অনলাইন ডেস্ক :
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধা জোরদার এবং অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার পাশাপাশি এ অঞ্চলের স্থিতিশীল ভবিষ্যতের জন্য সামুদ্রিক কূটনীতি জোরদার করার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১২ মে শুক্রবার ঢাকায় ২ দিনব্যাপী ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স (আইওসি) উদ্বোধনকালে তিনি এই আহবান জানান। এ সময় তিনি টেকসই পদ্ধতিতে রোহিঙ্গাদের নিজ বাসভূমে প্রত্যাবাসনে সক্রিয় বৈশ্বিক সহায়তা কামনা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ভারত মহাসাগর ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, এ অঞ্চলের সব দেশের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। আমি ষষ্ঠ সম্মেলনে ছয়টি অগ্রাধিকারের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করতে চাই। আমরা সম্প্রতি ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক প্রণয়ন করেছি।
বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এই সম্মেলনের আয়োজন করছে। মরিশাসের প্রেসিডেন্ট ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ২৫টি দেশের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে। এছাড়া ডি-৮, সার্ক ও বিমসটেকের প্রতিনিধিসহ প্রায় ১৫০ জন বিদেশি অতিথি অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনে মিয়ানমারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
উদ্বোধনী অধিবেশনে মরিশাসের প্রেসিডেন্ট পৃথ্বীরাজসিং রূপন, মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসেম, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এবং সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র বিষয়ক সেকেন্ড মন্ত্রী ড. মালিকী ওসমান সম্মেলনে বক্তব্য দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, উন্নয়নের জন্য ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোকে সামুদ্রিক কূটনীতি গড়ে তুলতে হবে। এর মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সম্ভব। এছাড়া এ অঞ্চলের অনেক দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব কমাতে সহযোগিতা বাড়ানো প্রয়োজন।
সম্মেলনে তিনি সমুদ্রে জরুরি পরিস্থিতিতে সাড়াদান, অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমসহ ভারত মহাসাগরে সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং নিরাপত্তার বিষয়ে বিদ্যমান ব্যবস্থা জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে নৌ চলাচল ও ওভারফ্লাইটের স্বাধীনতার অনুশীলনকে সমুন্নত রাখার আহবান জানান।
শেখ হাসিনা শান্তি সংস্কৃতি এবং জনগণকেন্দ্রিক উন্নয়ন জোরদারের আহবান জানিয়ে বলেন, এ অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ, ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের জন্য বিশ্ব জনসংখ্যার অর্ধেক নারীদের বিষয়ে যথাযথ মনোযোগ দেওয়া উচিত। এ লক্ষ্যে উন্মুক্ত, স্বচ্ছ, নিয়মভিত্তিক বহুপাক্ষিক ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের ১১ লাখের বেশি নাগরিককে সাময়িক আশ্রয় দিয়েছে। এই দৃষ্টিভঙ্গি এ অঞ্চলে একটি বড় মানবিক বিপর্যয় ঠেকিয়েছে। এখন আমরা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ ও টেকসই উপায়ে তাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবাসনের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের সক্রিয় সমর্থন চাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি উপকূলীয় রাষ্ট্র হিসাবে বহু শতাব্দী ধরে সামুদ্রিক কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থল এবং এই দেশ অনেক আঞ্চলিক প্ল্যাটফরমে সক্রিয়। বাংলাদেশ ভারতীয় মহাসাগর রিম অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান সভাপতি এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্রতল কর্তৃপক্ষের কাউন্সিলেরও সভাপতি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দীর্ঘদিনের পুরোনো ও অপ্রচলিত চ্যালেঞ্জে বিশ্বাস করে। আমরা এই অঞ্চলে শান্তির জন্য আমাদের ভূমিকা পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং একটি সহনশীল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে অন্য সব দেশও একই কাজ করবে বলে আশা করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এশিয়া-প্যাসিফিক ও আফ্রিকান অঞ্চলে ভারত মহাসাগর অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং কৌশলগত প্রভাব রয়েছে। এ অঞ্চলে বৈশ্বিক জনসংখ্যার ৬৪% এবং বৈশ্বিক জিডিপির ৬০% রয়েছে। অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এ অঞ্চলটি অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। তাই ভারত মহাসাগর অঞ্চলের দেশগুলোকে সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, একজন দূরদর্শী নেতা হিসাবে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের ‘মেরিটাইম জোন’র সীমানা নির্ধারণ করতে, সীমানার মধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার সক্ষমতা গড়ে তুলতে এবং সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধানের সুবিধার্থে টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪ প্রণয়ন করেছিলেন। এই আইনটি সমুদ্রের আইন সম্পর্কিত জাতিসংঘ কনভেনশন, ১৯৮২ গৃহীত হওয়ার ৮ বছর আগে কার্যকর হয়েছিল, যখন বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে উপলব্ধি সীমিত ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্মেলনের থিম ‘শান্তি, অংশীদারিত্ব ও সমৃদ্ধি : একটি সহনশীল স্থিতিস্থাপক ভবিষ্যতের দিকে’ খুবই উপযুক্ত ও সময়োপযোগী। কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি এবং চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের ফলে নিষেধাজ্ঞা ও পালটা নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে এ থিমটি আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবজাতির টিকে থাকার জন্য শান্তি অপরিহার্য। এটি সারা বিশ্বে নারী ও পুরুষের গভীরতম আকাংক্ষার প্রতিফলন। সেই ভাষণে তিনি ভারত মহাসাগরকে একটি শান্তিপূর্ণ এলাকা হিসাবে বজায় রাখার ওপর বিশেষভাবে জোর দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, বিশ্ব শান্তি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ২৩ মে, ১৯৭৩ সালে জুলিও-কুরি শান্তি পদক দেওয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর দর্শন অনুসরণ করে বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তির প্রবল প্রবক্তা হয়ে উঠেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
নির্ধারিত সময়ে লাইসেন্স নবায়ন না করায় ১৪টি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের (আইএসপি) লাইসেন্স বাতিল করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। লাইসেন্স বাতিল হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে কমিশনের কাছে তাদের লাইসেন্স জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিটিআরসি।
বাতিল হওয়া আইএসপিগুলো হলো- বর্নিল নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেড, আইটি নেক্সট টেকনোলজি, সাইবার কমিউনিকেশন, নিউ জেনারেশন ইন্টারনেট সার্ভিসেস লিমিটেড, এশিয়ান সিটি অনলাইন (বিডি) লিমিটেড, আপন এন্টারপ্রাইজ, স্পার্কিং ওয়ার্ল্ড রেইন আইসিটি, সেগুন বাগিচা সেফনেট অনলাইন স্পিড অনলাইন, ভেস্টেল ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কস লিমিটেড, ওয়েব সলিউশন, চাঁদপুর নেট, এয়ারনেট কমিউনিকেশন।
বিটিআরসি জানায়, এসব আইএসপির সব ধরনের কার্যক্রম সম্পূর্ণ অবৈধ ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন-২০০১ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এই আইএসপিগুলোর সঙ্গে কোনো চুক্তি বা কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন না করতে সবাইকে সতর্ক করেছে বিটিআরসি।
অনলাইন ডেস্ক :
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে একটি পুকুরে ৩৫ বছর অবরুদ্ধ প্রায় ৮০-৯০ কেজি ওজনের একটি কুমির উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেল ৩টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চরহাজারী ইউনিয়নের চরহাজারী গ্রামের কুমির আলা বাড়ির পুকুর থেকে বন্যপ্রাণী ও অপরাধ দমন ইউনিটের একটি দল কুমিরটি উদ্ধার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩৫ বছর যাবত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরহাজারী গ্রামের কুমির আলা বাড়ির পুকুরে অবৈধভাবে অবরুদ্ধ ছিল লোনা পানির এ কুমিরটি। ওই কুমিরের নাম অনুসারে বাড়িটি পরিচিতি লাভ করে কুমির আলা বাড়ি হিসেবে। বছর খানেক আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি নজরে আসে বন্যপ্রাণী ও অপরাধ দমন ইউনিটের। এরপর শনিবার দুপুর ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় বন্যপ্রাণী ও অপরাধ দমন ইউনিট ও নোয়াখালী বন বিভাগ। সেখানে ঘন্টাব্যাপী অভিযান চালিয়ে কুমিরটি উদ্ধার করে নোয়াখালী বিভাগীয় উপকূলীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয় নিয়ে আনা হয়। স্থানীয়দের মধ্যে জনশ্রুতি রয়েছে, ঐ এলাকার অনেক মানুষ উদ্দেশ্য পূরণে মানত করে এ কুমিরকে খাবার দিত।
বন্যপ্রাণী ওজীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস বলেন, গত বছর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি আমরা অবগত হই। উদ্ধারকৃত কুমিরটি পঞ্চাশ বছর বয়সী। এর ওজন প্রায় ৮০-৯০ কেজি। এখান থেকে কুমিরটি চট্রগ্রামের সাফারি পার্কে নিয়ে চিকিৎসা শেষে অবমুক্ত করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালীর উপকূলীয় বনকর্মকর্তা আবু ইউসুফ, বন্যপ্রণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
চাঁদাবাজিসহ নানা হয়রানির বন্ধ হলে ৫০০ টাকার নিচে এক কেজি গরুর মাংস বিক্রি করা সম্ভব বলে মনে করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান।
আজ ১৮ মার্চ সোমবার রাজধানীর মিরপুরে উজ্জ্বল গোশত বিতান পরিদর্শনকালে তিনি এই কথা বলেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, চামড়ার দাম যৌক্তিক মূল্যে বিক্রি এবং হাট থেকে গরু কিনে বাজারে আনা পর্যন্ত চাঁদাবাজি বন্ধ হলে, মাংসের দাম অনেক কমবে। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় কম দামে মাংস বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন অনেকে। অতি মুনাফা না করে সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে দেশের অন্য ব্যবসায়ীরাও এমন উদ্যোগ নিতে পারেন।
এসময় ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক আরও জানান, রোজায় কোনো ব্যবসায়ীর মাধ্যমে যেন ক্রেতারা প্রতারিত না হয়, সেজন্য সারাদেশে প্রতিদিন ৫০-এর বেশি টিম কাজ করছে। অভিযানের ফলে বাজারে শসা, লেবু ও বেগুনের দাম কমছে।
অনলাইন ডেস্ক :
এসএসসিতে এক বা দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হলেও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা। তবে পরের দুই বছরের মধ্যে তাকে পাবলিক মূল্যায়নে অংশ নিয়ে বিষয়গুলোতে উত্তীর্ণ হতে হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) তৈরি করা ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২-এর মূল্যায়ন কৌশল ও বাস্তবায়ন নির্দেশনা’ সংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২৮ মে মঙ্গলবার কারিকুলাম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিভিশন কোর কমিটিতে প্রতিবেদনটি পাস হয়েছে। তবে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির সভায় এটি চূড়ান্ত হবে। গত বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম, চলতি বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এ শিক্ষাক্রম চালু হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে ২০২৬ সালে হবে এসএসসি পরীক্ষা। এরপর শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, একাদশে ভর্তি হয়েও মান উন্নয়নের জন্য এক বা একাধিক অথবা সব বিষয়ে পুনরায় পাবলিক মূল্যায়নে (এসএসসি) অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকছে। অনন্য, অর্জনমুখী, অগ্রগামী, সক্রিয়, অনুসন্ধানী, বিকাশমান ও প্রারম্ভিক-এই ৭টি সূচকের ভিত্তিতে প্রকাশ করা হবে শিক্ষার্থীর রিপোর্ট কার্ড। এতে সব বিষয়ে পারদর্শিতা বা সর্বোচ্চ সূচক অনন্য, আর সর্বনিম্ন সূচক হলো প্রারম্ভিক। প্রসঙ্গত, বর্তমানে একজন শিক্ষার্থী এসএসসিতে এক বা দুই বিষয়ে ফেল করলে তার শুধু ওই দুই বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায় না।
চলারপথে রিপোর্ট :
আড়াই বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল) পরিচালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপ থেকে পুনরায় জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে।
আজ ২৫ মে শনিবার বিকেল পৌনে ৬টায় জ্বালানি সচিব মো. নূরুল আলম গ্যাস সরবরাহ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ কূপটি থেকে দৈনিক ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। আগামী ১০ বছরে এ কূপ থেকে প্রায় ২৬শ’ কোটি টাকার গ্যাস উত্তোলন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দৈনিক ২৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপটি ২০০০ সালে খনন করা হয়। তবে গ্যাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় পানি উঠায় ২০২১ সালের পহেলা নভেম্বর গ্যাস কূপটি বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তিতাসসহ দেশের পাঁচটি গ্যাস ফিল্ড পরিচালনা করে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল) কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি ৫২৩ কোটি টাকা ব্যায়ে তিতাসের ১৪ নম্বর কূপসহ ৭টি কূপ ওয়ার্কওভারের প্রকল্প হাতে নেয় বিজিএফসিএল। এ প্রকল্পের আওতায় গত ১৯ মার্চ তিতাসের ১৪ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার কাজ শুরু করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। ৭৫ কোটি টাকা ব্যায়ে ওয়ার্কওভার কাজ শেষে গত ২১ মে কূপটি থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উৎপাদন শুরু হয়।
৭টি কূপ ওয়ার্কওভার প্রকল্পের পরিচালক মো. ইসমাইল মোল্লা জানান, ১৪ নম্বর কূপটি থেকে আগামী ১০ বছর পর্যন্ত ৪০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে- যার বাজারমূল্য প্রায় ২৬শ’ কোটি টাকা। আপাতত দিনে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে। পরবর্তীতে উৎপাদনের ওপর নির্ভর করে গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ বাড়ানো হবে। বাকি ৬টি কূপের ওয়ার্কওভার কাজ আগামী বছরের ডিসেম্বরে শেষ হবে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।
জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে জ্বালানি সচিব মো. নূরুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত করার লক্ষ্য রয়েছে। এর ফলে শিল্প-কারখানাসহ যে কোনো খাতে গ্যাস সরকরাহ করা যাবে। সরবরাহ পর্যাপ্ত হলে গ্যাসের সংকটও কমে যাবে। সবমিলিয়ে ১০০টি কূপের ওয়ার্কওভার ও খননের পরিকল্পনা রয়েছে। এ কাজটি আগামী বছর থেকেই শুরু হবে বলে জানান তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল বিশ্বরোড মোড়ে অবস্থিত তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার ও বিজিএফসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল হক চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।