, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান আফরিন ফাতেমা জুঁই ও ইউপি চেয়ারম্যান আল আমিন পাভেল।
আলোচনা সভা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন জেলা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সিগবাহতুল্লাহ নূর।
অনলাইন ডেস্ক :
বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম ও বিষয়বস্তু পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করার নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘পরিবর্তনগুলো এতই বেশি ছিল যে, তখন যদি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (নাম) রাখা হতো, তাহলে ডিজিটাল নিরাপত্তা (সংশোধন) আইন হতো। এটি বিভ্রান্তিকর হতো। এ জন্য এটিকে সম্পূর্ণ পাল্টিয়ে নতুন আইন করা হচ্ছে। ব্যাপ্তি বাড়ানোর জন্য এটির নাম দেওয়া হয়েছে সাইবার নিরাপত্তা আইন।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস আজ ৮ আগস্ট মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর সাংবাদিকদের কাছে প্রস্তাবিত নতুন আইন নিয়ে কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
প্রশ্ন উঠেছে পুরোনো আইনের (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) মামলা এবং সেগুলোর শাস্তি এখন কী হবে- এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী জানান, এগুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আইনের অবস্থান হলো যেসব অপরাধ পুরোনো আইনে করা হয়েছে, সেই পুরোনো আইনে যে শাস্তি, সেই শাস্তি অপরাধীকে দিতে আদালত বাধ্য। কিন্তু সেখানে চিন্তাভাবনা করা হবে, এই (প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন) আইনে যেহেতু শাস্তির পরিমাণ অনেকাংশে কমানো হয়েছে এবং সেই কমানোটিই সরকারের এবং আইনসভার উদ্দেশ্য। তাই সেই কমানোটি যাতে বাস্তবায়িত হয়, সেই চেষ্টা করা হবে।’
তার আগে গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে সাইবার নিরাপত্তা আইন নামে নতুন একটি আইন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। নতুন আইনটি হলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত হয়ে যাবে। প্রস্তাবিত নতুন আইনে সাজা যেমন কমানো হয়েছে, তেমনি অনেকগুলো অজামিনযোগ্য ধারাকে জামিনযোগ্য করা হয়েছে। মানহানি মামলার জন্য কারাদণ্ডের বিধান বাদ দিয়ে শুধু জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। তবে জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।
প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইসের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যে নতুন আইনটি করা হচ্ছে, সেটি এখনো তিনি (গোয়েন লুইস) সম্পূর্ণভাবে দেখেননি। দেখেননি বলেই তিনি সম্পূর্ণভাবে মন্তব্য করতে পারছেন না। এটির যে পরিবর্তন এসেছে এবং তিনি যেটি শুনেছেন, সেটি যদি হয়ে থাকে, তাহলে এটি ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।’
তিনি বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে গতকাল আপনাদের যা বলেছি, ওনার সঙ্গে আলাপ-আলোচনাতেও একই কথা বলেছি। সাইবার নিরাপত্তা আইনের একটি দফায় (ধারা) আছে এটিকে (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) রহিত করা হয়েছে এবং এটিকে রহিত করা হবে। কিন্তু কথা হচ্ছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মধ্যে যেসব কারিগরি ধারা ছিল, সেগুলো সাইবার নিরাপত্তা আইনেও আছে। সে জন্য সব সময় বলে আসছি, এটি পরিবর্তন হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা সংশোধনও হয়নি, আবার কেউ যদি বলে সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করা হয়েছে, সেটিও সম্পূর্ণভাবে ঠিক হবে না। কিন্তু পরিবর্তন হয়েছে।’
অনলাইন ডেস্ক :
হরতাল ও অবরোধের নামে বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাস এবং লুটপাটের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ আহ্বান জানান তিনি। দেশব্যাপী নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যারা আগুন সন্ত্রাস করবে, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপি-জামায়াত গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না দাবি করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তারা হরতাল ও অবরোধের নামে আগুন সন্ত্রাস ও লুটপাট করছে।
শুধু তা-ই নয়, পরিকল্পিতভাবে পোশাক খাতকে অস্থিতিশীল করে তোলা হচ্ছে।
পোশাক শ্রমিকদের যে পরিমাণ মজুরি বাড়ানো হয়েছে তা নিয়েই কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পোশাক শ্রমিকদের জন্য যে মজুরি বাড়ানো হয়েছে, তা নিয়েই তাদের কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পোশাক শ্রমিকদের মজুরি দফায় দফায় বাড়িয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। এবার ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে।
শতকরা ৫৬ ভাগ বাড়ানো হয়েছে। আন্দোলনের নামে ১৯টি কারখানা ধ্বংস করা হয়েছে। যারা তাদের (শ্রমিক) উসকানি দিচ্ছে, তারাই তাদের ধ্বংস করবে। এটা শ্রমিকদের বুঝতে হবে।