চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ১৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে রড, চাপাতি, রামদা, রড কাটার ব্লেডসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
আজ ২ মে মঙ্গলবার ভোরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে পুনিয়াউট প্রজেক্ট এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কাজীপাড়ার (সরকার হাটি) মোঃ ইমন মিয়া (৩০), কাজীপাড়ার সোলেমান (২২), একই এলাকার রতন মিয়া (৩০), পশ্চিম মেড্ডার প্রেম জয় (২৩), একই এলাকার মোস্তাকিম (২০),ভাদুঘর গ্রামের মোঃ জাবেদ (৩০), উত্তর মৌড়াইলের ইতিহাস মিয়া (১৮), একই এলাকার আদনান ইসলাম (২৭), একই এলাকার আল-আমিন (২০), কান্দিপাড়ার পিয়াস মিয়া (৩২), একই এলাকার মুন্না-(২০), গোকর্ণঘাট গ্রামের সুজন মিয়া-(২০), উত্তর পৈরতলার মোঃ আল-আমিন (৩৮), বিরাসার গ্রামের মোঃ রুবেল (৩০), সদর উপজেলার সুহিলপুর গ্রামের রোমান (১৯) ও হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার মনতলা গ্রামের মোঃ রাসেল (২৩)।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন বলেন, ভোরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশী অস্ত্রশস্ত্র সহ ১৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে রড, চাপাতি, রামদা, রড কাটার ব্লেডসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে পিয়াসের বিরুদ্ধে ২০টি, ইতিহাস মিয়ার বিরুদ্ধে ১৩টি, মোঃ আল আমিনের বিরুদ্ধে ১০টি, সোলেমানের বিরুদ্ধে ৮টি, রতন মিয়ার বিরুদ্ধে ৭টি, আল আমিনের বিরুদ্ধে ৬টি ও সুজন মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ২টি মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুপুরে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিহাইর গ্রামে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ একরামুল হক নাহিদ। অভিযানে বিহাইর গ্রামের একটি অবৈধ গ্যাস লাইনের নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করে ৬০০ ফুট অবৈধ পাইপ লাইন উচ্ছেদ ও ১ কিলোমিটার এলাকার গ্যাস পাইপ লাইন নিষ্ক্রিয় করাসহ ৩১টি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
জানা গেছে, নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি গোপন সূত্রে তথ্য সংগ্রহও করে আজ ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে অভিযানে যায় বাখরাবাদের আভিযানিক দল। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টানা অভিযানে ৩১ গ্রাহকের গ্যাস সংযোগ অবৈধ শনাক্ত হওয়ার পর এসব সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করা হয়।
অভিযানে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ আলম, উপব্যবস্থাপক গোলাম মুক্তাদির, উপব্যবস্থাপক সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ, সহকারী প্রকৌশলী তারিকুল ইসলাম, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপন প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও বকেয়া বিল আদায়ে আমাদের টিম ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় বড় কয়েকটি অবৈধ গ্যাস লাইনের নেটওয়ার্ক আমরা উচ্ছেদ করেছি। অভিযানের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া টি এ রোডে অবস্থিত ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসা ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র ১৪৪৫/৪৬ হিজরি শিক্ষাবর্ষের সবক অনুষ্ঠান উপলক্ষে আজ ৬ মে সোমবার বাদ মাগরিব মাদরাসা মিলনায়তনে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আল্লামা মুফতী মুবারকুল্লাহ।
ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিচালক মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান এর পরিচালনায় উক্ত দোয়া মাহফিলে আমন্ত্রিত উলামায়ে কেরামদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামীম মাওলানা আখতারুজ্জামান, ফখরে বাঙ্গাল আল্লামা তাজুল ইসলাম (রহ:) এর সাহেবজাদা হাফেজ অলি উল্লাহ, জামিয়া কোরআনিয়া সৈয়দা সৈয়দুন্নেছা ও কারিগরি শিক্ষালয়ের পরিচালক হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ ইদ্রিছ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, মুফতী মারুফ কাসেমী, মুফতী শরিফ উদ্দিন আফতাবী, মুফতী আব্দুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা বোরহান উদ্দিন আল মতিন, ফখরে বাঙ্গাল (রহ)’র দৌহিত্র মুফতী রাকিবুল হাসান তাজ, কারী হোসাইন আহমদ প্রমুখ।
