চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের আরো একটি মেগা প্রকল্প শিবপুর- রাধিকা সড়কের দুইটি অংশের মধ্যে আজ ১২ মে শুক্রবার রাধিকা অংশের পিচ ঢালাই কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
কাজের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৫ নবীনগর আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান, নবীনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো.মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক, বিশিষ্ট শিল্পপতি রিপন মুন্সি, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ প্যানেল মেয়র নাসির উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট সুজিত কুমার দেব, কাজী ইয়াবের হাসান জামিল মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম নজু, তাণ ও পূর্ণবাসন সম্পাদক নিয়াজুল হক কাজল, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক কবির আহমেদ, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার শফিকুর রহমান, কাজী ফেরদৌস, কার্যকরী সদস্য সাইফুর রহমান সোহেল, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে হাজেরা নামের চার মাসের এক শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আজ ২১ অক্টোবর শনিবার বেলা ১২টায় উপজেলার বিদ্যাকুট গ্রামের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত হাজেরা বিদ্যাকুট গ্রামের প্রবাসী অলিউল্লার মেয়ে।
শিশুর মা রোমা বেগম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শিশুসন্তান হাজেরাকে নিয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। পরে রাত আনুমানিক ২টায় ঘুম থেকে উঠে তিনি টয়লেটে যান। টয়লেট থেকে ফিরে আবারও ঘুমিয়ে পড়েন। তখনো হাজেরা বিছানায় ছিল। শুক্রবার ভোর ৫টায় ঘুম থেকে উঠে দেখেন ঘরের দরজা খোলা এবং পাশে তার সন্তান নেই। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর বেলা ১২টায় বাড়ির পাশের পুকুরে হাজেরার মরদেহ ভাসতে দেখেন।
নবীনগর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আক্কাস আলী বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তাছাড়া ময়নাতদন্তের জন্য শিশুর মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত নবীনগর উপজেলার ৪ শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে প্রদান করা হয়।
আজ ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর মহিলা ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে শহীদ পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময়সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নবীনগর পৌর জামায়াতে ইসলামীর আমির মু. মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্ব প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও কুমিল্লা জেলা মহানগরীর আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামায়াতের আমির মোহাম্মদ গোলাম ফারুক, জেলা নায়েবে আমির কাজী ইয়াকুব আলী, জেলা সেক্রেটারি মোবারক হোসেন আকন্দ, উপজেলা সেক্রেটারি আবদুল হাফেজ, পৌর সভার সেক্রেটারি সাইফুর রহমান বাসার, জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত প্রমুখ।
মাওলানা আমির হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, শহীদ পরিবারের সদস্য মো: শফিকুল ইসলাম, মো. নানু মিয়া, সুফিয়া বেগম।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে একটা স্বৈরাচার সরকার দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে গুম, খুন, জুলুম, নির্যাতন চালিয়েছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। রক্ত পিপাসু দল আওয়ামীলীগ, দেশ ও দেশের মানুষকে ভারতের পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে রেখেছিল। ছাত্র-জনতা সহ্যৃ করতে না পেরে এ জালিম সরকারকে বিদায় দেয়ার জন্য রাজপথে নেমে ছিলো। এ আন্দোলন যারা জীবন দিয়ে বাস্তবায়ন করেছেন তাঁরা শহীদ।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নবীনগরের যারা শহীদ হলেন নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের বিটিবিশারা গ্রামের মো: সামুসুজ্জামানের ছেলে জাহেদুজ্জামান তানভীন (২৬) শহীদ হন রাজধানী ঢাকার উত্তরায়। বিটঘর গ্রামের মোঃ শফিকুল ইসলামের ছেলে তানজিল মাহমুদ সুজয় (১৯), শহীদ হওয়ার স্থান ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইল, গৌরনগরের মোঃ নানু মিয়ার ছেলে মো.কামরুল ইসলাম (২১) শহীদ হওয়ার স্থান মিরপুর ১০, থোল্লাকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল মোমিন মিয়ার ছেলে মো: রফিকুল ইসলাম(২৪), শহীদ হওয়ার স্থান চিটাগাং রোড, হিরাঝিল, ঢাকা। তাঁদের ৪ জনের লাশ নবীনগরে নিজ নিজ এলাকায় দাফন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের দুই গ্রামের হতদরিদ্র মানুষদের ন্যায্যমূলের টিসিবির পণ্য ক্রয় করতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী জাকি উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান কাজী জাকি উদ্দিন দম্ভোক্তি করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কোনো নিউজ করার থাকলে করেন’।
২০ মার্চ সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবির পণ্য ক্রয়ের লাইনে দাঁড়িয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়েছে দুই গ্রামের মানুষদের।
ভুক্তভোগীরা জানান, আমরা সকাল থেকে কম দামে টিসিবি পণ্য কেনার জন্য পরিষদের লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। এখন দুপুর হয়ে গেছে চেয়ারম্যান বা টিসিবি পণ্যের দেখা নেই।
তাদের মধ্যে ৬নং ও ৯নং ওয়ার্ডের হতদরিদ্র সাধারণ মানুষরা জানান, আমাদের ওয়ার্ডের মেম্বারের সঙ্গে চেয়ারম্যানের বিরোধের কারণে, গত তিন মাস যাবত আমরা টিসিবির পণ্যসহ ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি কোনো সুবিধা পাচ্ছি না। আমাদের ওপর অন্যায় করা হচ্ছে। আমরা এর বিচার চাই।
ওই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার ইয়ার হোসেন ও ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. ইলিয়াস জানান, গত তিন মাস যাবত আমাদের ওয়ার্ড দুটিতে টিসিবি পণ্যসহ সব ধরনের সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন চেয়ারম্যান। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে আমাদের দুই ওয়ার্ডের সাধারণ হতদরিদ্র মানুষ।
তারা আরো জানান, চেয়ারম্যান সাধারণ মানুষজনকে জিম্মি করে জন্মনিবন্ধন ফি ২শ টাকা ও ওয়ারিশ সার্টিফিকেট বাবদ ৫শ টাকা করে নিচ্ছেন। আমরা এসবের বিরোধিতা করায় এসব করছেন তিনি। জন্মনিবন্ধন করতে গেলে সরকারি ফি থেকে অধিক মূল্য দিতে হয় তাও আবার সময়মতো সেবা গ্রহণ করতে পারছি না। শুধু জন্মনিবন্ধন নয়, ইউনিয়নের বিভিন্ন সেবা থেকে আমরা বঞ্চিত।
এ বিষয়ে জানতে ইউনিয়ন পরিষদে গেলে চেয়ারম্যানের অফিস তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। পরে মোবাইল ফোনে ইউপি চেয়ারম্যান কাজী জাকি উদ্দিন জানান, আমি মসজিদের ছাদ ঢালাই করছি। এখন আসতে পারব না। আমার বিরুদ্ধে কোনো নিউজ করার থাকলে করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল সিদ্দিক বলেন, এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি, আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের মেঘনা নদীর তীরে ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়নবাসীর উদ্যাগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বড়িকান্দি ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. বাহা উদ্দিন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ফেরদৌস আহমেদ, মো. তোফাজ্জল আহমেদ তপু প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, গত ৪-৫ মাস যাবৎ মেঘনা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের বড়িকান্দি, শ্রীঘর, কান্দা পাড়া গ্রামের প্রায় ২০ বিঘা জমি বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া কান্দাপাড়া গ্রামের ১০/১২ টি বাড়ি হুমকির মুখে।
বক্তারা অবিলম্বে নিয়ম বহির্ভূত বালু উত্তোলন বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসন থেকে দেয়া ইজারার মাধ্যমে নবীনগরের বড়িকান্দি ইউনিয়নের ধরাভাঙ্গা নতুনচর ও জাফরাবাদ মৌজা থেকে বালু উত্তােলন হচ্ছে।
ইজারাদার সংশ্লিষ্টরা জানান, ইজারার স্থান থেকে ভাঙ্গন এলাকা প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে।