চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য দুই-তিনটা রাজনৈতিক দল খুব চেষ্টা করছে। জনগণকে সেই ষড়যন্ত্র সম্বন্ধে সজাগ থাকার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের মানুষ তাদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে এবং ছিন্নভিন্ন করে দিবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকা আখাউড়ায় আজ ২ মে মঙ্গলবার দিনভর গণসংযোগ করেন। গণসংযোগকালে মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শৌনলোহঘর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের পথসভায় বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির সময় জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষকে বিনা পয়সায় ৩টি টিকা দিয়েছেন। ১ লাখ ৮৩ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছেন। গার্মেন্টস শ্রমিকদেরকে বিনা কাজে ৩ মাস বেতন দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষের টাকা পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা গৃহহীনকে গৃহ দিয়েছেন। পরে তুলাই উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের পথসভায় মন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনা থাকলেই বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে। বিএনপি জামাত থাকলে বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে সারা বিশ্বে উন্নয়নের রুল মডেল হিসাবে ধরা হয়। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আরও উন্নত হতে চাই। তাঁর পরিকল্পনা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে ২০৪১ সালে আমরা একটি উন্নত দেশ হব।
পথসভায় নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহবান জানিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আনিসুল হক বলেন, আওয়ামী লীগকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবারো বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করলে বাংলাদেশের উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে।
পথসভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান রাশেদুল কায়সার জীবন, কসবা পৌরসভার মেয়র এম.জি হাক্কানি, মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম চৌধুরী দীপক, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বাবুল, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, আতাউর রহমান নাজিম, তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সভাপতি মোঃ লুৎফুর রহমান প্রমুখ।
এর আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সকাল সাড়ে ১০টায় মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে পথসভার মাধ্যমে এসব পথসভায় তিনি এলাকার অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। বিগত ২০২০ সাল থেকে করোনা ভাইরাস অতিমারির কারণে এলাকার সংসদ সদস্য হিসেবে এলাকায় লোকজনকে দেখাশোনা করতে না পারায় তিনি দু:খ প্রকাশ করেন। দিনভর গণসংযোগ শুরু করেন। বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত তিনি মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ৯টি পথসভায় যোগদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সড়ক দুর্ঘটনায় সহকর্মীর মৃত্যুর পর কান্নায় বুক ভাসিয়েছিলেন। কুলখানিসহ আনুষঙ্গিক কাজে লাখ লাখ টাকা খরচের কথা বলেছিলেন। এবার সেই সহকর্মীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাহবুদ্দিন বেগ শাপলুর বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে নিহত রিফাতের মা পারুল আক্তার আখাউড়া পৌরসভার মেয়র বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তানজিল শাহ তচ্ছন, মো. ফয়সাল ও মো. আরিফ নামে আরও তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে ওই অভিযোগে কী পরিমাণ টাকা ‘আত্মসাৎ’ করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত লেখা হয়নি।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আখাউড়া পৌর এলাকার রাধানগরের মো. শাহ আলমের ছেলে রিফাত পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। টিঅ্যান্ডটি এলাকায় একটি জায়গা ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে মধ্যস্থতা হয় যে, লভ্যাংশের টাকা তারা সমবণ্টন করে নেবেন। কিন্তু রিফাতের মৃত্যুর পর তার টাকা না বুঝিয়ে দিয়ে টালবাহানা করা হয়। ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইব্রাহিম মিয়া সুজন এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলে তার মাধ্যমেও টাকার কথা অস্বীকার করে অভিযুক্তরা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টিঅ্যান্ডটি এলাকার একটি জায়গা বিক্রি হলে রিফাতসহ অন্যরা সমবণ্টন পাবে বলে নিজেদের মধ্যে চুক্তি হয়। এরই মধ্যে রিফাত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চিনাইরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যায়। রিফাত মারা যাওয়ার পর তার কুলখানিতে অনেক টাকা খরচ করা হয়েছে বলে প্রচার করতে থাকে ছাত্রলীগ নেতা শাপলুসহ অন্যান্যরা। এরই মধ্যে শাপলু ওই টাকা খরচের দোহাই দিয়ে চাকরির বদলির তদবির করে লাখ লাখ টাকা কামিয়ে নেয়। এসব কারণে রিফাতের কুলখানিতে টাকা খরচের বিষয়টি সামনে চলে আসে।
রিফাতের পরিবারের একাধিক সদস্য জানায়, তার একেবারে ঘনিষ্টরা নিজেরা কুলখানিতে খরচ করে। কিন্তু জায়গা বিক্রির লভ্যাংশের টাকা পরিবারের কারো কাছে দেওয়া হয়নি। এমনটি কাউন্সিলরের মাধ্যমে টাকা চাওয়া হলে তারা অস্বীকার করে। এখন পর্যন্ত তারা রিফাতের পাওনার আনুমানিক সাত-আট লাখ টাকার মধ্যে এক টাকাও দেয়নি।
এ বিষয়ে জানতে শাহবুদ্দিন বেগ শাপলুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কাউন্সিলর ইব্রাহিম মিয়া সুজন জানান, পার্টনার হিসেবে রিফাত টাকা পাওনা আছে। অনেক চেষ্টা করেও এ টাকা আদায় করা যাচ্ছে না। একজন প্রয়াত সহকর্মীর টাকা নিয়ে তারা এমন কেন করল সেটা বুঝতে পারছি না।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী প্রতিনিধিদল কোনো পরামর্শ দেয়নি বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাকে কোনো পরামর্শ দেননি, জানতে চেয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলটি আজ ১১ অক্টোবর বুধবার দুপুরের পর সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠক করে। পরে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাইবার আইন নিয়ে কথা হয়েছে। এ ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়েও কথা হয়েছে। আমি ওনাদের বলেছি, শেখ হাসিনার সরকার অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার ব্যাপারে জনগেণের কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূরর্ণ হবে। এই সরকার অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে এবং নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা বজায় রাখতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের যে আইন উপমহাদেশে নেই, এমনকি এদেশেও ৫০ বছর ছিল না, সেটি প্রণয়ন করেছি।
তিনি বলেন, তাদের মূল বক্তব্য ছিল ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মধ্যে পার্থক্য নিয়ে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে যে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে তাতে কী পরিবর্তন রয়েছে সে বিষয়ে। আমি সেই পার্থক্যের কথা তাদের অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলেছি। নির্বাচন নিয়ে তারা আমাকে কোনো পরামর্শ দেননি, জানতে চেয়েছেন। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট, জুডিসিয়ারি সম্বন্ধে জানতে চেয়েছেন। আমি জুডিসিয়ারির সম্পূর্ণ ইতিহাস তুলে ধরেছি। তারা মামলাজট সম্বন্ধে জানতে চেয়েছেন, এজন্য আমরা কী করেছি তা বলেছি।
আনিসুল হক বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য আইনের কিছু পরিবর্তন চেয়েছিল। সেই পরিবর্তনগুলো করা হয়েছে। আমি বলেছি, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই নির্বাচন সংক্রান্ত যেসব অফিস-আদালত, ডিপার্টমেন্ট রয়েছে সেগুলো নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। এই ৩টি জিনিস খেয়াল করলেই বোঝা যাবে, শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশ অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূরর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক সেটা তারা চায়।
