চলারপথে রিপোর্ট :
গ্রাম্য দাঙ্গা রোধে আশুগঞ্জ ও নাসিরনগর উপজেলার ২৫টি গ্রামে অভিযান চালিয়ে প্রায় তিন হাজার দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৫ মে শুক্রবার থেকে আজ ৭ মে রবিবার সকাল পর্যন্ত চলা অভিযানে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তবে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
এদিকে, এখন থেকে কেউ দেশীয় অস্ত্র বানাতে গেলে তার নাম-ঠিকানা রেখে থানায় পাঠানোর জন্য কামারদের নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ। শনিবার কামারদের নিয়ে সভা করে এ নির্দেশনা দেয় নাসিরনগর থানা পুলিশ।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে নাসিরনগরে বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় কয়েক শ মানুষ আহত হন। এরমধ্যে একজন মারা গেছেন। গ্রাম্য এসব সংঘর্ষ এড়াতে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে নামে পুলিশ। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে কাতরা, সড়কি, রামদা, বল্লম, টেঁটা ও ফলা রয়েছে।
নাসিরনগর থানা পুলিশেরর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, অস্ত্র উদ্ধারের পর নতুন করে আর যেন কেউ অস্ত্র বানাতে না পারে সেজন্য কামারদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। কেউ যদি অস্ত্র বানাতে দোকানে যায়, তাহলে তার নাম-ঠিকানা থানায় পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, সংঘর্ষ এড়াতে প্রতিটি উপজেলায় এ ধরনের অভিযান চালানো হবে। পাশাপাশি মাদক উদ্ধারেও জেলার সীমান্তবর্তী তিন উপজেলায় অভিযান চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘গাছের হেলথ কার্ড’ কথাটি শুনলেই অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে-এটি আবার কী?
কিন্তু বাস্তবেই শিক্ষার্থীদের হাতে গাছের চারা তুলে দেওয়ার পাশাপাশি প্রথমবারের মতো গাছের হেলথ কার্ডের প্রবর্তন করেছেন নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া।ব্যতিক্রমী এ হেলথ কার্ডে গাছের নাম, রোপণকারী শিক্ষার্থী নাম, রোপণের তারিখ ও পরিদর্শকের স্বাক্ষর দেওয়ার জায়গা রয়েছে।
আজ ৬ অক্টোবর রবিবার দুপুরে নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের দেওয়া দুই শতাধিক গাছের ছাড়া তুলে দেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আমিনুল হক তালুকদার।
নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফলদ, বনজ ও ঔষধিজাতীয় প্রায় ৬ হাজার গাছের চারা বিতরণ করা হয়। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা রোপণকৃত এ গাছ পরিদর্শন করবেন এবং গাছের হেলথ কার্ডে স্বাক্ষর করবেন। সমষ্টিক মূল্যায়ন হিসেবে শিক্ষার্থীরা পাবে পাঁচ নম্বর। মূলত গাছে পরিচর্যা নিশ্চিত করার জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উপজেলার কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জানান, ইউএনও স্যারের কাছ থেকে গাছ পেয়ে আমরা অনেক খুশি। সঙ্গে একটি গাছের হেলথ কার্ড দেওয়া হয়েছে। যেটি আমরা সংরক্ষণ করে রাখব। ফলে গাছটির প্রতি আমাদের আলাদা আগ্রহ থাকবে।
চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আমিনুল হক তালুকদার বলেন, অনেক সময় আমরা শিক্ষার্থীদের গাছ দিলে বাড়ি নিয়ে লাগানোর পর আর পরিচর্যা নেয় না। গাছের হেলথ কার্ডের ফলে শিক্ষার্থীদের মনে থাকবে যে এটি দেখতে আমার শিক্ষক আসবে, ফলে গাছটির সঠিক পরিচর্যা করবে।
সাংবাদিক বরুণ কান্তি সরকার বলেন, এটি আসলেই একটি ব্যতিক্রমী ও সৃজনশীল উদ্যোগ। এর আগেও তিনি অমর একুশে বইমেলা ও পবিত্র কুরআনুল কারিম তিলাওয়াত প্রতিযোগিতার আয়োজনের মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া বলেন, পৃথিবীকে রক্ষায় আমাদের যে আন্দোলন তার একটি পদক্ষেপ এটি। আমাদের এ পৃথিবীকে বাসযোগ্য করার জন্য বৃক্ষরোপণ প্রয়োজন। অনেক সময় দেখা যায় শিক্ষার্থীরা নিয়ে গিয়ে আর যত্ন নেয় না। গাছের হেলথ কার্ডের ফলে আমার ওই শিক্ষার্থী গাছটি যত্ন নেবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন। নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বর্তমানে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ (মোটর গাড়ি প্রতীক) গত শুক্রবার রাত থেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
আসিফের স্ত্রী মেহেরুন্নেছা মেহরিন জানান গত শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে আসিফের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি নিখোঁজ রয়েছেন বলে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন তার স্ত্রী মেহরিন।
