আমরা ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব: জিএম কাদের

রাজনীতি, 6 May 2023, 951 Views,

চলারপথে ডেস্ক :
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমরা প্রার্থী দিয়েছি। আমরা পাঁচ সিটিতেই জিততে চাই। আমাদের প্রার্থীদের গ্রহণযোগ্যতা আছে। কিন্তু ভোটারদের অনেক প্রশ্ন-ভোটাররা বলছে আমরা ভোট দিতে পারব তো? আমরা ভোট দিলে সেই ভোট গণনা হবে তো? নাকি আওয়ামী লীগ নিজের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করবে? এটাই বাস্তবতা। এটা বুঝতে এখন খুব জ্ঞানী হতে হয় না। গ্রামের কৃষক থেকে রিকশাওয়ালা পর্যন্ত এই প্রশ্ন করছে।

banner

তিনি আরও বলেন, যারা গণতন্ত্রের নামে বড় বড় কথা বলে, যারা মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার নিয়ে কথা বলে, তারাই ভোটের প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা সৃষ্টি করেছে? রাজনীতি নিয়ে মানুষের মধ্যে বিতৃষ্ণা সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের মাঝে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, সাধারণ মানুষ মনে করে আমরা ভোট দেই বা না দেই, সরকার সমর্থকরাই জিতে যাবে। মানুষের মনে শঙ্কা, ভোট দিতে গেলে মার খেতে হবে কিনা, বাড়িতে হামলা হবে কিনা। শঙ্কা ও হতাশা দেশকে পিছিয়ে দিচ্ছে। দেশের মানুষকে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য করছে। এমন বাস্তবতা থেকে আমরা দেশকে উদ্ধার করতে চাই।

আজ ৬ মে শনিবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জিএম কাদের এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা জনগণের পক্ষে থাকব। জনগণ যা চায় আমরা তাই করব সংসদ নির্বাচনে। আমরা মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব। মানুষের ভাতের অধিকার দরকার হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষ খেতে পারছে না। মানুষ আধাপেট খেয়ে জীবনযাপন করছে, সামনে হয়তো আরও খারাপ দিন আসছে। যেসব দেশকে আমরা খারাপ দেশ বলি, আমাদের অবস্থা এখন তাদের চেয়েও খারাপ। তাই ভাতের অধিকার নিশ্চিত করতেই ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ভালো কাজ করলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিন।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে এখনো অপপ্রচার চলছে। কেউ বলছে, আমরা কারও বি-টিম। আমরা সব সময় দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করছি। আমরা কখনোই কারও বি-টিম হতে কাজ করি না। কারও ক্ষমতার সিঁড়ি হতে কাজ করি না। জাতীয় পার্টির রাজনীতি কারও ক্ষমতার সিঁড়ি হতে নয়।

জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে তখন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের দাবি তোলেন। তারা ক্ষমতায় থাকলে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চায়। ক্ষমতায় গেলেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চেহারা এক। ১৯৯৬ সালে আমরা মানুষের ভোটাধিকারের প্রশ্নে ৫ জানুয়ারির ভোট বর্জন করেছিলাম, আওয়ামী লীগও তখন ভোট বর্জন করেছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে। বিএনপির মতোই আওয়ামী লীগও নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করতে ছক এঁকেছে। নির্বাচনের ফলাফল নিজেদের পক্ষে নিতে প্রয়োজন মতো সংবিধান সংশোধন করেছে। আওয়ামী লীগ নেত্রী বলেছিলেন, আমরা আজীবন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন ভালো হতে পারে না। এখন আওয়ামী লীগ বলছে, সংবিধান ছাড়া নির্বাচন হবে না। আসলে, ক্ষমতায় থাকলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জনগণের রায়কে ভয় পায়। আবার ক্ষমতায় গেলে বিএনপিও একই কাজ করবে।

সভায় জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রমাণ করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপি জিতলে আওয়ামী লীগ বলে কারচুপি হয়েছে। আবার আওয়ামী লীগ জিতলে বিএনপি বলে ভোটে কারচুপি হয়েছে। আসলে, বর্তমান ব্যবস্থায় দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি লিয়াকত হোসেন খোকা এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এমপি, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল আলম রুবেল, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মো. খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু প্রমুখ।