সংলাপের বিষয়ে কিছু বলেছেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংলাপ হবে কিনা জানতে চাননি। কেউ নির্বাচনে আসবে না এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে কি-না, এটা জিজ্ঞাসা করেছেন। আমি বলেছি, শেখ হাসিনার সরকার চায় সব দল নির্বাচনে আসুক। কিন্তু কে নির্বাচনে আসবে, কে নির্বাচনে আসবে না- সেটা সেই দলের সিদ্ধান্ত।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি মৌসুমে আখাউড়ায় বাণিজ্যিকভাবে বাদাম চাষ হয়েছে। এখন জমি থেকে বাদাম তোলা শুরু করেছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে আর সঠিকভাবে পরিচর্যার কারণে এবার বাদামের ফলন ভালো হয়েছে।
জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউপির বেশ কয়েকটি গ্রামে নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে কৃষকরা বছরের পর বছর বাদম চাষ করে আসছেন। স্থানীয় বাজারে বাদামের চাহিদাও রয়েছে বেশ। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় এ ফসল চাষের প্রতি উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে। উৎপাদিত বাদাম স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পর দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এসে বাদাম কিনে নিয়ে যান।
জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৩ হেক্টর জমিতে বাদাম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ফলন বৃদ্ধিতে কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। সবচেয়ে বেশি বাদামের চাষ হয়েছে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউপির কর্মমঠ, হারকোট, মিনারকোট, ধর্মসগর, ঘাঘুটিয়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এখানকার বেশিরভাগ এলাকা উঁচু হওয়ায় জমিতে সবজি চাষ করা হতো। স্বল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় এখন চাষিরা বাদাম চাষে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বাদাম আবাদ করতে প্রতি এক বিঘা জমিতে প্রায় ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়। বিঘাপ্রতি ফলন পাওয়া যাচ্ছে ৪ থেকে ৫ মণ বাদাম। স্থানীয় বাজারে প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ৮ হাজার টাকায়।
মনিয়ন্দ ইউনিয়নের কর্মমঠ গ্রামের কৃষক মো. সোহাগ সরকার বলেন, এ গ্রামে প্রায় ৩০ বছর ধরে উচ্চ ফলনশীল দেশীয় জাতের বাদাম চাষ করছেন কৃষকরা। এ মৌসুমে ২ বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের বাদাম আবাদ করি। হালচাষ, বীজ রোপণসহ অন্যান্য খরচ হয়েছে প্রতি বিঘা প্রায় ৭ হাজার টাকা। তবে বাদাম চাষে কোনো কীটনাশক দেওয়া হয় না। এরই মধ্যে বাদাম তোলার কাজ শেষ হয়েছে। এক বিঘা জমিতে ফলন হয়েছে প্রায় ৫ মণ। স্থানীয় বাজারে প্রতি মণ বাদাম বিক্রি হচ্ছে ৮ হাজার টাকা দরে। বাদাম বিক্রি নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়তে হয় না। কুমিল্লা, ভৈরবসহ দেশের বিভিন্ন জায়গার পাইকাররা এসে বাদাম ক্রয় করে নিয়ে যায়। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে এ মৌসুমে প্রায় ৬০ লাখ টাকা আয় হবে।
কৃষক মো. মামুন বলেন, গত ১৫ বছর ধরে আবাদ করছি। চলতি মৌসুমে প্রায় দুই বিঘা জমিতে আবাদ করা হয়। এরই মধ্যে বাদাম তোলার কাজ শুরু হয়েছে। গত বছর থেকে এবার তুলনামূলক ফলন ভালো হয়েছে। গ্রামের জমি বাদাম চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় প্রতি বছর আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাদাম তোলার পর কৃষি অফিসের সহযোগিতায় পরবর্তীতে চাষাবাদ করা হবে। বাদাম বপন থেকে উৎপাদন পর্যন্ত তিন মাস সময় লাগে। বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির কারণে সময় অনেক কম লাগছে। কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন।
ইউপি সদস্য মো. হামদু মিয়া বলেন, এ বছর প্রায় ২বিঘা জমিতে বাদাম আবাদ করা হয়েছে। বাদাম মাঠ থেকে তুলে বাড়ি আনা হয়েছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার বাদামের ফলন ভালো হয়েছে।
তিনি বলেন, জায়গা উঁচু হওয়ায় ধানের ফলন তেমন ভালো হয় না। আমাদের গ্রামটি বাদামের গ্রাম হিসেবে বেশ পরিচিত লাভ করেছে। আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম বলেন, বাদাম চাষে স্থানীয় কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষণিক কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছেন। বাদাম চাষে কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় “বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’’ (এপিএ)’র আওতায় আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথি ছিলেন সৈয়দ এ মুমেন-পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ), গণযোগাযোগ অধিদপ্তর, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, ঢাকা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন মোঃ আজিজুর রহমান- সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, আখাউড়া, আবুল হোসাইন- বীর মুক্তিযুদ্ধা ও ওয়ারেন্ট অফিসার, মোছাঃ ইয়াছমিন আক্তার- প্রধান শিক্ষক, মোগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বর্তমান সময়ের জন্য মোবাইল ফোনকে অপরিহার্য আখ্যা দিয়ে প্রধান অতিথি পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের সৈয়দ এ মুমেন বলেন মোবাইল যেমন আমাদের বর্তমান প্রজন্মের জন্য প্রয়োজন তথাপি তার অধিক মাত্রা ব্যবহার মস্তিকের জন্য ব্যাপক ক্ষতির কারণ। বিশেষ করে যেসব শিশু অধিক পরিমান সময় মোবাইল ব্যবহার করে তার মানসিক ও শারীরিক বিকাশ দুটোই ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়।
প্রধান অতিথি বলেন, বহু প্রতিকূলতার শর্তেও আমাদের দেশে শতকরা ৯৭% শিশু প্রতি বছর শিক্ষা অর্জনের জন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে ভর্তি হচ্ছে যা আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন। তিনি আরো বলেন শুধু শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না তারা যাতে যথার্থ বিদ্যা অর্জনের মাধ্যমে দেশের কাজে এগিয়ে আসতে পারে তার জন্য শিক্ষকদের পাশাপাশি মায়েদের অনস্বীকার্য ভুমিকা পালন করতে হবে। আমরা বর্তমান সমাজে যে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা দেখতে পায় যেমন বাল্য বিবাহ, মাদক আসক্ত, চুরি, ডাকাত, ছিনতাই, রাহাজানি ইত্যাদি তার মুলে আছে প্রকৃত নৈতিকতা সম্পূর্ণ শিক্ষার অভাব। যদি আমরা এসব সামাজিক সমস্যার মূলোৎপাটনকরতে চায়, একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করতে চাই তাহলে নৈতিকতা সম্পূর্ণ শিক্ষার কোন বিকল্প নাই। উক্ত নারী সমাবেশে বাল্যবিবাহ ও মাদক আসক্তকে একটি সামাজিক সমস্যা হিসাবে আখ্যা দিয়ে অন্যান বক্তারা বলেন, বাল্যবিবাহ ও মাদক আসক্ত আমাদের জন্য একটি ভয়াভহ সমস্যা। এ সমস্যা দূর করার জন্য একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। একটি বাল্য বিবাহ শুধু একটি মেয়ের জীবন ধ্বংস করেন তা নয় বরং দুটি পরিবারই শেষ হয়ে যায়, ঠিক তেমনি মাদক আসক্ত ব্যক্তি পুরো সমাজের জন্য হুমকিস্বরুপ।
জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে নারী সমাবেশ সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
উক্ত নারী সমাবেশে প্রায় চার শতাধিক নারী উপস্থিত ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভুয়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় আখাউড়া ইমিগ্রেশনে আটক হয়েছেন মো. হৃদয় নূর (২২) নামে এক যুবক। ৩১ জুলাই সোমবার দুপুরে তাকে আটকের পর আখাউড়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
আটক হৃদয় নূর ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের নয়নপুরের হান্দু মিয়ার ছেলে।
আখাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম জানান, হৃদয় নূর নামে এক যুবক ক্রোয়েশিয়া যেতে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। বাংলাদেশে কোনো দূতাবাস না থাকায় সোমবার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের দিল্লিতে থাকা ক্রোয়েশিয়া দূতাবাসে যাচ্ছিলেন। এ সময় আখাউড়া ইমিগ্রেশনে তার কাগজপত্র যাচাই-বাছাইকালে হৃদয়ের পুলিশ ক্লিয়ারেন্সটি নকল বলে সন্দেহ হয়। ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন। যেহেতু তার বাড়ি সদর উপজেলায় তাই তাকে জেলা গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, আটক যুবকের মোবাইলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের সফট কপি ছিল, কোনো হার্ড কপি ছিল না। এর স্বাক্ষর সন্দেহজনক ছিল। নকল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়ায় তাকে আটক করা হয়েছে। আমরা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি এর পেছনে কে বা কোন চক্র কাজ করছে।