চলারপথে ডেস্ক :
ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ কবলিত কক্সবাজার জেলায় চারটি মোবাইল অপারেটরের ৯৭৪টি সাইটের মধ্যে ২৪৩টি সাইট বর্তমানে অচল রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
আজ ১৫ মে সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে বিটিআরসি।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিটিআরসি মোবাইল অপারেটরগুলো বিদ্যমান অসচল সাইটগুলো সচল করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অধিকাংশ অসচল সাইট মূলত বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন থাকার কারণে বর্তমানে অসচল রয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ কার্যকর হলে ওই সাইটগুলো দ্রুত সচল হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা কবলিত কক্সবাজার জেলায় দেশের চারটি মোবাইল অপারেটরের ৯৭৪টি সাইটের ২৪৩টি সাইট বর্তমানে ‘অসচল’ রয়েছে। এর মধ্যে গ্রামীণফোন লিমিটেডের মোট ২১৯টি সাইটের মধ্যে অসচল সাইটের সংখ্যা ৬০টি। রবি আজিয়াটা লিমিটেডের মোট ৪৬১টি সাইটের মধ্যে অসচল সাইটের সংখ্যা ৮৭টি, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের মোট ১৮৫টি সাইটের মধ্যে অসচল সাইটের সংখ্যা ৫১টি এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের মোট ১০৯টি সাইটের মধ্যে অসচল সাইটের সংখ্যা ৪৫টি।
গত ১৩ মে ঘূর্ণিঝড় মোকা মোকাবিলায় দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে যাতে সব ধরনের টেলিযোগাযোগ সেবা অব্যাহত থাকে তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন সংশ্লিষ্ট সব লাইসেন্সধারী সংস্থাকে এবং টেলিযোগাযোগ সেবাপ্রদানকারী টেলিকম অপারেটরকে ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম গঠন ও কন্ট্রোল রুম স্থাপনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করে। এছাড়াও বিটিআরসি ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম ও নিয়ন্ত্রণকক্ষও চালু করে। এসব টিম ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকাগুলোর টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণসহ নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিতে সমন্বয় সাধন করে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসনের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ছাত্রলীগের এক কর্মী উপস্থাপনা করায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নানামহলে সমালোচনার ঝড় উঠলেও উল্টো বিষয়টি নিয়ে থোরাই কেয়ার করছেন নাসিরনগরের এসিল্যান্ড কাজী রবিউস সারোয়ার। গতকাল ১৪ এপ্রিল সোমবার গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেও ‘কিছু যায় আসে না’ বললেন ঐ এসিল্যান্ড। তবে জেলা প্রশাসক বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। যদিও তাৎক্ষণিক সমালোচনার মুখে অনুষ্ঠানটি সংক্ষিপ্ত করতে বাধ্য হয় উপজেলা প্রশাসন।
অভিযোগ উঠেছে, পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠান উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন শাকিলের ব্যক্তিগত পছন্দেই ঐ ছাত্রলীগ কর্মীকে উপস্থাপক করা হয়েছে। ছাত্রলীগের ওই কর্মীর নাম দিদার হোসেন। ১৪ এপ্রিল সোমবার সকালে নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর থেকে দিদারের ছাত্রলীগের বিভিন্ন মিছিল – মিটিং এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সবার একটাই প্রশ্ন উপজেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার দায়িত্বে কীভাবে একজন ছাত্রলীগ কর্মী থাকে?
