চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১২ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৪২ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ৬ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোলপ্লাজা এবং গতকাল বুধবার বিকেলে বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বক্তারমুড়া ও একই দিন বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে পৃথক অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান এই মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এসময় মাদকদ্রব্য বহনকারী একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল এলাকার মৃত তোতা মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫০), ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার চর-কাছাপিয়া গ্রামের মোঃ হান্নান মিয়ার ছেলে নাঈম আহম্মেদ (২০) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কান্দিপাড়ার মোঃ ফজলু মিয়ার ছেলে মোঃ পিয়াস মিয়া (৩০)।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহম্মেদ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুগঞ্জ টোল প্লাজার সামনে থেকে মনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার শরীরে তল্লাশী চালিয়ে তার কোমরে ও পায়ে রাবার দিয়ে বিশেষ কায়দায় ফিটিং করা অবস্থায় ১২ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে বুধবার বিকেলে একই স্থানে অভিযান চালিয়ে একটি পিকআপ ভ্যান আটক করা হয়। পরে পিকআপভ্যানে তল্লাশী চালিয়ে ২২ কেজি গাঁজা উদ্ধার ও নাঈম আহম্মেদকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।
অপরদিকে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাজু আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বক্তারমুড়া গ্রাম থেকে ২০ কেজি গাঁজাসহ মাদক পাচারকারী পিয়াস মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বহুল আলোচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। শপথও নিয়েছেন তিনি। কিন্তু এর আগেই সংসদ অধিবেশন শেষ হয়ে যায়। জীবনে প্রথমবার সংসদ সদস্য হয়েও অধিবেশনে যোগদান না করার আক্ষেপ তার। তাই আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনেছেন অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু।
১৯ নভেম্বর রবিবার দুপুরে রাজধানীতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে তিনি দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) নির্বাচনী আসনে স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগ থেকে জয়লাভ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর খুনি তাহের উদ্দিন ঠাকুর। এরপর গত ৫০ বছরে আর কেউ এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে জয়লাভ করতে পারেনি। এরমধ্যে ২২ বছর নৌকা প্রতীকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি এ আসনে। সর্বশেষ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দাবির মুখে উপ-নির্বাচনে নিজ দলীয় প্রার্থীকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
গত ৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে অনুষ্ঠিত হওয়া উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম সাজু জয়লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা।
এদিকে গণমাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্তে আশুগঞ্জে দুটি ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের সত্যতা পায় কমিটি। এ দুই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি অভিযুক্ত দুই কেন্দ্র ছাড়া জয়ী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শাহ আলম সাজুকে জয়যুক্ত করে গেজেট প্রকাশিত করে নির্বাচন কমিশন।
১৫ নভেম্বর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী শাহজাহান আলম সাজুকে শপথবাক্য পাঠ করান। কিন্তু এর আগেই ২ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশন শেষ হয়েছে। ফলে শপথ নিলেও জাতীয় সংসদের কোনো অধিবেশনে যোগদান করতে পারেননি তিনি।
এ নিয়ে আক্ষেপের কথা জানালেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। তিনি বলেন, একজন সংসদ সদস্য হয়ে অধিবেশনে যোগ দিতে না পারা অবশ্যই কষ্টের ব্যাপার। এরপরও বাস্তবতা মানতে হবে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য দুমাসের মধ্যে এ নির্বাচন হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, শপথ নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমি সাক্ষাৎ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। অধিবেশনে না বসতে পারলেও ৫০ বছর পর আসনটি উদ্ধার হয়েছে তাতে প্রধানমন্ত্রী খুশি হয়েছেন। পরবর্তী নির্বাচন ৭ জানুয়ারি হবে। ইনশাআল্লাহ জনগণ আমাকে আবারও বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে। তখন সংসদ অধিবেশনে গিয়ে আমি সাধারণ মানুষের কথা হয়তো বলতে পারবো।
মো: রবিন মিয়া:
আশুগঞ্জে আল-আমিন (২৫) ও জরিনা বেগম (২০) নামে এক দম্পতি একসাথে আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে ২৫ মে রবিবার রাতে আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের কুড়ের পাড় এলাকায়।
আল-আমিন ওই এলাকার নান্নু মিয়ার ছেলে এবং জরিনা একই ইউনিয়নের নোয়াপাড়ার ইদ্রিস মিয়ার মেয়ে। আল আমিন পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা চালক ছিলেন। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
জরিনার ভাই আনোয়ার হোসেন জানান, অভাব-অনটন ও সংসারের টানাপড়েন তাদের প্রতিনিয়ত বিপাকে ফেলছিল। কিস্তিতে কেনা অটোরিক্সাটি কয়েকদিন আগে আল-আমিন বিক্রি করে দেন। এরপর শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। পরে অভাব-অনটন দেখা দিলে তারা একসাথে আত্মহননের পথ বেছে নেন। রবিবার রাতে তারা কেরির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। রাত ১০টার দিকে দুজনকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে জরিনা জরুরি বিভাগেই মারা যান। কিছুটা সময় লড়লেও রাত ১টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আল-আমিন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহা. বিল্লাল হোসেন বলেন, অভাব-অনটন ও মানসিক কষ্ট থেকেই এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তাদের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিদেশি রিভলবার ও ২ রাউন্ড গুলিসহ মো. ইমান উদ্দিন(৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। ১০ মে শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ তারুয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ইমান উদ্দিন দক্ষিণ তারুয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ছিলেন তিনি। শনিবার রাতে র্যাব-৯- এর সিলেট ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে.এম. শহিদুল ইসলাম সোহাগ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার বিকেলে আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ তারুয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে তল্লাশী করে ১টি বিদেশী রিভলবার ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে মামলা দায়েরের পর তাকে আশুগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
মেয়াদ শেষে নতুন প্রকল্প অনুমোদন না হওয়ায় প্রায় তিন বছর বন্ধ সেচ কার্যক্রম। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ ও নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ৫০ সহস্রাধিক কৃষক বাড়তি সেচ খরচ মেটাতে ক্ষতির মুখে পড়েছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে আশুগঞ্জ-পলাশ এগ্রো ইরিগেশন প্রকল্পের আওতায় ১৫ হাজার হেক্টর জমির বোরো আবাদ। প্রতি মৌসুমে প্রায় ৭০ হাজার টন ধান উৎপাদন কম হচ্ছে। স্থানীয়রা প্রকল্প প্রস্তাবনা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন দ্রুত না হলে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) বলছে, কিছু সংশোধন, সরেজমিন যাচাইসহ সেচ ব্যবস্থাপনায় আধুনিক ও টেকসই প্রকল্প প্রস্তাবনা চূড়ান্তের কাজ শেষ পর্যায়ে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলেই বাস্তবায়ন শুরু হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন ইউনিটের টারবাইন ঠান্ডা রাখতে মেঘনা নদীর বিপুল পরিমাণ পানি লাগে। পরে এই বর্জ্য পানি একটি আউটার চ্যানেল দিয়ে পুনরায় নদীতে ফেলা হয়। ১৯৭৫ সালে স্থানীয়দের উদ্যোগে বিদ্যুৎকেন্দ্রে একটি হেড রেগুলেটর নির্মিত হলে পানির গতিপথ আংশিক পরিবর্তন করে তা পার্শ্ববর্তী জমির সেচ হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়। এটিই ১৯৭৮-৭৯ অর্থবছরে বিএডিসির অধীনে ‘আশুগঞ্জ সবুজ প্রকল্প’ নামে সেচ কার্যক্রম শুরু করে। একই সময় নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় এ ধরনের প্রকল্প গড়ে ওঠে। পরে ১৯৯০-৯৫ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় দুটিকে একীভূত করে যাত্রা শুরু হয় ‘আশুগঞ্জ-পলাশ এগ্রো ইরিগেশন প্রকল্প’, যার মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২০ সালের ৩০ জুন।
কৃষকরা জানায়, গভীর কিংবা অগভীর নলকূপ থেকে ভূগর্ভস্থ পানি সেচকাজে ব্যবহার করলে একরপ্রতি তাদের জ্বালানি খরচসহ লাগে ৮-১০ হাজার টাকা। বিপরীতে প্রকল্পের পানিতে একরে সেচ খরচ ২ হাজার টাকার মতো। কৃষি বিভাগের হিসাবে প্রকল্পের অধীনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ, সরাইল, সদর ও নবীনগর উপজেলার প্রায় ৩৪ হাজার এবং পলাশের ১৬ হাজার কৃষক এর সুবিধাভোগী। তারা নামমাত্র খরচে নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা পেয়ে আসছিল। ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ যেমন কমত, তেমনি গড়ে ৭০ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয় হতো। কৃষকরা প্রতি বোরো মৌসুমে আশুগঞ্জ অংশে প্রায় ৭০ হাজার টন ধান উৎপাদন করে আসছিল, যা এখন একেবারে বন্ধের পথে।
জানা গেছে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) পুকুর আংশিক ভরাট ও পরে ২০২০ সালে আশুগঞ্জ নৌবন্দর-আখাউড়া স্থলবন্দর মহাসড়ক চার লেন প্রকল্প বাস্তবায়নে সেচ প্রকল্পের প্রায় ১১ কিলোমিটার ড্রেন ও খাল ধ্বংস হয়ে যায়। এর পরই সেচ ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়ে। এক পর্যায়ে ‘আশুগঞ্জ সবুজ প্রকল্প রক্ষা কমিটি’র ব্যানারে স্থানীয় কৃষকরা আন্দোলনে নামলে বিএডিসির পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের দায়িত্ব পায়। ২০১৯ সালের আগস্টে বিএডিসি, সওজ ও সিইজিআইএস যৌথ জরিপ শেষে সেচ সুবিধা অব্যাহত রাখতে মন্ত্রণালয় ও বিএডিসির কাছে তিনটি বিকল্প প্রস্তাব দেয়। ২০২০ সালের ১৭ জুন আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে প্রকল্পটি সচলে যেসব সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়, তার একটিও বাস্তবায়ন হয়নি। পাশাপাশি বিএডিসি সেচ ব্যবস্থা সচল রাখতে প্রায় ৪৭০ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প প্রস্তাবনা দেয়। কিন্তু সেটি সাড়ে তিন বছরেও অনুমোদন পায়নি।
সেচ সুবিধাভোগী কৃষক রশিদ আহম্মদ, সেলিম মিয়া, দুলাল মিয়া ও স্কিম ম্যানেজার মো. বাছির জানান, সেচ বন্ধ থাকায় তিন বছর ধরে তাদের শত শত একর জমি অনাবাদী। অনেকে গভীর-অগভীর নলকূপের মাধ্যমে আবাদ করলেও খরচ পড়ছে কয়েক গুণ। প্রকল্পটি দ্রুত চালু না হলে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন বলে জানান তারা।
আশুগঞ্জ সবুজ প্রকল্প রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক শাহীন সিকদার বলেন, ‘এটি ব্যতিক্রমী সেচ প্রকল্প। দেশের কোথাও এতো কম খরচে সেচ সুবিধা নেই। প্রকল্প চালু থাকলে প্রতি মৌসুমে অন্তত ২৫ কোটি টাকার জ্বালানি সাশ্রয় হবে। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারে এ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।’
বিএডিসির উপপ্রধান প্রকৌশলী ও আশুগঞ্জ-পলাশ এগ্রো ইরিগেশন সেচ প্রকল্পের ফোকাল পারসন মোহাম্মদ ওবায়েদ হোসেন বলেন, ‘পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত প্রকল্পের কিছু বিষয় যাচাই-বাছাই করছে। শীঘ্রই প্রকল্প প্রস্তাবনা জমা দেওয়া সম্ভব হবে। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে কাজ শুরু করব।’