অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানের বিরুদ্ধে এবার ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন অপারেশন অগ্নিপথ সিনেমার প্রযোজক রহমত উল্লাহ। আজ ৩০ এপ্রিল রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
প্রযোজক রহমত উল্লাহ ও তার আইনজীবী ড. মো. তবারক হোসেন ভূঁঞা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ১৩ এপ্রিল এই প্রযোজক শাকিব খানের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪৯৯/৫০০/৫০১ ধারায় ঢাকার সিএমএম কোর্টে মো. রশিদুল আলমের আদালতে আরও একটি মানহানি মামলা করেছিলেন। মামলা নম্বর- সিআর-২৪৯/২৩ (রমনা)। মামলাটি তদন্ত করার জন্য পুলিশের বিশেষ শাখা পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে গণমাধ্যমের কাছে রহমত উল্লাহকে বাটপার-প্রতারক ও আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে রহমত উল্লাহর পক্ষে তার আইনজীবী ড. মো. তবারক হোসেন ভূঁঞা শাকিব খানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
অপরদিকে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করতে গত ১৮ মার্চ রাতে গুলশান থানায় যান শাকিব খান। কিন্তু সেখানে মামলা নেওয়া হয়নি। পরের দিন ১৯ মার্চ সন্ধ্যায় মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন শাকিব খান। পরবর্তীতে গত ২৩ মার্চ চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে মামলা করেন শাকিব খান। গত ২৬ এপ্রিল বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামিকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন আদালত। ওই মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন পান রহমত উল্লাহ। শাকিব খান পরবর্তীতে রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢাকা ট্রাইব্যুনালে আরেকটি মামলা করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ বিকালে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাঙালি এই প্রযোজক সশরীরে এফডিসিতে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতি বরাবর শাকিব খানের বিরুদ্ধে অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস ও সহ-নারী প্রযোজককে ধর্ষণের মতো গুরুতর বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগপত্রে রহমত উল্লাহ উল্লেখ করেন, নির্মিতব্য ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ (২০১৭) সিনেমায় অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস, ধর্ষণ (মামলা নং: ৬২৪৯৪৯৫৯) এবং পেশাগত অবহেলার মাধ্যমে চলচ্চিত্রটির ক্ষতি সাধন, চলচ্চিত্রের শুটিং সম্পন্ন করতে অথবা লগ্নিকৃত অর্থ ফিরিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় নিরুপায় হয়ে অভিযোগ করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা আওয়ামীলীগ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্রীড়াঙ্গন এখন সমৃদ্ধ হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অভিভাবক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপিকে যখনই স্মরণ করি তখনই ক্রীড়াঙ্গনকে প্রসার এবং সমৃদ্ধি করার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।
আজ ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকালে নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে এ্যাডটার্চ কাপ T- ২০ ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট ২০২৪ এর ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে তিনি আরো বলেন, এক্স ক্রিকেট এসোসিয়েশন খেলার যে আয়োজন করেছে তা প্রশংসার দাবিদার। এে খেলায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অংগ সংগঠন বা ক্লাব অংশ গ্রহণ করায় খেলাটি পুরিপূর্ণতা পেয়েছ। তিনি ক্রীড়া সংস্থাকে আরোও সমৃদ্ধি করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। ডাঃ আব্দুল মতিন সেলিমের উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্যে রাখেন এক্স ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সদস্য ও আম্পায়ার মাইনুল হোসেন চপল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য নাজমুল হক সেলিম, আব্দুস সাকির ছোটন, আলী মাসুম, আবু কাউসার খান, আল মামুন, মঞ্জুর-ই মাসুদ, সাবেক ক্রিকেটার শামীম ভূইয়া, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য মহিম চৌধুরী। ফাইনাল খেলায় ফুলবাড়িয়া স্পোর্টিং ক্লাবকে ৮ উইকেটে পরাজিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কিংস্ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন বিজয়ী দলের আশফাক আহমেদ রোহান।
