চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে জুমার নামাজে লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে কিলঘুষিতে সিজল মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ ৫ মে শুক্রবার জুমার নামাজের সময় পৌর এলাকার আলমনগরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সিজল মিয়া ওই এলাকার মৃত মমতাজ মিয়ার ছেলে। নবীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, একই এলাকার শাহ আলম ও সিজল মিয়ার মধ্যে পূর্ব বিরোধ ছিল। শুক্রবার জুমার নামাজের সময় লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও কিলঘুষি দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে সিজল মিয়া নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৭ ডিসেম্বর শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলায় কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেহপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বিকালে লাউর ফতেহপুর ঈদগাহ মাঠে হাজার হাজার কৃষক ও দলীয় নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।
সমাবেশে ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি মো. বোরহান উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাবুল এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা বিভাগীয় কৃষকদলের উপকমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক কে.এম.মামুনুর অর রশিদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সদস্য মো. সাইফুল হক, উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক জহিরুল হক জরু, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মমিনুল ইসলাম পলাশ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক, পৌর কৃষক দলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, শিবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হোসেন আহমেদ, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এমএ কাহার সরকার, ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. বানু মিয়াসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী নবীনগর উপজেলার প্রতিটি গ্রামে কৃষি বিপ্লব ঘটিয়ে দেশকে সমৃদ্ধ করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান এবং কেন্দ্রীয় কৃষক নেতা কেএম মামুনুর রশীদকে সুন্দর উদ্যোগ সফল করতে অর্থ ও শ্রম দিয়ে সহায়তা করার জন্য ধন্যবাদ জানান। এসময় বিভিন্ন কৃষক বিগত সরকারের আমলে কৃষি পণ্য বিপণন ও বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের শেষ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। উপজেলাগুলো হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ ও নবীনগর উপজেলা পরিষদ।
তিন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন ও মহিলা-ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিন উপজেলায় ৩৬৬ টি কেন্দ্রে ১০ লাখ ৬৪ হাজার ১১৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রদান করবেন।
একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা। এই উপজেলায় মোট ৪ লাখ ১৯ হাজার ৫৪১ জন ভোটার ১৩২টি ভোট কেন্দ্রে তাদের ভোটধিকার প্রদান করবেন। সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৭ জন ও মহিলা ভাইস- চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত বিজয়নগর উপজেলা। এই উপজেলায় মোট ২ লাখ ১০ হাজার ৫৩৮ জন ভোটার ৭৮টি কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রদান করবেন। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
১টি পৌরসভা ও ২১টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত নবীনগর উপজেলা। এই উপজেলায় মোট ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৩৫ জন ভোটার ১৫৬ টি ভোট কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রদান করবেন। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ইতিমধ্যেই ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তিন উপজেলার ৩৬৬ টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। স্ব-স্ব উপজেলার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন থেকে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ সময় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে তিন উপজেলার ৩৬৬ টি ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছে ব্যালট বাক্স, সীলসহ নির্বাচনী সরাঞ্জাম বুঝিয়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সদর উপজেলার ১৩২ টি কেন্দ্রের মালামাল দুপুর ১২ টার পর থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌছে দেয়া হয়েছে। ১৩২টি কেন্দ্রের ব্যালট পেপার বুধবার ভোরে পৌঁছে দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় ১৭৬৫ জন পুলিশ, ৫৫জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবং তিনজন জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট ও র্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রতিবাদের সুরে মাদক থাকবে দূরে, এখনই সময় শপথ নেওয়ার, মাদক মুক্ত সমাজ গড়ার” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে নবীনগরে মাদকমুক্ত নবীনগর চাই সংগঠনের নাটঘর উচ্চ বিদ্যালয় শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন আজ ১৩ মার্চ সোমবার বিদ্যালয়ের হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল্লাহ-র সভাপতিত্বে ও মাদক মুক্ত নবীনগর চাই নাটঘর ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক রুবেলের সঞ্চালণায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন-মাদকমুক্ত নবীনগর চাই কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবু কাউছার, অত্র বিদ্যালয়ের হেড মাওঃ দেলোয়ার হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাদক মুক্ত নবীনগর চাই নাটঘর ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক নাইমুল ইসলাম।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন,জরু মিয়া সর্দার, হাজী জমির আলী সর্দার, ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. হুমায়ুন কবির, অত্র বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক বাবু কেশবচন্দ্র আচার্য্য, সিনিয়র শিক্ষিকা সাজেদা বেগম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা শেষে ঐশী রানী আচার্য্যকে সভাপতি ও পারভেজ আহমেদ কে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।
