চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলওয়ের জলাশয়ে অবৈধভাবে বালু ভরাট করায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
আজ ৭ মে রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বড় হরন এলাকার স্থানীয় শতাধিক এলাকাবাসী এই মানববন্ধন করেন।
মাবনবন্ধনে অংশ নেওয়া স্থানীয়রা জানান, আশিকুল ইসলাম ও উম্মেদ গংসহ এলাকার কিছু ভূমিদস্যূ রেল লাইনের জলাশয়ের জায়গা লিজ নেওয়ার কথা বলে প্রকাশ্যেই ভেকু মেশিন দিয়ে বালু ফেলে ভরাট করছে। এতে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
তারা আরো জানান, সরকারি রেলওয়ের জায়গা লিজ নেওয়ার নাম করে ভূমিদস্যূরা যেন জলাশয় ভরাট করতে না পারে। সে বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করেন তারা।
মানবন্ধনে এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এলেম খা, স্থানীয় ইউপি সদস্য বিল্লাল মিয়া, আমেনা বেগম, শাহনূর, শাহ আলম, মাইনউদ্দিন, দারু মিয়া প্রমুখ। মানববন্ধনে এলাকার শতাধিক নারী পুরুষ অংশ নেয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের নতুন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই এমপি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (গৃহায়ণ ও গণপূর্ত) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (আখাউড়া-কসবা) আসনের আনিসুল হক তৃতীয়বারের মতো (আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়) এর মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। জেলায় দুই জন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী পেয়ে উচ্ছ্বসিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা, এ দুই মন্ত্রীর হাত ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়নে এগিয়ে যাবে।
১৯৮৪ সালে মহকুমা থেকে জেলায় রূপান্তরিত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া। প্রায় ৩৫ লাখ জনসংখ্যার এ জেলায় অন্যান্য জেলার তুলনায় উন্নয়ন তেমন হয়নি। এবার দু’জন মন্ত্রী পাওয়ায় জেলাবাসীর প্রত্যাশা অনেক বেড়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য বলেন, দুই মন্ত্রী পেয়ে আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত। আশা করি আমাদের জেলা তাদের হাত ধরে স্মার্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া হিসেবে গড়ে উঠবে।
প্রত্যাশার কথা জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার বলেন, আমাদের প্রত্যাশা দীর্ঘদিনের। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির যে ফারাক ছিল তা এবার পূরণ হবে বলে আশা করি।
সামাজিক সংগঠন তরী বাংলাদেশের আহ্বায়ক শামীম আহমেদ বলেন, একজন পরিবেশকর্মী হিসেবে আমার অনুরোধ থাকবে, নদী-প্রকৃতি সুরক্ষা করেই যেন সব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ৪০ দিনে মোট ৪২২ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। অবশ্য এসব ডেঙ্গু রোগীদের বেশিরভাগই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে আসা। তবে জেলায় এখন পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ি সর্বশেষ গত ২৪ ঘন্টায় ১৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুইজন, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চারজন, বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন, নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুইজন, নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনজন, আখাউড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন ভর্তি হয়েছেন। ২৪ ঘন্টায় চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ জন।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ি, সবচেয়ে বেশি ২২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ২১ জন ভর্তি আছে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। জেলায় মোট ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা ৬৯ জন। বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এর আগে গত ৪ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথম ডেঙ্গু রোগী ধরা পড়ে। আজ ১২ আগস্ট শনিবার বিকেলে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চতুর্থ তলায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে নতুন একটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা চলছে। তবে, তাদের জন্য কোনো শয্যা নেই। নিজেদের আনা শয্যা মেঝেতে বিছিয়ে তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন। সব রোগীর উপরেই মশারি টানানো রয়েছে।
ওয়ার্ডটিতে ঢোকার পথে চোখে পড়ে এক যুবকের মাথায় পানি দেওয়া হচ্ছে। জানা গেলো তার নাম সোলেমান। বাড়ি সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের বাকাইল গ্রামে। মা-বাবা মিলে তার মাথায় পানি ঢালছেন। ঘিরে আছেন অন্য স্বজনরাও। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাকাইল গ্রামের যুবক সেলুনকর্মী সোলেমান ৮/১০ দিন আগে ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন বলে জানান তার বাবা জয়নাল মিয়া। বাড়িতে আসার দিন থেকেই তার পেটে ব্যথা ও বমি বমি ভাব। পরীক্ষা করিয়ে ডেঙ্গু ধরা পড়লে তাকে এক সপ্তাহ আগে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
কসবার উপজেলার ধর্মনগর গ্রামের সুফিয়া বেগম নামে এক নারী জানান, তার মেয়ে নাসিমা কয়েকদিন ধরে জ¦রে আক্রান্ত। পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়লে শনিবার তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। জ¦রসহ বমির উপক্রম আছে নাসিমার।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ জানান, জেলার সব কয়টি সরকারি হাসপাতালেই প্রতিদিন নতুন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছেন। তাদের চিকিৎসা বিষয়ে সার্বিক খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গু আক্রান্তদের বেশিরভাগই ঢাকা থেকে আসা বলে জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকতার মানোন্নয়ন এবং পেশাদার সাংবাদিকতার ভাবমূর্তি রক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ভুয়া সাংবাদিক ও অপসাংবাদিকতা রোধে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই কমিটি গঠন করা হয়।
৫ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির আহবায়ক প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সদস্য সচিব সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-আমীন শাহীন।
সদস্যরা হলেন সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ ও প্রেসক্লাবের সদস্য জালাল উদ্দিন রুমি।
কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ভুয়া সাংবাদিক ও অপসাংবাদিকতা বিষয়ে প্রেসক্লাবে অভিযোগ বুথ খোলার সিদ্ধান্ত হয়।
এতে জেলার ভুক্তভোগীরা লিখিত ভাবে অভিযোগ দিতে পারবেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন উপজেলা প্রেসক্লাবকে এই কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করে পুরো জেলায় ভুয়া সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়ন, অপসাংবাদিকতার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পেশাদারিত্ব, সৎ নির্ভীক সাংবাদিকতার লক্ষ্যে, সাংবাদিকতার মানোন্নয়নে সভায় বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ আরজুর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, কমিটির সদস্য সচিব আল আমীন শাহীন, সদস্য সৈয়দ মোঃ আকরাম, ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ ও জালাল উদ্দিন রুমি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের কারসাজি ও অতিরিক্ত মুনাফা লাভের কারণে আলু ও পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির ফলে এই পণ্য দুইটি ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতার নাগালের বাইরে এবং আইনে নিষিদ্ধ খোলা বাজারে ভোজ্য তেল বিক্রির প্রতিবাদে আজ ২ ডিসেম্বর সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন ক্যাব জেলা সাধারণ সম্পাদক এস.এম. শাহীন। মানববন্ধনে ক্যাব জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ, এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।