খেলা পরিচালনা করেন আম্পায়ার মাইনুল হোসেন চপল ও নাজমুল হক সেলিম।
খেলায় সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ডাঃ সাইফুদ্দিন সুব্র, আলী মাসুম, আলমগীর সুজন ও নাদিম বাবু।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্রুত দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। অভিজ্ঞ মুমিনুল ৪০ রানে ফিরলেও দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন শান্ত। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৯২ বলে সেঞ্চুুরি তুলে নিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
শতক হাঁকাতে শান্ত খেলেছেন ৯টি চারের মার। তার সেঞ্চুরির উপর ভর করে ২০৫ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬৮ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২১২ রান। শান্ত খেলছিলেন ১০৪ রান নিয়ে, অপরপ্রান্তে ৪৩ রান নিয়ে ছিলেন মুশফিকুর রহিম।
এর আগে ২৬ রানে ছিল না ২ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে ভালো একটা অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুমিনুল হক। ২ উইকেটে ১১১ রান নিয়ে বাংলাদেশ যায় চা-বিরতিতে।
এরপর জুটি গড়েন শান্ত ও মুমিনুল। দারুণভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল দুই ব্যাটারের জুটিটি। অপ্রত্যাশিত রানআউটের মাধ্যমে শতরানের (৯০) কাছাকাছি এসে ভেঙে যায় পার্টনারশিপ। ভুল বোঝাবুঝিতে ৬৮ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৪০ রান করে সাজঘরে ফেরত যান মুমিনুল।
দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে লাঞ্চের আগে বেশ দেখেশুনে খেললেও বিরতির পর বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি জাকির আর জয়। ৩০ বলে ১৭ রান করে অ্যাজাজ প্যাটেলের অনেক বেশি টার্ন করা বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন জাকির।
৪৬ বলে ৮ রান করে জয় হয়েছেন দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার। সাউদির বলে ড্রাইভ খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, বল বোলারের হাত স্পর্শ করে ভেঙে যায় ননস্ট্রাইকের স্টাম্প। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে শান্ত-মুমিনুলের জুটি।
প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড খুব বড় পার্থক্য গড়তে পারেনি বাংলাদেশের সঙ্গে। লিড নিয়েছে মাত্র ৭ রানের। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বেশ সাবধানী শুরু করেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় আর জাকির হাসান। উদ্বোধনী জুটিতে ১০ ওভারে মোটে ১৯ রান তুলে তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিলেন তারা।
এর আগে দ্বিতীয় দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৮ উইকেটে ২৬৬ রান। কিউইরা পিছিয়ে ছিল ৪৪ রানে। স্বীকৃত ব্যাটার বলতে কেউই নেই।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ছোট করে হলেও লিড পেতে যাচ্ছে, ধরে নিয়েছিলেন সমর্থকরা। তবে তাদের সেই আশায় গুঁড়েবালি। কাইল জেমিসন আর টিম সাউদির মতো লোয়ার অর্ডার দুই ব্যাটার নবম উইকেটে দলকে এনে দেন গুরুত্বপূর্ণ ৫২ রান।
নবম উইকেটে টিম সাউদি আর কাইল জেমিসনের এই জুটিটাই ক্ষতি করে দিলো বাংলাদেশের। নাহলে টাইগাররা প্রথম ইনিংসে লিড পেতে পারতো।
সেটি হয়নি। তবে নিউজিল্যান্ডও যে বড় লিড নিয়েছে, তা নয়। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ৩১০ রানের জবাবে ১০১.৫ ওভার খেলে ৩১৭ রানে অলআউট হয়েছে কিউইরা। তাদের লিড ৭ রানের।