তবে গতকাল সোমবার দুপুর পর্যন্ত আসিফের পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বা আশুগঞ্জ থানায় জানানো হয়নি এবং কোন ধরনের অভিযোগও দেয়া হয়নি। আবু আসিফ আসলেই নিখোঁজ হয়েছেন নাকি নির্বাচনী কৌশল হিসেবে স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে চলে গেছেন তা নিয়ে এলাকায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
তবে সোমবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আসিফের স্ত্রী মেহরিন এবং বাসার কেয়ার টেকার মোঃ ইউসুফের মাঝে কথোপোকথনের একটি ফোনালাপ ভাইরাল হয়। সেখানে আসিফের স্ত্রী কেয়ারটেকারকে আসিফের জন্য জামা কাপড় ও জুতা দ্রুত গোছানোর জন্য এবং বাড়ির সিসি ক্যামেরাগুলো বন্ধ করতে দিতে বলতে শোনা যায়।
সেখানে আসিফের স্ত্রী বলেন, ইউসুফ (কেয়ারটেকার) স্যারের (আসিফ) কতগুলো জামাকাপড়, গেঞ্জি, প্যান্ট, শীতের কাপড়, জুতা মোজা ব্যাগে ভরে দিয়ে দে তারাতারি। আরে তারা তারি দে। কেউ যেন না জানে স্যার কই গেছে। ক্যামেরা বন্ধ করে দে। ক্যামেরার লাইন বন্ধ কর বাসার। স্যার গেলে আরও ১০ মিনিট পর ক্যামেরার লাইন বন্ধ করবে।
এমন কথোপকথন ফাঁস হবার পর বিএনপি নেতা আসিফ স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে গিয়েছেন বলেই ধারণা করছেন অনেকে।
এদিকে আবু আসিফ আহমেদের নিখোঁজের ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ ৩০ জানুয়ারি সোমবার আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের একথা বলেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, প্রার্থীকে দ্রুত খুঁজে বের করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাদ রহমান সোমবার দুপুরে বলেন, প্রার্থী আসিফ নিখোঁজ কি না সে বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। এমনকি আমাদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগও করেনি।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আসিফ নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা নির্বাচন অফিস ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। নির্বাচনের মাঠে পেনিক সৃষ্টি করার জন্য আসিফ কৌশল নিয়ে থাকতে পারেন। তিনি নিখোঁজ নন তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন বলে আমরা মনে করছি। তার বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ জন প্রার্থী। এরা হলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের পদ থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া এই আসনের ৫ বারের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া-(কলারছড়ি প্রতীক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবদুল হামিদ ভাসানী-(লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এই আসনের ২ বারের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা (আপেল প্রতীক), জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল-(গোলাপ ফুল), ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ-(মোটর গাড়ী প্রতীক)।
তবে প্রতীক বরাদ্দের পর স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছেন।
উপ-নির্বাচনে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ না করলেও উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া সমর্থক গোষ্ঠির ব্যানারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সদর আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা আজাদ ওরফে শিউলী আজাদ, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকারের নেতৃত্বে দলীয় নেতা-কর্মীরা প্রতিদিন নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে কলারছড়ির পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
নেতৃবৃন্দ ভোটের দিন প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে স্থানীয় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদেরকে নির্দেশনা দিচ্ছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে মা ও মেয়ে একসঙ্গে এসএসসি পরীক্ষা পাসের রেকর্ড করেছেন। ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় তারা দু’জন এ কৃতিত্ব অর্জন করেন।
আজ ১২ মে রবিবার এ বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উৎসবের আমেজ বইছে।
