চলারপথে রিপোর্ট :
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর রমনা মডেল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আত্মসমর্পণের পর জামিন পেয়েছেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। আজ ৩ মে বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলা পরিচালনা করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।
এদিন আসামি মতিউর রহমান আদালতে উপস্থিত হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন আবেদন দাখিলের অনুমতি দেন আদালত। একই সঙ্গে আগামী ১৬ আগষ্ট জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। পাশাপাশি ওইদিন পর্যন্ত হাইকোর্টের দেওয়া তার জামিন বহাল রাখেন বিচারক। এর আগে এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছিলেন তিনি।
গত ২৯ মার্চ রাজধানীর রমনা মডেল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আইনজীবী মশিউর মালেক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গ্রেপ্তারের পর ৩০ মার্চ শামসুজ্জামান শামসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর গত ১৩ এপ্রিল তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
চলারপথে রিপোর্ট :
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে মাদ্রাসা পড়ুয়া দুই ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৫ জুন বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার ঘোঁষগাও ইউনিয়নের পূর্ব জরিপাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো একই এলাকার জ্যুতি মিয়ার মেয়ে লাবীবা (৮) এবং ওমেদ আলীর মেয়ে মুর্শিদা আক্তার (১২)। উভয়েই স্থানীয় ঘোঁষগাও বকুলতলা মহিলা মাদরাসার ছাত্রী ছিল। ঘটনার সততা নিশ্চিত করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকালে মাদরাসা ছুটি হওয়ার পর বাড়ি ফেরার পথে রহিম উদ্দিনের বাড়ি সংলগ্ন স্থানে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে আহতবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করে। দুই ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
হাইকোর্টের স্বাক্ষর ও সিল জাল করে ভুয়া জামিন আদেশ তৈরি করে প্রতারণার অভিযোগে রংপুর আদালতের এক মোহরারসহ দুই প্রতারককে গ্রেফতার করেছে রংপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই।
আজ ২৩ আগস্ট বুধবার বিকালে রংপুর নগরীর কেরানীপাড়া অবস্থিত পিবিআই কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন রংপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন।
পুলিশ সুপার জানান, রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামি কারাগারে আটক আব্দুল মুমিনকে হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তির ব্যবস্থা করে দেবে বলে চুক্তি করে রংপুর আদালতের মোহরার আবুল হোসেন। সে অনুযায়ী হাইকোর্টের আইনবীবী আল আমিনের সহকারী ওয়াহেদুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করে আবুল হোসেন মুহুরি। এরপর আবুল হোসেন জামিন করার জন্য মামলার এজাহার, বাদীর অভিযোগসহ অন্যান্য কাগজপত্র জাল করে হাইকোর্টে ক্রিমিনাল মিস কেস নম্বর ৯৯/২০২৩ নম্বর কাগজপত্র প্রেরণ করলে ওই আইনজীবী তার জামিনের ব্যবস্থা করে দেন। কিন্তু পরবর্তীতে আবুল হোসেন মোহরারের দাখিল করা কাগজপত্র পরীক্ষা করে হাইকোর্ট দেখতে পান দাখিল করা কাগজপত্র জাল। আদালত নারী নির্যাতন মামলার আসামি মুনিমের জামিন বাতিল করে ঢাকার শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করে। সেই সাথে মামলাটি তদন্তের জন্য রংপুর পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