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনা নাছরিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী রবিউস সারোয়ার, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম. এ. হান্নান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন শাকিল, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহিমুল আরেফিন, শিক্ষা কর্মকর্তা ইসহাক মিয়াসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
স্থানীয় সংস্কৃতি কর্মী নিহারেন্দু চক্রবর্তী তার ফেসবুকে লিখেন (হুবহু তুলে দেওয়া হল), সকালে উঠেই একজনের ফেসবুক স্ট্যাটাস চোখে পড়লো। ওই লোক লিখেছে “ফ্যাসিষ্টমুক্ত প্রথম বৈশাখ” একটা লাইক দিয়েছিলাম। এর কিছুক্ষণ পর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে দেখলাম ঐ লোকের লেখায় ভুল ছিল। দেখলাম প্রশাসন আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানের মূল উপস্থাপক দিদার নামে একটি ছেলে। সে শুধু ফ্যাসিষ্টের দোসর বললে ভুল হবে। সে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের একজন কর্মী।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নানসহ সকল প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গগণ।
এছাড়াও একই পোস্টে তিনি দুইটি ভিডিও আপলোড করে লিখেন, ১নং ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে নাসিরনগর উপজেলা ছাত্রলীগ (নিষিদ্ধ) এর সিনি. সহ সভাপতি আরমান নূর এর সাথে ছাত্রলীগের মিছিল ও শোডাউনে দিদার। ২নং ভিডিও তে দেখা যাচ্ছে দ্বিতীয় স্বাধীনতা পরবর্তী প্রথম বৈশাখে উপজেলা প্রশাসনের হতে প্রাপ্ত উপহার বিশ্বরঙ ফ্যাশন হাউসের রঙিন পাঞ্জাবি পড়ে প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠান বীরদর্পে উপস্থাপনা করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন শাকিল বলেন, আমরা তার রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে জানতাম না। ছাত্রলীগের মিছিলে তার ভিডিও দেখার পর তাকে আর উপস্থাপনা করতে দেওয়া হয়নি। পরে আমরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি সংক্ষিপ্ত করা হয়।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে সাংবাদিকদের উপর মেজাজ হারিয়ে ফেলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী রবিউস সারোয়ার। তিনি বলেন, সংবাদ হলে কি হবে..? কিছুই হবেনা।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, প্রশাসনের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ কর্মীর উপস্থাপনার বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্তৃপক্ষের তদারকিতে অসংগতি ধরা পড়ায় দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিককে সতর্কতামূলক জরিমানা করা হয়েছে। আজ ১০ মে বুধবার সকাল সাড় ১০টা থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের কেদারগঞ্জ,সার্কিট হাউজ ও হাটকালুগঞ্জ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ এ তদারকি পরিচালিত হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ জানান, ফ্লাওয়ার মিল, মুদিখানা ও চাউলের দোকানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করার সময় সার্কিট হাউজ এলাকায় মেসার্স নিউ তানিয়া ফ্লাওয়ার মিলে আটা, ময়দা ও ভূষিতে ওজন, মেয়াদ, মুল্য ইত্যাদি না লেখা ও মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ওই প্রতিষ্ঠানটির মালিক শহিদুল্লাহকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭ ও ৩৮ ধারায় অনুযায়ী ১০ হাজার টাকা ও হাটকালুগঞ্জ এলাকায় মেসার্স মর্ডান স্টোরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করা ও প্রচুর মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য দোকানে রেখে বিক্রয় করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক আলিমুজ্জামানকে ৩৮ ও ৫১ ধারায় ১০ হাজার টাকা টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সতর্ক করে নির্দেশনা দেয়া হয়।
তিনি আরো জানান,জনস্বার্থে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এ কাজ সার্বিক সহযোগীতায় ছিল চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের একদল পুলিশ।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীর্ষস্থানীয় পদে রদবদল করা হয়েছে।
মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সাইফুল আলমের চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মজিবুর রহমানকে জিওসি আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরীকে সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীমকে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হককে কমান্ড্যান্ট এনডিসি এবং মেজর জেনারেল আ স ম রিদওয়ানুর রহমানকে এনটিএমসি’র মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আজ ৬ আগস্ট মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তাব্যবস্থা সরেজমিন পরিদর্শনে এসেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। এসময় তিনি ঈদের নামাজ আদায়ে মুসল্লিদের জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া আর অন্য কোনো ব্যাগ সঙ্গে নিয়ে না আসার অনুরোধ করেছেন।
আজ ২৮ জুন বুধবার সকালে ঈদগাহে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
