অনলাইন ডেস্ক :
স্থানীয় সময় ভোর ৫ টায় দিকে নির্বাচন কমিশন থেকে প্রাপ্ত ভোটের ফলে পার্লামেন্টে বড় জয় পেয়েছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের দল একে পাটি। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এখনো তিনি ৫০ %-এর বেশি ভোট পাননি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি ৪৯.৪৪ % ভোট পেয়েছেন। অন্য দিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বি পেয়েছেন প্রায় ৪৫% ভোট।
গতকাল রবিবার এশিয়া ও ইউরোপের দেশ তুরস্কে ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। সারারাত ভোট গণনার পর দেখা যায় পার্লামেন্টের ভোটে বড় জয় পেয়েছে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের দল একে পার্টি ও তার জোট পিপলস অ্যালায়েন্স। তবে এরদোয়ান প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন কি না সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এখনো ২ % ভোট গণনা বাকী রয়েছে।
বেসরকারি প্রাপ্ত ভোটের ফলাফলে দেখা গেছে, সংসদে ৬০০ আসনের মধ্যে পিপলস অ্যালায়েন্স জোট পেয়েছে ৩২২ আসন। এর মধ্যে এরদোয়ানের দল একে পার্টি পেয়েছে ২৬৬ সিট। এছাড়া বিরোধী নেসন্স অ্যালায়েন্স জোট পেয়েছে ২১২ সিট। এছাড়া অন্যান্য দলগুলো পেয়েছে ৬৬ সিট।
এদিকে তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদুলু এজেন্সি ভোটের ফলাফল প্রকাশ করছে। সেখানের হিসাবে সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ৯৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ ব্যালট গণনা হয়েছে। এতে এরদোয়ান পেয়েছেন ৪৯.৪৩ শতাংশ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারুগলু পেয়েছেন ৪৪.৯৮ শতাংশ।
কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে রানঅফ বা দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে ২৮ মে। তবে এরদোয়ান আশা প্রকাশ করে বলেছেন, ফাইনাল রেজাল্টে তিনি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাবেন।
প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে আছেন উল্লেখ করে এরদোয়ান বলেন, ‘প্রথম দফা ভোটে নির্বাচন শেষ হবে কি না আমরা এখনো তা জানি না।কিন্ত দেশের মানুষ ইচ্ছায় দ্বিতীয় দফায় লড়তে প্রস্তুত রয়েছি আমি।’
সাধারণত ইস্তাম্বুলে থেকে ভোটের ফল জানেন তিনি। তবে এবার ভোটের ফল প্রকাশের আগেই রাজধানী আঙ্কারায় পৌঁছে গেছেন এরদোয়ান। দলের সদরদফতের বারান্দায় সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতাও দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় জাতীয় ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানিয়েছি। এই নির্বাচন ও আগামী নির্বাচনেও আমরা জাতীয় ইচ্ছাকেই সম্মান জানাব।’
এদিকে ফল ঘোষণায় বিলম্বের অভিযোগ তুলেছেন কামাল কিলিচদারুগলু। তার দাবি, ভোটগণনা এতক্ষণে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্ত নির্বাচন কমিশন ফল ঘোষণায় বিলম্ব করছে। বিশেষ করে যেসব কেন্দ্রে তার জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
কিলিচদারুগলু বলেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। খুব শিগগিরই ভোটের ফল জানা যাবে। দেশের জনগণ আর বেশিক্ষণ এ অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকতে চায় না। ভোটে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন নিয়ে কেউ শঙ্কিত হবেন না।’
এবারের নির্বাচনে তুরস্কের নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা ছিল ৬ কোটি ৪১ লাখ। এর মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫ কোটি ৩৯ লাখের বেশি মানুষ ভোট দিয়েছে। মোট হিসাবে এটি ৮৮.৮৩ শতাংশ। সব মিলিয়ে গ্রহণযোগ্য ভোট পড়েছে ৫ কোটি ২৮ লাখ ৯৬ হাজারের বেশি। ব্যালট বক্স ছিল ১ লাখ ৯২ হাজার ২১৪টি।
অপরদিকে পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৫ কোটি ৪৩ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ১৩ লাখ ভোট বাতিল হয়েছে। ব্যালট বক্স ছিল দুই লাখের বেশি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৮৮.১০ শতাংশ।
তুরস্কে নির্বাচন। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। কতটা এগিয়ে এরদোয়ান। কত ভোট পেলেন এরদোগান, এরদোয়ান। জিততে পারবেন কি এরদোয়ান। তুর্কি ভোট। তুরস্কে নির্বাচনের ফলাফল। সূত্র: আনাদুলু, টিআরটি
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ও নতুন ট্রাম প্রশাসনের সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) চেয়ারম্যান ইলন মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। মাস্কের অভিযোগ, সংস্থাটি মার্কিন জনগণের করের টাকায় জৈব অস্ত্র গবেষণায় অর্থায়ন করেছে এবং বিভিন্ন প্রচারণার জন্য গণমাধ্যমে বিপুল অর্থ ব্যয় করেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) শেয়ার করা পৃথক তিনটি পোস্টে ইলন মাস্ক বলেন, আপনারা জানেন কি, ইউএসএআইডি আপনাদের করের টাকায় জৈব অস্ত্র গবেষণায় অর্থায়ন করেছে? এর মধ্যে কোভিড-১৯ এর মতো জীবাণুও অন্তর্ভুক্ত, যার কারণে কয়েক কোটি মানুষ মারা গেছেন। অপর এক পোস্টে অভিযোগ করেন, ইউএসএআইডি তাদের প্রচারণা পরিচালনার জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যমকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়েছে। ইউএসএআইডির মরে যাওয়াই ভালো।
