চলারপথে রিপোর্ট :
নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেয়েছে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ। দলের নিবন্ধন প্রাপ্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়ায় শুকরানা দোয়া ও কেক কাটা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় পৌরশহরের সড়ক বাজারের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সংগঠনের সদস্যদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। মোঃ ইদরিস মিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মোঃ জামির হোসেন, মোঃ ইউসুফ সরকার, মোঃ রাব্বির রহমান, শেখ রাসেল প্রমুখ। আলোচনা শেষে মিলাদ ও দোয়া পাঠ করা হয়।
পরে শুকরানা স্বরুপ কেক কাটা হয়। এসময় সংগঠনের বেশ কিছু সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
মোঃ জামির হোসেন বলেন, আমাদের দলের মূল বিষয় হলো সব মানুষ ভাই ভাই। মানবতার দুনিয়া চাই। সকল মানুষকে আমরা সমান ভাবে দেখি। আমাদের কাছে ধর্ম বর্ণ কোন ভেদাভেদ নাই। আমরা মানবতার দুনিয়া প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব। ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ’র দলীয় প্রতীক আপেল।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় পৃথক স্থানে গলায় ফাঁস দিয়ে এক নারীসহ ২ জন আত্মহত্যা করেছে। আজ ২৫ মার্চ শনিবার সকালে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নীলাখাদ এবং গঙ্গাসাগর পশ্চিম দিঘির পাড় এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আখাউড়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠিয়েছে। নিহতরা হলেন নীলাখাদ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধার জহিরুল হকের ছেলে মোঃ নয়ন (৪৬) এবং দিঘির পাড়েরর সাগর মিয়ার স্ত্রী আলিফা আক্তার (২০)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নয়ন মিয়া সকলের অগোচরে বসত ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বাড়ির লোকজন জানালা দিয়ে দেখতে পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে গঙ্গাসাগর গ্রামের পশ্চিম দিঘির পাড় এলাকায় সাগর মিয়ার স্ত্রী নিজ রুমে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না প্যাচিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠিয়েছি। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, দু’জনেই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে, পারিবারিক কলহের জেরে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় রেলসেতু পারাপারের সময় ৪ জন নিহত হওয়ার পর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেই রেলসেতুটির উভয় পাশে দেওয়া হয়েছে বাঁশের নিরাপত্তা বেষ্টনী। পাশাপাশি রেললাইন এলাকায় মানুষের চলাচল নিরাপদ রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, ঢাকা-সিলেট রেলপথের খরমপুর রেলসেতুটির উভয় পাশে বাঁশ দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে যাতে রেলসেতুর ওপর দিয়ে কেউ চলাচল করতে না পারে। ট্রেন আসার সময় বাঁশগুলো সরিয়ে ফেলা হয়, চলে গেলে আবার বাঁশ বেঁধে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, তিতাস নদী হয়ে নৌকায় করে এসে অনেকেই রেললাইনের পাশ দিয়ে খরমপুর মাজারে যাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা দিতে অতিরিক্ত পুলিশ রেললাইন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি কার্যক্রম শুরু করেছে। ১২ আগস্ট শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন কমিটির সদস্যরা। এ সময় তারা সরেজমিনে ঘটনার খোঁজ-খবর নেন।
এর আগে বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ঢাকা) ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। আখাউড়া সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (রেলওয়ে) মেহেদী হাসান আহমেদ তারেককে কমিটির আহ্বায়ক করে রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সহকারী কমাডেন্ট, একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা এবং একজন সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তাকে সদস্য করা হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে ডিআরএম (ঢাকা) মো. শফিকুর রহমান বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানা যায় ১০ আগস্ট বৃহস্পতিবার থেকে আখাউড়া পৌরশহরের খড়মপুর কল্লা শহীদ (র.) বার্ষিক ওরস শুরু হয়। ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাজার শরীফের পশ্চিম পাশে ঢাকা-সিলেট বাইপাস রেলপথ দিয়ে ভক্ত-আশেকানরা মাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন রেলওয়ে সেতু অতিক্রম করার সময় ট্রেনের থাক্কায় এবং নদীতে ছিটকে পড়ে চারজনের মৃত্যু হয়। ওই রাতেই ২ জন এবং পরদিন শুক্রবার দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সামাজিক বন্ধনকে সুসংহত রাখার লক্ষ্যে সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আজ ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসন। সমাবেশে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনের কর্মকর্তা, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা, ইমাম-পুরোহিত সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার কয়েক’ শ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমার সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌরভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ জামশেদ শাহ, উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জালাল উদ্দিন, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ. মতিন, মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম চৌধুরী, ধরখার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাফিকুল ইসলাম, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি চন্দন কুমার ঘোষ, উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক দীপক ঘোষ, সদস্য সচিব সাংবাদিক বিশ্বজিত পাল বাবু, মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ মাহমুদী, মাওলানা কাজী মাইনুদ্দিন, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু প্রমুখ।
মোঃ ইসমাইল:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব আবুল কাসেম তালুকদারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকালে ৫টার সময় উপজেলা মডেল মসজিদ হলরুমে উক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। দারুল উলুম মুহিউসসুন্নাহ মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওঃ আসয়াদ আল হাবিবীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব আবুল কাসেম তালুকদার।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন দেবগ্রাম উলুম মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওঃ আসাদুজ্জামান, মাওঃ বিল্লাল হোসেন, খেলাফত মজলিস জেলা সহ প্রচার সম্পাদক ও ব্রাহ্মণনাড়ীয়া পৌর শাখার আহবায়ক জনাব বশির আহমেদ ভূইয়া, মাওঃ ঈসা খান, মাওঃ মকবুল হোসেন, আলহাজ্ব আবুল ফাতাহ, মাঃ আবুল ফজল ভূইয়া, মাওঃ আমলল আমিন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ডাকসু নির্বাচন ইসলামি দলগুলোর বিজয়। ইসলামি দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে আগামী সংসদ নির্বাচনে আমরা ভালো করতে পারবো। বক্তারা আরও বলেন মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমাদের প্রতীক দেওয়াল ঘড়ির শুভেচ্ছা পৌঁছাতে হবে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মুফতি নোমান আল হাবিবী।
চলারপথে রিপোর্ট :
সড়ক দুর্ঘটনায় সহকর্মীর মৃত্যুর পর কান্নায় বুক ভাসিয়েছিলেন। কুলখানিসহ আনুষঙ্গিক কাজে লাখ লাখ টাকা খরচের কথা বলেছিলেন। এবার সেই সহকর্মীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাহবুদ্দিন বেগ শাপলুর বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে নিহত রিফাতের মা পারুল আক্তার আখাউড়া পৌরসভার মেয়র বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তানজিল শাহ তচ্ছন, মো. ফয়সাল ও মো. আরিফ নামে আরও তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে ওই অভিযোগে কী পরিমাণ টাকা ‘আত্মসাৎ’ করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত লেখা হয়নি।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আখাউড়া পৌর এলাকার রাধানগরের মো. শাহ আলমের ছেলে রিফাত পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। টিঅ্যান্ডটি এলাকায় একটি জায়গা ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে মধ্যস্থতা হয় যে, লভ্যাংশের টাকা তারা সমবণ্টন করে নেবেন। কিন্তু রিফাতের মৃত্যুর পর তার টাকা না বুঝিয়ে দিয়ে টালবাহানা করা হয়। ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইব্রাহিম মিয়া সুজন এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলে তার মাধ্যমেও টাকার কথা অস্বীকার করে অভিযুক্তরা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টিঅ্যান্ডটি এলাকার একটি জায়গা বিক্রি হলে রিফাতসহ অন্যরা সমবণ্টন পাবে বলে নিজেদের মধ্যে চুক্তি হয়। এরই মধ্যে রিফাত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চিনাইরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যায়। রিফাত মারা যাওয়ার পর তার কুলখানিতে অনেক টাকা খরচ করা হয়েছে বলে প্রচার করতে থাকে ছাত্রলীগ নেতা শাপলুসহ অন্যান্যরা। এরই মধ্যে শাপলু ওই টাকা খরচের দোহাই দিয়ে চাকরির বদলির তদবির করে লাখ লাখ টাকা কামিয়ে নেয়। এসব কারণে রিফাতের কুলখানিতে টাকা খরচের বিষয়টি সামনে চলে আসে।
রিফাতের পরিবারের একাধিক সদস্য জানায়, তার একেবারে ঘনিষ্টরা নিজেরা কুলখানিতে খরচ করে। কিন্তু জায়গা বিক্রির লভ্যাংশের টাকা পরিবারের কারো কাছে দেওয়া হয়নি। এমনটি কাউন্সিলরের মাধ্যমে টাকা চাওয়া হলে তারা অস্বীকার করে। এখন পর্যন্ত তারা রিফাতের পাওনার আনুমানিক সাত-আট লাখ টাকার মধ্যে এক টাকাও দেয়নি।
এ বিষয়ে জানতে শাহবুদ্দিন বেগ শাপলুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কাউন্সিলর ইব্রাহিম মিয়া সুজন জানান, পার্টনার হিসেবে রিফাত টাকা পাওনা আছে। অনেক চেষ্টা করেও এ টাকা আদায় করা যাচ্ছে না। একজন প্রয়াত সহকর্মীর টাকা নিয়ে তারা এমন কেন করল সেটা বুঝতে পারছি না।