চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বোরো মৌসুমে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে সরকার। আজ ১৬ মে মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহ অফিসার অংগ্যজাই মারমা। প্রথম দিন চার জন কৃষকের কাছ থেকে ১০ মেঃ টন ধান কেনা হয়। প্রতি কেজি ধানের মুল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা। প্রতি মন ধান ১ হাজার ২০০ টাকায় ক্রয় করবে সরকার। একজন কৃষক সর্বোচ্চ ৩ মেঃ টন ধান বিক্রি করতে পারবেন। আগামী ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত ধান সংগ্রহ অভিযান চলবে।
এবছর ধান সংগহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬৬ মেঃ টন। যে কোন কৃষক ধান সরকারি মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারবেন।
এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাউছার সজীব, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস কুমার চক্রবর্তী ও ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোছাঃ নাজমুন্নাহার প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বহুল আকাঙ্ক্ষিত রেলপথ প্রকল্প যা বাংলাদেশের আখাউড়াকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার সঙ্গে সংযুক্ত করতে যাচ্ছে। সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় দুইপাড়ের বাসিন্দারা উন্মুখ হয়ে তাকিয়ে আছেন সীমান্তের দিকে। শনিবার আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন।
ওই দিন আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে পরীক্ষামূলক বা ট্রায়াল ট্রেন চালাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে ট্রায়াল রানের ট্রেনটি এখন পূর্বাঞ্চল রেলপথের আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে অপেক্ষা করছে।
শনিবার দুপুরে নতুন এ রেলপথ দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেল সেকশনের গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভারতের উত্তর-পূর্ব ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা রেলওয়ে স্টেশনের নিশ্চিতপুর স্টেশনে যাবে একটি মালবাহী কন্টেইনার ট্রায়াল ট্রেন।
রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) শহীদুল ইসলাম, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন ও আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিয়া সম্প্রতি রেলপথ প্রকল্প পরিদর্শনে আসলে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন সুপারিন্টেনডেন্ট মো. নুরুন্নবী জানান, ঢাকার তেজগাঁও স্টেশন থেকে ট্রায়াল রান বা পরীক্ষামূলক ট্রেনটি ৩ সেপ্টেম্বর বিকালে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে পৌঁছায়। ট্রেনটি ১১টি কোচ নিয়ে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে পৌঁছলে ট্রায়াল রান ট্রেনের কোচগুলোতে হলুদ ও বডিতে কালো রংয়ের কাজ করানো হয়েছে।
তিনি জানান, পরীক্ষামূলক বা ট্রায়াল রানের ট্রেনটি এখন আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের ৩ নম্বর প্লাটফর্মের ৮ নম্বর লাইনে রাখা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ট্রায়াল রানের ট্রেনটি আখাউড়া স্টেশন থেকে গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হবে।
জানা গেছে, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ উদ্বোধনের দিনক্ষণকে সামনে রেখে রেলপথ মন্ত্রী, সচিব, অতিরিক্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রকল্প এলাকা ঘুরে গেছেন। শনিবার দুপুরে প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন রেলওয়ের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল। দলের নেতৃত্বে ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. ইয়াছিন। প্রতিনিধি দলে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) শহীদুল ইসলাম, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিয়া, আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন প্রকল্পের পরিচালক মো. সুবক্তগীন, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কান্ট্রি হেড শরৎ শর্মাসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইতোমধ্যে এ পথে একাধিকবার পরীক্ষামূলক গ্যাঙ্কার বা পরিদর্শন কার চলাচলও করেছে। প্রকল্পের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে গ্যাঙ্কার বা পরিদর্শন কারে ভারত সীমান্তবর্তী শিবনগর পর্যন্ত ঘুরে দেখেছেন।
জানা যায়, ভারত-বাংলাদেশ রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্পটি আখাউড়া-ঢাকা হয়ে আগরতলা এবং পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে ভ্রমণের সময় ও দূরত্ব কমিয়ে দেবে। প্রকল্পটি চালু হলে ৩১ ঘণ্টার পরিবর্তে সময় লাগবে ১০ ঘণ্টা এবং আগরতলা-কলকাতার দূরত্ব ১ হাজার ৬৫০ কিলোমিটার থেকে দূরত্ব দাঁড়াবে মাত্র ৫১৩ কিলোমিটার।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে রেলপথে বাণিজ্যের দ্বার খুলবে, কমবে পরিবহণ খরচ- এমনটাই দাবি করছেন রেলপথ মন্ত্রী ও সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা।
আখাউড়া-আগরতলা সড়কপথের পর এবার আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ সংযোগে উন্মোচিত হবে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যের নতুন দ্বার। রেলপথটি চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ে দিগন্তের সূচনা ঘটবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আখাউড়ার গঙ্গাসাগর থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ২১ মে ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই প্রকল্পের কাজ শুরু করে। দেড় বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারিসহ নানা সংকটের কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিয়া বলেন, দুই দেশের এ রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেলপথের বাংলাদেশ অংশে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার। পুরো অংশেই বসানো হয়েছে রেললাইন। ইতোমধ্যে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৫ শতাংশের বেশি শেষ হয়েছে এবং শেষপর্যায়ের কাজ চলছে বলে ওই প্রকল্প পরিচালকের দাবি। তবে এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন ভবন এবং স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের কাজ।
এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ কোটি টাকা।
২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় এ রেলপথ নির্মাণের বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরশহরের সড়কবাজার থেকে অজ্ঞাতনামা এক বৃদ্ধা (৭৫) নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ২৯ এপ্রিল সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে রেলস্টেশন সংলগ্ন শহরের সড়কবাজার এলাকার মুক্তিযুদ্ধা মোঃ সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চ থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। পুলিশের ধারনা বৃদ্ধা ওই নারী অসুস্থ হয়ে মারা যান।
মরদেহ উদ্ধারকারি পুলিশ কর্মকর্তা ও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোবারক হোসেন জানান, নিহত বৃদ্ধা নারী মানসিক ভারসাম্যহীন ও ভবঘুরে প্রকৃতির ছিলেন। কথা বলতে পারতেন না। সারাদিন স্টেশনে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করতেন। রাতে মুক্তমঞ্চে এসে ঘুমাতেন বলে শুনেছি। সকালে ফুটপাতের ব্যবসায়িরা মুক্তমঞ্চে লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক ও অফিসার ইনচার্জ মো. নুরে আলম বলেন, ভবঘুরে ও মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে স্টেশন এলাকায় অনেকেই ভিক্ষা করতে দেখেছেন। তার নাম ও পরিচয় শনাক্ত করতে পুলিশ চেষ্টা করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রচারের একটি বড় মাধ্যম হলো মাইক। নির্বাচনী প্রচারণায় মাইকের ব্যবহার ছাড়া যেন অসম্পূর্ণ। দুপুরের পর শুরু হতো মাইকের উচ্চ শব্দে প্রচার-প্রচারণা। ‘ভোট চাই ভোটারের, দোয়া চাই সকলের’ এমন বাহারি শ্লোগান। ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ করার উদ্দেশ্যে বাজানো হতো বিভিন্ন গান। মাইকের আওয়াজ শুনলেই মনো হতো নির্বাচন এসে গেছে। মাইকের উচ্চ শব্দে কান জ্বালাপালা হয়ে যাওয়ার অবস্থা হতো। মাইক ভাড়া দিয়ে ব্যবসায়ীরা বাড়তি অর্থ উপার্জন করতেন এই মৌসুমে। কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় মাইকের সেই চির চেনা ব্যবহার অনেকটা কমে গেছে। ভাটা পড়েছে মাইক ব্যবসায়। গত ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হলেও মাইকে প্রচারণা খুব কম হচ্ছে। আখাউড়া সড়ক বাজার, মোগড়া বাজার ও দূর্গাপুর গেইটসহ কয়েকটি এলাকার মাইক সার্ভিসের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেও এর সত্যতা মিলেছে।
