অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম বুবলী। তার স্বামী শাকিব খান মঙ্গলবার তার সম্পর্কে বেশ কিছু কথা বলেন। বুধবার বেলা ১১টার দিকে বুবলী তার ফেসবুক পেইজে শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, কিছু দিন পর পর হঠাৎ-হঠাৎ করে আমাকে নিয়ে আপনার এ রকম নিউজ দেখে খুব অবাক হয়ে ভাবি, হচ্ছেটা কি!! শেহজাদের মুখের দিকে তাকিয়ে আপনাকে নিয়ে অনেক কিছুই বলতে চাই না। এড়িয়ে যাই; কিন্তু আমার ছেলের সম্মানের জন্য যদি মা হয়ে আমাকে কথা বলতে হয়, সময় হলে আমি অবশ্যই বলব…।
বুবলী আরো লেখেন, আমরা জাস্ট একটা সুন্দর ঈদ কাটালাম। শেহজাদকে সহও একসঙ্গে ঈদ কাটিয়েছি, গাড়িতে ঘুরেছি, গান শুনেছি, আপনার আপকামিং মুভির ঈদ নিয়ে গানও শোনালেন, আপনার জোকস শুনে হেসেছি, একসঙ্গে খাবার খেয়েছি, আপনাকে খাইয়েও দিয়েছি, গল্প করেছি…। শেহজাদ ছাড়াও কয়েক দিন আগেও আমরা এই ঈদ এবং ঈদের পরও একসঙ্গে থেকেছি, টাইম স্পেন্ড করেছি…।
ঢালিউডের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী বলেন, কিন্তু কিছু দিন পর পর কী উদ্দেশ্যে আপনি আপনার স্ত্রী (এখনো আপনার সঙ্গে আমার ডিভোর্স হয়নি) এবং আপনার সন্তানের মাকে নিয়ে আপত্তিকর ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলে সংবাদ করে ক্ষীণও চিন্তা প্রকাশ করেন?
তিনি পোস্টে লেখেন— মিস্টার শাকিব খান, আপনার বিশেষ কিছু সাক্ষাৎকার খুব অপরিচিত লাগে, কেমন যেন! বাস্তবে দেখা আপনার সঙ্গে মেলে না।
তিনি বলেন, আপনি কি সবসময় সজ্ঞানে কথা বলেন নাকি অজ্ঞানেও মাঝেমাঝে কথা বলেন? নাকি আপনার হয়ে আপনার একান্ত মুখপাত্ররাও কথা বলেন?
তিনি বলেন, এগুলো কিন্তু আর্কাইভে থেকে যাবে এবং শেহজাদ কিছু দিন পর বড় হয়ে এসব দেখবে এবং ভাববে কী নোংরাভাবে আপনি তাকে ক্যাশ করে তার মাকে প্রতিনিয়ত হেয় করেছেন।
বুবলী বলেন, আপনাকে তো কোথাও কখনো অসম্মান করিনি বা অসম্মান করে কথা বলিনি; বরং যে কোনো অবস্থায় আপনাকে সম্মান দিয়ে পাশে থেকে নানাভাবে সাপোর্ট দিয়েছি। আপনার সমসাময়িক এত বিষয় থাকতে আপনি বিশেষ কিছু সাক্ষাৎকারে শুধু কিছু দিন পর পর আমাকে নিয়ে নিউজে খোঁচান কেন? উদ্দেশ্য কী? আগে তো কখনো এ রকম করতেন না? নাকি আপনার বিশেষ সাক্ষাৎকারে আর অন্য কোনো বিষয় তখন একান্ত মুখপাত্ররা পাশে থেকে কেউ ডাবিং করে দেয় না।
তিনি আরও বলেন, সব কিছুর ঊর্ধ্বে একজন মানুষ হিসেবে কিছু কথা বলতে চাই আপনাকে— ভালো ভালো সিনেমা করুন, তবে মনে রাখবেন সুপারস্টারডোম জীবনের একটা অংশ; কিন্তু এটাই পুরো জীবন নয়।
শাকিব খানের উদ্দেশে বুবলী আরও লেখেন, অনেকটা সময় পার হয়ে গেছে নিজের জীবনটাকে গোছান, সেটি যেভাবেই আপনার ভালো লাগে, আমি কখনই আপনাকে কোনো ব্যাপারে ফোর্স করিনি, সব সিদ্ধান্ত দিনশেষে আপনারই ছিল।
সবশেষে তিনি শাকিবের উদ্দেশ্যে বলেন, এখনো আপনার কোনো কিছু মনে হলে সেই সিদ্ধান্তও একান্তই আপনার, সেটা যেই সিদ্ধান্তই হোক আমি অবশ্যই শুভকামনা জানাব; কিন্তু বিনীত অনুরোধ করব— আবারও কোনো লুকোচাপা করে আর কোনো বাজে কনফিউশন তৈরি করবেন না। শেহজাদের বাবা হিসেবে আমি যেমন আপনাকে সম্মান দিই, আপনিও সেটি করবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
নাক ব্যবহার করে আপনি কি কোনো কিছু লিখেছেন? হয়তো আপনাদের কেউ কেউ চেষ্টাও করেছেন। কিন্তু নাক দিয়ে কতটা দ্রুত কম্পিউটারে লিখতে পারেন? ভারতের এক ব্যক্তি নাক দিয়ে দ্রুত ইংরেজি অক্ষর লিখে নিজের আগের রেকর্ডই ভেঙেছেন। তৃতীয়বারের মতো গড়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।
বিনোদ কুমার চৌধুরী (৪৪) ২০২৩ সালে প্রথম নাক দিয়ে লিখে রেকর্ড গড়েন। ওই সময় তিনি ২৭ দশমিক ৮০ সেকেন্ডে ইংরেজি অক্ষরগুলো লিখেছিলেন। পরে একই বছর তিনি ২৬ দশমিক ৭৩ সেকেন্ডে লিখে আগের রেকর্ড ভাঙেন। এবার তিনি ইংরেজি অক্ষর লিখতে সময় নিয়েছেন ২৫ দশমিক ৬৬ সেকেন্ড।
বিনোদ কুমারের রেকর্ড গড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে দিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস লিখেছে, ‘আপনি কি নাক দিয়ে দ্রুত ইংরেজি অক্ষরগুলো লিখতে পারবেন? ভারতের বিনোদ কুমার চৌধুরী ২৫ দশমিক ৬৬ সেকেন্ডে এ কাজটি করেছেন।’
বিনোদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, রেকর্ড গড়তে তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টার অনুশীলন করতেন। নাক দিয়ে লিখতে গিয়ে মাঝেমধ্যে তাঁর মাথা ঘুরে উঠত যাতে তিনি চোখে ‘তারা’ দেখতেন। প্রতিটি অক্ষর লেখার সময় মাঝখানে জায়গা রাখতে আরেকটি বাটনে চাপতে হয় তাঁকে।
বিনোদ কম্পিউটারশিল্পে কাজ করে থাকেন। লেখার এই গুণের জন্য তিনি ‘টাইপিং ম্যান অব ইন্ডিয়া’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।বর্তমানে বিনোদ কুমার কম্পিউটারের কি-বোর্ডে দ্রুততম সময়ে লেখার তিনটি রেকর্ডের মালিক। একটি হচ্ছে পেছনে এক হাত দিয়ে দ্রুততম সময়ে লেখা, আরেকটি হচ্ছে দুই হাত পেছনে দিয়ে দ্রুততম সময়ে লেখা এবং তৃতীয়টি হচ্ছে নাক দিয়ে দ্রুততম সময়ে লেখা।
বিনোদ কুমার বলেন, ‘আমার কাজ হচ্ছে কম্পিউটারে লেখা। এ কারণে আমি কম্পিউটারে বিভিন্ন কৌশলে লিখে রেকর্ড করার কথা চিন্তা করেছিলাম। এ কাজটি আমার আবেগ বা আসক্তির পাশাপাশি জীবিকার সঙ্গেও জড়িত।
বিনোদ কুমার আরো বলেন, নানা বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও যে কাউকে তাঁর আবেগ–অনুভূতিকে ধরে রাখা উচিত। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বলছে, বিনোদের সাফল্যের গোপন রহস্য হচ্ছে, তিনি প্রতিদিন অনুশীলন করতেন আর ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করতেন।
বিনোদ বলেছেন, তিনি সব সময় নতুন রেকর্ড গড়ার দিকে তাকিয়ে থাকতেন। তাঁর স্বপ্ন হচ্ছে, সাবেক ভারতীয় ক্রিকেট তারকা শচীন টেন্ডুলকারের মতো রেকর্ড ভেঙে রেকর্ড গড়া। শচীন তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ৬২ বার প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার জিতেছেন। সব মিলিয়ে তিনি ১০০টি সেঞ্চুরি করেছেন। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক মঞ্চ নাটক ”সাজন মেঘ” মঞ্চায়িত হয়েছে। সারা দেশে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মঞ্চ নাটক প্রচারের অংশ হিসেবে ৫ জুলাই শুক্রবার রাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। নাটকটি রচনা করেন বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক শান্তুনু কায়সার। নিদর্শনায় ছিলেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন রেজা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
উপস্থিত ছিলেন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, অতিরিক্ত পুলিশ মোঃ ইকবাল হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এস.এম শফিকুল্লাহ, উপাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান শিশির, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও নাটকের নির্দেশক চন্দন রেজা, জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার সৈয়দ মুহাম্মদ আয়াজ মাবুদ, সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবি আবদুল মান্নান, সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের পীঠস্থান, সংস্কৃতির রাজধানী। এই সংস্কৃতির রাজধানীতে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড চলমান থাকবে। জেলা প্রশাসন সব সময় সংস্কৃতির পক্ষে, শিল্প সাহিত্যের পক্ষে। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সবাইকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংস্কৃতি কর্মকান্ডকে এগিয়ে নিতে যেতে হবে।
নাটকটির মূল সার সংক্ষেপ ছিল শান্ত-স্নিগ্ধ ছায়া সুনিবিড় গ্রাম “সাজন মেঘ”। একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর অযাচিত বর্বরতায় তাদের শান্ত জীবনে নেমে আসে আতংক, ভয়। আক্রান্ত হয় গ্রাম-হাট-ঘাট, প্রান্তর, লোকালয়। সম্ভ্রম হারায় কিশোরী-তরুণী-গৃহবধূ। রুখে দাঁড়ায় গ্রামের তরুণ, তরুণী, কৃষক, কামার-কুমার, আপামর জনতা। ধর্ম আর সমাজের সংস্কার ভেঙ্গে দেশের জন্য একাট্টা হয়ে লড়ে যায় প্রাণপনে।