এই অদম্য জ্ঞানপিপাসু গৃহবধূর নাম নূরুন্নাহার বেগম। তিনি নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের কাঠাঁলকান্দি গ্রামের মো. ফরিদ মিয়ার মেয়ে। তিনি ২০২৪ সালে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৪ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট পেয়ে কৃতকার্য হয়েছে। অপর দিকে তার মেয়ে চাতলপাড় ওয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে ২ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে কৃতকার্য হয়েছেন।
নুরুন্নাহার বলেন, ছোট বেলায় খুব ইচ্ছে ছিল পড়ালেখা করে মানুষের মতো মানুষ হবো। উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে দেশের নারীদের জন্য ভালো কিছু করবো। কিন্তু পরিবারের চাপে পড়ে খুব ছোট বেলায় বিয়ে হয়ে যায় আমার। বিয়ের পর দুই ছেলে-মেয়ে আর সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় নিজের পড়ালেখার কথা ভুলে যেতে হয়। কিন্তু মন থেকে পড়ালেখার ইচ্ছে বাদ দিতে পারিনি। পরে নিজের একান্ত স্বপ্ন আর স্বামী-সন্তানের অনুপ্রেরণায় চাতলপাড় কারিগরি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনিতে ভর্তি হই।
তিনি আরও বলেন, যে সব নারীরা পরিবারের এবং সংসারের অস্বচ্ছলতার কারণে পড়ালেখা করতে পারে না, তাদের প্রতি অনুরোধ যে সরকার বিনা টাকায় পড়ালেখা চালিয়ে যেতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। এ সুযোগ গ্রহণ করুন।
চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিক মিয়া জানান,‘ তিনি আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্য। তার এই সাফল্যে আমরা গর্বিত। নতুন প্রজন্মের কাছে তিনি একজন আদর্শ।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ইমরানুল হক ভূইয়া বলেন, ‘পড়াশোনা করতে চাইলে যেকোনো বয়সেই করা সম্ভব, মানুষের অদম্য ইচ্ছাশক্তির কাছে সব বাধাই পরাস্ত হয়। বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের জন্য নুরুন্নাহার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। বিশেষ করে নারীদের কাছে তিনি উজ্জ্বল নক্ষত্র। আমার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে সম্মানিত করা হবে। আমি এ মা ও মেয়ের সাফল্য কামনা করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুল ড্রেস বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ০২ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলাম এই স্কুল ড্রেস বিতরণ করেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূঁইয়া সভাপতিত্বে ও প্রধান শিক্ষক এবিএম সালেমের পরিচালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকতা মোঃ ইকবাল মিয়া, নাসিরনগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাঈনুদ্দিন ভূঁইয়া, সিনিয়র শিক্ষক মোঃ আলমগীর মিয়া, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য কাজল জ্যোতি দত্ত ।
এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে খালের পানি থেকে হাদিস মিয়া(১৯) নামে এক শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধীর লাশ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। আজ ২ অক্টোবর সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার গোকর্ণ-কুন্ডা বেড়িবাঁধে কুকুরিয়া ব্রীজের দক্ষিণ পাশে পানি থেকে ওই প্রতিবন্ধীর লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রতিবন্ধি হাদিস গোকর্ণ পশ্চিম পাড়ার উজ্জল মিয়ার ছেলে।
নিহত হাদিসের পিতা উজ্জল মিয়া ও স্থানীয়রা জানান, হাদিস মিয়া জম্মের পর থেকেই শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধি ছিল। ঘটনার সময় পরিবারের অজান্তে বাড়ির পার্শ্ববতী কুকুরিয়া ব্রীজের খালে মাছ ধরতে যায়। এসময় খালের পানিতে স্রোত থাকায় পানিতে তলিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে নাসিরনগর থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছার সাথে সাথেই স্থানীয় লোকজন খোজাঁখুজি করে প্রতিবন্ধি হাদিস মিয়ার লাশ উদ্ধার করে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন জানান, হাদিস মিয়া জন্মের পর থেকেই শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধী ছিল। মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে তলিয়ে গিয়ে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: সোহাগ রানা জানান, এঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।