সাধারণ মানুষ ও রাজনীতিবিদদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কসবা-আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অপর দুজনের একজন এনপিপি ও তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী। বিএনপির প্রার্থী না থাকায় এ আসনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কম। তাই প্রচারণাও কম। শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলে প্রচারণাও বেশি হয়। তাছাড়া এখন ডিজিটাল যুগ। প্রচারণায়ও পরিবর্তন এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা বেড়েছে। এখন দেশ-বিদেশ থেকে পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা করতে পারছে সমর্থকরা। বিভিন্ন ডিজিটাল কনটেন্ট প্রচার হচ্ছে যা দ্রুত মানুষের নজড় কাড়ছে।
রাধানগরের ব্যবসায়ী দুলাল ঘোষ জয় বলেন, এ আসনে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী আনিসুল হক। এখানে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি শক্তিশালী কোন প্রার্থী নাই। এজন্য প্রচারণা কিছুটা কম। তবে দলীয় কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে।
আখাউড়া সড়ক বাজারের মাইক ব্যবসায়ী মোঃ মহসিন মিয়া বলেন, বিগত সংসদ নির্বাচনগুলোতে প্রতিদিনি ২/৩ সেট মাইক ভাড়া যেত। এবার তা হচ্ছে না। এ পর্যন্ত ৩ দিন মাইক ভাড়া দিয়েছি। সামনের দিনগুলোতে ভাড়া বাড়তে পারে সেই আশায় আছি।
মোগড়া বাজারের নিরালা মাইক সার্ভিসের মালিক আলী আকবর মিয়া বলেন, আগের নির্বাচনে অনেক প্রার্থী ছিল। সব প্রার্থী ১/২টা মাইক ভাড়া নিত। ব্যবসাও ভালো ছিল। এবার দল কম, প্রার্থীও কম। তাই মাইকের প্রচারণা কম।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আজ বৃহস্পতিবার সরস্বতী পূজা ও শুক্রবার বাংলাদেশে সাপ্তাহিক ছুটির কারণে দুই দিন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
আজ ২৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, সরস্বতী পূজা উপলক্ষে ভারতের ত্রিপুরার আগরতলা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠন ‘ইন্দো-বাংলা এক্সপোর্টার-ইমপোর্টার কমিউনিকেশন সেন্টার’র সাধারণ সম্পাদক শিব শংকর দেবের স্বাক্ষরিত একটি প্যাডে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি বাংলাদেশের আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের জানানো হয়।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক স্বপন কুমার দাস জানান, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ওই দুই দিন বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় মাদক বিরোধী অফিযানে রেলওয়ে থানা সংলগ্ন রেলওয়ে ক্লাবের জুয়ার আসর থেকে এক পৌর কাউন্সিলরসহ ১৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
৬ জুলাই বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় জুয়ার খেলার নগদ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং ১০৪টি তাস উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলো আখাউড়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর রাধানগরের সুজন মিয়া (৩০), উপজেলার নুরপুর গ্রামের বাবুল মিয়া (৬০) ও সোহাগ খান (৩০) কুড়িপাইকা গ্রামের সবুজ খন্দকার (৩৫) ও মোঃ রবিউল (৩০), শান্তিনগরের আমজাদ হোসেন (৩০), ধরখারের আব্দুর রউফ (৪৪), হীরাপুরের এমদাদ ভূইয়া (৫০), ছয়গড়িরার মুজিবুর (৫৫), এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার বরিশল গ্রামের ফরিদ মিয়া (৬০), সুহিল পুরের ফুল মিয়া (৬৮), চানপুরের ফখরুল মিয়া (৪৫) ও বাগেরহাট জেলার মোঃ ইমরান (৪৮)। শুক্রবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আখাউড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর আবু ছালেক এবং সাব ইন্সপেক্টর মাহমুদ মঈনের নেতৃত্বে আখাউড়া থানার একটি টিম রাত সাড়ে ১১টার দিকে আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনের পশ্চিমে রেলওয়ে ক্লাবে অভিযান চালায়। এসময় ক্লাবের পশ্চিম পাশের একটি রুমে জুয়া খেলা অবস্থায় ১৩ জুয়ারিকে আটক করে। এসময় জুয়ার খেলার সরঞ্জামন এবং নগদ প্রায় দেড় লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।