ফখরে বাঙ্গাল আল্লামা তাজুল ইসলাম (রহঃ) ‘র নামে ” ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসা”র সবক অনুষ্ঠানে আল্লামা মুফতী মুবারকুল্লাহ বলেন, শুধুমাত্র দেহ থাকলেই একজনকে মানুষ বলা যাবে না, মানুষ হওয়ার জন্য প্রয়োজন শিক্ষা। আর ঐ শিক্ষা-ই একজন মানুষকে পরিপূর্ণ মানুষ গড়তে সহায়তা করে যে শিক্ষা আল্লাহ প্রদত্ত, অর্থাৎ এলমে ওহী তথা কুরআনী শিক্ষা।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষাকে জাতির মেরুদণ্ড বলা হয়, তবে সে শিক্ষা হলো কুরআনের শিক্ষা। কুরআনের শিক্ষা ছাড়া অন্যান্য শিক্ষা একজন মানুষের জন্য মেরুদণ্ড না হয়ে মৃত্যুদন্ড হয়ে দাঁড়ায়।
মুফতী মুবারকুল্লাহ ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসা থেকে যেন উম্মতের আগামী প্রজন্মের পথপ্রদর্শক তৈরি হয়ে দেশ জাতি মুসলিম মিল্লাতের ঈমাণ আমলের হেফাজতে ভূমিকা পালন করতে পারে সেদিক খেয়াল রেখেই ছাত্রদের লেখাপড়ার পাশাপাশি আমল আখলাকের প্রতি সচেতন থাকার জন্য মাদরাসার দায়িত্বশীলদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
এলেম আমল ও উন্নত চরিত্র গঠনের মাধ্যমে আদর্শ ও সুনাগরিক তৈরি করতে ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে অন্যান্য অতিথিবৃন্দগণ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পরিশেষে মাদরাসার উন্নতি কল্পে মহান রাব্বুল আলামিনের নিকট বিশেষ দোয়া করা হয়।
উক্ত দোয়া মাহফিলে উলামায়ে কেরাম, সাংবাদিকবৃন্দ সহ শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের আয়োজনে ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে জেলা পর্যায়ে দুর্নীতি বিরোধী রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৯ মে রবিবার সকালে শহরের সাবেরা সোবহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ ইকরামুল নাহিদ।
জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি কবি আবদুল মান্নান সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জুলফিকার হোসেন, সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার জীবন ভট্টাচার্য, অধ্যাপক মানবর্ধন পাল, সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বদিউজ্জামান, জেলা দুনীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আরজু।
দুর্নীতি বিরোধী রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগীতায় সরকারি ও বেসরকারী ১২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। বিতর্ক প্রতিযোগীতায় গভর্ণমেন্ট মডেল গার্লস হাই স্কুল চ্যাম্পিয়ন ও অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় রানার আপ হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রেলপথে চলাচলরত আন্তঃনগর ‘কালনী এক্সপ্রেস’ ট্রেন শিগগিরই যাত্রাবিরতি করবে। ১৫ জানুয়ারি বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম এ তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলামও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, ‘কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন থামানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তা কার্যকর হবে।’
ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু, চট্টগ্রাম-জামালপুর-চট্টগ্রাম রুটের ‘বিজয় এক্সপ্রেস’ ও ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটের ‘কালনী এক্সপ্রেস’-এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি এবং বিদ্যমান ট্রেনসমূহের আসন সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি দীর্ঘদিন ধরে জানানো হচ্ছিল। এ বিষয়ে জেলা নাগরিক ফোরাম গত কয়েক বছর ধরে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে।
আরও পড়ুন
কৃষিজমি থেকে মাটি কাটার দায়ে দুইজনকে জেল-জরিমানা
বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম এ ব্যাপারে গেল বছরের ২ অক্টোবর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে একটি চিঠি দেন, যাতে জেলার ট্রেন যাত্রীদের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরা হয়। জেলা প্রশাসকের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট রেল যোগাযোগের সংযোগস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে মাত্রাতিরিক্ত যাত্রীদের ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। ট্রেনের আসন সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় যাত্রীরা দাঁড়িয়ে বা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেল ভ্রমণ করছেন। ভীড়ের কারণে টিকেটধারী যাত্রীরা নির্ধারিত বিরতির সময়ে ট্রেনে উঠতে পারছেন না এবং ট্রেনে ওঠার জন্য নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। এছাড়া ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কাজ চলমান থাকায় যানজটে চরম দুর্দশার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী ট্রেনকেই তাদের প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে।
