চলারপথে রিপোর্ট :
স্ত্রীকে পার্কে ঘুরতে নিয়ে খুন করেছেন ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আলী ইমাম খান অনু। স্থানীয় ইকোপার্কে আজ ১৫ মে সোমবার বেলা ১১টার দিকে এই নৃশংস ঘটনায় অনুতপ্ত ছাত্রলীগ নেতা নিজেই পুলিশের কাছে ধরা দিয়েছেন। পুলিশ তার স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা আলী ইমাম অনু স্ত্রীকে ঝালকাঠি শহরের ইকোপার্কে ঘুরতে নিয়ে যায়। সেখানে তিনি ধারালো ছুরি দিয়ে স্ত্রীর পেটে আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার স্ত্রী প্রাণ হারান। এই নৃশংস খুনের বিষয়টি ছাত্রলীগ নেতা নিজের ফেসবুক পোস্টে তুলে ধরেন এবং পরবর্তীতে অনুতপ্ত হয়ে থানায় গিয়ে হাজির হয়ে স্ত্রীকে খুনের দায় স্বীকার করে নিজেকে গ্রেফারের আর্জি ধরেন।’
ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে কি কারণে ছাত্রলীগ নেতা স্ত্রীকে হত্যার পথ বেঁচেনিলেন সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিক কোনো তথ্য দিতে পারেননি তিনি। বললেন, পরবর্তীতে সব সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরা হবে।
ঢাকা।।
২২তম আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) ডিএমপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বার্তায় ট্রাফিক নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে।ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়, আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন আগামীকাল শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে।সম্মেলন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের নিম্নলিখিত এলাকাগুলোর রাস্তা বন্ধ/রোড ডাইভারশন দেওয়া হবে— কাটাবন ক্রসিং, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং, কাকরাইল চার্চ ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার, জগন্নাথ হল ক্রসিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভাস্কর্য ক্রসিং ও উপাচার্য ভবন ক্রসিং।অনুষ্ঠান উপলক্ষে আসা গাড়ি নিম্নলিখিত এলাকাগুলোতে পার্কিং করবে— মহসিন হল মাঠ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ভিআইপি), মলচত্বর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পলাশী ক্রসিং থেকে ভাস্কর্য ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে, ফুলার রোড রাস্তার দুই পাশে, দোয়েল চত্বর ক্রসিং থেকে শহিদুল্লাহ হল ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে, সবজি বাগান থেকে নেভাল গ্যাপ পর্যন্ত, সুগন্ধা থেকে অফিসার্স ক্লাব ক্রসিং পর্যন্ত, হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল গলি, নেভাল গেট এলাকা, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বিপরীত পাশে, মিন্টো রোড ক্রসিং থেকে পুলিশ ভবন ক্রসিং এবং দিলকুশা ও মতিঝিল এলাকার রাস্তার দুই পাশে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন বিজিবি। আজ ৮ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গোসাইস্থল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ও বিকেলে একই ইউনিয়নের চন্ডিদ্বার শেখ ফজলুল করিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সুলতানপুর ৬০ বিজিবির পক্ষ থেকে এলাকার দুই শতাধিক অসহায়, দরিদ্র মানুষের মাঝে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়।
কম্বল পেয়ে আনন্দিত অসহায় পরিবারের লোকজন।
কম্বল বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সুলতানপুর ৬০ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার।
এসময় সুলতানপুর ৬০ বিজিবি সহকারী পরিচালক মোঃ মতিউর রহমান ও গোসাইস্থল বিওপি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার মোঃ আলমগীর হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এবং এলাকার উপকারভোগী লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
৬০ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এএম জাবের বিন জব্বার বলেন, বিজিবি সবসময় অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজ করে থাকে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কল্যাণমূলক কাজ চলমান থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
গ্রামীণ, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক এবং টেলিটক, যেকোনো সিম থেকেই নিজের নামে নিবন্ধিত হওয়া সিমের সংখ্যা জানতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোনো টাকার প্রয়োজন নেই।
সিম কার নামে রেজিস্ট্রেশন রয়েছে বা সিমের মালিক কে এই তথ্য অনেক সময় জানার প্রয়োজন হয়। তবে এটি একটি গোপনীয় ব্যাপার। শুধুমাত্র নিজের তথ্য ছাড়া অন্যের তথ্য জানার কোনো উপায় নেই। তবে কোনো জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন আছে তা জানতে পারবেন সহজেই। এজন্য ওই সিম এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর প্রয়োজন।
সিম রেজিস্ট্রেশন যাচাই করবেন যেভাবে
প্রথমে মোবাইল থেকে *১৬০০১# ডায়াল করুন। এরপর ফিরতি মেসেজে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরের শেষের চারটি সংখ্যা চাওয়া হবে। সেখানে শেষের চারটি সংখ্যা দিয়ে সেন্ড করুন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, যেই সিম থেকে জানতে চাচ্ছেন বা কোডটি ডায়াল করছেন তা অবশ্যই একই জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা থাকতে হবে।
ফিরতি মেসেজেই ওই জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা নম্বরের তালিকা দেয়া হবে। সেই তালিকায় সব নম্বর দেওয়া হবে। কিন্তু নম্বরগুলো সম্পূর্ণ দেওয়া হয় না। এক্ষেত্রে প্রতিটি নম্বরের শুরুর তিন ডিজিট এবং শেষের তিন ডিজিট দেখানো হয়।
সিমের বর্তমান ব্যবহারকারী কে জানার উপায়
নিজের সিম ছাড়া অন্যের সিমের মালিকানা যাচাই করার উপায় নেই। তবে এক্ষেত্রে সিমটি কে ব্যবহার করছেন সেটি জানার কয়েকটি উপায় রয়েছে। তবে এগুলো শতভাগ কার্যকর নয়। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র সিমের বর্তমান ব্যবহারকারী কে, সে সম্পর্কে একটি ধারনা পেতে পারেন।
এক্ষেত্রে ট্রুকলার নামের একটি অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। এর মাধ্যমে জানতে পারবেন সিমের ব্যবহারকারী কে। এজন্য মোবাইলে ট্রুকলার অ্যাপ ইন্সটল করতে হবে। এরপর একাউন্ট খুলে সাইন ইন করলেই হবে। তখন সিমের ব্যবহারকারী কে তা দেখতে পাবেন।
মূলত মোবাইলে থাকা সকল নম্বর নামসহ ট্রুকলার অ্যাপের সার্ভারে চলে যায়। ফলে অ্যাপটি ওই সব নম্বরের তথ্য জেনে যায়। মূলত সেই তথ্যের ভিত্তিতেই অ্যাপটি কাজ করে।
এছাড়া আরো একটি উপায়ে জানতে পারবেন সিমের ব্যবহারকারী কে। এজন্য প্রথমে ওই সিম নম্বর ফোনে সেভ করুন। তারপর হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমো অ্যাপ ব্যবহার করুন। যদি ওই নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমো অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে নাম দেখতে পাবেন। আর যদি ছবি দেওয়া থাকে তাহলে সেটিও দেখতে পাবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
চলতি বছর জানুয়ারি পর্যন্ত ২০৮টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ১৬৮টি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন নিউজ পোর্টালকে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বিরোধীদলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এ সব তথ্য জানান। তবে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় তার পক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী জানান, সারাদেশের অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো নিবন্ধনের জন্য সরকার রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি চালু করিয়াছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইয়া তথ্য অধিদফতর নিবন্ধনের কাজ পরিচালনা করিয়া থাকে। তথ্য অধিদফতর হইতে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ২০৮টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ১৬৮টি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন নিউজ পোর্টালকে নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হয়েছে। অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের বিষয়টি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে আরো অনলাইন পোর্টালের নিবন্ধন দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, অনলাইন পোর্টাল নিবন্ধন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য অনলাইন পোর্টালগুলো নিবন্ধনের আওতায় আনিয়া সরকারিভাবে নজরদারি বাড়ানোর পরিকল্পনা সরকারের রহিয়াছে। ইহা ছাড়া, দেশের অনিবন্ধিত কোনো অনলাইন সংবাদপত্রে বা অনলাইনভিত্তিক পোর্টালে দেশ-বিরোধী সংবাদ প্রচার বা মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাহা বন্ধের প্রয়োজনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়ে থাকে।