গোপন নথি নিয়ে বিতর্ক, কর্মকর্তাদের বরখাস্ত
ইউএসএআইডিকে ঘিরে বিতর্ক তখন আরো ঘনীভূত হয়, যখন সংস্থাটির দুই শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে ছুটিতে পাঠানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা মাস্কের প্রতিনিধিদের গোপন নথি দেখাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
মার্কিন গণমাধ্যমের একাধিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিওজিই-এর কর্মীদের নিরাপত্তা অনুমোদন না থাকায় তাঁদের ইউএসএআইডির সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। তবে মাস্কের সমর্থকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের নির্বাহী আদেশে গঠিত এই বিভাগটি সরকারি সংস্থার মতোই ক্ষমতাপ্রাপ্ত এবং তারা প্রবেশাধিকার পাওয়ার যোগ্য।
হোয়াইট হাউসের প্রতিক্রিয়া ও ওয়েবসাইট বন্ধ
এ ঘটনায় হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চিউং দাবি করেছেন, ডিওজিই-এর কর্মীরা সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করেননি এবং এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তবে, ইউএসএআইডির বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা বলছেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সরিয়ে দিয়ে সংস্থাটিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, গত শনিবার থেকে ইউএসএআইডির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এবং এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রবেশের চেষ্টা করেও ব্যবহারকারীরা ব্যর্থ হয়েছেন।
পররাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে ইউএসএআইডি?
মার্কিন সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন ইউএসএআইডিকে পররাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে আনতে চাচ্ছে। এর ফলে সংস্থাটির ৪২.৮ বিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক মানবিক সহায়তা কার্যক্রম আপাতত স্থগিত থাকতে পারে।
একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স আরো জানায়, ইউএসএআইডির সব সিলমোহরও কার্যালয় থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে, যা এর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইউএসএআইডি পররাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে চলে গেলে এটি আর স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না এবং মূলত মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির হাতিয়ারে পরিণত হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউএসএআইডি কর্মকর্তা বলেন, এর ফলে মার্কিন সরকার এমন এক অবস্থানে চলে যাবে, যেখানে মানবিক সহায়তা সংক্রান্ত কণ্ঠস্বর উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারণী আলোচনায় গুরুত্ব পাবে না।
নতুন মার্কিন কূটনৈতিক নীতির ইঙ্গিত
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, আগের প্রশাসনগুলো বৈশ্বিক ইস্যুকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে, যা চীনের অর্থনৈতিক বিকাশকে ত্বরান্বিত করেছে। আমরা এখন আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে মনোযোগী হব।
এদিকে, হোয়াইট হাউস এখন এমন আইনি উপায় খুঁজছে, যার মাধ্যমে ট্রাম্প নির্বাহী আদেশ জারি করে ইউএসএআইডির স্বাধীনতা বাতিল করতে পারেন। তবে প্রেসিডেন্ট কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কি না, এখনও তা স্পষ্ট নয়।
সংস্থাটির ভবিষ্যৎ কী?
ইউএসএআইডি অতীতে এমন দেশগুলোকেও সহায়তা করেছে যাদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, যেমন ইরান। কিন্তু নতুন এই পরিবর্তন সংস্থাটির কার্যক্রমে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: আল জাজিরা, এক্স, রয়টার্স, ওয়াল স্ট্রিট জর্নাল
অনলাইন ডেস্ক :
ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা প্রতিদিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। বিশ্বের নানা প্রান্তে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ইসলাম গ্রহণ করছেন। এই সংখ্যাটি ইউরোপ আমেরিকাতে উল্লেখ্য করার মতো। তেমনি একটি ঘটনা ঘটেছে লন্ডনে।
জানা যায়, মুসলিমদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন পিসি পল। তিনি ব্রিটিশ পুলিশের কর্মকর্তা। এ সময় মুসলিমদের কর্মকাণ্ড তাকে সন্তুষ্ট করেছে। অবশেষে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আমার মনে কোনো সন্দেহ নেই, আল্লাহ এক, মুহাম্মদ (সা.) তার রাসুল ও প্রিয় বান্দা। আমি এখানে শুধু পুলিশ কর্মকর্তা নই। কারও ভাই, কারও চাচা, কারও ছেলে আবার কারও ভাতিজা এবং একজন বন্ধু। ইসলাম গ্রহণ করতে পেরে আমি গর্বিত। ‘আমি ইসলামকে বেছে নিইনি। আল্লাহ আমাকে মনোনীত করেছেন।’
পল বলেন, সবাই আমাকে বলতেন যে আমি একদিন মুসলিম হবো। কিন্তু কেউ আমাকে জোর করেনি। পরে আমি কোরআন পড়া শুরু করি। এরপর আমি ইসলামের দিকে মনোনিবেশ করি। এটি মনোমুগ্ধকর ও শান্তির ধর্ম।
লন্ডনের এই পুলিশ কর্মকর্তা ১৬ বছর ধরে এজওয়্যার রোডে স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করছেন।
পল বলেন, আমি এখানে ১৬ বছর ধরে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছি। গত জানুয়ারিতে আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। আলহামদুলিল্লাহ, আমি খুশি।