আগামী এক মাসের মধ্যে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পরামর্শে ক্রমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
দাঙ্গা-হাঙ্গামার নিরসন ও শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক কাজ করছেন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি গভীর রাতে নিজ হাতে ত্রাণের খাদ্যসামগ্রী নিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামের অসহায় মায়ের দ্বারে দ্বারে যান তিনি।
নবীনগরের দাঙ্গা-হাঙ্গামা নিরসনে কাজ করেন ইউএনও মো. একরামুল সিদ্দিক। যোগদানের পর থেকে তিনি এসব সমস্যার সমাধানে নানামুখী তৎপরতা চালান। কিভাবে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনা যায় সে লক্ষ্যে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেন সরকারি এই কর্মকর্তা। এ বিষয়ে কথা বলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুলের সঙ্গে, নেন তার পরামর্শ। স্থানীয় রাজনীতিবিদ, গণ্যমান্য ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের সহযোগিতায় গত দুই বছরে অন্তত ১৫টি দাঙ্গা-হাঙ্গামার ঘটনা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করেছেন ইউএনও।
ইউএনও একরামুল সিদ্দিক শুধু যে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ঠেকানোতেই মনোযোগ দিয়েছেন তা নয়। উপজেলার শিক্ষার মান বাড়াতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে গিয়ে নিজে ক্লাস নেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেন। তাদের পড়াশোনার মান সম্পর্কে ধারণা নেন এবং তিনি তাদের পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান করেন। সামাজিক রীতিনীতি, নৈতিকতাবোধ নিয়েও ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দেন।
নবীনগর উপজেলা বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, ইউএনও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান; তাই তার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রয়েছে। করোনা মহামারি মতো ভয়াল রাতেও নিজের জীবন বাজী রেখে অসহায় গরিব-দুঃখী মানুষের চিন্তায় প্রত্যন্ত গ্রামে ছুটে গেছেন। তিনি দরিদ্র মানুষের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।
নাটঘর ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন জানান, তিনি যোগদানের পর থেকে সমস্ত সেক্টরে স্বচ্ছতা ফিরে এসেছে।
ইউএনও একরামুল সিদ্দিক বলেন, আমি সরকারের একজন প্রতিনিধি হিসেবে এই উপজেলায় দায়িত্ব পালন করতে এসেছিমাত্র। সবার সহযোগিতা পেলে নবীনগর উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কল্যাণে যা যা করার প্রয়োজন সেটি করার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরের বড়াইল ইউনিয়নের খারঘর গ্রামে ১৯৭১ সালে ১০ অক্টোবর পাক হানাদার বাহিনী মহান মুক্তিযোদ্ধে ৪৩ জনকে একসাথে নির্মমভাবে হত্যার ৫৪তম দিবস উপলক্ষ্যে এক স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আজ ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলার ১নং বড়াইল ইউনিয়নের খারঘর গ্রামের আত্নদানকারী শহীদদের স্মরণে গণকবর সংরক্ষণ ও বাস্তায়ন কমিটি আয়োজনে পাগলা নদীর তীরে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের ৭১ স্মৃতিসৌধ এবং খারঘর গণকবর জামে মসজিদ ও মাদরাসার সামনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহ্ফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।
খারঘর গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্টানে খারঘর গণকবর সংরক্ষণ ও বাস্তায়ন কমিটি সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ ইমরুল কায়েস সুমনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম।
গণকবর সংরক্ষণ ও বাস্তায়ন কমিটি সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ জীবনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশেষ অতিথি বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর ডা. আসাদুজ্জামান রিফাত, নবীনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু মুছা, নবীনগর থানা কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) সজল কান্তি দাস,নবীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি এডভোকেট রেজাউল করিম সবুজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মোখলেছুর রহমান, খারঘর যুদ্ধে যুদ্ধাহত রিনা বেগম,সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, রজব আলী মোল্লা, বড়াইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবুল বাশার, বড়াইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির উদ্দীন মীর, বড়াইল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী কর্তৃক গণহত্যার শিকার বাংলাদেশে যতগুলো গণকবর রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম খারঘর গণকবর। এটি বড়াইল ইউনিয়নের খারঘর গ্রামের স্বাধীনতা যুদ্ধের ঐতিহ্যবাহী জায়গা। এই জায়গাটি স্বাধীনতা পরবর্তী অনেকেই ক্ষমতায় এসেছে কিন্তু উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে গঠিত সরকার কাছে এই এলাকা মুক্তিযোদ্ধা ও তরণ প্রজন্মের ও খারঘর গণকবর সংরক্ষণ কমিটির দাবি একটি গণকবর কমপ্লেক্স নির্মাণ ও অবহেলিত ৪৩ জন শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন করা।
বক্তারা আরো বলেন, খারঘর অনেক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার রয়েছে যাদের পরিবারের সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করতে গিয়ে শহীদ ও আহত হয়েছেন। সেই শহীদ ও আহত পরিবার সদস্যদের প্রতি সরকারের মানবিক দৃষ্টি ও সহযোগিতা কামনা করেন।