Leave a Reply

জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন জামায়াতের আমির…

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান Read more

বাঞ্ছারামপুরে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

চলারপথে রিপোর্ট : ৬ দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য Read more

সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক : সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল Read more

রাইস কুকারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়ের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক : মাগুরার সদর উপজেলার টিলা গ্রামে রাইস কুকারে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

চলারপথে রিপোর্ট : সরকারি মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় Read more

নাসিরনগরে মৎস্য আড়তে অভিযান, নিষিদ্ধ পিরানহা…

চলারপথে রিপোর্ট : বিক্রির জন্য রাখা নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ জব্দ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন চাঁদাবাজ গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাটিহাতা (বিশ্বরোড) গোলচত্বর নামক এলাকায় চাঁদাবাজির Read more

সড়ক মেরামতের সপ্তাহ না পেরোতেই উঠে…

চলারপথে রিপোর্ট : সড়ক মেরামতের এক সপ্তাহ না পেরোতেই ইতিমধ্যে Read more

কসবায় গাঁজাসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট : আজ ২৪ জুন মঙ্গলবার সকালে এস আই Read more

শাস্তি পেলেন ঋষভ পন্ত

অনলাইন ডেস্ক : আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট Read more

বাংলাদেশে গুগল পে এর উদ্বোধনী

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড. আহসান এইচ মনসুর Read more

যে কাজে নেক আমল নষ্ট হয়

ইসলাম ডেস্ক : মানুষের জীবনের সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষতিকারক দিক হলো Read more

কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটিতে ভোট ৯ মার্চ

জাতীয়, রাজনীতি, 22 January 2024, 1090 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৯ মার্চ। এছাড়া মৃত্যুজনিত কারণে একই দিন কুমিল্লা সিটির মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

banner

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান আজ ২২ জানুয়ারি সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এই দুই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা চলবে ভোটগ্রহণ।

আনিছুর রহমান বলেন, এবারও ৫ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এপ্রিলে প্রথম ধাপের নির্বাচন সম্পন্ন করার পরিকল্পনা আছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি আসনে ১১ জন প্রার্থীর প্রার্থীতা প্রত্যাহার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজনীতি, 17 December 2023, 855 Views,
ফাইল ছবি

চলারপথে রিপোর্ট :

banner

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ১১জন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। এর মধ্যে জেলার ৬টি আসন থেকেই জাকের পার্টি, ২টি আসন থেকে জাতীয় পার্টি এবং ১টি আসন থেকে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন।

আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার প্রার্থীরা নিজে নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ও তাদের মনোনীত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন।

প্রার্থীদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে ১ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগগঞ্জ) আসনে ৩ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে ২ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) আসনে ২, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫-(নবীনগর) আসনে ২জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০৬-(বাঞ্ছারামপুর) আসনে ১জন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) : এই আসনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোঃ জাকির হোসেন চৌধুরী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) : এই আসনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মোঃ শাহজাহান আলম সাজু, জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী কাজী মাসুদ আহমেদ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) : এই আসনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া এবং জাকের পার্টি মনোনীত মোঃ সেলিম কবির।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) : এই আসনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও কসবা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি তারেক আহমেদ আদেল ও জাকের পার্টির মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫-(নবীনগর) : এই আসনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন জাকের পার্টির প্রার্থী মোঃ জমশেদ মিয়া ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) মনোনীত প্রার্থী আখতার হোসেন সাঈদ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৬ (বাঞ্ছারামপুর) : এই আসনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন জাকের পার্টির প্রার্থী মোঃ আবদুল আজিজ।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি আসনে ১১জন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় বর্তমানে ৬টি আসনে ৩৫জন বৈধ প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির ২জন প্রার্থী রয়েছেন।

৬টি আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন :

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার পদ থেকে বহিষ্কৃত আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ শাহানুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মোঃ ইসলাম উদ্দিন ও ওয়ার্কার্স পার্টি মনোনীত মোহাম্মদ বকুল হোসেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) : এই আসনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মঈন উদ্দিন মঈন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ রেজাউল ইসলাম ভ‚ঁইয়া, জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব মোঃ আবদুল হামিদ, ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসনাত, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মোঃ রাজ্জাক হোসেন, তৃনমূল বিএনপির মাইনুল হোসেন তুষার, জাতীয় পার্টি থেকে দুইবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. জিয়াউল হক মৃধা ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ।