কমিশনার বলেন, ঢাকায় ঈদের বৃহত্তম জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে। এখানে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিসহ ৩০-৩৫ হাজার লোক নামাজ পড়বেন। যারা ঈদগাহ আসবেন, তারা শুধুমাত্র জায়নামাজ আর ছাতা সঙ্গে করে নিয়ে আসতে পারেন। অন্য কোনো লাগেজ বা ব্যাগ না নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছি। প্রত্যেককে চেকপোস্টে তল্লাশি শেষে ঈদগাহে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। গাড়ি কোথায় থামবে সে বিষয়েও নির্দেশনা রয়েছে। গাড়ি থেকে নেমে অনেকদূর হেঁটে আসতে হবে তাই বৃষ্টির দিনে সবার সঙ্গে ছাতা থাকা বাঞ্ছনীয়। আবহাওয়ায় যদি আরও বড় দুর্যোগ না হয় তাহলে মুসল্লিরা এ অবস্থায় নির্বিঘ্নে জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
ঈদের সময়টাতে জাতীয় ঈদগাহসহ গোটা রাজধানীজুড়ে থাকবে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। তবে জঙ্গি হামলার কোনো শঙ্কা নেই বলেও জানান তিনি। কমিশনার বলেন, এবারে ঈদ উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে কয়েকস্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। ঈদে জঙ্গি হামলার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই, তবে অতীত ইতিহাসের বিষয়টি মাথায় রেখে পুলিশের সব ইউনিট তৎপর রয়েছে।
ডিএমপি প্রত্যেকটা ঈদের জামাতে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকে। বিভিন্ন ইউনিটের পোশাকধারী সদস্যের পাশাপাশি সাদা পোশাকে সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। কমিউনিটি পুলিশ ও বিট পুলিশিংও স্থানীয়ভাবে নিরাপত্তার বিষয়ে তৎপর থাকবে। এছাড়া, অন্য কোনো হুমকি থাকাকালে সিটিটিসি প্রস্তুত থাকবে।
জাতীয় ঈদগাহে ডিএমপির পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডগ স্কোয়াডেরর মাধ্যমে সুইপিং করা হয়েছে। র্যাবও ফোর্স নিয়োগ করবে। সবার সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে।
ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত ঈদে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তাতে অনেকেই বাসা খালি রেখে গ্রামে চলে গিয়েছিলেন, সেখানেও বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। এবারও আশা করছি সে অবস্থা বজায় থাকবে। ঢাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। স্থানীয় সিকিউরিটি গার্ডের সঙ্গে যোগাগাযোগ থাকবে। কোনো তথ্য আমাদের জানালে তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ এটেন্ড করবে। তারপরেও যারা গ্রামে যাচ্ছেন, মূল্যবান সম্পত্তি খালি বাসায় না রেখে ঘনিষ্ঠদের বাসায় অথবা ব্যাংকে রেখে যান। যদিও পুলিশি ব্যবস্থা থাকবে, তাও ফাঁকা বাসায় মূল্যবান সামগ্রী থাকলে ঝুঁকি থেকে যায়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কসাইয়ের ছদ্মবেশে রেকি করে অপরাধের বিষয়ে কারো কাছে কোনো তথ্য থাকলে পুলিশকে জানাবেন। কারো গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে পুলিশকে জানিয়ে দিন। যে কোনো তথ্য পেলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব।
কমিশনার বলেন, ডিএমপির ৩২ হাজার পুলিশ সদস্যের মধ্যে ৩-৪ হাজার জনকে হয়তো ছুটি দিব। বাকিরা নগরবাসীর সেবায় ঢাকায় দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের ঈদ নেই। আশা করি সবার নিরাপদে ঈদ উদযাপিত হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে আন্তনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন। ট্রেনটি আসার পথে ভাঙা ছিল রেললাইন।
রেললাইনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ভিডিপির সদস্যরা লাল নিশান দেখিয়ে ট্রেনটির গতিরোধ করে দেওয়ায় এ দুর্ঘটনা থেকে ট্রেন ও এর হাজারো যাত্রী রক্ষা পায়।
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার চামরাব ও জিনারদীর বরাব রেলক্রসিংয়ের মাঝামাঝি স্থানে এ ঘটনা ঘটে। রেললাইন মেরামতের পর এ পথে ট্টেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
ঘটনার সময়ে দায়িত্বে থাকা আনসার ভিডিপির দলনেতা মেহেদী হাসান বলেন, প্রতিদিনের মতো আজও আমরা সকাল থেকে রেললাইনের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে আসছিলাম। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চামড়াব রেলক্রসিং পার হয়ে সামনের দিকে যাওয়ার পর ৮ থেকে ৯ ইঞ্চি রেললাইন ভাঙা দেখতে পাই।
তিনি আরো জানান, এ সময় নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঘটনাস্থলের দিকে আসতে দেখা যায়। পরে দ্রুত আমরা লাল নিশান দেখিয়ে ট্রেনটির গতিরোধ করে দিয়েছি। এতে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেন ও যাত্রীরা।
উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা শহিদুজ্জামান রাজু বলেন, এ ঘটনা আমাদের সদস্যরা জানানোর পর দ্রুত রেলওয়ের প্রকৌশলী বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। এটি কোনো নাশকতা নয়, শীতের কারণে রেললাইনে এমন ভাঙন ধরে থাকে। তাই আমাদের সদস্যদের দায়িত্ব পালনে আরো তৎপর থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জিনারদী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. বরকত হোসেন বলেন, রেললাইন ভাঙার খবর পেয়ে দ্রুত আমাদের মিস্ত্রিরা মেরামত কাজ শুরু করেছে। তারা লোহার পাটাতন পরিবর্তন করে নতুন পাটাতন বসিয়েছে। বর্তমানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।