চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যের শুভ উদ্বোধন ২ এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্মার্ট জাতীয় পরিচয় বিতরণ কার্যের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি।
অনুষ্ঠানে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাকের সভাপতিত্বে ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সোহবাব হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদেক মিয়া, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাহিদ আহমেদ, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোজাম্মেল হক সহ ইউপি চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ উপজেলার কৃতি সন্তান মোঃ বিল্লাল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মোঃ শাহজাদা বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের সেক্রেটারি নির্বাচিত হওয়ায় সংবর্ধনা প্রদান করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ আশুগঞ্জ কল্যাণ সমিতি। ২ জুলাই জেলা পরিষদ মিলনায়তনে তাদেরকে এই সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ আশুগঞ্জ কল্যাণ সমিতির সভাপতি ইঞ্জিঃ আব্দুর রহিম, সহ-সভাপতি মোঃ ইস্কান্দার মিয়া, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াছেল সিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী ভূইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, প্রচার সম্পাদক আব্দুল করিম মাস্টার, সদস্য মোঃ মোর্শেদুল আলম, মোঃ রফিকুল ইসলাম, সেলিম রেজা, কাজী শাহ আলম, মোঃ ইদ্রিস মিয়া, আরএমপি জাকির হোসেন, হাসান সাব্বির প্রমুখ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ বিল্লাল মিয়া ও রেড ক্রিসেন্ট সেক্রেটারী মোঃ শাহজাদা। পরিশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ আশুগঞ্জ কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ বিল্লাল মিয়া ও রেড ক্রিসেন্ট সেক্রেটারী মোঃ শাহজাদাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হৃদয় (২৫) নামে এক যুবককে খুন করা হয়েছে।
এ ঘটনা ঘটেছে আজ ১৩ জুন বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামে ।
নিহত হৃদয় যাত্রাপুর গ্রামের মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছে। এদিকে ঘটনার ৩ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের মুলহোতা ঘাতক মাদক ব্যবসায়ী রুবেলকে (৪০) বাড়ির পাশে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত হৃদয় ও ঘাতক রুবেলের বাড়ি যাত্রাপুর একই পাড়ায়। রুবেলের নামে থানায় একাধীক মামলা রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানাযায়, বৃহস্পতিবার সকালে হৃদয়কে তার নিজবাড়ি থেকে ডেকে মাদকব্যবসায়ী রুবেল তার বাড়িতে নিয়ে যায়।তার বাড়ির উঠোনে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির এক পর্যায়ে হৃদয়কে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে রুবেল পালিয়ে যায়।পরে স্থানীয় লোকজন হৃদয়কে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তিতে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে ভৈরব এলাকায় মারা যায়।
খবর পেয়ে প্রথমে থানা পুলিশ ও পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘাতক রুবেল বাড়ির পাশেই আত্মগোপন করে আছে জেনে পুলিশ পুরো এলকাটি ঘিরে ফেলে এবং ঘটনার ৩ ঘণ্টার মধ্যেই পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে নিহতের বাবা মো. জসিম উদ্দিন জানান, সকালে আমার ছেলে হৃদয়কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় রুবেল। কিছুক্ষণ পরে আমার মেয়ের জামাইয়ের ফোনে জানতে পারি আমার ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় উপজেলা হাসপাতালে। পরে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে হৃদয় মারা যায়।
তিনি বলেন, আমার ছেলেকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে। খুনিদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করছি।
ঘাতক রুবেলের মা লালু বেগম জানান, বাড়ির উঠোনেই হৃদয়ের সাথে রুবেলের হাতাহাতির এক পর্যায়ে রুবেল হৃদয়কে ছুরিকাঘাত করে ।
তিনি বলেন, আমার এই ছেলে মাদকাসক্ত, তার অত্যাচারে আমার পরিবারটি ধ্বংশ হয়ে গেছে। এব্যাপারে বার বার পুলিশকে বলেও এর কোনো প্রতিকার পায়নি। তার জন্য আমার স্বামী স্ট্রোক করে মারা গেছে। আমি নিজে স্ট্রোক করে চিকিৎসাধীন আছি। সে যেন জেল থেকে বেরিয়ে আসতে না পারে, আমি তার কঠিন শাস্তি দাবি করছি।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ নাহিদ আহম্মেদ জানান, হত্যার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও বলা যাচ্ছে না। ঘটনার মূলহোতা রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যা মামলা রুজু করার পর তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ থানার পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে ২১ কেজি গাঁজা এবং ১ টি পিকআপ আটক করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ মিডিয়া উইংস-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ ৭ অক্টোবর সোমবার ১২টা ৪৫ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে এসআই (নিরস্ত্র) মো. মহিউদ্দিন শেখ তার সঙ্গীয় ফোর্সসহ মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। বগইর এস আলম এগ্রো ফুড-এর দক্ষিণ পাশে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ঢাকাগামী রাস্তার বাম পাশ থেকে একটি পিকআপের অজ্ঞাতনামা চালক ও মালিকের এর ফেলে যাওয়া ২১ কেজি গাঁজাসহ পিকআপটি উদ্ধার করে।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষ্যে আশুগঞ্জ থানায় জব্দকৃত পিকআপ অজ্ঞাতনামা চালক ও মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানায় নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আশুগঞ্জ সার কারখানার শ্রমিক-কর্মচারিরা।
আজ ১৩ আগস্ট রবিবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন শেষে আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক- কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কবীর হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের সিনিয়র-সহ-সভাপতি তৈমুর রহমান, সাবেক সভাপতি সোহরাব হোসেন, সাবেক সিনিয়র সহ- সভাপতি জাহিদুর রহমান প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ওভারহোলিং কাজের জন্য গত ১ মার্চ থেকে দুই মাস কারখানার উৎপাদন বন্ধ ছিলো। ওভারহোলিং শেষে গত মে মাস থেকে কারখানা চালু করতে চাইলে গ্যাস সংকটের কারণে কারখানার উৎপাদন বন্ধ রাখে বিসিআইসি কর্তপক্ষ। তাই প্রায় ৬ মাস ধরে কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কারখানার যন্ত্রাংশ। এবং ওভারহোলিংয়ের কমিশনিং করাও সম্ভব হচ্ছে না।
বক্তারা বলেন, কারখানাকে বাঁচাতে শ্রমিক-কর্মচারিরা আন্দোলনে নেমেছে। গত ১ মাস ধরে কারখানার শ্রমিক কর্মচারিরা গেইট মিটিং, বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ, মানববন্ধন, স্মারক লিপি প্রদানসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে।
বক্তারা দ্রুত কারখানায় গ্যাস সরবরাহের দাবি জানিয়ে বলেন, তাদের দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে। উল্লেখ্য, আশুগঞ্জ সার কারখানা চালু থাকলে কারখানায় প্রতিদিন ১ হাজার ২শ মেট্টিকটন ইউনিয়া সার উৎপাদন হয়। এই সার ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ দেশের ৮ জেলায় সরবরাহ করা হয়।