ওই চিঠি দেওয়ার পরও জেলা প্রশাসক তার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। সর্বশেষ গত ১২ জানুয়ারি রেল সচিবের সাথে টেলিফোনে কথা বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেলযাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি তুলে ধরেন। এরপর দ্রুতই রেল সচিব এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেন।
আরও পড়ুন
আখাউড়ায় জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত
এর আগে ২০২৩ সালের মার্চে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো জেলা প্রশাসনের পাক্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির বিষয়টি উঠে আসে। ২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে রেল সচিবকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনার এক বছর পার হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে জেলা নাগরিক ফোরাম তাদের রেল যাত্রাবিরতির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকে। ২০২৩ সালের ১৫ জুন এবং ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রেলওয়ে সচিব বরাবর স্মারকলিপি দেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরাম।
আরও পড়ুন
জমিতে সেচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য বলেন, আমরা প্রায় পাঁচ বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি, তবে তেমন কোনো সুফল পাইনি। শুনতে পেলাম রেল মন্ত্রণালয় আমাদের দাবির আংশিক পূরণ করেছে। কালনী এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতি হবে, এটি আমাদের জন্য একটি সুসংবাদ। তবে আমাদের মূল দাবি হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে একটি স্পেশাল ট্রেন চালু করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সারাদেশের ন্যায় একযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপজেলা পর্যায়ের মাস্টার ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে গভ: মডেল গার্লস হাইস্কুলে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
চলতি বছর থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় আগামী বছর থেকে অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম চালু হচ্ছে।
“ডিসিমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম” শীর্ষক স্কিমের আওতায় উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯ টি উপজেলা এবং কুমিল্লা জেলার হোমনা, ব্রাহ্মণপাড়া ও মুরাদনগর এই ৩ টি উপজেলার মোট ৩৯৬জন প্রশিক্ষণার্থী উক্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহন করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিক্ষা অফিসার মো: জুলফিকার হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ এস এম শফিউল্লাহ। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিক্ষা অফিসের ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর মার্জিয়া রিংকু, জেলা প্রোগ্রামার জিসান আহমেদসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ ও প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা পর্যায়ে গণিত বিষয়ে নির্বাচিত মাস্টার ট্রেইনার ও হাজী আব্দুল কুদ্দুছ স্কুল এন্ড কলেজের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও উলচাপাড়া মালেকা-ছাহেব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনসহ জেলা পর্যায়ে বিষয়ভিত্তিক নির্বাচিত মাস্টার ট্রেইনারগণ উক্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
আগামী ৮ নভেম্বর উক্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সমাপ্ত হবে এবং আগামী ডিসেম্বরের ভেতরে উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকগণকে অষ্টম ও নবম শ্রেণির নতুন কারিকুলাম বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে বলে জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে।