চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় ইউপি নির্বাচনের বিরোধের জেরে প্রকাশ্য দিবালোকে ডিবি পরিচয়ে শরিফুল ইসলাম (৩০) নামক এক যুবককে অপহরণ করে তিন দিন পর বাড়ির পাশে মুর্মূষ অবস্থায় ফেলে যায় অপহরণকারীরা। অপহরনের শিকার শরিফুল ইসলাম উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নেরন শ্যামবাড়ি গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে। অপহরনে নেতৃত্ব দানকারী অভিযুক্ত শওকত খান একই গ্র্রামের মৃত শারফুদ্দিন খানের ছেলে।
এ বিষয়ে শরিফুলের পরিবার ও গ্রামবাসী গতকাল ১৬ মে মঙ্গলবার দুপুরে কসবা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত শওকত খান ও তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান। এই ঘটনায় শরিফুলের পিতা জসিম উদ্দিন বাদি হয়ে কসবা থানায় শওকত গংদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শরিফুলের স্ত্রী রোজিনা বলেন, ২০২২ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শওকত খানের ভাই কামাল খানের প্রতিপক্ষের নির্বাচন করায় তাদের মধ্য বিরোধ চলে আসছিলো। গত ৮ মে বিকেলে শরীফুল তার চাচার বাড়ী কসবায় আসার পথে শওকতের স্ত্রী লিজা আক্তার শরিফুলকে ফোন দিয়ে কসবা টি.আলী কলেজের গেইটের সামনে আসতে বলে। শরিফুল সেখানে আসলে কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই ওৎ পেতে থাকা অপরহরণকারীরা তাকে বেদড়ক মারধর করে। ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন তাকে মারার বিষয়টি জানতে চাইলে অপহরনকারীদের সাথে থাকা স্থানীয় সৈয়দ আলী নামক একজন জানান তারা ডিবির লোক। ডিবির পরিচয় শুনে উপস্থিত লোকজন সরে যান। পরে তাকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে উঠিয়ে কুমিল্লায় শওকত খানের বাসায় নিয়ে যায় । সেখানে তাকে তিন দিন রেখে অমানষিক নির্যাতন করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে তিনদিন পর শরিফ’লকে তার নিজ গ্রাম উপজেলার শ্যামবাড়ী ভাংতি এলাকায় রাতের বেলায় হাত-পা বাধা অবস্থায় ফেলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে বাড়িতে খবর দিলে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যায়। বর্তমানে সেখানেই সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, মূলগ্র্রাম ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান মুন্সি হাবিবুর রহমান মাহফুজ , সাবেক ইউপি সদস্য শিশু মিয়া, শরিফুল ইসলামের দাদী রাবেয়া আক্তার, মা নিলুফা আক্তার, গ্রামবাসি আব্দুল মান্নান, মোহাম্মদ ওবায়েদ উল্লাহ, জামাল ভূঁইয়া, রনি ভূইয়া প্রমুখ। বক্তারা জানান, শওকত খান গংদের নির্যাতনে আতংকে রয়েছে গ্রামের মানুষ। তারা স্থানীয় সাংসদ আইনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অভিযুক্ত শওকত খানের সংগে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি সরকারি চাকুরী করি। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত নই।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাঈদা সুলতানা প্রিয়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। ওই পদে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহীন সুলতানা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় সাঈদা সুলতানা একক প্রার্থী হিসেবে থেকে গেলেন।
কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার মঙ্গলবার বিকেলে জানান, সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় শুধু একজন প্রার্থী রয়ে গেলেন। যে কারণে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হবে। এরপরই তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে ঘোষিত হবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
অস্ত্র মামলায় ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রকাশ বিদ্যুৎ চৌধুরী নামে এক পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে কসবা থানা পুলিশ।
আজ ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার সৈয়দাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠানো পুলিশ পরিদর্শক মো. এনামুল জানান, ২০১৩ সালে কসবা থানায় দায়ের হওয়া মামলায় ওই ব্যক্তির সাজা হয়। এরপর তিনি পলাতক ছিলেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল হক কবিরের নেতৃত্বে এএসআই মো. কামরুল হাসান সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করেন। পরে এ আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ট্রেনের ধাক্কায় তানজিল মিয়া (২৫) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। ২৮ মে মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার নোয়াপাড়া রেল ক্রসিংয়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তানজিল পার্শ্ববর্তী নবীনগর উপজেলার কাইতলা গ্রামের মৃত আনিসুর রহমান জুয়েল মিয়ার ছেলে। এসময় অপর দুই আরোহীকে গুরুতর অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন- জেলা কসবা উপজেলার পৌর এলাকার আড়াইবাড়ী গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে অলি মিয়া (২৫) ও একই গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে খাইরুল ইসলাম ওরফে শাওন (২৫)।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তানজিল মিয়া, অলি মিয়া ও খাইরুল ইসলাম ওরফে শাওন তারা তিন বন্ধু। মঙ্গলবার বিকালে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে তিনজনই ঘুরতে বের হয়েছিলেন। তারা গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বাগানবাড়ি এলাকায় গিয়েছিলেন। রাত আটটার দিকে ফেরার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের কসবা উপজেলার নোয়াপাড়া রেলক্রসিংয়ে ট্রেন আসছে দেখেও দ্রুত পার হওয়ার সময় চট্টগ্রামগামী চট্টলা ট্রেনের সাথে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে তিনজনই মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে তিনজনকেই উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তানজিল মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুতর অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
পরিবার জানায়, তানজিল মিয়া দুবাই প্রবাসী। এক মাস আগে ছুটিতে দেশে এসে বিয়ে করেন। আহত অলি মিয়া আগামী ১ জুন সৌদি আরবে যাওয়ার কথা। খাইরুল ইসলাম শাওন ব্যবসা করেন।
কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আজিজ আল মান্না বলেন, ট্রেনের ধাক্কায় তিনজনই মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তানজিল মিয়া হাসপাতালে আনার আগেই মারা যায়। আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন খন্দকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ট্রেনের ধাক্কায় একজন মারা গেছে। দুইজন গুরুতর আহত হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আলোচিত ফারুক চৌধুরী হত্যা মামলার স্বাক্ষী আজারুল ইসলাম হৃদয় (২৬) কে পিটিয়ে আহত করেছে হত্যা মামলার আসামীরা। ৮ মার্চ বুধবার রাত ৯টায় কসবা পৌর এলাকার শাহপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আজারুলের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই আহতের চাচা মোঃ শাহ আলম চৌধুরী বাদী হয়ে আনোয়ার হোসেন আনার (৪৫)কে প্রধান আসামী করে ৮ জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ ও আহত আজারুল ইসলামের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে শাহপুর গ্রামের চাচার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে ফারুক চৌধুরী হত্যা মামলার আসামীরা তার পথরোধ করে তাকে রড, লাঠি ও দা দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তার চিৎকারে পথচারীরা ও আশপাশের লোকজন তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত আজারুল ইসলামের মা আছিয়া বেগম জানান, আসামীরা হাইকোর্ট থেকে জামিনে এসে তার স্বামী ফারুক চৌধুরী হত্যা মামলা তুলে নেয়ার জন্য জন্য বাদীকে হুমকী-ধামকী দিয়ে আসছে। গত বুধবার তারা তার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেদম মারধোর করে আহত করে। এ অবস্থায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
উল্লেখ্য ২০২০ সালের ১৩ এপ্রিল বেলা ১১ টায় ফারুক চৌধুরী স্থানীয় একজনের নামাজে জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে আসামীরা তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মোঃ শাহ আলম চৌধুরী বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি জেলা অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) তদন্তনাধীন রয়েছে। এই হত্যা মামলার প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী হলেন ফারুক মিয়ার ছেলে আজারুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, এই বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। আমরা আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।
উল্লেখ্য, নিহত ফারুক চৌধুরী দৈনিক যায়যায়দিনের কসবা প্রতিনিধি মোঃ শাহ আলম চৌধুরীর ছোট ভাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেলা যুবলীগ নেতা ও ওয়ার্ড মেম্বারের লোকজনদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার গোপীনাথপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হয় সাতজন।
গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের কসবা উপজেলার আহ্বায়ক মান্নান জাহাঙ্গীর জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবলীগের সদস্য তসলিমুর রেজা ও ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মুক্তার হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার বিকালে গোপীনাথপুর বাজারে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে একটি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত তসলিম রেজা ও মুক্তার হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্যরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।