চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে গত ২৪ ঘন্টায় ১০০পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ৪ মাদক পাচারকারীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতকরা হলো নরসিংদী জেলার সম্রাট (২৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কোড্ডার সালমান (২৭) ও রুবেল (২৭) এবং শরীয়তপুর জেলার আল আমিন (২৩)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর নিজাম উদ্দিন সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় পৌরশহরের মসজিদপাড়ার ইউসুফ মোল্লা ভাড়াটিয়া সম্রাটের বাসায় অভিযান চালায়। এসময় ধৃত আসামীদের কাছ থেকে ১০০ পিস ইয়াবা জব্দ করে। আসামীদের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় নিয়মিত মাদক মামলা রুজু করা হয়েছে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, আটককৃতদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বন্যার পানিতে ডুবে সুবর্ণা আক্তার নামে অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূ মারা গেছেন। তিনি উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের বীরচন্দ্রপুর গ্রামের পারভেজ মিয়ার স্ত্রী।
আজ ২১ আগস্ট বুধবার সকালে ওই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় তাড়াতাড়ি করে সরতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পানিতে পড়ে ডুবে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও সীমান্তবর্তী হাওড়া বাঁধ ভেঙে অন্তত ৩০টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে যায়। সকাল থেকেই বীরচন্দ্রপুর গ্রামে পানি প্রবেশ করে। পারভেজ মিয়ার ঘরে বানের পানি ঢুকে পড়ায় তাড়াতাড়ি করে সরতে গিয়ে তার স্ত্রী হোঁচট খেয়ে পানিতে পড়ে ডুবে যায়। বাড়ির লোকজন সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক লুৎফুর রহমান রহমান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই নারী মারা গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত পানি খাওয়াতে তার মৃত্যু হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ছুরিকাঘাত করে পুলিশকে আহত করার ঘটনার মামলার প্রধান আসামি সোহেল মিয়া (৩৩) আটক করেছে পুলিশ।
৮ মে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী শিবনগর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক সোহেল শিবনগর গ্রামের মৃত তালু মিয়ার ছেলে। এ মামলায় এপর্যন্ত ৪২জনকে আটক করেছে পুলিশ।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার ৫ মে সন্ধ্যায় এসআই জাকির হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শিবনগর গ্রামের মাদক কারবারী সেলিম মিয়ার বাড়িতে মাদক উদ্ধারে যায়। এ সময় সেলিম ও তার সহযোগিরা পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। হামলায় কনস্টেবল খায়রুলের পেটে ও মাথায় ছুরিকাঘাত করে হামলাকারীরা। তার মাথায় এবং পেটে আঘাত পায়। আহত খায়রুলকে প্রথমে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তবে বর্তমানে খাইরুল আশঙ্কা মুক্ত আছে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, পুলিশকে আহতের মামলার প্রধান আসামী সোহেল মিয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করেছে পুলিশ। এ মামলায় এ পর্যন্ত ৪২ জন আটক হয়েছে। আজ ৯ মে মঙ্গলবার দুপুরে আটক সোহেলকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে আজ ১৫ মার্চ শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তার।
সভায় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, ব্যাবসায়ী, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও শিল্পকলা একাডেমির ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা শিপ্রানাথ, সাংবাদিক জালাল হোসেন মামুন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় তোরণ নির্মাণের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হানিফ মিয়া (৪৫) নামে এক ডেকোরেটর শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ডেকোরেটর মালিক সেলিম মিয়া (৪২) আহত হয়েছে।
২০ জানুয়ারি শনিবার বিকাল ৫ টার দিকে আখাউড়া থানা মসজিদের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হানিফ মিয়া পৌরশহরের কলেজ পাড়ার মৃত আতর আলীর পুত্র। তিনি ১ ছেলে মেয়ের জনক। আহত ডেকোরেটর মালিক সেলিম মিয়া রাধানগর ভাড়া বাসায় থাকে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সংবর্ধনা উপলক্ষে তোরণ নির্মাণ করছিলেন ডেকোরেটর শ্রমিকেরা। ২৭ জানুয়ারি উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা।
প্রত্যক্ষদর্শী ইলিয়াস মিয়া বলেন, হানিফ মিয়া আমার পূর্ব পরিচিত। আমি ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ছিলাম হানিফ মিয়া গেইটের উপরে উঠে গেইট বানানোর কাজ করছিল। হঠাৎ দেখি হানিফের হাত দিয়ে ধোঁয়া উড়ছে। সেলিম মিয়া বাঁশ ধরা অবস্থায় কাঁপছে। তৎক্ষনাৎ আমি আরেকটা বাঁশ দিয়ে সেলিমকে সজোরে বারি দিয়ে সরিয়ে দেই। আমিও শট পাই। এসময় হানিফ মিয়া উপর থেকে নীচে সড়কে পড়ে যায়।
আহত সেলিম মিয়া বলেন আইনমন্ত্রীর সংবর্ধনা উপলক্ষে অর্ডার পেয়ে গেইট নির্মাণ করছিলাম। তখন হানিফ মিয়া বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যায়। উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল বলেন, আগামী ২৭ জানুয়ারি উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে সংবর্ধনা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ইকরাম চৌধুরী বলেন ৫ টা ১০ মিনিটে হানিফ মিয়াসহ দুইজন আহত রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে। আমরা রোগীর ইসিজি করে কোন রেসপন্স পাইনি। ব্ল্যাড প্রেসার পাইনি। হাসপাতালের আনার আগেই হানিফ মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। সেলিম মিয়া শঙ্কা মুক্ত আছে।
আখাউড়া থানার ওসি মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন শ্রমিকরা কার গেইট নির্মাণ করছিল বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া ইসলামী বক্তা (সুন্নী বক্তা) মাওলানা শরীফুল ইসলাম ভূইয়া নূরীর (৩৮) উপর নৃশংস হামলার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে চারজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯ এর-সিলেট ক্যাম্পের সদস্যরা।
আজ ৮ মার্চ বুধবার দুপুর দুইটার দিকে র্যাব-৯ এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সরকারপাড়ার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানানো হয়।
গত মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে র্যাবের একাধিক অভিযানিক দল চারজনকে গ্রেফতার করে। এর আগে আখাউড়া থানা পুলিশও একজনকে গ্রেফতার করে। এ নিয়ে এঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বিজয়নগর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের জাকির হোসেন ওরফে জাক্কু (৪৮), একই গ্রামের মাহবুবুল আলম ওরফে শিমুল (৩৩), একই উপজেলার চাওড়া গ্রামের মোঃ সুমন মিয়া (৩৫) ও কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার গ্রামের বাসিন্দা বর্তমানে চাওড়া দৌলতবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আমিরুল ইসলাম (২০)।
এর আগে পুলিশ গত সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে শাহিনুর ইসলাম (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তাকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আহত ইসলামী বক্তা শরীফুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চাপুইর গ্রামের কাজী আবদুর রফিক ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি বিজয়নগর উপজেলার শ্রীপুর ইসলামীয়া ফাজিল মাদ্রাসার আরবী বিভাগের প্রভাষক।
বাংলাদেশের বিভিন্নস্থানে ওয়াজ মাহফিলে বক্তা হিসেবে তিনি ওয়াজ করতেন। গত শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে তিনি বিজয়নগর উপজেলায় ওয়াজ মাহফিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে আখাউড়া উপজেলার রামধননগর রেলক্রসিং এলাকায় পৌছলে দুর্বৃত্তরা তার উপর হামলা করে। আসামীরা মাওলানা শরীফের মুখে আঘাত করলে তার জিহবা কেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা রক্তাক্ত গুরুতর জখম হয়।
তারা তার সাথে থাকা ব্যক্তিকেও এলোপাথাড়ী মারধর করে গুরুতর জখম করে ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ভাংচুর করে। এই ঘটনায় দেশ জুড়ে আলোচিত হয়। ঘটনার পরদিন রাতে মাওলানা শরীফের চাচা মোঃ আবদুল বাছির ভূঁইয়া বাদী হয়ে এজাহারনামীয় ০২ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৭ জনের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে আজ বুধবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন র্যাব-৯ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মুমিনুল হক। তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্ততির সহায়তায় ইসলামী বক্তাকে হত্যা চেষ্টার সাথে জড়িত আসামীদের অবস্থান শনাক্ত করে র্যাব। র্যাবের একাধিক আভিযানিক দল গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মামলার এজাহারনামীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। তারা জানিয়েছেন, মাহফিলে এই ইসলামী বক্তার বক্তব্যের কিছু অংশ আসামীদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। সেই কারণেই তারা তার উপর হামলা চালায়। এতে ইসলামী বক্তার জিহবা কেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা রক্তাক্তসহ আঘাত পান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ধর্মীয় কোন সংগঠনের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৯ সিপিসি-১ এর কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান ও মিডিয়া অফিসার জেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ সুপার আফসান-আল-আলম উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন, এঘটনায় থানা পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। আদালতের মাধ্যমে মঙ্গলবার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।