তৃতীয় দিনের সকালে প্রথম ঘণ্টা অনায়াসেই পার করে দেন সাউদি আর জেমিসন। কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। অবশেষে ট্রাম্পকার্ড মুমিনুল হকের হাত ধরেই সাফল্য পায় টাইগাররা। এক ওভারে জেমিসনকে (২৩) এলবিডব্লিউ আর সাউদিকে (৩৫) বোল্ড করেন বাঁহাতি এই পার্টটাইম স্পিনার।
তাইজুল ইসলাম ১০৯ রানে ৪ উইকেট আর মুমিনুল হক ৪ রানে নেন ৩টি উইকেট।
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ॥ সংশ্লিষ্টদেরকে নোটিশ
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ব্রোকেন স্টোন বা চূর্ণ পাথরের ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২৭০০ টন পাথরের ধুলা (ডাস্ট)। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির অভিযোগে ছাড়পত্র মিলছে না কাস্টমসের। যে কারণে প্রায় এক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দরে এই ডাস্ট বা ধুলাগুলো পড়ে আছে। কাস্টমসের গঠিত তদন্ত কমিটিও ডাস্ট উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা দাবি করেছেন, এতে প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদেরকে। এ জন্য তারা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো চূর্ণপাথর আমদানি হয় গত ১৩ নভেম্বর। এরপর কয়েক দফায় মোট ২৭০০ টন আমদানি করে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানটি আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজের জন্য পাথর আমদানি করেছে। আমদানিকৃত চূর্ণপাথরগুলো প্রতি টন আমদানি হয়েছে ১৩ মার্কিন ডলারে। এগুলো বন্দর থেকে ছাড়ানোর কাজ পায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজ। তবে কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র নিতেই বাঁধে বিপত্তি। প্রথমবারের মতো আমদানি হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানায় কাস্টমস। পরবর্তীতে এগুলো পরীক্ষা করে পাথরের বদলে ডাস্ট আনা হয়েছে জানিয়ে আটকে দেয়া হয়। ফলে প্রতিদিনই বন্দর কর্তৃপক্ষকে মাশুল বাবদ প্রায় ৩৬ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।
অভিযোগ উঠেছে- আমদারিকারক প্রতিষ্ঠান ভাঙা পাথরের ঘোষণা দিয়ে ডাস্ট এনেছে। এজন্য কাস্টমসের তরফ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে রিপোর্ট দেওয়া হয় ডাস্ট হিসেবে। তবে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানান কাস্টমসের কর্মকর্তারা।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চূর্ণ পাথর বা ডাস্ট আমদানির অনুমতি না থাকায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদেরকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজকেও কার্যার্থে একই চিঠি দেওয়া হয়। সিএন্ডএফ এর মালিক হলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো.তাকজিল খলিফা কাজল।
খলিফা এন্টার প্রাইজের প্রতিদিন নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রথম দফা আনার পর বলা হয় সব আনার পর অনুমতি দেওয়া হবে। এখন বলা হচ্ছে এ ধরণের পাথরের অনুমতি নেই। এখন পাথর আটকে থাকায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।’
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করে আমদানি করা পণ্য ডাস্ট হিসেবে পাওয়া গেছে। এ ধরণের পণ্য আমদানির অনুমতি নেই। এখন এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।’
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে এনামুল হক বিজয়ের খুলনার টাইগার্স। রংপুর রাইডার্সকে ২৮ রানে হারিয়ে টানা তিন ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে খুলনা। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান আরও পোক্ত করলো দলটি।
খুলনার দেয়া ১৬১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে রংপুর। দলীয় ৬ রানে এবং ব্যক্তিগত দুই রানে স্বদেশি মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে এলবিডবিøউ হয়ে ফেরেন পাকিস্তানের সুপারস্টার বাবর আজম। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ব্রান্ডন কিংও। তার বিদায়ে মাত্র ২ রানেই টপঅর্ডারে দুই ব্যাটারকে হারায় রাইডার্স। অন্যদিকে, এই ম্যাচেও আশানুরূপ কিছু করতে পারেননি জাতীয় দলের টি-২০’র ওপেনার রনি তালুকদার। টেস্টের মেজাজে ২৫ বল খেলে মাত্র ১৫ রান করে বিদায় নেন তিনি।
চলতি বিপিএলে ব্যাট হাসছে না টাইগার দলপতি সাকিব আল হাসানের। মাত্র ২ রান করে দাসুন শানাকার বলে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। ৮০ রানে ৭ উইকেট হারানো রংপুর শেষ পর্যন্ত ১৩২ করতে পেরেছে মোহাম্মদ নবীর কল্যাণে। তিনিই রংপুরকে আশা দেখাচ্ছিলেন। তবে তার ৩০ বলে ৫০ রানের ইনিংসটি হারের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে। খুলনার হয়ে শানাকা তিন ওভার বল করে ১৬ রানে শিকার করেছেন তিন উইকেট। আর মোহাম্মদ নওয়াজ দুই ওভার হাত ঘুরিয়ে নেন ২ উইকেট। মোহাম্মদ ওয়াসিমও শিকার করেছেন দুই উইকেট।
আজ ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার টসে জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন রাইডার্স অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়ে শুরুতেই দলকে সাফল্য এনে দেন রংপুরের স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসান। দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই খুলনার অধিনায়ক বিজয়কে রনি তালুকদারের ক্যাচে পরিণত করেন মেহেদী। টাইগার্স অধিনায়ক ৭ বল মোকাবিলা করেও রানের খাতা খুলতে পারেনি।
তিন নম্বরে নামা খুলনার ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয়ও এদিন ব্যর্থ হয়ে ফিরেছেন। এই ম্যাচে আরেকবার ব্যর্থ বাঁহাতি ব্যাটার আফিফ হোসেন। ৬ বলে মাত্র ৪ রান করেন এই ব্যাটার। ৫০ রান তুলতে খুলনাকে খেলতে হয়েছে ৭ দশমিক ৪ ওভার। বিনিময়ে উইকেট হারাতে হয়েছে তিনটি। এই ম্যাচে উইন্ডিজ তারকা এভিন লুইস আগ্রাসী শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৫ বলে তিনটি করে চার-ছক্কায় তিনি ৩৭ রানের ইনিংস খেলেই থামেন।
তবে খুলনার জয়ের ভিত গড়ে দেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নওয়াজ ও লঙ্কান অলরাউন্ডার শানাকা। ৫ম উইকেটে এই জুটিতে আসে ৭৭ রান। শানাকা ৩৩ বলে ৪০ করে ফেরেন। আর নওয়াজ খেলেন ৩৪ বলে ৫৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান তোলে খুলনা।
অনলাইন ডেস্ক :
পুরো ২০২৪ সালজুড়েই এক যুবকের সঙ্গে কাটাতে দেখা গেছে বলিউডের তারকা অভিনেত্রী কৃতি শ্যাননকে। কে এই যুবক? তা নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। তবে ২০২৪-এর শেষের দিকে এসে জানা যায়, যুবকের নাম কবীর বাহিয়া। যিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী ও কোটিপতি।
নতুন বছরের শুরুতেই কবীরকে নিয়ে দিল্লি এসেছেন কৃতি। শোনা যাচ্ছে, প্রেমিকের দিল্লি আসার কারণ তাকে বাবা-মায়ের সাথে আলাপ করাতে চান কৃতি। এটাও শোনা যাচ্ছে, সব ঠিকঠাক থাকলে নাকি চলতি বছরেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন তারা।
এসবের মধ্যেই যা নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে তা হলো, দু’জনের বয়সের পার্থক্য। কৃতির থেকে বয়সে অনেকটা ছোট কবীর। সেটাও নাকি চোখে পড়ার মতো। লাস্যময়ী এই অভিনেত্রীর বর্তমান বয়স ৩৪ বছর। অন্যদিকে কবীরের বয়স ২৪ বছর। দুইজনের বয়সের পার্থক্য প্রায় ১০ বছরের। ভালোবাসায় তবে কবেই সেসব বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে?
অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠমহল জানাচ্ছে, দু’জনেই প্রেমে মজেছেন। যে কারণে খুব শীঘ্রই বিয়ের পরিকল্পনা করছেন এই জুটি। চলতি বছরটা কৃতি শুরুই করেছিলেন কবীরের সঙ্গে। বর্ষবরণের রাতে একসাথে ক্যামেরাবন্দি হন তারা। তবে এযাবৎ কৃতি বা কবীর কেউই তাদের প্রেমের কথা স্বীকার করেননি।
এর আগে সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল কৃতির। শোনা যায়, একসাথে ছবি করতে গিয়েই নাকি প্রেমে পড়েন তারা। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর তাকে উদ্দেশ্য করে এক মন উজাড় করা পোস্ট করেছিলেন কৃতি।
তবে সুশান্ত অধ্যায় এখন অতীত। বয়সে ১০ বছরের ছোট কবীরকেই মন দিয়েছেন তিনি। দুইজনের বিয়েটাও নাকি শুধুই সময়ের অপেক্ষা।