এই আসনে জাতীয় পার্টি থেকে প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া ও জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব মোঃ আবদুল হামিদ মনোনয়ন দাখিল করেন। আওয়ামীলীগের সাথে জাতীয় পার্টির আসন সমঝোতায় এই আসনটি মোঃ আবদুল হামিদকে দেয়া হয় কিন্তু জাতীয় পার্টির প্যাডে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের স্বাক্ষরিত প্যাডে আসনটি মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াকে দেয়া হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সদর উপজেলা পরিষদের পদত্যাগী চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, ইসলামী ফ্রন্টের সৈয়দ মোঃ নূরে আজম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মোঃ আবদুর রহমান খান (ওমর), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সৈয়দ মাকসুদুল হক আক্কাছ, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির সোহেল মোল্লা ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) জামাল রানা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) শাহীন খান ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন মনোনীত সৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫-(নবীনগর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ফয়জুর রহমান বাদল, জাতীয় পার্টি মনোনীত মোঃ মোবারক হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি মনোনীত জামাল সরকার, স্বতন্ত্র একেএম মামিনুল হক সাঈদ, ইসলামী ঐক্যজোট মনোনীত মোঃ মেহেদী হাসান, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন মনোনীত ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ ও তৃনমূল বিএনপি মনোনীত মুফতি হাবিবুর রহমান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৬ (বাঞ্ছারামপুর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ.বি তাজুল ইসলাম, জাতীয় পার্টি মনোনীত মোঃ আমজাদ হোসেন ও বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি মনোনীত কবির মিয়া ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) মনোনীত সফিকুল ইসলাম।

এ ব্যাপারে নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি আসনে ১১জন প্রার্থী তাদের প্রত্যাহার করেছেন। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির দলীয় প্যাডে মোঃ রেজাউল ইসলাম ভ‚ঁইয়ার নাম রয়েছে। আমরা দলীয় প্যাডকেই গুরুত্ব দিচ্ছি।

এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, জোটের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত আসন বন্টনের তালিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২- আসনে আমার নাম রয়েছে। কিন্তু জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের স্বাক্ষরিত প্যাডে আসনটি মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াকে দেয়া হয়। আমি আশা করি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে অবজ্ঞা করবেনা।

এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টির প্রার্থী, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, এই আসনে দুইজন প্রার্থী থাকায় এমনটি হয়েছে। ইতিমধ্যে বিষয়টির সুরাহা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার ড. ইউনূসের সাথে সংলাপে যেসব দাবি জানাল বিএনপি

জাতীয়, রাজনীতি, 5 October 2024, 544 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সংলাপে নির্বাচনের রোডম্যাপসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

banner

আজ ৫ অক্টোবর শনিবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে সংলাপ শুরু হয়ে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা হয়।

এতে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনসহ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানায় বিএনপি।

সংলাপ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন স্থগিত করে প্রধান রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। আমরা একটা রোডম্যাপ দিতে বলেছি।

তিনি বলেন, বিতর্কিত কোনো ব্যক্তি যাতে নির্বাচন সংস্কার কমিশনে না যায়, সেকথা আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি। আমরা বলেছি যে, ফ্যাসিস্ট সরকারের ভুয়া ভোটে নির্বাচিত সকল ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল করতে বলেছি। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে যেসব প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশনার ছিল, তাদের ভুয়া ও ব্যর্থ নির্বাচন, পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন করার অভিযোগে আইনের আওতায় আনার কথা বলেছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আমাদের বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠান ওনাদের এক নম্বর অগ্রাধিকার।

বিএনপির দাবির বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা কী বলেছেন জানতে চাইলে দলটির মহাসচিব বলেন, বিষয়গুলো অত্যন্ত সহযোগিতার সঙ্গে তারা দেখছেন। তারা মনে করেন, আমাদের দাবিগুলো জনগণের দাবি, আমাদের দাবিগুলো তাদেরও দাবি।

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে সংবিধান ধ্বংস ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের ‘মূল হোতা’ অভিহিত করে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।

প্রশাসনের ফ্যাসিবাদের অনেক দোসর কর্মরত আছেন জানিয়ে তাদের অপসারণ, জেলা প্রশাসক নিয়োগে নতুন তালিকা এবং যেসব জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের নিযোগ বাতিল, ফ্যাসিবাদের সময়ের চুক্তিভিত্তিক সব নিয়োগ বাতিলের কথা বলেছেন বলে জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তবর্তী সরকারের মধ্যে দুই-একজন আছেন, যারা বিপ্লব-গণঅভ্যুত্থানের যে মূল স্পিরিট তাকে ব্যাহত করছেন, তাদের সরানোর কথা বলেছি। আমরা গত ১৫ বছর ধরে সরকারি কর্মকর্তাদের পদোন্নতি বঞ্চিতদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি নিশ্চিত করার জন্য বলে এসেছি।

তিনি আরও বলেন, আামরা বলেছি যে, বিচার বিভাগের হাইকোর্ট বিভাগে এখন পর্যন্ত পরিবর্তন হয়নি। হাইকোর্ট বিভাগে বেশির ভাগ নিয়োগই ছিল দলীয় ভিত্তিতে এবং প্রায় ৩০ জন বিচারক বহাল তৈবিয়তে কাজ করছেন এখনো। এদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওিয়ার জন্য বলেছি। দলকানা কিছু বিচারক আছেন, তাদের অপসারণের কথা বলেছি। একই সঙ্গে অতিদ্রুত পিপি ও জিপি নতুনভাবে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলেছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা লক্ষ করেছি, যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে… দুর্নীতি অথবা হত্যার সুনির্দিষ্ট মামলায় যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে। এটা খুব উদ্বেগজনক। এই বিষয়টা আমরা দেখার জন্য বলেছি।

তিনি বলেন, ২০০৭ সাল থেকে শেখ হাসিনার শাসনামল পর্যন্ত সকল মিথ্যা মামলা, গায়েবি মামলা প্রত্যাহারের জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত ঘোষণা ও প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, শুনতে পাই, কিছু জায়গায় সাবেক মন্ত্রীরা দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে। কীভাবে পালিয়ে যাচ্ছে, কার সহযোগিতায় পালাচ্ছে এই বিষয়গুলো দেখার জন্য বলেছি।

তিনি বলেন, আজকে পতিত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ভারতে আছেন। ভারতে থেকে তাকে কেন্দ্র করে, তার মাধ্যমে যে সমস্ত ক্যাম্পেইন চলছে, যে সমস্ত অপপ্রচার চলছে, সেই বিষয়গুলো নিয়ে ভারতের সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য এবং তাকে ওই অবস্থা থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা সরকারকে অনুরোধ করেছি, তারা যেন ভারত সরকারের সাথে আলোচনা করে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিরতা সৃষ্টির পেছনে কারা আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের একটি দল এসেছে বাংলাদেশে। যারা বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে জড়িত আছেন তারা জাতিসংঘের টিমকে সেভাবে সহযোগিতা করছেন না। এ বিষয়ে আমরা বলেছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, সম্প্রতি দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে, সনাতনী কিছু মানুষ সবাই না, তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে জনগণকে উস্কে দিচ্ছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। হিন্দু কমিউনিটির ওপর নির্যাতন হচ্ছে ইত্যাদি কথা বলছে, যা সর্বৈব মিথ্যা। এটা তাদের সুদূর পরিকল্পনা। এই কথাগুলো গুরুত্বের সাথে বলেছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।

সংলাপে অংশ নেওয়া বিএনপির অন্য নেতাদের মধ্যে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আব্দুল মঈন খান ও সালাহ উদ্দিন আহমেদ। এতে সরকারের দিক থেকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ, আদিলুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।

নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে গোপালগঞ্জ সফর করলেন প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, রাজনীতি, 8 December 2023, 1121 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে গোপালগঞ্জ জেলায় দুই দিনের ব্যক্তিগত সফর করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

banner

আজ ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি মেনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা‌ আজ সকালে সরকারি প্রোটোকল না‌ নিয়ে পতাকাবিহীন ব্যক্তিগত গাড়িতে টুঙ্গিপাড়া থেকে কোটালিপাড়া যান। বঙ্গবন্ধুকন্যা গতকাল ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জও এসেছেন সরকারি প্রোটোকল ছাড়া।’

ব্যক্তিগত সফরে গত ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে সড়কপথে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আসেন প্রধানমন্ত্রী।

টুঙ্গিপাড়া ও কোটালিপাড়ায় ব্যক্তিগত সফর শেষে শুক্রবার বিকেলে সড়কপথে ঢাকায় ফেরেন তিনি।

সফরকালে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

তিনি এ দুদিন টুঙ্গিপাড়ার বাড়িতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট নিহত স্বজনদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ফাতিহা পাঠ ও দোয়া করেন। মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : চতুর্থ ধাপে চেয়ারম্যান হলেন যারা

জাতীয়, রাজনীতি, 6 June 2024, 761 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে বা শেষ ধাপে বুধবার ৬০টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়। এরপর ভোট গণনা শেষে রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

banner

উপজেলার ফলে দেখা গেছে, জয়ী প্রার্থী সবাই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।

এবার মোট চার ধাপে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে তৃতীয় ধাপের ২২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল। এর মধ্যে দুটি উপজেলার ভোট গ্রহণ হয় চতুর্থ ধাপে। বাকি ২০টি উপজেলায় ভোট হবে ৯ জুন।

শেষ ধাপে ৬০ উপজেলায় চেয়ারম্যান হলেন যারা :

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন (আনারস) প্রতীক ৯২,৫৫২ ভোট পেয়ে বে-বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪১৪ ভোট।

বিজয়নগর উপজেলায় জাবেদ আহমেদ (আনারস) প্রতীক ৪৫ হাজার ১৩৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৯৮৫ ভোট।

নবীনগর উপজেলায় মো. ফারুক আহম্মেদ (আনারস) প্রতীক ৫৮ হাজার ৩৪৭ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস পেয়েছেন ২৫ হাজার ৬৮১ ভোট।

কুমিল্লা : জেলার উত্তর জেলা মহিলা লীগের সদস্য রেহানা বেগম আনারস প্রতীকে ৪০ হাজার ২৭৭ ভোট পেয়ে পুনরায় হোমনা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান আবুল মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ২৩০ ভোট। রেহানা কুমিল্লা-২ (হোমনা ও মেঘনা) আসনের সংসদ সদস্য আবদুল মজিদের স্ত্রী।

নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বাছির ভূঁইয়া দোয়াত-কলম প্রতীকে ৪৭ হাজার ৯৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম ছুফু কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ১১২ ভোট।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ বাবুল আনারস প্রতীকে ১ লাখ ২৪ হাজার ৮৯৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম গোলাম ফারুক দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৭৭ ভোট।

সুনামগঞ্জ : ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের খায়রুল হুদা চপল জয়ী হয়েছেন। ৭৮টি কেন্দ্রের ফলাফলে জেলা যুবলীগের সভাপতি খায়রুল হুদা চপল পেয়েছেন ৩৬ হাজার ১৯৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফজলে রাব্বি স্মরণ পেয়েছেন ২৫ হাজার ২৫৪ ভোট। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার ২ লাখ ২৮ হাজার ৫৩৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৯১ ও নারী ভোটার ১ লাখ ১১ হাজার ৭৪১ জন। হিজড়া একজন। উপজেলায় ভোটকেন্দ্র ৭৮টি।

বরগুনা : ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে বরগুনার আমতলীতে গোলাম সরোয়ার ফোরকান ও তালতলীতে মনিরুজ্জামান মিন্টু উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গোলাম সরোয়ার ফোরকান আনারস প্রতীক নিয়ে ৩৭ হাজার ১৮৮ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এলমান উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন, ১০ হাজার ৮৯১ ভোট। ২৬ হাজার ২৯৭ ভোট বেশি পেয়ে গোলাম সরোয়ার ফোরকান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

তালতলী উপজেলা পরিষদে মো. মনিরুজ্জামান মিন্টু আনারস প্রতীক নিয়ে ২০ হাজার ৩৯৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকততম প্রার্থী রেজবিউল কবির জোমাদ্দার পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪১৩ ভোট। এক হাজার ৯৮৩ ভোট বেশি পেয়ে মো. মনিরুজ্জামান মিন্টু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

