মেশিনে আটকা পড়ে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু
অনলাইন ডেস্ক :
মালয়েশিয়ার জালান কেমুনিংয়ে একটি কারখানায় কাজের সময় মেশিনে আটকে সুরুজ আলী (২১) নামে এক বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ৬ মে শনিবার সকাল ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দ্যা স্ট্রেইট টাইমস।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির সেলাঙ্গর ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্ট অপারেশন সেন্টারের প্রধান জুলফিকার জাফর।
তিনি বলেন, সকাল ৭টা ৬ মিনিটে আমাদের কাছে একটি দুর্ঘটনার খবর আসে। এরপরই ঘটনাস্থলে ১০ জন দমকলকর্মী এবং কর্মকর্তাদের একটি দল পাঠানো হয়।
প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিস জানায়, কাজের সময় ফাইবার টানানোর মেশিনে আটকে পড়েছিল ওই শ্রমিক। জখম গুরুতর হওয়ায় ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। নিহত বাংলাদেশিকে ওই মেশিন থেকে বের করতে প্রায় ১০ মিনিটের মতো সময় লাগে।
এক বিবৃতিতে দেশটির প্রশাসন জানিয়েছে, বাংলাদেশি ওই শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তার মৃত্যু নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি মেডিকেল টিম। পরবর্তীতে ওই ব্যক্তির দেহাবশেষ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ইস্যুতে সৌদি আরবের অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে দাবি করেছেন, তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে রিয়াদ। এক বিবৃতিতে সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রশ্নে সৌদির অবস্থান আগের মতোই আছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদেনে এমন খবর জানিয়েছে।
ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাৎ করতে গতকাল ওয়াশিংটন গিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ওভাল অফিসে ট্রাম্পের সাথে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শুরুর আগে ওভাল অফিসেই এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলন করেন দুই দেশের সরকারপ্রধান।
সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রসঙ্গ তোলা হয়। এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, সৌদি যদি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র দাবি করে, সেক্ষেত্রে ট্রাম্প কী করবেন।
জবাবে ট্রাম্প বলেন, না, তারা দাবি করবেন না। কারণ সবাই একটি ব্যাপারই চায়- শান্তি।
নিকট ভবিষ্যতে সৌদির সাথে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে- এমন ইঙ্গিত দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ইসরায়েলের জন্য আমাদের একজন সঠিক নেতা রয়েছেন। তিনিও শান্তি চান।
ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিবৃতি দিয়ে এ ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ইস্যুতে সৌদির যে অবস্থান, তা দৃঢ় এবং অবিচল। কোনো অবস্থাতেই এর পরিবর্তন ঘটবে না।
“মহামান্য ক্রাউন প্রিন্স এবং সৌদির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুলাজিজ আল সৌদ ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর শুরা কাউন্সিলের অধিবেশনে দেয়া ভাষণে পরিষ্কার ও দ্ব্যর্থহীনভাবে এ ইস্যুতে দেশের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। পরে গত ১১ নভেম্বর আরব-ইসলামিক সম্মেলনেও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ইস্যুতে সৌদি আরবের প্রতিশ্রুত অবস্থান ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, ১৯৬৭ সালে নির্ধারিত সীমান্তের ভিত্তিতে ফিলিস্তিনকে ইসরায়েলের দখলমুক্ত করতে হবে। তাই এ ইস্যুতে সৌদি আরবের অবস্থান অটল এবং কোনোভাবেই এখানে আপোস হবে না। আন্তর্জাতিক রেজোল্যুশন মেনে ফিলিস্তিনের জনগণের বৈধ অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়া না হলে কোনোভাবেই মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপন সম্ভব নয়।
