চলারপথে রিপোর্ট :
শেখ হাসিনার বারতা নারী পুরুষ সমতা” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে মা সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১২ মে রবিবার দুপুরে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এ মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার ভূমি মো: মোনাব্বর হোসেন।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জান্নাত সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো: মনির হোসেন ভূঁইয়া, সদর ইউপি চেয়ারম্যান পুতুল রানী দাস।
সভায় বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূঁইয়া ও তথ্য সেবা সহকারী শুকরানা আক্তার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তাসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। মা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা জন্মদাত্রী মাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে সন্তান হিসেবে ছেলে মেয়ে উভয়েই মার প্রতি দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকা, জীবদ্দশায় মা এর সাথে কোন সন্তান যেন সামাজিক, পারিবারিক, মানসিক যেকোন অবস্থায় অশান্তি ও কষ্ঠকর অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ থেকে বিরত থাকার আহবান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা আজ ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নাসিরনগর সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হোসাইন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সোহাগ রানা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল মিয়া, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বিশ্বজিত দাস, জেলা পরিষদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া হাকিম রেজা, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জিতু মিয়া, পুতুল রানী দাস, অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন ভূইয়া, সফিকুল ইসলাম, মোঃ ফারুক মিয়া, রুবেল মিয়া, মোঃ আক্তার মিয়া ও মনসুর আহমেদ ভূইয়া, প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিম, প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী, উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সম্পাদক সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূঁইয়া, পূজা উদযাপন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনাথ বন্ধু দাসসহ আইনশৃংখলা কমিটির সদস্যগণ।
সভায় বক্তারা আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি সরকারি খাস জমির অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ, মাদক-জুয়া, চুরি-ডাকাতি, বাল্য বিবাহ, যৌতুক, নারী-নির্যাতনসহ আইনশৃংখলা বিষয়ক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয় ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিয়োগ বিধিতে ভেটেরিনারি ফিল্ড এ্যাসিসট্যান্ট (ভিএফএ) ও সমমানের পদে অগ্রাধিকারসহ ডিপ্লোমা ইন লাইভস্টক সংযুক্তকরণ, দ্রুত নিয়োগবিধি প্রণয়ন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদানসহ নবসৃষ্ট উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পদে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে আজ ১১ মে বৃহস্পতিবার সকালে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সকালে বাংলাদেশ “ডিপ্লোমা ইন লাইভস্টক” স্টুডেন্টস ফেডারেশন (বিডিএলএসএফ) আইএলএসটি নাসিরনগর শাখার উদ্যোগে ইন্সটিটিউট অফ লাইভস্টক সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির ক্যাম্পাস চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
বাংলাদেশ “ডিপ্লোমা ইন লাইভস্টক” স্টুডেস্টস ফেডারেশন আইএলএসটি নাসিরনগর শাখার সহ-সভাপতি আবদুর রাহিমের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক রিফাতুজ্জামান বন্ধন, যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক আয়াতুল্লাহ খান সিহাব ও ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ফারহানা আক্তার জেলি প্রমুখ।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলায় সেপ্টেম্বর মাসে সর্বাধিক দিন লাইব্রেরিতে উপস্থিত থেকে বই পড়ায় ২৩ শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। গতকাল ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ইউএনও মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া শিক্ষার্থীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন বালিকা বিভাগে ২৫ দিন উপস্থিত থেকে প্রথম হয়েছেন হাফছা বেগম, সুমাইয়া আফরিন, সাদিয়া বুশরা, মহিমা রায়, সৃষ্টি রায়, নুসরাত সাকুরা, লামিয়া আক্তার, আদ্রিতা, নুসরাত জাহান সোহা ও শাহ সামিয়া। ২১ দিন উপস্হিত থেকে ২য় হয়েছে ইস্পা আক্তার ও সানিয়া আক্তার। ১১ দিন উপস্হিত থেকে ৩য় হয়েছে তারিয়া চৌধুরী নাবিলা।
বালক বিভাগে ২৫ দিন উপস্থিত থেকে ১ম হয়েছেন আরিয়ান ইসলাম সোহান, সৌমিক রায় ও গগনদীপ কুন্ডু।
২৪ দিন উপস্থিত থেকে ২য় হয়েছেন মেহেদী হাসান, ওয়ালী উল্লাহ হাসানাত, আব্দুল গফফার মাহাদী, ওমর ফারুক ও তন্ময় সরকার।
২৩ দিন উপস্থিত থেকে ৩য় হয়েছেন পৃথিবী দাস সূর্য্য ও সপ্তদীপ কুন্ডু।
নাসিরনগরের ইউএনও মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশের অনেক উপজেলায় কোনো পাবলিক লাইব্রেরি নেই। নাসিরনগরবাসীর সৌভাগ্য যে উপজেলায় একটি পাবলিক লাইব্রেরি রয়েছে, সেটি অনেক সৌভাগ্যের। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে উপজেলায় একটি বইমেলার আয়োজন করি, বইমেলায় তখন শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দেখি। তখন জানতে পারি নাসিরনগরের একটি পাবলিক লাইব্রেরি রয়েছে। তখন এই লাইব্রেরিতে দুই থেকে তিনজন শিক্ষার্থী বই পড়তে আসতো। তখন ঘোষণা দেন, যে শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরিতে এসে বই পড়বে তাদের পুরস্কৃত করা হবে। এরপর থেকে প্রতিদিন প্রায় গড়ে ৩০ থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থী প্রতিদিন লাইব্রেরিতে বই পড়তে আসে।
তিনি আরো জানান, মেধা ভিত্তিক সমাজ গঠনে বই পাঠের কোনো বিকল্প নেই। নাসিরনগর উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরি নাসিরনগরে মননশীল পাঠক তৈরিতে ভূমিকা রাখবে। পাবলিক লাইব্রেরিতে অনেক কিছু সংস্কার করা হয়েছে। আরো কিছু সংস্কার করা হবে। ছাত্র-ছাত্রীরা অনেকগুলো বইয়ের নাম বলেছিলো, সেই বই গুলো তাদের পড়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ২৫ গ্রামে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এসময় রামদা, বল্লম, এককাইট্টা, টেঁটা, ফলা, চল, সড়কিসহ প্রায় তিন হাজার দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে আজ ৬ মে শনিবার ভোর পর্যন্ত পুলিশ উপজেলার নূরপুর, হরিপুর, নরহা, চিতনা, ধরমন্ডল,শংকরাদহ, গোকর্ণ, কুন্ডা, কুন্ডা জেলে পাড়া, শ্রীঘর, চাপরতলা, ভোলাউক, উরিয়াইন, আতুকুড়া, মুকবুলপুর ও পূর্বভাগসহ ২৫টি গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমান এই দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
এদিকে শনিবার বেলা ১১টায় পুলিশের পক্ষ থেকে কৃষি কাজ ও নিত্যদিনের ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ছাড়া ঝগড়া-বিবাদে ব্যবহার করা হয় এমন ধরনের দেশীয় অস্ত্র যাতে তৈরী না করেন সে জন্য উপজেলার ৩৮জন কামার (কর্মকার) এবং ১৬জন বাঁশ ব্যবসায়ীর সাথে সভা করেছেন।
সভায় কামারদের বলা হয়েছে, ঝগড়া বিবাদে ব্যবহার করা হয় এমন ধরনের অস্ত্র রামদা, বল্লম, এককাইট্টা, ফলা, যেন তৈরী করা না হয়। এছাড়াও বাঁশ ব্যবসায়িরা যেন টেঁটা তৈরী না করেন সেজন্য তাদেরকে সতর্ক করে দেয়া হয়।
নাসিরনগর থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে নাসিরনগরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বেশ কিছু সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় হাজার খানেক লোক কম বেশী আহত হন। এছাড়া ঈদ-উল ফিতরের দিন উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের খাগালিয়া গ্রামে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে জামাল নামে একজন কৃষক নিহত ও প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়।
এরপরই দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারে নাসিরনগর থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার। পুলিশকে নিদের্শ দেন। পুলিশ সুপারের নির্দেশ পেয়ে গত ১০ দিনে পুলিশ উপজেলার ২৫টি গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেন। এসব অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্র আইনে তিনটি মামলায় ৮ জনকে আসামি করা হয়।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কামার ও বাঁশ ব্যবসায়ীরা যাতে ঝগড়া ফ্যাসাদে ব্যবহৃত হয় সে ধরনের দেশীয় অস্ত্র তৈরী না করেন সেজন্য তাদেরকে নিয়ে শনিবার সভা করেছি। বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলার ৩৮ জন কাঁমার ও ১৬জন বাঁশ ব্যাবসায়ি অংশ নেন।
ওসি আরো বলেন, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।