নাটকটি নির্মাণ সম্পর্কে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও নাটকের নির্দেশক চন্দন রেজা বলেন, “সাজন মেঘ” নাটকটি মহান মুক্তিযুদ্ধের একটি খন্ডচিত্র। এই নাটকের মাধমে নাট্যকার সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতার একটি চিত্র তুলে ধরেছেন। সংলাপে গেঁথেছেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। সময়ের বাস্তবতা ও নাট্য নির্মাণের প্রয়োজনে মূল নাটকে কিছু সংযোজন বিয়োজন করতে হয়েছে।
তিনি বলেন, সমাজের গোড়ামী, কুসংস্কার, কূপমন্ডকতা, ধর্মান্ধতা আর মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে যখন শকুনেরা জেঁকে বসেছে, ঠিক তখনই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি নাটকের মাধ্যমে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মানুষের মনে জাগ্রত করার প্রয়াসে দেশের সকল জেলায় নাট্যযজ্ঞ শুরু করেছে। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে ২৩ জন শিল্পী অভিনয় করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের মালিকানাধীন দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) কাছে বিশেষ আবদার জানিয়েছিলেন টালিউড অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য মিমি চক্রবর্তী। যথারীতি কিছু দিনের মধ্যেই মিমির প্রিয় জিনিস পাঠানো হলো তার কাছে। কিন্তু কী এমন চেয়েছিলেন তিনি? এ নিয়ে অনুরাগীদের মধ্যে ব্যাপক চর্চা চলছিল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদন সূত্র জানায়, মিমি নিজের নাম লেখা কেকেআরের জার্সি চেয়েছিলেন। টুইট করেছিলেন তিনি। তবে বেশি দিন অপেক্ষা করতে হলো না তাকে।
নিজের নাম লেখা জার্সি হাতে পেতেই উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রী। কলকাতার জার্সি বলে কথা। যথারীতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলেন সেই সুখবর।
কেকেআরের তরফে সেই ছবি পোস্ট করে তারা জানিয়েছেন। মিমি দারুণ লাগছে। আমাদের দলের হয়ে চিয়ার করছেন আপনি। ধন্যবাদ। হাসিমুখে জার্সি হাতে পোজ দিয়েছেন মিমি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাই বলছেন, আপনার আবদার পূরণ করলেন কিং খান।
উল্লেখ্য, বেশ কিছু দিন ধরে মিমি রাজনীতির কোনো অনুষ্ঠানে দেখা যাচ্ছে না। তবে সামনেই সিনেমার কাজে আরও ব্যস্ত হয়ে পড়বেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীনির্ভর ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা আজ ১৩ অক্টোবর সারা দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে। সিনেমাটি দেশবাসীকে দেখার আহ্ববান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারতের খ্যাতিমান পরিচালক শ্যাম বেনেগালের পরিচালনায় ‘মুজিব’ সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ। বৃহস্পতিবার সিনেমাটর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখেন। এ সময় তাঁর পাশে বসা ছিলেন বঙ্গবন্ধু চরিত্রে অভিনয় করা আরিফিন শুভও।
সিনেমা দেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে কী বলেছেন এমন প্রশ্নে সাংবাদিকদের আরিফিন শুভ জানিয়েছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মেয়ে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) মনে করেছে আমি তুলে ধরতে পেরেছি, আমি পেরেছি কি না সেটা ভাবার বা প্রয়োজন আমি দেখি না। যাঁর বাবার চরিত্র করেছি তার মনে হয়েছে আমি পেরেছি। যিনি তাকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন, একজন কন্যার যদি তাঁর বাবাকে নিয়ে মনে হয়, আমার বাবার চরিত্র এ সুন্দর করেছে। উনি রীতিমতো আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, কীভাবে করছে? কীভাবে করলা এত সুন্দর করে?’
সিনেমাটি প্রসঙ্গে কিছু বলার আছে কি না এমন প্রশ্নে আরিফিন শুভর উত্তর, ‘আমার তিন বছরের চেষ্টা সিনেমায় দেওয়া আছে। মানুষ দেখুক সেটার জন্য অপেক্ষা, নতুন করে কিছুই বলার নেই।’
বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীনির্ভর ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সারা দেশের ১৫৩ সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে।
ভারতের খ্যাতিমান পরিচালক শ্যাম বেনেগালের ‘মুজিব’ সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ, শেখ হাসিনার একটি চরিত্রে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া ও বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছার বড়বেলার চরিত্রে অভিনয় করছেন নুসরাত ইমরোজ তিশাসহ শতাধিক অভিনেতা কাজ করছেন সিনেমাটিতে।
২০২১ সালের জানুয়ারির শেষ দিকে মুম্বাইয়ের দাদা সাহেব ফালকে স্টুডিওতে সিনেমাটির প্রথম ধাপের শুট শুরু হয়। সিনেমাটিতে সহযোগী পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন দয়াল নিহালানি। চিত্রনাট্য লিখেছেন অতুল তিওয়ারি ও শামা জায়েদি। শিল্প নির্দেশনার দায়িত্বে রয়েছেন নীতিশ রায়। কস্টিউম ডিরেক্টর হিসেবে আছেন শ্যাম বেনেগালের মেয়ে পিয়া বেনেগাল।
অনলাইন ডেস্ক :
সিনেমার গল্পের মতোই নাটকীয় এই অভিনেত্রীর জীবন। ১৪ বছর বয়সে রুপালি পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন তিনি, কে ভেবেছিল তার ব্যক্তিগত জীবন একদিন এতোটা আলোড়ন তুলবে! বলা হচ্ছে ভারতের কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি’র নায়িকা রাধিকার কথা। যিনি তার সৌন্দর্য ও অভিনয় শক্তি দেখিয়ে এত জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। ২০০২ সালে ‘নীলা মেঘা শামা’ দিয়ে পরিচিতি পেলেও ২০০৩ সালে ‘ইয়ারকাই’ সিনেমায় ন্যান্সি চরিত্রে অভিনয়ের পর লাইমলাইটে চলে আসেন রাধিকা।
কিন্তু তার নাম যতোটা সিনেমার জন্য চর্চায় এসেছে, তার চেয়ে বেশি জায়গা করে নিয়েছে ব্যক্তিগত জীবন। অল্প বয়সেই ব্যবসায়ী রতন কুমারের সাথে প্রেমে জড়ান রাধিকা। এরপর তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু রাধিকার বাবা মারা যাওয়ায় শুরু হয় নায়িকার পরিবারের টানাপড়েন। এর দুই বছর পর প্রথম দাম্পত্য ভেঙে যায় রাধিকার।
তারপর নায়িকার জীবনে আসে নতুন অধ্যায়। ২০০৬ সালে কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীকে বিয়ে করেন রাধিকা। তবে চার বছর এই সম্পর্ক গোপন রাখেন তিনি। ২০১০ সালে বিষয়টি সামনে এলে শোরগোল পড়ে যায়। জানা যায়, কুমারস্বামীর এটি দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম স্ত্রীকে রেখে তিনি রাধিকার সঙ্গে গোপনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। রাধিকার বাবা এই বিয়ের ঘোরবিরোধী ছিলেন, কিন্তু ভালোবাসার টানে পরিবারকে উপেক্ষা করে একরকম পালিয়েই বিয়ে সারেন রাধিকা।
৩৮ বছর বয়সী রাধিকার সিনে দুনিয়ার ক্যারিয়ার কার্যত ফ্লপ। তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে তিনি সফল। গুঞ্জন রয়েছে, কুমারস্বামীর স্ত্রী হওয়ার পর তিনি বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১২৪ কোটি রুপি। বর্তমানে এই দম্পতির এক কন্যাসন্তানও রয়েছে।