চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বোরো মৌসুমে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে সরকার। আজ ১৬ মে মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহ অফিসার অংগ্যজাই মারমা। প্রথম দিন চার জন কৃষকের কাছ থেকে ১০ মেঃ টন ধান কেনা হয়। প্রতি কেজি ধানের মুল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা। প্রতি মন ধান ১ হাজার ২০০ টাকায় ক্রয় করবে সরকার। একজন কৃষক সর্বোচ্চ ৩ মেঃ টন ধান বিক্রি করতে পারবেন। আগামী ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত ধান সংগ্রহ অভিযান চলবে।
এবছর ধান সংগহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬৬ মেঃ টন। যে কোন কৃষক ধান সরকারি মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারবেন।
এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাউছার সজীব, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস কুমার চক্রবর্তী ও ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোছাঃ নাজমুন্নাহার প্রমুখ।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পাবলিক লাইব্রেরী পুন:নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন আজ ৮ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন দশক আগের এ লাইব্রেরিটি এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। দেড় দশক ধরে এখানে বই পড়ার কোনো পরিবেশ নেই। লাইব্রেরি সাময়িকভাবে উপজেলা পরিষদের একটি ভবনে স্থানান্তর করা হলেও পাঠক ছিলো না। এলাকার সুধী সমাজ দীর্ঘদিন ধরে পাবলিক লাইব্রেরিটি চালু দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. ফয়সল উদ্দিন, পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী মো. তানভীর ইসলাম, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসক এনামুল হক মামুন, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পাবলিক লাইব্রেরিটি এগিয়ে নিতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানানো হয় । পাবলিক লাইব্রেরিটি লাল বাজার এলাকায় অবস্থিত। এটির আয়তন ৪.৮৩ একর।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন জানান, লাইব্রেরিটি নতুন করে নির্মাণে উপজেলা পর্যায়ের সভায় সিদ্ধান্ত হয়। পরে সেই সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসনকেও অবহিত করা হয়। প্রাথমিকভাবে কিছু বাজেট দিয়ে এটির পুনর্নিমাণ করা হবে। নীচতলায় কমার্শিয়াল লাইব্রেরি ও উপরতলা পড়ার জন্য উন্মুক্ত রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। আশা করছি এর মাধ্যমে মানুষের মেধা মননশীলতার বিকাশে ভূমিকা রাখা যাবে ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকা আরজু মিয়া (৩০) নামে এক মাদক মামলার আসামি পালিয়ে গেছে।
গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার ধরখার ফাঁড়ি পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর মো. মোবারক হোসেন আরজু মিয়াকে ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক করে আখাউড়া থানায় হস্তান্তর করেন। দুপুরে সে থানা থেকে পালিয়ে যায়। পলাতক আরজু মিয়া জেলার কসবা উপজেলার বিনাউটি গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র। মঙ্গলবার বেলা ২টা পর্যন্ত আরজু মিয়াকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তাকে আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
জানতে চাইলে আখাউড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আসামি আরজু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একটি কক্ষে রাখা হয়েছিল। সে ওই কক্ষের জানালার গ্রীল ভেঙে পালিয়ে গেছে। তাকে আটকের অভিযান অব্যাহত আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে ভারতে যাওয়ার চেষ্টাকালে ৩ বাংলাদেশি নারীকে আটক করেছে বিজিবি। আজ ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ফকিরমোড়া বিওপির টহল দল তাদের আটক করে। আটককৃতরা হলেন- ঢাকার সাভারের রেডিও কলোনীর মৃত রহমান দেওয়ানের মেয়ে টুম্পা খাতুন, বেলাল হোসেনের মেয়ে পাপিয়া খাতুন ও ঢাকার কেরানীগঞ্জের সোনাকান্দা গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে রিয়া খান।
সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অবৈধভাবে ভারত গমনের চেষ্টাকালে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি)-এর অধীনস্থ আখাউড়ার ফকিরমোড়া বিওপির টহল দল সীমান্ত পিলার ২০২২/৬-এস থেকে আনুমানিক ৩০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আব্দুল্লাহপুর থেকে ওই ৩ বাংলাদেশি নারীকে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের খারকোট গ্রামের আয়েত আলী মিয়ার ছেলে মানব পাচারকারী দালাল মো. আবুল বাদশা এই ৩ নারীকে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রেরণের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে আখাউড়ায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে সীমান্তবর্তী চেকপোস্ট এলাকার মানব পাচারকারী দালাল অহিদ মিয়ার ছেলে আলম মিয়ার মাধ্যমে কাজের উদ্দেশ্যে তারা ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুই বছরের হাবিবকে বিছানায় রেখে মা ঘরের বাইরে যান। এ সময় জানালা ধরে খেলা করছিল সে। এরই মাঝে জানালার ছিটকিনি খুলে আসে তার হাতে। অবুঝ শিশু হাবিব সেই ছিটকিনি মুখে ঢুকিয়ে গিলে ফেলে। এরপরই শুরু হয় পেটব্যথা ও যন্ত্রণা। পরিবারও কিছু বুঝে উঠতে পারছিল না। অবশেষে দুইদিন অবজারভেশনে রেখে শিশু হাবিবের খাদ্যনালী থেকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বের করা হলো জানালার সেই ছিটকিনি। বর্তমানে শঙ্কামুক্ত হাবিব।
