চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদেশি পিস্তলসহ তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার ভোরে সদর উপজেলার উজানিসার বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার পতিশ গ্রামের প্রয়াত লোকমান মিয়ার ছেলে মো. ফিরোজ মিয়া (৩৪) একই গ্রামের কবির হোসনের ছেলে মো. মোহন মিয়া (৩৫) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মরা পুকুরপাড় গ্রামের আবু জাহেরের ছেলে মো. সাজ্জাত হোসেন (৩০)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোজ্জামেল হোসেন রেজা বলেন, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে সদর থানা পুলিশের একটি দল উজানিসার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় সন্দেহজনক মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে তল্লাশি চালিয়ে বিদেশি পিস্তলসহ তাদের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেফতার তিনজন অবৈধ অস্ত্র কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘ভবিষ্যতে যারা চাঁদাবাজি করবে, যারা গুম–হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকবে, যারা অন্যের জমি দখল করবে, যারা লুটতরাজ চালাবে, যারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত করবে, তাদেরও কিন্তু এই আওয়ামী লীগ সরকারের মতো বিদায় হতে হবে। এমন কাজ করবেন না, যাতে ভবিষ্যতে এমনভাবে আমাদেরও বিদায় হতে হয়।’
৩০ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে পৌর শহরের মেড্ডা সিও অফিস হল রুমে ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে বিএনপির কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নেতা ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, ভবিষ্যতে যারা চাঁদাবাজি করবে, যারা খুন-হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকবে, যারা অন্যের জমি দখল করবে তাদেরকে আওয়ামী লীগ সরকারের মতো বিদায় হতে হবে। আজকে এই শোক সভার মাধ্যমে আমাদের নেতাকর্মীদের সর্তক করে দিতে চাই। যে আওয়ামী লীগ ১৭ বছর ক্ষমতায় ছিল তাদের কিন্তু এসব ভুলের জন্য বিদায় নিতে হয়েছে। সে ভুল পুনরায় করে আমাদেরকে যেন তাদের মতো বিদায় না হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, অ্যাডভোকেট সফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট গোলাম সারওয়ার খোকন, অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম খান রুমা, এবি এম মমিনুল হক, জসিম উদ্দিন রিপন, আলী আজম, মাইনুল ইসলাম চপল, নজরুল ইসলাম, মাইনুল ইসলাম, নিয়ামুল হক, অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান চৌধুরী কানন, জামাল হোসেন কাউন্সিলর। পৌর বিএনপির সভাপতি নজির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক, মিজানুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপি আহবায়ক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, যুবদল নেতা জসীম উদ্দিন, রাশেদুল হক, জালাল উদ্দিন, জিয়াউল, ছাত্রদল নেতা, সাঈদ হাসান সানি, ফুজায়েল, হৃদয়, সানি।
জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি হেফজুলবারী, জেলা বিএনপির ও যুবদল, শ্রমিক, ছাত্রদল, মহিলাদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার কাউন্সিলর ফারুক মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৯ জুলাই সোমবার দুপুর একটার দিকে জেলা শহরের ডাক বাংলো মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ফারুক মিয়া জেলা শহরের দক্ষিণ মোড়াইল এলাকার বাসিন্দা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা শহরের ডাক বাংলো মোড় এলাকা থেকে পৌর কাউন্সিলর ফারুক মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে আদাতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও নাশকতাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একটি ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটেছে। ঘরে থাকা নগদ সাড়ে তিন লাখ টাকা ও সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আজ ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের বাগানবাড়ি এলাকায় ব্যবসায়ী মোস্তাক আহমেদের ভাড়া বাসায় এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
মোস্তাক আহমেদের ছেলে সজিব আহমেদ বলেন, আমার বাবার শহরের নিউ মার্কেটে কাপড়ের দোকান আছে। আমি একটি প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজারের চাকরি করি। এছাড়া বাসায় আমার ছোট ভাই ও মা থাকেন। আমরা বাগানবাড়ি এলাকায় একটি ভবনের তিন তলার ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকি।
তিনি বলেন, বিকেলে ফ্ল্যাটের দরজায় তালা দিয়ে মাকে নিয়ে বাসার বাইরে যায় আমার ছোট ভাই। সে খেলতে চলে যায় এবং আম্মা চলে যান ডাক্তারের চেম্বারে। তারা সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে দেখেন দরজার তালা ভাঙা। ভেতরে ঢুকে দেখেন ওয়ারড্রবের ড্রয়ার সব খোলা এবং কাপড়চোপড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। তারা দেখেন আলমারির ভেতরে থাকা ডিজিটাল লকার এবং সিন্দুক ভাঙা। পরে তল্লাশি করে দেখা যায়, লকারে থাকা নগদ সাড়ে তিন লাখ টাকা ও সিন্দুকে থাকা আম্মার সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার নেই। খবর পেয়ে আমি এসে বিষয়টি পুলিশকে জানালে তাদের একটি দল আসে।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বাড়িটি একটি নির্জন এলাকায় এবং সেখানে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। আমরা বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের দাতিয়াড়ায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে একটি পিকআপ ভ্যান থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ভারতীয় মদের চালান জব্দ করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
আজ ২৯ মার্চ শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের দাতিয়ারা এলাকায় সেনাবাহিনীর সদস্য ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ এই মদ জব্দ করে। তবে জড়িতরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা যায়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোফাজজর হোসেন জানান, সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি যৌথ টিম শহরের কাউতলি এলাকায় চেকপোস্ট বসায়। এ সময় সন্দেহজনক একটি পিকআপভ্যানকে থামানোর সংকেত দেওয়া হয়। পিকআপভ্যানটি না থামিয়ে মহাসড়ক দিয়ে শহরের ভিতর দ্রুত গতিতে প্রবেশ করে। পরে এর পিছনে ধাওয়া করে দাতিয়ারা এলাকা থেকে পিকআপভ্যানটিকে আটক করা হয়। পরে পিকআপটি তল্লাশি করে ভারতীয় মদ অফিসার চয়েস ব্লু , ওল্ড মন্ক, এসি ব্ল্যাক, আইস বটকা ও ম্যাজিক মোমেন্টসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এক হাজার ৪৮০ বোতল জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক বাজার মূল্য অর্ধ কোটি টাকা।
তিনি আরো জানান, চালক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি। এ ঘটনায় সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।