অনলাইন ডেস্ক :
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ আগামীকাল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
আজ ১১ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ আরো উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১১.৬ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৭.৯ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি আরো ঘণীভূত হয়ে আগামীকাল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তী সময়ে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ কিছুটা স্বস্তির জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে।
ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার বিকেলে দ্য রিজ-কার্লটন হোটেলের সভাকক্ষে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, ‘আমরা কিছুটা স্বস্তির জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ নিয়েছি।’
আইএমএফ সম্প্রতি বাংলাদেশের জন্যে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতির ব্যাপক প্রশংসা করেছেন আইএমএফের এমডি, যা কভিড-১৯ মহামারির পরে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করে তুলেছে।
ড. মোমেন আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘বিশ্বে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল (সামগ্রিক উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে) কারণ, দেশটি এমনকি করোনা মহামারির পরও অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে পেরেছে।’
আইএমএফ প্রধান বলেন, সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো নেতৃত্ব প্রয়োজন।
তিনি বলেন, অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন ও দক্ষ যোগাযোগ এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
এছাড়া, ক্রিস্টালিনা কভিড-১৯ মহামারিকালে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখারও প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁর দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকারের নানা উদ্যোগ সম্পর্কে আইএমএফ প্রধানকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন একদিনে হয়নি, বরং এটি দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার ফল।’
শেখ হাসিনা বলেন, পট পরিবর্তনের পর কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি যেভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন চেয়েছেন সেভাবে তাঁর পরিকল্পনা করেন এবং ২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করেন।
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা এবং নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের পদক্ষেপ সম্পর্কে আইএমএফ প্রধানকে অবহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় আইএমএফের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে আশা করেন।
ব্রিফিংকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ বলেন, গত ১৪ বছরে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আইএমএফ সবসময় বাংলাদেশের পাশে থেকেছে ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছে এবং দেশটি কখনই এর থেকে বিচ্যুত হয়নি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কর্মসূচি নিয়ে আইএমএফের সাথে কাজ করছে, যা বাংলাদেশ মাত্র দু’সপ্তাহের আলোচনার মাধ্যমে পেয়েছে, যদিও অনেক দেশ বছরে পর বছর ধরে আলোচনা চালিয়েও পায় না।
আইএমএফ প্রধানকে উদ্ধৃত করে রউফ বলেন, ‘আইএমএফ ভবিষ্যতে এই ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।’
ব্রিফিংকালে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
ভুল চিকিৎসায় ও চিকিৎসকের গাফিলতির কারণে রোগী মারা গেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাসহ হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী হাসপাতাল, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, কুমুদিনী নার্সিং কলেজ, ভারতেশ্বরী হোমসসহ কুমুদিনী কমপ্লেক্সের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ইউনিট পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ যাতে ঘরে বসেই চিকিৎসার সেবা পায় এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে কোনো প্রকার হয়রানির শিকার না হন সেই লক্ষ্য নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় কাজ শুরু হয়েছে।
এ সময় তিনি জানান, যেকোনো উপায়ে দেশের চিকিৎসাসেবার মান আমূল পরিবর্তন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গত পরশু দিন আমি দেখা করেছি। দেশের চিকিৎসাসেবার মান বৃদ্ধিসহ ঘরে বসে মানুষ যেন চিকিৎসা সেবা পান সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
আমি একেবারে তৃণমূল গ্রাম থেকে উঠে এসেছি। চিকিৎসা সেবার কোথায় কোথায় সমস্যা রয়েছে আমি তা জানি। দেশের উপজেলা সরকারি হেলথ কমপ্লেক্স এবং জেলা সদরের হাসপাতালগুলোকে স্বাবলম্বী করতে হবে, বলেন ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, গ্রামের মানুষ যাতে শহরে চিকিৎসার জন্য এসে বিড়ম্বনার শিকার না হয় সে জন্য চিকিৎসকসহ আমদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। চিকিৎসাসেবার মান বৃদ্ধিসহ সরকারি সেবা ছড়িয়ে দিতে হবে।
এ সময় কুমুদিনী হাসপাতালের সেবার মান, পরিষ্কার-পরিচ্ছনতা, নিয়ম-কানুন, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক চর্চার পরিবেশ দেখে প্রশংসা করেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনের সময়ে যে ওয়াদা দিয়েছি তা পূরণ করব, এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা।
আজ ৫ মার্চ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় নির্বাচনে একটি রাজনৈতিক দল ও তার জোট অংশগ্রহণ করেনি। অন্যসব দল অংশগ্রহণ করেছে। আমরা নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছি। অনেক প্রার্থী এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। মোট প্রার্থী ছিল এক হাজার ৯৭০ জন এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থী ৪৭০ জন ছিলেন। এই নির্বাচনে লক্ষণীয় হলো, মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। নারী ও প্রথম ভোটারদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা শপথ গ্রহণ করি ১০ জানুয়ারি। এটা আমাদের জন্য পবিত্র দিন। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু করার জন্য নির্বাচন কমিশন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। এছাড়া জনগণকেও জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।
তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছর মেয়াদে রয়েছে এই সরকার। নির্বাচনের সময়ে যে ওয়াদা দিয়েছি তা পূরণ করব, এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা।
অনলাইন ডেস্ক :
কৃষক লীগকে শহরের মধ্যে আটকে না রেখে গ্রামের দিকে নিয়ে যাওয়া ভালো মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কৃষক লীগের ধানমন্ডি শাখা, বনানী শাখা, গুলশান শাখা, বারিধারা শাখা এসবের কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। একসময় এমনও ছিল যে কুয়েতে, কাতারের, সৌদি আরবে, আমেরিকায় কৃষক লীগ ছিল।
আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ববিকালে ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে সারা বিশ্বের যে সংকট। আজকে এ অবস্থায় কৃষির অর্থনীতি হচ্ছে আমাদের দেশের অর্থনীতির প্রাণ ভ্রমরা এবং এটাই প্রমাণিত হয়েছে কৃষি বাঁচলে বাংলাদেশের অর্থনীতি বাঁচবে। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে হলে কৃষককে বাঁচাতে হবে।
মহাবিপদে আছে বিএনপি জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে যারা বাংলাদেশ নিয়ে বেশি কথা বলেন, যারা আজ কথায় কথায় সরকারের, গণতন্ত্রের সমালোচনা করেন, আজকে যারা আন্দোলন করতে ব্যর্থ, নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ তারা গণতন্ত্রের সমালোচনা করে। বাংলাদেশকে নিয়ে কথায় কথায় ফখরুল বলে মহাবিপদ। মহাবিপদে আছে বিএনপি। নেতা লন্ডনে, কর্মীরা হতাশ। কী করবে? হাল ধরার কেউ নেই। বিএনপি পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা। এই দলের ভবিষ্যৎ আছে বলে কর্মীরাও বিশ্বাস করে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, এই দলকে নিয়ে মাথাব্যথার কারণ একটা আছে। এরা সাম্প্রদায়িক শক্তির ঠিকানা। এরা জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক। এরা অর্থ পাচার-দুর্নীতির রাজা। কাজেই এই অপশক্তিকে রুখতে হবে। এ দেশের উন্নয়ন, নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, সার্বিক অগ্রগতির পথে প্রধান অন্তরায় হচ্ছে বিএনপি। এদের প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। এদের রুখতে হবে। বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে এই অপশক্তিকে রুখতে হবে একসাথে। এটাই হোক কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রত্যয়, শপথ, অঙ্গীকার।
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটুর সঞ্চালনায় আলোচনা আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী।
চলারপথে রিপোর্ট :
আলু, ডিম ও পেঁয়াজ বাজারে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের হেলিপোর্ট বাজার, হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনাসহ আলু বিক্রির কার্যক্রম হিসাবে হিমাগার তদারকি করা হয়। ফরিদপুর জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখ এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনার সময় পাকা ক্রয়-বিক্রয় রশিদ না থাকা, মূল্য ও ক্রয় তালিকা হালনাগাদ না থাকা এবং দাম বেশী নেবার কারণে মেসার্স দিশারী ট্রেডার্সকে দুই হাজার টাকা, মেসার্স হাওলাদার ট্রেডার্সকে দুই হাজার টাকা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদনের দায়ে ঘোষ হোটেলকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে পাকা ক্রয়-বিক্রয় রশিদ সংরক্ষন ও মূল্য তালিকা হালনাগাদ টানানোর বিষয়ে আলু পেয়াঁজ ও ডিম ব্যবসায়ীদের সচেতন করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে জেলা পুলিশের টিম, বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ সোহেল শেখ জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।