তিনি বলেন, আমার কাজ হলো সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা। আমি তাদের সবাইকে চিনি। শিশু, যুবক, বৃদ্ধ সবাইকে। এটা আসলে একটা বড় পরিবারের মতো।
ব্রিটিশ এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ৫ মাসে আমি দুইবার কোরআন পড়েছি। আমি কোনো নামাজে অনুপস্থিত ছিলাম না।
লোকেরা জিজ্ঞাসা করে- কেন আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলাম? আমার উত্তর হলো- আমি ইসলাম ধর্মকে বেছে নিইনি। আল্লাহ আমাকে বেছে নিয়েছেন। সূত্র: টিআরটি
অনলাইন ডেস্ক :
দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে ছাড়া পেলেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের সাথে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর পর যুক্তরাজ্য তাকে ছেড়ে দিয়েছে। সূত্র : বিবিসি
৫২ বছর বয়সী জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে মার্কিন জাতীয় প্রতিরক্ষার তথ্য সংগ্রহ এবং প্রকাশের অভিযোগ আনা হয়েছিল। কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে আফগান ও ইরাক যুদ্ধের গোপন নথি ফাঁসের অভিযোগ করে আসছে। যার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়ে। জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ গত পাঁচ বছর ধরে ব্রিটেনে কারাগারে ছিলেন। এখানে বসেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যায়।
অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে কোনো সময় ব্যয় করতে হবে না এবং যুক্তরাজ্যে বন্দি থাকার ফলে সে সুবিধা পাবে। বিচার বিভাগের চিঠি অনুযায়ী জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যাবেন।
২৪ জুন সোমবার জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ বালমার্স কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন। ১ হাজার ৯০১ দিন তিনি এ কারাগারে বন্দি ছিলেন। কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই বিকালে তিনি যুক্তরাজ্যের যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে যান। সেখান থেকেই তিনি অস্ট্রেলিয়াতে ফিরে যাবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি এক তরুণ মো. সাকিব (১৮) নিহত হয়েছেন। এ সময় ভারতের এক নাগরিকও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের মাদলা এলাকায়। নিহত মো. সাকিব (১৮) বায়েক ইউনিয়নের মাদলার নন্দননগর পুরাতন গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা মো. মোতালেবের ছেলে। আহত ভারতীয় নাগরিক ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার মঙ্গল বর্মণের ছেলে সুজন বর্মণ (৩৫)। তাকে ঢাকার ধানমন্ডিস্থ পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নিহত সাবিকের লাশ গ্রামের বাড়ি মাদলায় নিয়ে আসেন স্বজনেরা।
এর আগে গতকাল ৪ মে রোববার দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় বায়েক ইউনিয়নের মাদলা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে গুরুতর আহত হন সাকিব ও সুজন।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামিউল ইসলাম জানান, রবিবার রাতে ভারতীয় যুবক সুজনের মাধ্যমে চোরাই মোটরসাইকেল আনার জন্য মাদলা সীমান্তে যায় সাকিব। এ সময় সীমান্তে টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হন সুজন ও সাকিব।
পরে সাকিবকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার মরদেহ নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কসবায় সীমান্তবর্তী এলাকায় গতকাল দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় বিএসএফের গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। আর ভারতীয় এক নাগরিক আহত আছেন। গুলিবিদ্ধ সাকিবকে উদ্ধার করে তাঁর স্বজনেরা ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে তিনি পথে মারা যান। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাইশা আফরিন সুবর্ণা (১৪) নামের এক কিশোরী বিয়ের তিনমাসের মাথায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে কিশোরীর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মাইশা আফরিন সুবর্ণা উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের বীরপাশা গ্রামের নাসির উদ্দিনের মেয়ে। নাসির উদ্দিন বলেন, তার কিশোরী মেয়ে সুবর্ণা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পার্শ্ববর্তী বিন্নিঘাট এলাকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (২২) তার মেয়েকে পছন্দ করতেন। পরে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য তার মেয়ে সুবর্ণাকে অত্যাচার করতো মনির। বিয়ের সময় মনিরকে ১ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়ার পর সে আরও যৌতুককের টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তার মেয়েকে তালাক দিবে একথা বলেন মনির। সে কথা শুনে সুবর্ণা শনিবার বিকেলে শোবার ঘরের বাশের তীরের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তিনি আরও বলেন, মনিরের চাপের কারণে তার মেয়ে সুবর্ণাকে বিয়ে দিতে হয়। মনিরের কারনে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক কিশোরী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধারের পর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।