চলারপথে রিপোর্ট :
ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় ফেনী জেলায় ৪৩ আশ্রয়কেন্দ্র ও১৪ টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে।আজ ১১ মে বৃহস্পতিবার বিকেলে ফেনী জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় বিদ্যুৎ বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, স্বেচ্ছাসেবী সিপিপি, স্বাস্থ্য বিভাগ, বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনসহ সকল বিভাগকে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন ফেনী জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল-হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় মানুষের আশ্রয়ের জন্য ইতোমধ্যে ৪৩ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১৪টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে সিপিপি ও রেডক্রিসেন্টসহ বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবক দল। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে লোকালয় থেকে মানুষজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে।জেলা প্রশাসক বলেন, ইতোমধ্যে দুর্যোগে সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবেলায় চাল, নগদ টাকা, শুকনো খাবার বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর।
অনলাইন ডেস্ক :
ধর্ম-বর্ণ ও মতের পার্থক্য থাকলেও বাংলাদেশের সব মানুষ একই পরিবারের সদস্য বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি আরো বলেন, শত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা পরস্পরের শত্রু নই।
আজ ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্মের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, আমাদের নানামত, নানা ধর্ম থাকবে, নানা রীতিনীতি থাকবে কিন্তু আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। এটাতে জোর দিয়েছিলাম। শত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা পরস্পরের শত্রু নই। আমাদের জাতীয়তা, পরিচয়ের প্রশ্নে এক জায়গায় চলে আসি। আমরা বাংলাদেশি, এক পরিবারের সদস্য।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শপথ গ্রহণের পরে শুনতে আরম্ভ করলাম সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। তখন মনটা খারাপ হয়ে গেল। এর পরপরই ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গেলাম। সেখানেও বললাম আমরা একই পরিবারের সদস্য। তিনি বলেন, সব দাবিদাওয়া বাদ দিলেও একটা দাবি পরিষ্কার আমাদের সবার সমান অধিকার, বলার অধিকার, ধর্মের অধিকার, কাজকর্মের অধিকার। সেটা এসেছে সংবিধান থেকে। যেটা নাগরিক হিসেবে প্রাপ্য, রাষ্ট্রের দায়িত্ব সেটা নিশ্চিত করা। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, শুনলাম এখনো সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে। তাই আমি সবাইকে নিয়ে বসলাম এটা থেকে কীভাবে উদ্ধার হওয়া যায়। দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, সেটা পুরো জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছিল। তখন তৃপ্তি পেলাম একটুতো কাজ করেছি। ভুল তথ্যের বিষয়ে সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন আবার নতুন কথা হামলা হচ্ছে, অত্যাচার শুরু হচ্ছে। বিদেশি গণমাধ্যম বলব না প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। আমি খোঁজ নিচ্ছি, কী হচ্ছে? সবদিকে দেখলাম এটা হচ্ছে না। তথ্যের মধ্যে বিশাল ফারাক আছে। এটা ঠিক না। এটার অবসান হতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা যে তথ্য পাচ্ছি তা ভুল হতে পারে। তথ্যের ওপর বসে থাকার কিছুই নেই, এটার অর্থ অন্ধের মতো বসে থাকা। ভেতরে গিয়ে দেখতে হবে। খোঁজ নিতে হবে তথ্যের গরমিল কেন? তাতে ওরা যা বলছে তা কি মিথ্যা প্রচার? না আমরা যা বলছি তা মিথ্যা প্রচার। সত্যটা কোথায়? তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্যের কোনো ফারাক নেই। সঠিক তথ্য কীভাবে পাব, সেটা আমাদের জানা প্রয়োজন। প্রকৃত তথ্যের ক্ষেত্রে অনেক সময় সরকারি তথ্যের ওপর ভরসা করে লাভ নেই। কারণ কর্তা যা চাই, তারা সেভাবে বলে। আসলটা মন খুলে বলতে চাই না। আমরা আসল খবরটা জানতে চাই। সেই প্রক্রিয়াটা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। এত বড় দেশে যে কোনো ঘটনা ঘটতে পারে, কিন্তু প্রকৃত তথ্য জানতে চাই। তাৎক্ষণিক খবর পেলে যাতে সমাধান করা যায়। যেদিক থেকেই দোষী দোষীই। তাকে বিচারের আওতায় আনা সরকারের দায়িত্ব। ড. ইউনূস বলেন, প্রথম কথাটা হলো না হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করা। আর হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক প্রতিকারের ব্যবস্থা করা। আমি যা বলছি তা দেশের বেশিরভাগ মানুষ মনে করে। আমরা এক পরিবারের মানুষ হিসেবে সামগ্রিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারি। সেখানে তথ্য ও প্রতিকার হলো বড় বিষয়। তিনি বলেন, আমি পেলাম তথ্য কিন্তু প্রতিকার পেলাম না। সমস্যা হয়ে গেলে সমাধান করতে হবে। আজকের আলোচনা খোলাখুলি, আমরা সবাই আলোচনা করব। আমাদের লক্ষ্যে কোনো বাধা নেই। তথ্যপ্রবাহ কীভাবে পাব, দোষীকে কীভাবে ধরব। যাতে সবাই সঠিক তথ্যটা পেয়ে যায়। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এমন বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই। যার নাম দিয়েছি নতুন বাংলাদেশ। এটা আমাদের করতে হবে। আপনাদের কথা বলে সন্তুষ্ট করে আজকের মতো বিদায় দিলাম, তা নয়। এটা দ্রুত করতে হবে।সংখ্যালঘু সমস্যার বিষয়ে অবাধ, সত্য তথ্য কীভাবে সংগ্রহ করা যায় সে বিষয়ে ধর্মীয় নেতাদের পরামর্শ চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, কীভাবে নিরাপদে তথ্য সংগ্রহ করব? যে তথ্য দিচ্ছে সে যেন বিব্রত না করে তাও নিশ্চিত হতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদারীপুর সদর ও কালকিনি উপজেলায় একদিনে পাগলা কুকুরের কামড়ে পথচারী শিশু, নারী-পুরুষ, বৃদ্ধসহ প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। আজ ১৬ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়ন ও আলিনগর ইউনিয়ন, লক্ষ্মীপুর-পখিকা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর হাসপাতাল ও কালকিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
মাদারীপুর সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে হোগলপাতিয়া এলাকায় বৃদ্ধা, নারী ও পুরুষ বাজারে ও শিশুরা স্কুলে যাওয়ার সময় পাগলা কুকুরের কামড়ে ৩০ জন আহত হয়েছেন। অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসার নিয়েছেন। কুকুরের কামড়ের শিকার ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার ডা. সিহাব খান বলেন, রবিবার সকালে কুকুরের কামড়ের শিকার ৩০ জন চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসেন। তাদের আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, কুকুরের কামড়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে শুনেছি।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস আজ। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘তামাক কোম্পানির কূটকৌশল প্রতিহত করি, শিশু সুরক্ষা নিশ্চিত করি।’ মূলত মানুষের সচেতনতার কারণেই এই দিবস পালন করা হয় পুরো বিশ্বে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, প্রতি বছর তামাক সেবনের কারণে ৮০ লাখের বেশি মানুষ মারা যায়।
সিগারেট, জর্দা নিয়মিত সেবন যেমন আপনার নিজের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তেমনি আপনার আশপাশের মানুষ, বিশেষ করে শিশুর স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তামাক সেবন যে শুধু স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে তা নয়, পকেটের উপরও বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। সিনেমা শুরু হওয়ার আগে যে বলা হয়, সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: ধূমপান ও তামাক সেবন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এমনকি সিগারেটের প্যাকেটেও লেখা থাকে নানা সতর্ক বার্তা। কিন্তু কে শোনে কার কথা। দিনদিন বেড়েই চলেছে ধূমপায়ী ও তামাক সেবনকারীর সংখ্যা।
তামাক মূলত হৃৎপিণ্ড, লিভার ও ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। ধূমপানের ফলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (এমফাইসিমা ও ক্রনিক ব্রংকাইটিস সহ) ও ক্যানসার (বিশেষত ফুসফুসের ক্যানসার, প্যানক্রিয়াসের ক্যানসার, ল্যারিংস ও মুখগহ্বরের ক্যানসার) হতে পারে। তামাক সেবনের কারণে এসব রোগে বিশ্বে প্রতিবছর ৮ মিলিয়নের বেশি মানুষ মারা যায়। যার সংখ্যা ২০৩০ সালে আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য রাষ্ট্রগুলো বিশ্বব্যাপী তামাক সংকট এবং মহামারি দ্বারা সৃষ্ট রোগ ও মৃত্যুর প্রতিক্রিয়া হিসেবে ১৯৮৭ সালে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস তৈরি করেছিল। ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলি ১৯৮৭ সালে ডব্লিউএইচএ৪০.৩৮ রেজোলিউশন পাস করে, ৭ এপ্রিলকে ‘বিশ্ব ধূমপানমুক্ত দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে রেজোলিউশন ডব্লিউএইচএ৪২.১৯ সিদ্ধান্ত হয় যে ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালন করা হবে।
২০০৮ সালে, ডব্লিউএইচও তামাকের যে কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন বা প্রচার নিষিদ্ধ করেছিল। বিশ্বের বৃহত্তম তামাক উৎপাদনকারী ও ভোক্তা দেশ চীনে আনুমানিক ৩০ কোটি মানুষ ধূমপায়ী। ২০১৪ সালে বিশ্বের মোট সিগারেটের ৩০ শতাংশ এরও বেশি উৎপাদিত এবং খাওয়া হয়েছিল চীনে। বিশ্বের মোট ধূমপায়ী মানুষের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের অর্ধেকেরও বেশি তামাকে আসক্ত। দেশটিতে প্রতি বছর এক কোটিরও বেশি মানুষ তামাক ব্যবহারে মারা যায়।
অনলাইন ডেস্ক :
লটারিতে প্রথম ধাপে স্কুলে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের আগামী ৫ দিনের মধ্যে ভর্তি সম্পন্নের নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। ২৯ নভেম্বর বুধবার থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে।
আজ ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার মাউশির উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) ও ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, ডিজিটাল লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফলাফল শিট (অপেক্ষমাণ তালিকাসহ) এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলাফল শিটের প্রথম তালিকা অনুযায়ী- আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ভর্তি সম্পন্ন করতে হবে। এরপর আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি শুরু করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, প্রথম তালিকা থেকে ভর্তির পরবর্তী ৪ কর্মদিবস প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি করা হবে। তারপরের তিনদিনে দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ক্রমিক নম্বর অনুসারে ভর্তি সম্পন্ন করতে হবে।
শিক্ষার্থী যাচাই যেভাবে
কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারির আওতাভুক্ত সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের https://gsa.teletalk.com.bd লিংকে প্রবেশ করে প্রতিষ্ঠানের User ID ও Password দিয়ে Login করে ডাউনলোড অপশনে Click করতে হবে। এরপর ওই প্রতিষ্ঠানে কারা আবেদন করেছিল, সেই তালিকা পাওয়া যাবে।
ডিজিটাল লটারিতে তার প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্বাচিত প্রথম তালিকা এবং প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকার শিক্ষার্থীদের আবেদন সংক্রান্ত তথ্য এ লিংক থেকে যাচাই করতে পারবেন। লিংকে তথ্যাদি টাইপ করে Submit করলে আবেদনকারী কতবার আবেদন করেছে, তাও জানা যাবে।
এক্ষেত্রে কোনো আবেদনকারী তথ্য পরিবর্তন করে একাধিকবার আবেদন করে থাকলে ডিজিটাল লটারিতে তার ভর্তির নির্বাচন বাতিল বলে গণ্য হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইটে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ডে নির্বাচিতদের তালিকা প্রদর্শন করবেন।
ভর্তির জন্য যেসব কাগজপত্র লাগবে
নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র যাচাইকালীন শিক্ষার্থীর জন্মসনদের মূল কপি, জন্মসনদের অনলাইন কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাই করতে হবে)। পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) মূল কপি ভালো করে দেখতে হবে।
যেসব কারণে বাদ পড়বেন নির্বাচিতরা
ভর্তির সময়ে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করার নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি। কেউ যদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে থাকলে (যাচাই সাপেক্ষে) তাকে ভর্তি করা যাবে না।
কোটার ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম প্রযোজ্য
শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বশেষ জারি করা ভর্তি নীতিমালায় যেসব কোটা সংরক্ষিত রয়েছে, ভর্তির সময়ে ওইসব কোটায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কোটা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে। শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছাড়া অন্য কোটায় শূন্য আসন পূরণ না হলে সাধারণ নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে অপক্ষেমাণ তালিকার ক্রমানুসারে শূন্য আসন পূরণ করতে হবে। কোনোভাবেই আসন শূন্য রাখা যাবে না।
মাউশির নির্দেশনা অনুসরণ না করে বিধিবহির্ভূতভাবে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলে এবং পরে তা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানপ্রধানকে দায়ী থাকবেন বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।
আজ ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বোতাম টিপে লটারি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এরপর শুরু হয় দ্বৈবচয়ন পদ্ধতিতে লটারি। ফলাফল প্রস্তুত করা হয় সম্পূর্ণ সফটওয়্যারের মাধ্যমে। এদিন দুপুর ২টার দিকে লটারির ফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়।
লটারির ফলাফল ই-মেইলে স্কুলপ্রধানদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে মাউশি। আর শিক্ষার্থীরা কে, কোন স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে- সেটা আবেদনের সময় তাদের দেওয়া মোবাইল নম্বরে এসএমএস করে জানিয়ে দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে মনোনীত সবাই এসএমএস পাবে।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, দেশের ৬৫৮টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শূন্য আসন ছিল এক লাখ ১৮ হাজার ১০১টি। বিপরীতে আবেদন করেছিল ৫ লাখ ৬৩ হাজার ১৩ জন। তাদের মধ্যে প্রথম দফায় এক লাখ ৩৯ জনকে ভর্তির জন্য মনোনীত করা হয়েছে। এরমধ্যে ৫৩ হাজার ১১ জন ছাত্র ও ৪৭ হাজার ২৬ জন ছাত্রী। তৃতীয় লিঙ্গের রয়েছে দুজন।
অন্যদিকে বেসরকারি মাধ্যমিকে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ৪৮৯ জন শিক্ষার্থী। দেশের মহানগর ও জেলা সদর পর্যায়ের ৩ হাজার ১৮৮টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে তারা ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে শূন্য আসন রয়েছে ১০ লাখ ৩ হাজার ৯৯৩টি।
মাউশির মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন বলেন, ‘ডিজিটাল লটারিতে তিন ধাপে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়েছে। নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের পর্যায়ক্রমে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।’
তিনি জানান, দুটি অপেক্ষমাণ তালিকায় ২ লাখ ৯৯ হাজার ৮৩ শিক্ষার্থীকে নির্বাচন করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকায় সরকারি স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৮০ হাজার ৪৭৯ জন শিক্ষার্থী। বেসরকারি স্কুলে সুযোগ পেয়েছে ৯৬ হাজার ২১৮ জন। দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকায় সরকারি স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৫৭ হাজার ৭৭৪ জন। বেসরকারি স্কুলে সুযোগ পেয়েছে ৬৪ হাজার ৬১২ শিক্ষার্থী।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে ৩০০ বিচারক চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
আজ ১ নভেম্বর বুধবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে সহযোগিতা চান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। সুপ্রিম কোর্ট কার্যালয়ে প্রধান বিচারপতির খাস কামরায় এ বৈঠক হয়।
সূত্র জানায়, এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য সিইসিকে পরামর্শ দেন প্রধান বিচারপতি।
ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর সিইসি হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মূলত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম। প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের পর তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনন্দন জানিয়েছি। সেই সঙ্গে শুধু একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। সেটা হচ্ছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিচারকরা ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির দায়িত্ব পালন করেন। আগামী ডিসেম্বরে আদালতে অবকাশ থাকবে। সে সময়ে অধস্তন আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা যেন দায়িত্ব পালন করতে পারেন, সে বিষয়টি প্রধান বিচারপতিকে জানিয়েছি। তিনি আমাদের বিষয়টি বিবেচনায় রাখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।’ সিইসি বলেন, প্রধান বিচারপতি তাদের যথেষ্ট সময় দিয়েছেন এবং সৌজন্য বিনিময় করেছেন।
তপশিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন শেষে গেজেট হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী আচরণবিধির বিষয়টি ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি পর্যবেক্ষণ করে। এই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয় নির্বাচন কমিশন। ওই কমিটিতে সারাদেশে সিনিয়র সহকারী জজ ও যুগ্ম জেলা জজ পর্যায়ের বিচারকরা দায়িত্ব পালন করেন। সিইসি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতিকে জানিয়ে রেখেছি, যাতে ডিসেম্বর মাসে ওনারা (বিচারকরা) দায়িত্ব পালন করেন। আর জানুয়ারি মাসে আগের মতোই দায়িত্ব পালন করবেন।’ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার বিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, এমন কোনো আলোচনা হয়নি।
নির্বাচন কমিশনারদের নিয়ে দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টে যান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম এবং যুগ্ম সচিব (আইন) মো. মাহবুবার রহমান সরকার। বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালের নির্বাচনে ১২২টি ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। নিম্ন আদালতের বিচারকদের নিয়ে এসব কমিটি করা হয়।