চাঁদপুর : ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ৪র্থ ধাপে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে হিসেবে চিংড়ি প্রতীকের খাজে আহমেদ মজুমদার বিজয়ী হয়েছেন। মোট ৩ লাখ ৭২ হাজার ৬৬৯ ভোটারের মধ্যে শতকরা ২২.৩০ ভাগ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে খাজে আহমেদ মজুমদার ৬০৮৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিককটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আমীর আজম রেজা ২০০২১ ভোট পেয়েছেন। দুই জনের ভোটের ব্যবধান ৪০৮৫৩ ভোট বেশি পেয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলায় মোট ৩ লাখ ৭২ হাজার ৬৬৯ জন ভোটার রয়েছে। এদেরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৫ হাজার ১২২ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৫৭ জন। ১১৮ টি ভোট কেন্দ্রের ৮৭৪টি কক্ষে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এছাড়া মোট ১১৮ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭টি কেন্দ্র ঝুকিপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়েছে। এসব কেন্দ্রের জন্য নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

কচুয়া পৌর যুবলীগের সভাপতি মো. মাহবুব আলম টেলিফোন প্রতীকে ৩৪ হাজার ৪৩০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. শাহজাহান কাপ-পিরিচ পেয়েছেন ২৭ হাজার ৫৮৪ ভোট।

রংপুর : চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রংপুরের বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে বদরগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে টানা তৃতীয়বারের মতো বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুইট। কাপ-পিরিচ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬১ হাজার ৫৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হাসান তবিকুর চৌধুরী মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৫২ ভোট।

অন্যদিকে তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আনিছুর রহমান লিটন। দোয়াত-কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪১ হাজার ৭৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহিনুর ইসলাম মার্শাল মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ১৮৬ ভোট।

ফেনী : উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মজুমদার কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৫৪ হাজার ৯২১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী এএসএম সহিদ উল্ল্যাহ মজুমদার পেয়েছেন ১ হাজার ৩৪৯ ভোট।

যশোর : ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে যশোর সদর উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি ফলাফলে যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ৫৭ হাজার ৯১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফতেমা আনোয়ার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৬১০ ভোট।

ভোলা : ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ভোলার দুটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে মনপুরা উপজেলায় মো. জাকির হোসেন, চরফ্যাশন উপজেলায় জয়নাল আবেদীন আকন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

মনপুরা উপজেলায় আনারস প্রতীক নিয়ে মো. জাকির হোসেন ২১ হাজার ৬৬৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শারিয়ার চৌধুরী দীপক পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৭৬ ভোট।

সিলেট : জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ পলাশ মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩৫ হাজার ৩০২ ভোট পেয়ে কানাইঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য শামসুজ্জামান বাহার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৭৬৫ ভোট।

জকিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লোকমান উদ্দিন চৌধুরী দোয়াত-কলম প্রতীকে ২৪ হাজার ৬৩ ভোট পেয়ে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জমিয়ত নেতা মাওলানা বিলাল আহমদ ইমরান কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৭৬৮ ভোট।

সিরাজগঞ্জ : কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মতিন চৌধুরী আনারস প্রতীকে ১৭ হাজার ২৮৬ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম রেজা দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৭৮ ভোট।

রায়গঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম হোসেন শোভন সরকার ঘোড়া প্রতীকে ৭০ হাজার ৮৪২ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইমরুল হোসেন তালুকদার ইমন দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৮০৫ ভোট।

জামালপুর : সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম আনারস প্রতীকে ৪২ হাজার ২১৩ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মো. তালেব উদ্দিন দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ১৪৭ ভোট।

বরিশাল : বরিশাল জেলা মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোসা. ফারজানা বিনতে ওহাব আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৫১৪ ভোট পেয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার খালেদ হোসেন স্বপন পেয়েছেন ২৫ হাজার ১১৪ ভোট।

ময়মনসিংহ : জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ হাজী রফিকুল ইসলাম রফিক আনারস প্রতীক নিয়ে ৪৮ হাজার ৬৯৪ ভোট পেয়ে ভালুকা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তুফা দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৩৪ হাজার ১৬৯ ভোট পেয়েছেন।

গফরগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশরাফ উদ্দিন বাদল আনারস প্রতীক নিয়ে ৭১ হাজার ৩০৪ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেন দীপু পেয়েছেন ১৯ হাজার ৭৪৫ ভোট।

নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শাহান দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৪৬ হাজার ৪৩৬ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এমদাদুল হক ভূঁইয়া আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৫৮৭ ভোট।

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম ৬১ হাজার ৫১১ ভোট পেয়ে বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ এমরানুল হক আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৯৭৯ ভোট।

