চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত চারলেন সড়কের নির্মাণ কাজের আওতায় গ্যাস পাইপ লাইন স্থানান্তর কাজের জন্য চারদিন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।
এরই অংশ হিসেবে আজ ১৬ মে মঙ্গলবার থেকে ১৯ মে শুক্রবার পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরা থেকে সরাইল উপজেলা পর্যন্ত লাইনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
ফলে এসব এলাকার আবাসিক ও বাণিজ্যিক ২৫ হাজার গ্রাহকের সংযোগের পাশাপাশি সিএনজি পাম্পগুলোও বন্ধ রয়েছে।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের উপ মহা ব্যবস্থাপক মো. আকতারুজ্জামান বলেন, মহাসড়কের উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ চলায় চারলেন সড়কের ইউটিলিটি শিফটিং (উপযোগিতা হস্তান্তর) এর আওতায় সদর উপজেলার ঘাটুরা থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড গ্যাস পাইপ লাইনের হুকআপ ও কমিশনিংয়ের কাজ করবে। অর্থাৎ সড়কের পাশ থেকে গ্যাস পাইপ লাইন নিরাপদ দূরত্বে স্থানান্তরের কাজ করা হবে। তাই চারদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও সরাইল উপজেলায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি বুধবার থেকে বাণিজ্যিক এলাকার বড় গ্রাহকদের গ্যাস সংযোগ দিতে। তবে আবাসিক এলাকার গ্রাহকদের সংযোগ দিতে চারদিন সময় লাগবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদির মক্কায় সড়ক দুর্ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নজরুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। ২১ মে বুধবার বিকেল ৫টার দিকে নির্মাণ কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে রাস্তা পার হওয়ার সময় পেছন থেকে আসা একটি বেপরোয়া প্রাইভেটকার তাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের কোড্ডা গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার মন মিয়ার ছেলে নিহত নজরুল ইসলাম। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি।
বাসুদেব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের পরিবার থেকে বিষয়টি তাকে জানানো হয়েছে এবং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের দেয়াল টপকে মাদক দিতে যাওয়া এক যুবককে আটক করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সদর উপজেলার উড়শিউড়ায় জেলা কারাগারে এ ঘটনা ঘটে।
আটক যুবকের কাছ থেকে একটি ছুরিও উদ্ধার করা হয়। তবে কারা কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না দেওয়ায় সদর মডেল থানা পুলিশ তাকে অন্য এক মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে।
আটক যুবকের নাম মো. সুমন হাজারী (২২)। সে সদর উপজেলার উড়শিউড়া গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর হাজারির ছেলে। মাদক মামলায় আদালতের মাধ্যমে আজ ৩০ ডিসেম্বর শনিবার তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
কারা তত্ত্বাবধায়ক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকেলে ওই যুবক জেলখানার সীমানা প্রাচীর টপকে মাদক নিয়ে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। এ সময় জেলখানার সিসি ক্যামেরায় বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি চাকু ও কয়েক পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসাইন জানান, ওই যুবকের কাছে কয়েক পুরিয়া গাঁজা পাওয়া যায়। তবে জেলখানা কর্তৃপক্ষ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। ওই যুবককে অন্য এক মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
স্টাফ রিপোর্টার:
ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ-২০২২ উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাতিক্রমী র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাতারে বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়া মহল্লার যুবকদের উদ্যোগে ৪৩ ইঞ্চি টেলিভিশন কিনে বিশ্বকাপের খেলা দেখানো হয়। বিশ্বকাপের জমজমাট ফাইনালকে সামনে রেখে রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্বকাপের খেলা দেখানো টেলিভিশনটি যে কোনো একজন ভাগ্যবান সমর্থককে দেয়ার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হয় ব্যতিক্রমী র্যাফেল ড্র। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারনষ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এড. লোকমান হোসেন, সাবেক ভিপি হাসান সারোয়ার, স্থানীয় কাউন্সিলর মীর মোহাম্মদ শাহিন, ঢাকা মেইল ২৪.কম এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি মোঃ আশিকুর রহমান মিঠু। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কাজীপাড়া দরগাহ পুকুর পাড়ে খেলা দেখানোর আয়োজনের উদ্যোক্তা ও দৈনিক দেশকালের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি আরিফুর রহমান আরিফ। অনুষ্ঠানে কাজীপাড়াসহ শহরের ফুটবল প্রেমীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু র্যাফেল ড্র দেন। এতে ব্রাজিলের সমর্থক মোঃ শাফায়েত ভাগ্যবান সমর্থক হিসেবে বিশেষ টেলিভিশনটি জিতে নেন। পরে প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ শাফায়েতের হাতে টেলিভিশন তুলে দেন। এ সময় স্থানীয় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা সমর্থকসহ ফুটবল প্রেমিদের উল্লাসে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে কাজীপাড়া। এ যেন ফাইনালের আগেই উৎসবের আমেজে নিজেদের মিলিয়ে নেয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