পুলিশ সুপার জাকির হোসেন জানান, আদালতের আদেশ পাবার পর পিবিআই বুধবার পীরগাছা উপজেলার ধনিরবাজারে আত্মগোপনে থাকা আসামি আবুল হোসেন মোহরার ও তার সহযোগী মোক্তার হোসেনকে গ্রেফতার করে। সেই সাথে জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার স্ক্যানার ও প্রিন্টারসহ অন্যান্য মালামাল জব্দ করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ের বাইরে গুলির ঘটনা ঘটেছে। আজ ১১ আগস্ট রবিবার সকালে এ ঘটনার সময় ২০১৭ সালের আগে ব্যাংকে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং এর পরে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন গুলিতে। গুরুতর একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ইসলামী ব্যাংকের সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২০১৭ সালের পর নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা–কর্মচারীদের ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে আজ রবিবার সকালে পুরোনো কর্মীরা ঘোষণা দেন। ওই বছরের পরে নিয়োগ পাওয়া বেশির ভাগ কর্মীই চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার, সে কারণে তাঁরা পটিয়ার কর্মকর্তা–কর্মচারী হিসেবে পরিচিত। পুরোনো কর্মীদের ঘোষণার পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পটিয়ার কর্মীরা আশপাশে জড়ো হয়ে ব্যাংকের দিকে রওনা দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এরপর পুরোনো কর্মীরা পটিয়ার কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলি ছোড়া হলে কয়েকজন আহত হন। এদের মধ্যে একজন গুরুতর আহত হলে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ইসলামী ব্যাংকের পুরোনো কর্মীরা গুলি ছোড়ার জন্য পটিয়ার কর্মকর্তা–কর্মচারীদের দায়ী করেন।
গুলিবিদ্ধরা হলেন শফিউল্লাহ, আবদুল্লাহ আল মামুন, আবদুর রহমান ও বাকিবিল্লাহ। দুই জনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তাঁরা বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই ইসলামী ব্যাংকে অস্থিরতা বিরাজ করছে। সরকারের পতনের পরের দিনই ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে, যেখানে ঘোষণা করা হয়েছিল যে ২০১৭ সালের পর নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা–কর্মচারীদের ব্যাংকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সে সময় প্রধান কার্যালয়ে অবস্থিত মুজিব কর্নারও ভাঙচুর করা হয়।
ওই ঘটনার পর ব্যাংকের সিবিএ নেতা আনিসুর রহমান জানান, ২০১৭ সালের পরে যত নির্বাহী এসেছেন, তাঁরা আর ব্যাংকে ঢুকতে পারবেন না। তিনি বলেন, ২০১৭ সালের পর থেকে পরীক্ষা ছাড়া অনিয়মের মাধ্যমে যেসব নিয়োগ হয়েছে, সেসব নিয়োগ বাতিল করা হবে। একই সাথে ওই সময়ের পরে যাঁদের চাকরি অবৈধভাবে বাতিল করা হয়েছে, তাঁদের চাকরি পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া গত সাত বছরে যাঁরা পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন, তাঁদের যথাযথভাবে পদোন্নতি দেওয়া হবে।
২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয় চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ। এরপর ব্যাংকে প্রায় ১৪ হাজার কর্মকর্তা–কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়, যাঁদের বেশির ভাগই পটিয়া উপজেলার বলে জানা গেছে। এস আলম গ্রুপের মালিকদের আদি বাস ওই একই অঞ্চলে। ২০১৭ সালের আগে ব্যাংকে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা–কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় আট হাজার।
ইসলামী ব্যাংকের মালিকানা পরিবর্তনের পর এস আলম গ্রুপ ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ বের করে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এই অর্থ ব্যাংকে ফেরত না আসার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকে থাকা ইসলামী ব্যাংকের চলতি হিসাবে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিশেষ ব্যবস্থায় টাকা ধার দিয়ে ব্যাংকটির দৈনন্দিন কার্যক্রম স্বাভাবিক রেখেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামী ব্যাংকের এসইভিপি শওকত আলী বলেন, ‘গতকাল জানতে পারি এস আলমের বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তা–কর্মচারী, যারা ব্যাংকটিকে লুটপাট করেছে, তারা তাদের লোকদের ব্যাংকে বসাবে। এ তথ্য পেয়ে আমরা ব্যাংকের সামনে অবস্থান নিই, যাতে তারা ব্যাংকে ঢুকতে না পারে। একপর্যায়ে এস আলমের লোকজন সিটি সেন্টারে অবস্থান নেয়।’
‘বৈষম্যবিরোধী ব্যাংকাররা’ সে সময় প্রতিরোধ করলে এস আলমের পক্ষের লোকজন পালিয়ে যান বলে জানান ইসলামী ব্যাংকের এই কর্মকর্তা।
এদিকে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনিরুল মওলা ব্যাংকে যাননি। পুরোনো কর্মকর্তা–কর্মচারীদের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, মুনিরুল মওলা ব্যাংকে ঢুকতে চাইলে তাঁকেও বাধা দেওয়া হবে।
কর্মকর্তারা ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠনের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ‘লুটেরাদের’ বের করে দেওয়ার দাবি জানান। পাশাপাশি তাঁরা ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনিরুল মওলা, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাউসার আলী, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আকিজ উদ্দিন, মিফতাহ উদ্দিনসহ এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর ব্যাংকে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের বহিষ্কারের দাবি জানান।
দুপুর পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। প্রধান কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় ব্যাংকের কর্মচারীরা মিছিল করছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
রংপুরে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় হাফেজদের সর্ববৃহৎ মিলনমেলা জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ‘কুরআনের নূর পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা’ রংপুর বিভাগের আটটি জেলার প্রতিযোগীদের নিয়ে বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩ ডিসেম্বর রবিবার সকালে নগরীর সিও বাজার মাদরাসাতুল হুফফাজ, কেল্লাবন্দ আদর্শ বহুমুখী দাখিল মাদ্রাসা মাঠে কুরআনের নূরের এ বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠান চলবে বাচাই পর্বের শেষ পর্যন্ত।
কুরআনের পাখিদের ভিড়ে মিলনমেলায় পরিণত হয় মাদরাসা মাঠের অনুষ্ঠানস্থল।
প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে খুদে হাফেজরা ছুটে আসে রংপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।
প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে খুদে হাফেজরা ছুটে আসে রংপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।
আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন বিষয়ক মেগারিয়ালিটি শো ও প্রতিযোগিতা ‘কুরআনের নূর পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা গ্রুপ’-এর প্রথম বাছাই পর্ব আসর শুরু হয় সকালে। এবার এ প্রতিযোগিতা জাতীয় পর্যায়ের পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবেও পরিচালিত হবে।
প্রতিযোগিতায় হাফেজ ও মাওলানাসহ প্রায় ৬০০ উপস্থিত হয়েছে। এর মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করে প্রায় সাড়ে ৩০০ জন হাফেজ। তাদের মধ্য থেকে ১০ জনকে বাছাই করা হয়। এই ১০ জন প্রতিযোগী ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেবে।
জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ীরা অংশ নেবে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়।
দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতায় এ আয়োজনে দেশসেরা অনূর্ধ্ব-১৬ বছর বয়সী পবিত্র কুরআনের হাফেজদের সম্মাননা ও পুরস্কার দেওয়া হবে। জাতীয় পর্যায়ে পুরো দেশের অনূর্ধ্ব-১৬ বছর বয়সী ৩০ পারা কুরআনের হাফেজরা অংশ নিতে পারবে।
