চলারপথে রিপোর্ট :
দেশের স্বাধীনতা নষ্ট করতে কিছু রাজনৈতিক দল ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক। গতকাল ২৯ এপ্রিল শনিবার কসবা উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত এক জনসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে, দেশের এ উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। আমরা দেখেছি শতভাগ বিদ্যুতায়ন, আমরা দেখেছি পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মানুষের অর্থে তৈরি করতে। আমরা দেখেছি গৃহায়ণ প্রকল্প, যার মাধ্যমে গৃহহীনদের বঙ্গবন্ধু কন্যা গৃহ দিয়েছেন। এসব দেখে আমাদের বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যতদিন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন ততদিন বাংলাদেশ শুধু এগিয়ে যাবে, বাংলাদেশের মানুষকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।
আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, আজকেও স্বাধীনতা নষ্ট করার জন্য কিছু রাজনৈতিক দল বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে একজোট হয়েছে তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, যারা নিজেদেরটা ছাড়া অন্যের বুঝে না। ২০০৭ সালে বলেছিল, আমি একটা রাজনৈতিক দল তৈরি করব, তারপর রাজনৈতিক দল তৈরি করছে। যদি রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে চান আমার কাছে ম্যাসেজ পাঠাবেন, কিন্তু একজনও সাড়া দেয়নি। বাংলাদেশের একটা লোকও সাড়া দেয়নি। এখনও তারা ষড়যন্ত্র করছে।
কাইমপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল কায়সার ভূঁইয়া জীবন, পৌর সভার মেয়র এমজি হাক্কানী, জেলা পরিষদের সদস্য এম এ আজিজ, কাইমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কাইমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকতেকার আলম রনি প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর সাথে সরকার পতন পর্যন্ত যুগপৎ আন্দোলনের জন্য জোট ছিল বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার ভাষ্যমতে, ‘এই মুহূর্তে কোনো জোট নেই। আমাদের যে জোট ছিল, আন্দোলনের জন্য জোট, সেটা অনেক আগেই অকার্যকর হয়ে গেছে। এটা এখন কোনো কাজ করে না। অনেক আগেই আমরা যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে প্রোগ্রাম ঠিক করে যুগপৎ আন্দোলন করেছি সরকার পতন অবধি। এটা এখন বলবত নেই।’
আজ ৩০ আগস্ট শুক্রবার দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জামায়াত ইসলামীর সঙ্গে জোট নিয়ে এ মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল। ফখরুল আরো বলেন, ‘অন্য দলগুলোর সঙ্গে আমরা আলোচনা অব্যাহত রেখেছি, কারণ এখনো কেয়ারটেকার সরকার আছে, এরপর নির্বাচন আছে। সুতরাং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আমরা আলোচনা বজায় রাখছি, এটা জরুরি। এই মুহূর্তে আমাদের কোনো জোট নেই। আমরা জোটবদ্ধ নই।’
নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় দেওয়ার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার তো অন্তর্বর্তী সরকার। একটি নির্বাচিত সরকার থেকে আরেকটি নির্বাচিত সরকার হতে যে সময় দরকার। এটি কোনো নির্বাচিত সরকার নয়। এটি একটি সিলেক্টেড সরকার।’
এদিকে শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই বিএনপির সঙ্গে পুরোনো সব দ্বন্দ্ব মেটাতে প্রস্তাব করেছেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সবসময় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। সরকার পতনের পর চেয়ারপারসনও বলেছেন- আমরা প্রতিশোধ, প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে চাই না। আমরা সৌহার্দ্য, ভালোবাসা এবং সুসম্পর্কের রাজনীতি করতে চাই। কিন্তু একই সময়ে জনগণের কাছে জবাবদিহি একটা বড় বিষয়। আজকে আওয়ামী লীগকে তার গত ১৫ বছরের কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি করতে হবে। দেশের রাজনীতি, অর্থনীতিকে কীভাবে তারা ধ্বংস করেছে, তার জন্য তাকে তো জবাবদিহি করতে হবে। তারা জবাবদিহি করে গণতান্ত্রিকভাবে রাজনীতি করলে আমাদের তো কোনো আপত্তি নেই। আমরা বিশ্বাস করি- যেকোনো দলের যে কোনো ব্যক্তির রাজনীতি করার অধিকার আছে, সেভাবে করবে।’
তারেক রহমানকে বিএনপি দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে চায় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাঁর ফিরে আসা দেশের জন্য, দলের জন্য খুব প্রয়োজন।’ এ সময় চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিএনপি কাজ করছে বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘চেষ্টা হচ্ছে কত দ্রুত তাকে বিদেশে নেওয়া যায়। এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে তার শারীরিক কন্ডিশনের ওপর।’ সূত্র : দ্য ডেইলি স্টার
অনলাইন ডেস্ক :
জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। আজ ১ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ (১) ধারা অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির ও তাদের অন্যান্য অঙ্গ-সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর আগে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আইনি মতামত দিয়ে ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঠায় আইন মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, যেহেতু, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত কয়েকটি মামলার রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (পূর্বনাম জামায়াত-ই- ইসলামী/জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ) এবং তার অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির (পূর্বনাম ইসলামী ছাত্রসংঘ)-কে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ী হিসেবে গণ্য করা হইয়াছে; এবং যেহেতু, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ রিট পিটিশন নং-৬৩০/২০০৯-এ ১ আগস্ট ২০১৩ তারিখের প্রদত্ত রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এর রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত/প্রাপ্ত নিবন্ধন বাতিল করিয়া দিয়াছে এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগের ওই রায়কে বহাল রাখিয়াছে; এবং যেহেতু, সরকারের নিকট যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রহিয়াছে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং তার অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাম্প্রতিককালে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সরাসরি এবং উসকানির মাধ্যমে জড়িত ছিল।
প্রজ্ঞাপনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, যেহেতু সরকার বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সব অঙ্গ সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সহিত জড়িত রহিয়াছে সেহেতু, সরকার, সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ তার সব অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করিল এবং উক্ত আইনের তফসিল-২ এ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ তার সব অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করিল। ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে। এর আগে, সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির এবং তাদের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের যেসব কর্মী ১৯৭১ সালের পর জন্ম নিয়েছেন তাদের গণহারে বিচার করা হবে না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় উঠানে ধান শুকানোকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে সুজন কবির (৩২) নিহত হয়েছে। আজ ১ মে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের জাজিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুজন ফকির (৩২) উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের জাজিয়া গ্রামের খোকন ফকিরের ছেলে।
কসবা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন দাস জানান, সকালে জাজিয়া গ্রামের নিহত সুজন ফকিরের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই শাওন ফকিরের বাড়ির উঠানে কে আগে ধান শুকাবে এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে শাওন ঘরে থাকা ছুরি এনে সুজন ফকিরকে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই সুজন মারা যায়। ঘাতক শাওন ফকিরকে আটক করতে অভিযান চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড: আনিসুল হক বলেছেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিলেই বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়। অন্য কোনো মার্কায় ভোট দিলে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অবনতি হয়।
২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা মহিলা কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
কসবা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও কসবা পৌরসভা আওয়ামী লীগের ১২ শতাধিক নিবন্ধিত নারী-পুরুষ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবারও এ আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এ আসন থেকে মনোনয়ন নিয়েছেন আওয়ামী লীগের আরও ছয়জন। এরা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য আইনজীবী শাহ আলম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সদস্য এ কে এম বদিউল আলম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শ্যামল কুমার রায়, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ন সাহা মনি, জেলা যুবলীগের সদস্য তসলিমুর রেজা ও কসবা যুবলীগের সাবেক নেতা লুৎফুর রহমান।
কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. স্বপন চন্দ্র মজুমদার, সহযোগী অধ্যাপক জিল্লুর রহমান, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা আঞ্চলিক সমন্বয়ক আবদুল্লাহ আল নোমান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সম্বয়কারী সুজন দত্ত।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজনৈতিক দল হিসেবে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিকে নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশনের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে দলটিকে নিবন্ধন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আজ ২১ আগস্ট বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইসি সচিব শফিউল আজিম।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রায় ও আদেশ অনুযায়ী ‘দ্য রিপ্রেজেনন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডার, ১৯৭২ চ্যাপ্টার ভিআইএ’ এর বিধান মোতাবেক প্রধান কার্যালয় সায়হাম স্কাই ভিউ টাওয়ার, ৪র্থ তলা, ৪৫ বিজয় নগর রোড, ঢাকা-১০০০ এ অবস্থিত আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)-কে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন করিয়াছে। উক্ত দলের জন্য ‘ঈগল’ প্রতীক সংরক্ষণ করা হইয়াছে এবং উহার নিবন্ধন নং- ০৫০।