নার্সিং পেশা ও নার্সদের নিয়ে কটুক্তি করায় বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের (ডিজিএনএম) মহাপরিচালক মাসকুরা নূরের পদত্যাগের দাবিতে আজ ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলায় কর্মরত সকল নার্সিং কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ডিজিএনএমসহ বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের সকল নন নার্সিং প্রশাসন ক্যাডারদের অপসারনের দাবি জানান তারা।
সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন বে-সরকারি হাসপাতালে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউট, ইউনাইটেড নার্সিং কলেজ, তিতাস নার্সিং কলেজে ও মডেল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে জড়ো হন। পরে সেখান থেকে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরে এসে মানববন্ধন করে।
মানববন্ধন চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইন্সট্রাক্টর সিনিয়র স্টাফ নার্স সেলিনা আক্তারের সভাপতিত্ব বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের ?সিনিয়র স্টাফ নার্স রোমা খাতুন ও শেফালী আক্তার, নার্সিং ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী আকাশ মিয়া, ফাহিমা আক্তার, আরিফ মিয়া, রিফাত মিয়া, ফুয়াদ রায়হান ও খাদিজা সুলতানা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমাদের প্রশ্ন হাসপাতাল ছেড়ে আমরা কেন রাস্তায়। ডিজিএনএমের মহাপরিচালক মাসকুরা নূর আমাদের নার্সদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি যদি নার্সদের যোগ্যতা সম্পর্কে জানতেন তাহলে এই প্রশ্ন তুলতেন এবং অধিদপ্তর থেকে পালাতেন না। ডিজিএনএমের মহাপরিচালক বলেছেন, নার্সদের দ্বিতীয় শ্রেনীর মর্যাদা দিয়ে সরকার ভুল করেছে। আমরা তার এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। মহাপরিচালককে পদত্যাগসহ অধিদপ্তর থেকে অপসারণ করতে হবে। তারা বলেন, আমরা এইচএসসি পাস করে ইংরেজি মিডিয়ামে পড়াশোনা করে লাইসেন্স পরীক্ষা ও নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দ্বিতীয় শ্রেনীর মর্যাদার পেশা সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে যোগদান করি। যোগ্যতা অনুযায়ী নার্সদের মূল্যায়ন করতে হবে। নার্সিং থেকে ডিজিএনমে আমাদের পদায়ত করতে হবে।
স্বৈরাচারী মহাপরিচালক (ডিজিএনএম) মহাপরিচালক মাসকুরা নূরের পদত্যাগ, ডিজিএনএমসহ বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের সকল নন নার্সিং প্রশাসন ক্যাডারদের অপসারনের করতে হবে। নার্সদের বিসিএস করার সুযোগ দিতে হবে। নার্সিং থেকে অধিদপ্তরে আমাদের পদায়ন করতে হবে। অধিদপ্তরে যেন নার্সরা বসতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ বহিরাগত কর্মকর্তাদের জন্য নার্সিং পেশার কোনো উন্নতি হচ্ছে না। তারা আমাদেরকে খেলনার পুতুল বানিয়ে রেখেছেন। বিভিন্ন হাসপাতালে পদায়নের নামে তারা ঘুষ বানিজ্য করছেন। আমাদের পদায়ন করলে তাদের ঘুষ বানিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে বলেই নার্সিং থেকে অধিদপ্তরে নার্সদের পদায়ন করা হচ্ছে না। তারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার একটি নার্সিংয়ের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমরা আশা করি তিনি নার্সদের দরদ ও দাবি বুঝে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেত্রী খাদিজাকে (১৭) গ্রেফতার করা হয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার আটকের পর তাকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার এক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কিশোরী সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশন দেন। গ্রেফতারকৃত খাদিজা কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ছয়গ্রাম হাজী বাড়ির মনির হোসেনের মেয়ে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। খাদিজা তার পরিবারের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের মধ্যপাড়া বর্ডার বাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আফরিন ফাতেমা ওরফে জুঁইয়ের সহযোগী ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে তারুণ্য উৎসব উপলক্ষ্যে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে বিকেল তিনটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোনের শিক্ষার্থীরা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী খাদিজাকে আটক করে। পরে তাকে সদর থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়। সদর থানা পুলিশ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনার এক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখান।
১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মীর মোহাম্মদ এমদাদুল হক তাকে সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে পিঠা উৎসব চলছিল। সেখানে খাদিজা আক্তার গেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের নজরে পড়েন। পরে খাদিজাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন তারা। খাদিজা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীর উপর হামলার ঘটনায় অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।