প্রতিটি জোন থেকে মূল্যায়িত সেরা হাফেজরা ইয়েস কার্ড প্রাপ্তির মাধ্যমে দ্বিতীয় রাউন্ডে অংশ নেবে। এরপর তাদের নিয়ে শুরু হবে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা।
দেশবরেণ্য ইসলামিক স্কলার ও অভিজ্ঞ হাফেজদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারকমণ্ডলী তাদের মধ্য থেকে আটজন হাফেজকে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করবেন।
এবারের কুরআনের নূর প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ের প্রথম বিজয়ী পাবে ১০ লাখ টাকা ও সম্মাননা। দ্বিতীয় বিজয়ী পাবে সাত লাখ টাকা ও সম্মাননা। তৃতীয় পুরস্কার পাঁচ লাখ টাকা ও সম্মাননা। চতুর্থ ও পঞ্চম পুরস্কার দুই লাখ টাকা করে এবং সম্মাননা। এ ছাড়া ষষ্ঠ থেকে অষ্টম স্থান অর্জনকারী বাকি তিনজন পাবে এক লাখ টাকা করে আর্থিক পুরস্কার ও সম্মাননা। এবারও জাতীয় পর্যায়ের আট বিজয়ী, তাদের পরিবার ও ওস্তাদকে ওমরাহ পালন করতে পারবে।
আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা-২০২৪-এর প্রথম বিজয়ী পাবে ১৫ লাখ টাকা ও সম্মাননা। দ্বিতীয় বিজয়ী পাবে ১০ লাখ টাকা ও সম্মাননা এবং তৃতীয় বিজয়ী পাবে পাঁচ লাখ টাকা ও সম্মাননা।
কুরআনের শ্রেষ্ঠ হাফেজদের সম্মাননা ও আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করবে বসুন্ধরা গ্রুপ।
এ অনুষ্ঠানে প্রথম পর্যায়ে স্থানীয় বিচারক হিসেবে হাফেজ মাওলানা আতিকুর রহমান, হাফেজ মাওলানা ক্বারী ইউনুস, মাওলানা শাহজাহান আলী, হাফেজ মাওলানা আব্দুল হাকিম উপস্থিত ছিলেন।
বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে নিবেদন করা হচ্ছে ‘কুরআনের নূর’। এই আয়োজনের মাধ্যমে কুরআনের শ্রেষ্ঠ হাফেজদের সম্মাননা ও আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করবে বসুন্ধরা গ্রুপ। বরাবরই আন্তরিকতার সঙ্গে দেশের কুরআনে হাফেজদের পাশে থেকেছে বসুন্ধরা গ্রুপ।
এই অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় পর্যায়ে বিচারক ছিলেন হাফেজ মাওলানা কারী নুরুদ্দিন আহমেদ, হাফেজ মাওলানা কারী মিজানুর রহমান, হাফেজ মাওলানা কারী শাহাদাত হোসাইন, হাফেজ মাওলানা ওয়াহিদুজ্জামান।
আরো উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র পেস ইমাম বায়তুল মোকাররমের মুক্তি মিজানুর রহমান ও নাজমুল হুদা সমাজ কল্যাণ সম্পাদক, বায়তুল মোকারম জাতীয় মসজিদ মসুল্লি কমিটি।
অনলাইন ডেস্ক :
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোকে জঙ্গিবাদী কাজ হিসেবে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জামায়াত-শিবির, বিএনপির জঙ্গিরা আজকে আমাদের ওপর থাবা দিয়েছে।’
২৯ জুলাই সোমবার বিকালে গণভবনে ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখানে ওই শিবির, ছাত্রদল, বিএনপি-জামায়াত; এরাই কিন্তু এবং জঙ্গি… এই জঙ্গিরাই কিন্তু আজকে আমাদের ওপর থাবা দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যে ঘটনাগুলো ঘটছে, আসলে এটা কোনো রাজনৈতিক কিছু না। এটা সম্পূর্ণ জঙ্গিবাদী কাজ। একেবারে জঙ্গিবাদী কাজ।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এদের উদ্দেশ্যটা এখন বোঝা যাচ্ছে যে, কোটা কোনো ইস্যু না। একে একে যে কয়টা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের সেবা দেয়, যে কয়টা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নত করে, সেটাই ধ্বংস করা। অর্থাৎ বাংলাদেশটাকেই যেন ধ্বংস করে ফেলা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়েছে, উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ আজকে বিশ্বব্যাপী একটা মর্যাদার আসন পেয়ে গেছে। বাংলাদেশের নাম শুনলে সবাই সমীহ করে চলে। সবাই সম্মানের চোখে দেখে। একটা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশকে আমরা তুলে আনতে সক্ষম হয়েছি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে, অবকাঠামোগত উন্নয়নের মধ্য দিয়ে।’