চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে অদক্ষ, প্রশিক্ষণবিহীন ও অপ্রাপ্তবয়স্ক ড্রাইভার কর্তৃক অটো থ্রি হুইলার চালানোর কারণে নবীনগরে যানজট সমস্যা বেড়েই চলেছে যানজট নিরসনে আজ ১৬ মে নবীনগর পৌরসভায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা সহকরি কমিশনার (ভূমি) মাহম্মুদা জাহান।
এসময় ড্রাইভারদের সতর্ক করার পাশাপাশি ৬ জনকে ১৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া, ক্যাফে রিভার ভিউ রেস্টুরেন্টের একটি পাইপ ফেটে নিচে ময়লা পানি পড়ে জনগণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটানোর দায়ে ২০০০ টাকা জরিমানা করা হয় ও আজ বিকেলের মধ্যেই এই সমস্যা সমাধানের জন্য কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ ফারুক আহামেদ এর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আজ ২ জুন রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার আহাম্মদপুর গ্রামের রনাইয়া পাড়ায় এঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোঃ সাইফ (২০) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। সে আহমদপুর গ্রামের সালাউদ্দিন এর ছেলে।
জানা যায়, আগামী পাঁচ জুন নবীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ ফারুক আহামেদ তার কর্মীসমর্থকদের সাথে নিয়ে আহাম্মদপুর রনাইয়া পাড়ার মসজিদ সংলগ্ন একটি দোকানে গণসংযোগ করছিলেন।
এমন সময় ওই গ্রামের আব্দুস সামাদ সরকারের ছেলে মোঃ সালাউদ্দিন ঐ দোকানের একটি টেবিলে বসা থাকা অবস্থায় ফারুক আহামেদ এর এক সমর্থককে টেবিলে বসা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ের হাতাহাতির হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক আহামেদ এর গায়ে হাত তুলাসহ তাকে লাঞ্ছিত করা হয়।
এ ব্যাপারে লাউর ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না তবে শুনেছি প্রার্থী ফারুক ভাইয়ের উপর অতর্কিত হামলা করা হয়েছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ও নেক্কারজনক।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ ফারুক আহামেদ বলেন, বাদল ভাইয়ের চাচাতো ভাই আজাদ ভাইকে বসার ব্যবস্থা করতে গিয়েই ঘটনাটা ঘটেছে। এরপর বিস্তারিত পরে কল দিয়ে বলবেন বলে তিনি কলটি কেটে দেন।
এ ব্যাপারে নবীনগর থানার ওসি মাহাবুব আলমের সরকারি নাম্বারে একাধীকবার কল দিলেও তিনি রিসিপ করেননি।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের মেঘনার তীরবর্তী গ্রাম চরলাপাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জেলা পুলিশ নরসিংদী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যৌথ আয়োজনে নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকা গুলোতে অপরাধ দমনে এক মতবিনিময় সভা গত ১ মে বিকালে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নরসিংদী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন (অপরাধ) অনির্বাণ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম, রায়পুরা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ, রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আজিজ, নবীনগর (প.) ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলি আজ্জম নুরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার। আরো উপস্থিত ছিলেন মাদকমুক্ত নবীনগর চাই সংগঠনের সভাপতি মো. আবু কাওসার, বিট অফিসার এস আই মো. মহিউদ্দিন, ওয়ার্ড মেম্বার সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উক্ত মতবিনিময় সভায় অপরাধীকে সীমান্তবর্তী এলাকার আত্মীয়-স্বজন হলেও আশ্রয় না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয় এবং অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রামবাসীর নিকট অনুরোধ করা হয়। যদি পুলিশ ও জনগণ সম্মিলিত ভাবে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কাজ করে তাহলে অবশ্যই অপরাধ দমন করা সম্ভব হবে বলে মতবিনিময় সবাই মত প্রকাশ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বোরহান উদ্দিন আহমেদ নসু ঢাকায় গ্রেফতার হয়েছেন। রামপুরা থানায় দায়ের হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক মামলার আসামি হিসেবে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) রবিবার রাতে তাকে ঢাকার তার উত্তরার বাসা থেকে গ্রেফতার করে। পরে রাতেই রামপুরা থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়।
রামপুরার থানার ওসি মো. রাহাত খান বিপিএম আজ ৪ আগস্ট সোমবার দুপুরে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাকে আজ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার হওয়া বোরহান উদ্দিন আহমেদ নসু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর পৌর এলাকার নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সাবেক সদস্যও ছিলেন তিনি।
তার গ্রেফতারের খবরটি নবীনগরে ৩ আগস্ট রবিবার রাতে চাওর হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ছবিসহ খবরটি ভাইরাল হতে থাকে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরপরই তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
নবীনগর থানার ওসি শাহীনুর ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা বোরহান উদ্দিন আহমেদের গ্রেফতারের খবর তিনি ফেসবুকে দেখেছেন। তবে কোন মামলায় কবে কখন গ্রেফতার হয়েছেন তিনি সে বিষয়ে অবগত নন।
ঢাকার রামপুরা থানার ওসি মো. রাহাত খান বিবিএম বলেন, রামপুরা থানায় দায়ের হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি মামলার আসামি হিসেবে তাকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে রামপুরা থানায় রবিবার রাতে হস্তান্তর করেছে। আজ তাকে কোর্টে চালান করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে বসতঘর থেকে দুই শিশু সন্তানসহ এক পরিবারের চারজনের লাশ উদ্ধার ॥ এলাকায় শোকের ছায়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলায় বসতঘর থেকে দুই শিশু সন্তানসহ এক পরিবারের চারজনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ২৮ জুলাই রোববার বেলা ১১টার দিকে নবীনগর পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া চারজন হলেন- সোহাগ মিয়া (৩৫), তাঁর স্ত্রী জান্নাতুল ইসলাম (২৫), তাঁদের দুই শিশুসন্তান চার বছর বয়সী ফারিয়া আক্তার ও দুই বছর বয়সী ফাহিমা আক্তার। এদিকে একসঙ্গে পরিবারের চারজনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ভেতর থেকে দরজা বন্ধ ঘরে চারজনের লাশ পাওয়া নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
তাঁদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে। সোহাগ মিয়া বিজয়পাড়ার আমির মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোহাগ মিয়া নবীনগরের নিউমার্কেটে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে পৌর এলাকার বিজয়পাড়ায় বসবাস করতেন। মারা যাওয়া জান্নাতুল ইসলামের মা মনো বেগম সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার দিবাগত রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে স্বাভাবিকভাবে সবাই ঘুমাতে যান। রোববার সকালে তাঁর মেয়ে, জামাতা ও নাতনিরা ঘুম থেকে না ওঠায় সন্দেহ হয় তাদের। তিনি ঘরের দরজা খোলার জন্য ডাকাডাকি করতে থালেও ঘরের ভেতর থেকে কারও সাড়াশব্দ পাচ্ছিলেন না।
একপর্যায়ে পথচারী উজ্জ্বল মিয়ার সহযোগিতায় দরজা ভেঙে ভেতরে মেয়ে, দুই নাতনি ও জামাতার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বসতঘরে একই পরিবারের চারজনের লাশ ঝুলছে, এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
ময়নাতদন্তের জন্য তাঁদের লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। সিরাজুল ইসলাম বলেন, সোহাগ কাপড়ের ব্যবসা করতেন। স্ত্রী, দুই সন্তানসহ তিনি এককভাবে নিজের পরিবার নিয়ে সেখানে বসবাস করতেন। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলে তাঁদের সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এক পরিবারের চার সদস্য ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।
স্টাফ রিপোর্টার:
দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৬ কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৮ জন। রোববার (১১ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৪৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২১ হাজার ৭৮১ জন। তাদেরকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৬৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮৪৮ জন। এ সময়ে টিকার বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ পেয়েছেন ছয় কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন।
২০২১ সালের ১ নভেম্বর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৯ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২৪২ শিক্ষার্থী। দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন ৬৮৯ শিক্ষার্থী। তবে এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়নি।
এদিকে, এখন পর্যন্ত ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০টি। এছাড়া দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৪২১ শিশুকে। অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত ভাসমান জনগোষ্ঠীর ৫ লাখ ৭৭ হাজার ১৮০ জনকে জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৭০ জন।