ফরিদপুর : বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া দোয়াত-কলম প্রতীকে ৪৩ হাজার ২৩৬ ভোট পেয়ে চতুর্থবারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটু ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৫৫ ভোট।

কাজী মনিরুল হক মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৩ হাজার ৫৯৩ ভোট পেয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদ হাসান কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৪২৯ ভোট।

বগুড়া : ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে বগুড়ার নন্দীগ্রামে বিপুল ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪১ হাজার ৩৭৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৫১ ভোট।

অন্যদিকে ধুনটে ৪০ হাজার ৬০ ভোটে আনারস প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আসিফ ইকবাল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি টিআইএম নুরুন্নবী তারিক মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৬২ ভোট।

দিনাজপুর : ফুলবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান মিল্টন ৫৭ হাজার ৬৬২ ভোট পেয়ে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪৭ ভোট।

পার্বতীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান প্রামাণিক ৭১ হাজার ১৬৭ ভোট পেয়ে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুল গফুর পেয়েছেন ৬ হাজার ২২৪ ভোট।

নবাবগঞ্জ উপজেলার ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাজওয়ার মোহাম্মদ ফাহিম ৪৯ হাজার ৯৩১ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নিজামুল হাসান পেয়েছেন ১৫ হাজার ১৫৫ ভোট।

হবিগঞ্জ : মাধবপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ মো. শাহজাহান ঘোড়া প্রতীকে ৬২ হাজার ২৫৬ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন চৌধুরী অসীম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৫২ ভোট।

চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ লিয়াকত হাসান ঘোড়া প্রতীকে ৫২ হাজার ৮২৯ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহের আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫৬২ ভোট।

টাঙ্গাইল : জেলার গোপালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কেএম গিয়াস উদ্দিন, মির্জাপুরে ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত ও সখীপুরে মুহাম্মদ আবু সাইদ মিয়া চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছে। এছাড়াও বাসাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাজী অলিদ ইসলাম পুনরায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান বেসরকারিভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন। তিনি জানান, চার উপজেলার ৩৬৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এসব উপজেলায় ২০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ভাইস চেয়ারম্যান ১৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। গোপালপুর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ ও মহিলা প্রার্থীরা আগেই বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ওই উপজেলায় শুধুমাত্র চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেতা ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত আনারস প্রতীকে ৫৫ হাজার ৬৪৪ ভোট পেয়ে মির্জাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম মোজাহিরুল ইসলাম মনির কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৮৮৪ ভোট।

মুহাম্মদ আবু সাঈদ মিয়া আনারস প্রতীকে ৩৭ হাজার ৭৯১ ভোট পেয়ে সখীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সানোয়ার হোসেন সজিব গামছা প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪১ ভোট।

কাজী অলিদ ইসলাম আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ৮৫৪ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মতো বাসাইল উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহা. শহীদুল ইসলাম দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৬৫৯ ভোট।

রাজশাহী : জেলার চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে বাঘা উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের লায়েব উদ্দিন লাভলু। তিনি পেয়েছেন ৩২ হাজার ৪০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের মো. রোকনুজ্জামান রেন্টু পেয়েছেন ৩২ হাজার ২৯৯ ভোট।

এছাড়া চারঘাট উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের কাজী মাহমুদুল হাসান। তিনি পেয়েছেন ৩২ হাজার ২৮১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের ফকরুল ইসলাম পেয়েছেন ৩২ হাজার ৪১ ভোট।

কিশোরগঞ্জ : রেজাউল হক কাজল আনারস প্রতীকে ৩৬ হাজার ২১২ ভোট পেয়ে বাজিতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. রকিবুল হাসান শিবলী মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৪৭৭ ভোট।

আবুল মনসুর কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৪০ হাজার ৩৫০ ভোট পেয়ে ভৈরব উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৪৫৬ ভোট।

কুলিয়ারচর একক প্রার্থী হিসেবে আবুল হোসেন লিটন আগেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।

খুলনা : জেলার দাকোপ উপজেলায় আবুল হোসেন ৩৬ হাজার ৩২৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বটিয়াঘাটা উপজেলায় মো. মোতাহার হোসেন ৩৩ হাজার ৭৮৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া রূপসা উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছেন এস এম হাবিবুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ২৫ হাজার ৭৭৭ ভোট।