হাবিব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার শান্তিনগর গ্রামের জুয়েল মিয়ার ছেলে। জুয়েল মিয়ার ৩ ছেলে সন্তানের মধ্যে হাবিব কনিষ্ঠ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে হাবিব সেখানেই চিকিৎসাধীন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাবিবের মা পাখি বেগম বলেন, আমার ছেলেটি অনেক চঞ্চল। ২ আগস্ট বুধবার সকালে তাকে আমি নাস্তা করিয়ে বসিয়ে রেখে একটু ঘরের বাইরে যাই। এসে দেখি তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তার মুখ খুলে প্রথমে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। পরে গলায় সাদা ধরনের কিছু একটা দেখা যায় এবং মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। এই অবস্থায় তাকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে হাবিবের এক্স-রে করে দেখে গলায় কিছু একটা আছে। সেখান থেকে দ্রুত বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসি। আসার পর এক্স-রে করে চিকিৎসকরা দেখেন পেটের ভেতর একটা ছিটকিনি। চিকিৎসকরা তাকে দুইদিন অবজারভেশনে রাখেন। এর দুইদিন পর শুক্রবার রাতে আমার ছেলেকে অপারেশন করে খাদ্যনালী থেকে একটি ছিটকিনি বের করেন ডা. আবু সাঈদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও হাবিবের অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক ডা. আবু সাঈদ জানান, এক্স-রে রিপোর্টে শিশুটির পেটের খাদ্যনালীতে ছিটকিনি দেখা যায়। পেটের ভেতরে খাদ্যনালী প্রায় ২০ ফুট লম্বা থাকে। অস্ত্রোপচারের সময় খাদ্যনালীর ভেতর থেকে খুঁজে বের করা হয়েছে ছিটকিনিটি।
তিনি জানান, শিশুটির খাদ্যনালী কেটে ছিটকিনিটি বের করা হয়েছে। তা কিছুদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। তাকে আরও দুইদিন হাসপাতালে থাকতে হবে। তবে সে এখন সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় কেরাত, হামদ, নাত ও গজল গেয়ে শিক্ষার্থীরা পেয়েছে ল্যাপটপ, ট্যাব, স্পিকারসহ নানা পুরস্কার। এর মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক শিক্ষার্থী গজল পরিবেশন করে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করায় ট্যাব পুরস্কার পেয়েছে।
৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আখাউড়া পৌর এলাকার বড়বাজার দারুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সচেতনতামূলক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই প্রতিযোগিতায় পুরো উপজেলা থেকে বাছাই করা ৪২ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রতিযোগিতা সব ধর্মের জন্য উন্মুক্ত থাকায় চূড়ান্ত পর্যায়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থী মণি দাস গজলে অংশ নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে।
কেরাত প্রতিযোগিতায় মাহমুদুল হাসান রাফি প্রথম, আব্দুল্লাহ বিন কাদির দ্বিতীয়, ইকরাম হোসাইন তৃতীয় স্থান লাভ করে। হামদ, নাত ও গজলে যোবায়ের আহমেদ প্রথম, মণি দাস দ্বিতীয় ও ফয়সাল আহমেদ তৃতীয় স্থান অধিকার করে। প্রথম স্থান অধিকারীকে ল্যাপটপ, দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে ট্যাব ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে স্পিকার উপহার দেওয়া হয়। এছাড়া অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট দেওয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিযোগিতা কমিটির আহ্বায়ক ও দেবগ্রাম জামিয়া মাজহারুল হক মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মো. আসাদুজ্জামান। বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন মুফতি সাইফুজ্জামান, হাফেজ হামিদুল হক ও হাফেজ এমদাদ উল্লাহ।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ইসলাম যে সমতায় বিশ্বাস করে এটারই প্রমাণ আজকের এই আয়োজন। প্রতিযোগিতাটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল। যে কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজনও চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পুরস্কার নিতে পেরেছে।
আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব বিল্লাল হোসেন বলেন, ২০১৯ সালে প্রতিযোগিতার বাছাইপর্ব শেষ হয়। করোনার কারণে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগিতা করা যায়নি। শেষ পর্যন্ত আমরা সফল আয়োজন করতে পেরেছি। প্রতিবছরই এমন একটি আয়োজনের চেষ্টা থাকবে।