অনলাইন ডেস্ক :
কক্সবাজার-টেকনাফের বঙ্গোপসাগর ও নাফ নদীর সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে একের পর এক অর্ধগলিত মৃতদেহ ভেসে আসছে।
আজ ১৬ জুন শুক্রবার সকালে সেন্টমার্টির ইউপিরস্থ দক্ষিণ পাড়া এলাকায় জোয়ারের পানিতে ভেসে এলো অর্ধগলিত আরেকটি মরদেহ। বিষয়টি ‘যায়যায়দিনকে নিশ্চিত করেন স্থানীয় বাসিন্দা মো. হারুন। পরে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। এনিয়ে গেল তিন দিনে টেকনাফ সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, সেন্টমার্টিন ও উখিয়া ইনানী সমুদ্রসৈকতের পাটোয়ারটেক পয়েন্টসহ মোট ৪ জনের অজ্ঞাত মৃতদেহ উদ্ধার করা হলো। এর আগে বুধবার ও বৃহস্পতিবার টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সমুদ্র সৈকত ও সাবরাং শাহপরীর দ্বীপ থেকে আরও দু’নারীর মৃতদের উদ্ধার করা হয়।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম জানিয়েছেন, আজ সকালে সেন্টমার্টিন দক্ষিণ পাড়া সমুদ্র সৈকত থেকে আরেকটি অজ্ঞাত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে ১৪ জুন বুধবার সকালে সাবরাং ইউপির মুন্ডার ডেইল এলাকার মেরিন ড্রাইভের সমুদ্র সৈকত ও ১৫ জুন বৃহস্পতিবার সাবরাং ইউনিয়ন শাহপরীর দ্বীপ বাজার পাড়া এলাকার পাশ্ববর্তী নাফ নদী থেকে অজ্ঞাতনামা এক মহিলার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
সূত্রে জানা যায়- গেল কয়েকদিন আগে গভীর রাতে অতি বৃষ্টি ভারী বাতাসের ফলে বঙ্গোবসাগর উত্তাল থাকায় অবৈধভাবে সাগরপথে ট্রলার নিয়ে মালয়েশিয়া যাত্রাকালে দূর্ঘটনার কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবে যায়। ওই ঘটনায় নিহত হয়ে বঙ্গোপসাগর ও নাফ নদীর মোহনায় ভাসছে মৃতদেহ।
এদিকে স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি- দ্রুত দেশ ও জাতির সূত্র অবৈধ মানবপাচারকারী ও দালাল সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে, দিনের পর দিন এভাবে বঙ্গোপসাগরের লাশের মিছিল চলবে। তাই দালাল সিন্ডিকেটদের শীঘ্রই আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন লোকজন।
অনলাইন ডেস্ক :
অবরুদ্ধ গাজায় দখলদার ইসরাইলি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। কিন্তু ইসরাইলি বাহিনী তাদের হামলা অব্যহত রয়েছে। মাঝে কয়েকদিন যুদ্ধবিরতী থাকলেও তা আর কার্যকর চাইছে না ইসরাইল। এদিকে গাজা অভিযানে নানা সমস্যা মুখোমুখি হচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। ইতোমধ্যে অনেক ইসরাইলি সেনা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গাজা ছেড়েছেন। অন্যদিকে অনেকে দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছেন।
জানা যায়, গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ইসরাইলের শত শত সৈন্য চোখে আঘাত পাচ্ছে এবং তাদের অনেকে দৃষ্টিশক্তি পর্যন্ত হারিয়ে ফেলেছে। কারো এক চোখ এবং অনেকের দুই চোখের জ্যোতিই নিভে গেছে বলে কেএএন নিউজ বুধবার জানিয়েছে।
কেএএনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বাহিনীর যেসব সৈন্য সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম পরিধান করেনি, মূলত তারাই বেশি চোখের আঘাত পেয়েছে।
বুলেট স্রাপনেল এবং রিকোয়েলের সংস্পর্শ এসে এবং অনেকে হামাসের আঘাতের ফলে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, যারা চোখে আঘাত পেয়েছে, তাদের প্রায় ১৫ ভাগই এক বা দুই চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে।
কেএএনের প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয় যে চোখের আঘাত নিয়ে প্রায় ৪০ জন ইসরাইলি সৈন্য বিরসেবার সরোকা মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই সেখানে আরো পাঁচ সৈন্য ভর্তি হয়েছে।
দক্ষিণ গাজায় ইসরাইল হামাসের তুমুল লড়াই অব্যাহত
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় মূল শহর খান ইউনিসে হামাসের সাথে ইসরাইলি সেনাদের তুমুল লড়াই চলছে। এদিকে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের দু’মাস পরে চলমান ভয়াবহ সঙ্ঘাত সম্পর্কে জাতিসঙ্ঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজার আইনশৃঙ্খলা একেবারে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খান ইউনিসে ইসরাইলি সৈন্যরা বুলডোজার ও ট্যাংক নিয়ে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
ইতোমধ্যে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা সেখান থেকে নতুন করে পালাতে বাধ্য হচ্ছে। ফিলিস্তিনের অপর গ্রুপ ইসলামিক জিহাদ ও হামাস সূত্রে বলা হয়েছে, শহরের ভেতরে ইসরাইলি সৈন্যকে ঢুকতে না দেয়ার জন্যে তারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু ইসরাইলের সেনাবাহিনী বলছে, তারা প্রতিরক্ষা লাইন ভেঙে শহরের কেন্দ্রস্থলে অভিযান চালিয়েছে। তারা ৩০টি সুড়ঙ্গ ধ্বংসের দাবি করেছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেন, ইসরাইলি সৈন্যরা হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনাওয়ারের বাড়ির কাছে পৌঁছে গেছে।
তার এক মুখপাত্র বলেন, তার বাড়িটি খান ইউনিস এলাকার ভূগর্ভে রয়েছে।
এদিকে খান ইউনিসের এক বাসিন্দা অমল মাহদি বলেন, আমরা বিধ্বস্ত। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে একটি সমাধান পেতে আমাদের কাউকে দরকার।
হামাস সরকার জানিয়েছে, বুধবার রাতে অমল মাহদি ইসরাইলি হামলা থেকে অল্পের জন্যে রক্ষা পেয়েছেন। গাজায় ইসরাইল হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ২৪৮ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে।
জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেন, গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতির কারনে আইনশৃঙ্খলা একেবারে ভেঙে পড়ছে। জাতিসঙ্ঘের এ সতর্কতার পর ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন জাতিসঙ্ঘে গুতেরেসের বর্তমান কালকে বিশ্ব শান্তির জন্যে বিপদ বলে মন্তব্য করেছেন।
এদিকে ইসরাইলি আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনিরা উত্তর গাজা ছেড়ে দক্ষিণে আশ্রয় নিয়েছিল। এখন তাদের দক্ষিণের শহর খান ইউনিসও ছাড়তে হচ্ছে। তাদের নেই খাবার, নেই আশ্রয়। তারা বন্ধ থাকা রাফা সীমান্তের দিকে ছুটছে। তাদের তাড়া করে ফিরছে ইসরাইলি বোমা।
ঘাসান বকর নামের এক ফিলিস্তিনি বলছেন, ‘আমরা এখানে এসেছি। কাল রাতে বৃষ্টি হয়েছে। অথচ কোনো আশ্রয় নেই, খাবার নেই। নেই রুটি, নেই আটা। সূত্র : আল জাজিরা, এএফপি, জেরুসালেম পোস্ট এবং অন্যান্য
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত আখাউড়া-আগরতলা ও খুলনা-মোংলা রেলপথ এবং রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
১ নভেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা ও দিল্লির গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারা এ প্রকল্প তিনটি উদ্বোধন করেন।
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথটি ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই রেল সংযোগটি আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশনকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। রেলপথটির বাংলাদেশের অংশ ছয় দশমিক ৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে এই রেলপথের নির্মাণকাজ শুরু হয়।
অন্যদিকে খুলনা থেকে বাগেরহাটের মোংলা বন্দর পর্যন্ত ৬৫ কিলোমিটার রেলপথের মাধ্যমে বন্দরে পণ্য পরিবহন সহজতর হবে। এই রেলপথ দেশের অভ্যন্তরে সাশ্রয়ী মূল্যে মোংলা বন্দরের পণ্য পরিবহনে সহায়তা করবে, ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্যে সহায়তা করবে এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে।
মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট রামপালের দ্বিতীয় ইউনিটটি জাতীয় গ্রিডে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত করবে। দুই প্রতিবেশী দেশের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিট মোট এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ক্ষমতাসম্পন্ন।
অনলাইন ডেস্ক :
সোশ্যাল মিডিয়ায় কত রকম ঘটনাই না সামনে আসে। এক কথায় বিস্ময়ের শেষ নেই নেটদুনিয়ায়। সম্পর্কের জটিলতা থেকে অদ্ভূত সমীকরণ, সব ঘটনারই নজির মেলে সেখানে। তবে সাবেক প্রেমিকের জন্য খাবার অর্ডার দিয়ে ডেলিভারি কোম্পানির তিরস্কারের মুখে পড়ার ঘটনা খুব একটা চোখ পড়ে না। তবে ভারতের ভোপালে এমন একটি ঘটনা ভাইরাল হয়েছে।
একবার নয়, তিন-তিন বার সাবেক প্রেমিকের জন্য খাবার পাঠিয়েছেন ভোপালের অঙ্কিতা নামের এক তরুণী। কিন্তু এক্স গার্লফ্রেন্ড অর্থাৎ, সাবেক প্রেমিকার সেই খাবার নিতে নারাজ যুবক। এদিকে ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’তে অর্ডার দেওয়ায় বার বার সমস্যায় পড়তে হয়েছে ফুড ডেলিভারি কোম্পানি জোমাটোকে।
ক্যাশ অন ডেলিভারি অনেকের কাছে সুবিধাজনক হলেও, এর কিছু সমস্যা রয়েছে। অনেক সময় শেষ পর্যায়ে এসে গ্রাহক খাবার নিতে চান না। ফলে একে তো খাবার নষ্ট হয়, সেই সঙ্গে খাবারের দাম না পাওয়ায় লোকসান গুনতে হয় খাবার ডেলিভারি কোম্পানিকে। অঙ্কিতার ক্ষেত্রেও এমনটা হয়ে আসছিল। শেষমেশ বিরক্ত হয়ে প্রকাশ্যেই তার নাম ও ঠিকানা উদ্ধৃত করে টুইট করে বসে জোমাটো।
জোমাটোর অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়, ভোপালের অঙ্কিতা, দয়া করে ক্যাশ অন ডেলিভারিতে আপনার সাবেক প্রেমিককে খাবার পাঠানো বন্ধ করুন। এই নিয়ে তিনবার খাবারের দাম দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন তিনি!
জোমাটোর এ পোস্টটি এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যদিও এর ফলে অঙ্কিতা তার সাবেক প্রেমিকের পিছু ছেড়েছেন কি না, তা জানা যায়নি। তবে জোমাটোর টুইট বেশ ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়।
পোস্টটিতে অসংখ্য নেটিজেন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কেউ লিখেছেন, ‘অঙ্কিতা এক্সকে বিরক্ত করা বন্ধ করুন।’ আবার তরুণীর এমন কাণ্ডে হাসি থামছিল না অনেকের। যেমন একজন লিখেছেন, ‘অঙ্কিতার বয়ফ্রেন্ড ভাবছেন, আমি ব্রেকআপের আগে টাকা দিতাম, আবার ব্রেকআপের পরেও দেবো!’ আবার কারও মতে, এটা জোমাটোর মার্কেটিং কৌশল।
সূত্র: এবিপি লাইভ