চলারপথে রিপোর্ট :
ভাঙ্গায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ১৩ মে শনিবার সকাল ১০ টার দিকে ভাঙ্গা পৌর শহরের ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামের হলরুমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিমউদ্দিন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জালালউদ্দিন, উপজেলা একাডেমি সুপার ভাইজার প্রহ্লাদ বিশ্বাস, ভাঙ্গা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হায়দার হোসেন, উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। এরপর বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুবাই থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় হত্যা মামলার এক আসামীকে আটক করেছে আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশ। আটক ব্যক্তি হলো মোহাম্মদ বাদল রিয়াজ (৪৮)।
তিনি কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার আলোচিত যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যার মামলার ৫নং আসামী। বাদল রিয়াজ তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামের মোঃ রিয়াজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে।
আজ ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকাল ৫টার দিকে ত্রিপুরার আগরতলা ইমিগ্রেশন হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন তিনি। এসময় তার পাসপোর্ট নম্বরটি কালো তালিকাভূক্ত থাকায় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। পরে তাকে আখাউড়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মোঃ হাসান আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, আটক ব্যক্তি একটি হত্যা মামলার আসামী মর্মে ইমিগ্রেশন পুলিশকে অবহিত করেছিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তার পাসপোর্টটি কালো তালিকাভূক্ত করা হয়। বিকালে আগরতলা হয়ে আখাউড়া ইমিগ্রেশনে এলে তাকে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য, পূর্বশত্রুতা ও রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের জেরে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল রাতে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাজারে য্বুলীগ নেতা জামাল হোসেন (৪০) কে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। বোরকা পরে একদল অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে।
জামাল হোসেন তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। তিনি তিতাসের জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের জিয়ারকান্দি নোয়াগাঁও গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। তবে গৌরীপুর পশ্চিম বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
২০২৩ সালে ২৫ মে যুবক মোতালেবের পেট থেকে এন্ডোসকপির মাধ্যমে ২৩টি কলম বের করা হয়। তখন চিকিৎসকদের কাছে মোতালেব ওয়াদা করেছিল কখনো আর এসব জিনিস খাবেন না। কিন্তু কলমগুলো বের হতে কোনো কষ্ট না হওয়ায় যুবক মোতালেব আবারও লোহার সুচালো যন্ত্র, কলম ও কঞ্চি খেয়ে ফেলে। পরে পেট ব্যথা শুরু হলে পুনরায় সিরাজগঞ্জের শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।
গত সোমবার ও মঙ্গলবার দুই দফায় চিকিৎসকরা পরীক্ষ-নিরীক্ষার পর এন্ডোসকপি সার্জারির মাধ্যমে মোতালেবের পেট থেকে পুনরায় লোহার তাঁতের সুচালো সরঞ্জাম, কলম ও একটি বাঁশের কঞ্চি বের করেন।
মোতালেব হোসেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার দৌলত নতুনপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে।
মোতালেব হোসেন জানান, গত বছর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। তখন অনেক কলম বের হয়েছিল। কিন্তু কোনো ব্যথা পাওয়া যায়নি। এ কারণে আবারও এগুলো খেয়েছিলাম। তবে ভবিষ্যতে আর খাব না।
হাসপাতালের চিকিৎসক ইরিন আলম বলেন, গত মাসের ১৩ মে মোতালেব হোসেন পেট ব্যথা-বমি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু ব্যথা কমে না। এরপর আমরা পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা পাই তার পেটের ভেতর লোহার মতো সুচালো যন্ত্র, কলম ও কঞ্চি থেকে দেখা যায়। পরবর্তীতে হাসপাতালে সার্জারি চিকিৎসক ডা. আমিনুল ইসলাম চৌধুরী এন্ডোসকপি সার্জারির মাধ্যমে ৪টি ধারালো লোহার তাঁতের সরঞ্জাম, একটি কলম ও একটি বাঁশের কঞ্চি বের করেন।
তিনি বলেন, এটি এক ধরনের মানসিক রোগ। যখন ভাল থাকে তখন কিছু করেন না। কিন্তু যখন মনে রোগটা একটু বেড়ে যায় সে অখাদ্য নানা জিনিসপত্র খেয়ে ফেলে। তাকে মানসিক চিকিৎসাও প্রদান করা হচ্ছে।
সার্জারি ডা. আমিনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, গত বছর মোতালেবের পেট থেকে এন্ডোসকপির মাধ্যমে ২৩টি কলম বের করা হয়েছিল। এবারও যখন পেট ব্যথা নিয়ে ভর্তি হয় তখন আগের সিনটম তার মধ্যে দেখা যায়। পরে পরীক্ষা–নিরীক্ষা পর তার পেটের ভিতর থেকে এন্ডোসকপি সার্জারির মাধ্যমে কলম ও সুচোলো জাতীয় ধারালো জিনিসগুলো বের করা হয়। গত বছরও অপারেশন ছাড়া বের করায় সে কষ্ট না পাওয়ায় আবারও সে এগুলো খেয়েছিল। তবে এবার ওয়াদা করেছেন আর খাবেন না।
তিনি আরো জানান, মোতালেব বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। খাওয়া-দাওয়া করতে পারছে। রোগটি পিকাসিন্ডোম নামে বিরল মানসিক রোগ। এ রোগের আক্রান্ত রোগীরা সাধারণ খাবারের জিনিসের পোড়ামাটি খায়। কিন্তু মোতালেব যেগুলো খেয়েছে সেটা আমাদের ধারণার বাইরে ছিল। তারপরও আল্লাহর রহমতে আমরা সুস্থভাবে সেগুলো বের করেছি। বর্তমানে সে সুস্থ রয়েছে। দুএকদিনের মধ্যেই তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী ৩ মে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আজ ২০ এপ্রিল রবিবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিবি) মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন করে এই মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও মুসলিম উম্মাহর বিভিন্ন ইস্যু সামনে রেখে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ্ মুহিদুল্লাহ বাবুনগরী। এ সময় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বেশ কিছু দাবির কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী আমলে হেফাজতের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে গণগত্যার বিচার করতে হবে। নারী সংস্কার কমিশনের ধর্মীয় বিধান, ইসলামী উত্তরাধিকার আইন ও পারিবারিক বৈষম্য প্রস্তাব ও কমিশন বাতিল করতে হবে। তা না হলে ৩ মে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এ ছাড়া ভারতীয় ওয়াকফ আইন ও ফিলিস্তিনিদের গণহত্যার প্রতিবাদে আগামী মঙ্গলবার থেকে ১ সপ্তাহ গণসংযোগ ও আগামী ২৫ এপ্রিল বাদ জুমা প্রতি জেলা উপজেলায় বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। আজ ১ জুন রবিবার দলটির পক্ষে করা আপিল গ্রহণ করে রায় দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। এর ফলে জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত বৈধ বলে গণ্য হবে বলে জানিয়েছেন দলটির আইনজীবীরা।
এদিকে, জামায়াতের দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগ।
এর আগে গত ১৪ মে এ মামলায় আপিল শুনানি শেষে রায়ের জন্য ১ জুন দিন ধার্য করেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ওইদিন আদালতে জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।
২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের পক্ষে কোনও আইনজীবী আদালতে উপস্থিত না থাকায় আদালত আপিল মামলাটি খারিজ করে দেন।
এরপর আপিলটি পুনরুজ্জীবনের জন্য আবেদন করা হয়। গত বছরের ২২ অক্টোবর আদালত বিলম্ব মার্জনা করে আপিলটি শুনানির জন্য রিস্টোর করেছেন অর্থাৎ পুনরুজ্জীবন করেছেন। এরপর ৩ ডিসেম্বর আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছিল। চতুর্থ দিনের মতো শুনানি শেষে মামলার রায়ের দিন ধার্য করা হয়।
২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে সাময়িক নিবন্ধন দেওয়া হয়। পরের বছর বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির তৎকালীন মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন।
রিটে জামায়াতের তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, নির্বাচন কমিশনসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়। তারা জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের আর্জি জানান।
এ রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক (পরে প্রধান বিচারপতি) ও বিচারপতি মো. আবদুল হাইয়ের (বর্তমানে অবসর) হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রুল জারি করেন। নিবন্ধন নিয়ে রুল জারির পর ওই বছরের ডিসেম্বরে একবার, ২০১০ সালের জুলাই ও নভেম্বরে দু’বার এবং ২০১২ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে দু’বার তারা গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয় জামায়াত। এসব সংশোধনীতে দলের নাম ‘জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ করা হয়।
২০১৩ সালের ১২ জুন ওই রুলের শুনানি শেষ হয়। একই বছরের ১ আগস্ট জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে অবৈধ বলে রায় দেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন (বর্তমানে অবসর), বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম (পরে আপিল বিভাগের বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন) ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হকের (১৯ নভেম্বর পদত্যাগ করেন) সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ।
সে সময় সংক্ষিপ্ত রায়ে আদালত বলেন, এ নিবন্ধন দেওয়া আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত। একইসঙ্গে আদালত জামায়াতে ইসলামীকে আপিল করারও অনুমোদন দিয়ে দেন।
তবে এ রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন একই বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। পরে একই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
এরপর ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে টানা চতুর্থ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে। তবে গত বছর জুলাই মাস থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা কোটা প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। এ আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগে ছাত্র-জনতা সরকার পতনের দাবি তোলে। এর মধ্যে ১ আগস্ট সরকার অঙ্গসংগঠনসহ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধের আবেদন বাতিলের উদ্যোগ নেয়। গত ২৮ আগস্ট সরকার আগের নিষিদ্ধের আদেশ বাতিল করে। এরপর আপিল বিভাগে নিবন্ধন মামলাটি পুনরায় শুনানির জন্য আবেদন করে জামায়াত।
চলারপথে রিপোর্ট :
পাবনার ঈশ্বরদীতে হাসপাতালে আসার পথে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় রোজিনা আক্তার রোজী (৩৭) নামে এক নার্স নিহত হয়েছেন। তিনি সাঁড়া ইউনিয়নের আড়ামবাড়িয়া গ্রামের আফজাল মালিথার মেয়ে ও শহরের একটি হাসপাতালের সিনিয়র নার্স। এ সময় দুর্ঘটনায় সোলাইমান হোসেন নামে হাসপাতালের এক স্টাফ গুরুতর আহত হয়। তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় বিমানবন্দর সড়কের ঈশ্বরদী গালর্স স্কুল এ্যান্ড কলেজ মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালের ম্যানেজার সুমন আলী বলেন, হাসপাতালের স্টাফ সোলাইমান হোসেনের স্ত্রীর প্রসব বেদনা উঠায় নার্স রোজিনাকে তার আরামবাড়িয়া বাড়িতে মোটরসাইকেলে আনতে যায়। আসার পথে দ্রুতগামী মোটর সাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গালর্স স্কুল মোড়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই রোজিনা মারা যায় ও সোলাইমান আহত হয়।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আসমা খানম জানান, রোজিনা আক্তারকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছে। সোলাইমান হোসেনকে রাজশাহীতে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার জানান, বিষয়টি আমরা শুনেছি। কারো কোন অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়াই মরদেহ স্বজনদের দাফন কাফনের জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে।