চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার দশদোনা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, উপজেলার আইয়ূবপুর গ্রামের মৃত জিলানীর ছেলে মো. নূরে আলম (৩২) ও নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার দামদরোদী গ্রামের নিরঞ্জন দাসের ছেলে রনি দাস (২৪)।
পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না দেওয়ায় আজ ১২ মে শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরে আলম।
তিনি বলেন, দশদোনা গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোটর সাইকেল চালক নূরে আলম নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারীর রনিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটার সাইকেল চালক মারা যান এবং আহত রনিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে উপজেলার ফেরিঘাট এলাকায় সেও মারা যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়ন শাখা অফিস উদ্বোধন করা হয়েছে। ১২ অক্টোবর শনিবার বিকাল ৩ টায় সোনারামপুর বাজার হাজী সিদ্দিক মার্কেটে অফিস উদ্বোধন করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়ন শাখার সেক্রেটারী মো: আল মামুনের সঞ্চালনায় জামায়াতে ইসলামি সোনারামপুর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা নাজমুল আলম আরিফ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আমীর মাওলানা কাজী আবুল বাশার, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা আলাউদ্দীন সাদী, উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য শামীম নূর ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাহজাহানপুর ওয়ার্ড সভাপতি মাসুদুর রহমান, ওয়ারী ওয়ার্ড সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: মো: ইসমাইল, উপজেলা ইসলামি ছাত্র শিবির সেক্রেটারী সোহেল আহমেদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন দরিয়াদৌলত ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মো: শাহ আলম, মো: লিটন মিয়া, মো: মতিউর রহমান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সোনারামপুর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মো: নাসির উদ্দিন, জামায়াত কর্মী আনিসুর রহমান, মো: আলমগীর মাস্টার, মো: মমিন মাস্টার ডা: শফিক, ডা: রফিকুল ইসলাম, ডা: মফিজুল ইসলাম, ডা: আবুল হোসাইন, মো: ইউনূস বিন রমজান, রুবেল মিয়া, অনিক, সেলিম, মো: ইদ্রিস, মো: জালাল উদ্দিন, জুবায়ের ফয়সাল, মো: ইসমাইল, মো: আবদুল জব্বার, আবু হানিফ, মনির হোসেন, আবুল কালাম, আল মামুন, রাসেল আহমেদ, হাবীব, দ্বীন ইসলাম, আবু হানিফ প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
বসুন্ধরা গ্রুপের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ইয়াশা সোবহানের নিজস্ব তহবিল থেকে বাঞ্ছারামপুরে পাঁচ দিনব্যাপী অসহায়, ভিক্ষুক, মাদরাসা ও এতিমখানা শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। গত ২৬ ডিসেম্বর বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয় দুর্গারামপুরে এই কর্মসূচি শুরু হয়। কম্বল বিতরণের আগে আল-আমিন হাফিজিয়া মাদরাসার মাওলানা হাফেজ মো. মহিউদ্দিনের আয়োজনে বসুন্ধরা গ্রুপ পরিবারবর্গ ও দেশবাসীর জন্য দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ডিজিএম মাইমুন কবির, বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. চাঁন মিয়া সরকার, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মোশারফ হোসেন, সিনিয়র অফিসার আমির হোসেন আনোয়ার প্রমুখ।
উপস্থিত আছাদনগরের দুটি মাদরাসা ও দুর্গারামপুরের দুটি মাদরাসার এতিম ছাত্রদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই কম্বল। পর্যায়ক্রমে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্তৃক ৬০টি মাদরাসার এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে দুই হাজার ৫০০ কম্বল পৌঁছে দেওয়া হয়। এতে রয়েছে বাঞ্ছারামপুরের ৫৬টি মাদরাসা, হোমনার তিনটি মাদরাসা এবং নবীনগর উপজেলার একটি মাদরাসা। পাশাপাশি বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে ভিক্ষুক, অন্ধ ও পথচারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই শীতবস্ত্র।
কম্বল পেয়ে পথচারী প্রতিবন্ধী ইসমাইল (৬৫) বলেন, ‘হাটতা পারি না, রাস্তার দারে বইয়া বইয়া ভিক্ষা করি। এই কম্বলডা এত শীতে অনেক কামে লাগব। আল্লাহর কাছে যারা দিছে তাগু লাগি দোয়া করি।’
আছাদনগর মাদরাসার এতিমখানার ছাত্র জুনাইদ (৭) বলে, ‘ভোর ৪টায় ঘুম থেকে উঠে পড়াশোনা শুরু করি।
অনেক শীত, এই কম্বলটা অনেক কাজে লাগবে। বসুন্ধরার মালিকদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করমু।’
হাফেজ মো. সাজিব (১০) বলে, ‘আমাদের মাদরাসার এতিমখানার সকল ছাত্র কম্বল পাইছে। এখন আর কেহর শীতের কারণে পড়ালেখা সমস্যা হবে না। আমরা সবাই একসাথে আল্লাহর কাছে দোয়া করমু, যাতে মালিকপক্ষ সবাই ভালো থাহে।’
হোমনার হরিপুর মার্কাযুল জিকির মাদরাসার ছাত্র ইমরান (৮) বলে, ‘বাঞ্ছারামপুর থেইকা আইসা আমাদের হোমনায় বসুন্ধরা গ্রুপের লোকেরা কম্বল দিয়া গেছে। এই শীতে আমরা কম্বলডা গায় দিয়া বেশি কইরা পরতা পারমু। আল্লায় হগলেরে ভালো রাহুক।’
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সহনশীলতায় বিশ্বাস করে, শান্তিপ্রিয় বসবাসে বিশ্বাস করে। বাঞ্ছারামপুর বিএনপির নৈরাজ্য এবং লুটপাটের কোন ইতিহাস নেই। অতীতে ফ্যাসিস্ট সরকার নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে তাদের বিচার অবশ্যই বাংলার মাটিতে হবে। আমি প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বলবো ছাত্রদল নেতা নয়ন হত্যার দোসরদের অবশ্যই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। বাঞ্ছারামপুরের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের কখনোই ঠাঁই হবে না। ইতিমধ্যে ছাত্র জনতা অপরাধ ও নৈরাজ্যকারীদের প্রতিহত করেছে। বাঞ্ছারামপুরের মাটিতে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ আছে। নৈরাজ্যকারীরা আবারো বাঞ্ছারামপুরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তার দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে প্রস্তুত আছে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ।
আজ ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কড়িকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়র মাঠে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল্লাহ আল মহসিনের সঞ্চালনায় ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক লিয়াকত আলী ফরিদের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব একেএম ভিপি মুসা, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক হারুনুর রশিদ, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকরি সেলিম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব ফয়সাল বিন ইউসুফ সামী, সাবেক ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, আব্দুল করিম চেয়ারম্যান, আব্দুল আইয়ুম, শাখাওয়াত হোসেন, দেলোয়ার হোসেন সবুজ, আব্দুল মতিন, সেলিম আখতার, রফিকুল ইসলাম সেন্টু, জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান, আব্দুল করিম, মোঃ মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধি :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে খাস জমি থেকে শতাধিক গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। তবে ঘটনাটি ধামাচাপার চেষ্টা চলছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নের গাওড়াটুলী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কবরস্থান ও ঈদগাহ-সংলগ্ন ৩ দশমিক ৪৬ একর একটি জলাশয় রয়েছে। জলাশয়টির পাশে শতাধিক কড়ই, পাহাড়ি নিমগাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ছিল। ফরদাবাদ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য মানিক মিয়া ফসলি জমির মাটি কবরস্থানের পাশে সোনিয়া ব্রিকস নামে একটি ইটভাটায় সরবরাহ করছেন। মাটি নিয়ে ইটভাটায় ট্রাক্টর আসা-যাওয়ার জন্য জলাশয়ের তীরের শতাধিক গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গাওড়াটুলী গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, ইউপি সদস্য মানিকের অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করলে হয়রানি ও হামলার শিকার হতে হয়। তিনি কাউকে না বলে শতাধিক গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন। ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ও উপজেলা বন কর্মকর্তা গাছ কেটে বিক্রির বিষয়টি দেখে গেছেন। এ ঘটনার পর এক মাস পেরিয়ে গেলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সোনিয়া ব্রিকস ইটভাটার ম্যানেজার রমজান আলী জানান, ইউপি সদস্য মানিক তাঁদের ভাটায় এক মাস ধরে মাটি দিচ্ছেন। গাছ কাটার বিষয়টি তিনি বলতে পারবেন না।
ফরদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য মানিক মিয়া জানান, গাছগুলো জলাশয়ের পাড়ে গ্রামবাসী লাগিয়েছেন। গাছগুলো হেলে পড়ে যাওয়ায় বিক্রি করে মাদ্রাসায় টাকা দিয়ে দিয়েছেন। সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ও বন কর্মকর্তা এসেছিলেন। এসি ল্যান্ডের কাছে গ্রামের লোকজন গিয়েছিল। বিষয়টি মিটমাট হয়ে গেছে।
ছলিমাবাদ ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ইদ্রিছ আলী জানান, মানিক মেম্বার গাওড়াটুলী জলাশয়ের পাড়ের ৭৮টি ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন। জলাশয়টি ইজারাভুক্ত। গাওড়াটুলী মাদ্রাসা এ বছর ইজারা নিয়েছে। ইউএনও তাঁকে এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।
সদ্য সাবেক উপজেলা বন কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, এসি ল্যান্ড তাঁকে বলার পর তিনি গাছের গুঁড়িগুলোর মাপ নিয়ে আসেন। ৭২টি গাছ কাটা হয়েছে। ইউপি সদস্য মানিক মিয়াসহ এলাকার লোকজন বলেছেন, এসি ল্যান্ডের সঙ্গে এ বিষয়ে তাঁরা সমঝোতায় আসবেন, তাই তিনি প্রতিবেদন দেননি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী আতিকুর রহমান জানান, বন কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে ছিলেন। তাঁকে বলেছিলেন ঘটনার সত্যতা পেলে মামলা করতে।
ইউএনও একিমিত্র চাকমা জানান, এ বিষয়ে তিনি সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেবেন।