চলারপথে রিপোর্ট :
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে গলায় লিচুর বিচি আটকে জুনাইদ নামে দেড় বছর বয়সি এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১২ মার্চ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার যশরা ইউনিয়নের খোদাবক্সপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জুনাইদ ওই গ্রামের আশরাফুল আলমের ছেলে।
জুনাইদের পরিবারের সদস্যরা জানান, দুপুরে নানার বাড়ি থেকে আনা লিচু খাচ্ছিল জুনাইদ। একটি লিচু খেতে গিয়ে বিচি জুনাইদের গলায় আটকে যায়। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। দ্রুত তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে ডেস্ক :
রাজধানীর বঙ্গবাজারে আগুন লাগার ঘটনায় ২৩ জন আহত হয়েছেন। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে উভয় হাসপাতালে ভর্তি আছেন ছয়জন।
আজ ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতালগুলো থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
জানা যায়, ঢামেক হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন ১৭ জন ও ভর্তি আছেন চারজন। ভর্তি হওয়া রোগীরা হলেন- নিলয় (৩৫), শাহিন (৪০), রিপন (৪০) রুবেল (৩২)। এছাড়া বার্ন ইনস্টিটিউটে দুইজন ভর্তি আছেন। তারা হলেন- ফায়ারম্যান মেহেদী হাসান ও দোকানের কর্মচারী মো. রাব্বী (১৭)। এছাড়া হৃদয় (১৩) নামে আরেকজন চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন সহকারী অধ্যাপক ডা. এসএম আইয়ুব হোসেন বলেন, ফায়ারম্যান মেহেদী হাসানের শ্বাসনালী ধোঁয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। হৃদয়ের এক শতাংশ পুড়ে গেছে এবং রাব্বীর দুই শতাংশ পুড়ে গেছে। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, আহতরা কেউ হালকা আঘাত পেয়েছেন। তারা চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। ঢামেক হাসপাতালে চারজনকে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিন সকাল সোয়া ৬টায় রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি কাজ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্মিলিত সাহায্যকারী দল এবং বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সাহায্যকারী দল ও একটি হেলিকপ্টার।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীতে অক্টোবরে গণপরিবহনে যুক্ত হচ্ছে ১০০ এসি বৈদ্যুতিক বাস বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ ৯ মে মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ফুলবাড়িয়া নগরভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৭তম সভা শেষে কমিটির সভাপতি শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমাদের নগর পরিবহন বীরদর্পে এগিয়ে চলছে। এ বছরের মধ্যেই ১০০টি বৈদ্যুতিক বাস নামবে, যা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন পরিচালনা করবে।
তিনি আরো বলেন, এর মাধ্যমে আমরা ঢাকা শহরকে পরিবেশবান্ধব নগরে পরিণত করতে পারব। আমরা বায়ুদূষণের যে তকমা ছিল তা থেকে বের হতে পারব।
চলারপথে ডেস্ক :
চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করলে ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রেখে ওষুধ আইন, ২০২৩ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আজ ৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
এছাড়া খসড়া আইনে ওষুধ অবৈধভাবে মজুত করে সংকট সৃষ্টি এবং ভেজাল ওষুধ তৈরি করলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
চলারপথে রিপোর্ট :
আধুনিকতার স্পর্শ আর সভ্যতার ক্রমবিকাশে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলো আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। প্রযুক্তির দাপটে অস্তিত্ব হারিয়েছে অধিকাংশ খেলা। একটা সময় গ্রামগঞ্জ থেকে শুরু করে শহর পর্যন্ত শিশু ও যুবকরা পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন খেলাধুলায় অভ্যস্থ ছিল। আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা অবসরে দলবেঁধে খেলতো নানা প্রকারের খেলা। এসব খেলা বাড়ির উঠান থেকে শুরু করে রাস্তার আনাচে-কানাচে, খোলা মাঠে কম পরিসরেই খেলা যেত।
কিন্তু বর্তমান সময়ে মাঠ, বিল-ঝিল হারিয়ে যাওয়া, আধুনিক সভ্যতার ছোঁয়া ও প্রযুক্তির বিকাশে মহাকালের ইতিহাস থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে জনপ্রিয় এসব গ্রামীণ খেলাধুলা। এখানকার দিনে শহরের শিশুরা ঘরের কোণে বসে বিভিন্ন ডিভাইস নিয়ে পড়ে থাকে। যার কারণে তাদের মেধার বিকাশও সঠিকভাবে হয় না।
গ্রামবাংলার এক সময়ের জনপ্রিয় খেলাগুলোর মধ্যে ছিল: হা-ডু-ডু, কাবাডি, ঘুড়ি খেলা, দাঁড়িয়াবান্ধা, ডাংগুলি, গোল্লাছুট, কুস্তি, গোশত চুরি, কুতকুত, চোর-পুলিশ, হাড়িভাঙা, ইচিং বিচিং, ওপেন টু বায়োস্কোপ, কড়ি খেলা, সাপ খেলা, কানামাছি, লাঠি খেলা, ষাড়ের লড়াই, বউ-ছি, বলী খেলা, টোপাভাতি, নোনতা খেলা, নৌকা বাইচ, লুডু খেলা, রুমাল চুড়ি, পুতুল বৌ, ফুল টোক্কা, বাঘ ছাগল, বরফ পানি, মার্বেল, মোরগ লড়াই, লাটিম, লুডু, ষোল গুটি, এক্কা দোক্কা, সাত পাতা, বটি বটি, দাপ্পা, রস-কস, চারগুটি, চেয়ার সিটিংসহ আরো হাজারো প্রকার খেলা। বাংলাদেশসহ ভারত উপমহাদেশের জনপ্রিয় এসব গ্রামীণ খেলাধুলা আজ প্রায় বিলুপ্ত।
গ্রামীণ এসব খেলাধুলা হলো বিনোদনমূলক, স্বাস্থ্য সচেতনমূলক ও প্রতিভা বিকাশের অন্যতম। যা আমাদের আদি ক্রীড়া সংস্কৃতি। এসব খেলাধুলা এক সময় আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতির ঐতিহ্য বহন করতো। বর্তমানে গ্রামীণ খেলাগুলো বিলুপ্ত হতে হতে অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়াই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বর্তমান প্রযুক্তির সুবিধা ও এর ব্যবহারে এগিয়ে যাচ্ছে গোটা বিশ্ব। তখন কেন পিছিয়ে থাকবে আমাদের প্রাণের খেলাগুলো? আমাদের সবার একটু চেষ্টাই পারে নতুন প্রজন্মকে এসব খেলার সঙ্গে পরিচিত করাতে। যা আমাদের ইতিহাস আর শিকড়কে টিকিয়ে রাখতে শক্তিশালী একটা মাধ্যম। সরকারি বা ব্যক্তি উদ্যোগে এসব খেলার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যায়। স্কুলে শিশুদের এসব খেলার সঙ্গে পরিচয় করানোর সুযোগ আছে। চাইলেই বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের মোবাইল আসক্তি কমানো যায় এসব খেলাধুলায় যুক্ত করে।
অতীতের সময়ে প্রতিবছর সব স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাগুলোতে নানা ধরনের খেলাধুলার আয়োজন করা হতো। বর্তমানে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কোনো খেলার মাঠও নেই। ফলে শিক্ষার্থীদের শারীরিক বিকাশ ঘটছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে হয়ত অচিরেই গ্রামীণ খেলাধুলা আমাদের সংস্কৃতি থেকে হারিয়ে যাবে। পরিণত হবে রূপকথার গল্পে।
এখন, মাদকের ভয়াল গ্রাস থেকে প্রজন্মকে রক্ষা ও গ্রামীণ খেলাকে বাঁচাতে এদেশের সচেতন ব্যক্তিদের এগিয়ে এসে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে। এরসঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ বৃদ্ধির মাধ্যমেই কেবল অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
অনলাইন ডেস্ক :
গত কয়েকদিন ধরে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এই তাপপ্রবাহে নাকাল হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জনজীবন। পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায় হিটস্ট্রোকে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২০ এপ্রিল শনিবার চুয়াডাঙ্গায় সকাল ৭ টার দিকে মাঠে কৃষিকাজ করতে গিয়ে সে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে জাকির হোসেন মারা যান। অপরদিকে পাবনায় সুকুমার দাস (৬০) নামে এক ব্যক্তি হিটস্ট্রোকে মারা যান।
নিহত জাকির হোসেন দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার সীমান্ত সংলগ্ন ঠাকুরপুর গ্রামের আমির হোসেন ছেলে ও ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি।
মৃত সুকুমার দাস (৬০) পাবনা শহরের শালগাড়িয়া জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা।
এদিন দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, কয়েকদিন ধরেই পাবনায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজকে রেকর্ড করা হয়েছে ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্য বেক্আষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক জামিনুর রহমান জানান, শনিবার সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস।