চলারপথে রিপোর্ট :
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান বলেছেন, আদালত প্রাঙ্গণে প্রকাশ্যে দিবালোকে অ্যাড: সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়েছে। ইসলাম হত্যা সমর্থন করে না। যারা হত্যা করেছে এবং জড়িত ইসকনের সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
আজ ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উদ্যোগে পৌর শহরে ইসকন নিষিদ্ধ ও অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল শেষে শহরের কাউতুলী মোড়ে সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
হেফাজত নেতা বলেন, ২০২১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৫ জনকে হত্যা করা হয়। তাদেরকে এই বাংলার মাটিতে প্রকাশ্যে বিচার করতে হবে। হত্যার বিচার হলো ফাঁসি। শহিদ সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যাকারীদের ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামেয়া ইউনুছিয়া এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সমস্ত ওলামায়ে কেরাম-তৌহিদী জনতা এ সমস্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত আছি। জালেম যে কেউ হবে, এসব জালেমের ঠাঁই বাংলার মাটিতে হবে না। আমরা সমস্ত সন্ত্রাসী জঙ্গীদের বিচার চাই। ইসলামের শত্রু, মানবতার শত্রু, দেশের সার্বভৌমের শত্রু ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। বিভিন্ন দেশে এই ইসকনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মুফতি মুবারকুল্লাহর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলী আজম কাসেমী, মুফতি বোরহান উদ্দিন কাসেমী, মাওলানা বোরহান উদ্দিন আল মতিন, মাওলানা দ্বীন মোহাম্মদ আশরাফ, মাওলানা গাজী ইয়াকুব উসমানী প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে আগামীকাল ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার শহীদি মার্চ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
আজ ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
সারজিস আলম জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে এই ‘শহীদী মার্চ’ করা হবে। মার্চ-টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে বিকাল ৩টায় শুরু হবে। সংবাদ সম্মেলন থেকে গেল জুলাই ও আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের পরিবারের সদস্যদের অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের রাজমিস্ত্রি মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী কল্পনা খাতুন চুয়াডাঙ্গার আঁখিতারা ক্লিনিকে একসাথে চারটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ওই চার কন্যার জন্ম হয়।
একসাথে জন্ম নেওয়া চার শিশুকে আজ বুধবার দেখতে যান চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। এ সময় তিনি তাদের নামও রাখেন। তাদের নাম রাখা হয়েছে দোয়েল, কোয়েল, ময়না ও টিয়া।
মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জন্ম নেওয়া চার শিশুর চিকিৎসা খরচ বাবদ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। তাদের নাম রাখা হয়েছে পাখির নামে-দোয়েল, কোয়েল, ময়না ও টিয়া। তারা ভালো আছে। তাদের মা কল্পনা খাতুনও ভালো আছেন।
ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জানায়, সিজারের মাধ্যমে কল্পনা খাতুন চার কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। নবজাতকরা ডা. মাহবুবুর রহমান মিলনের তত্ত্বাবধানে আছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে প্রসূতি কল্পনা খাতুন কিছুটা অসুস্থ। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গিয়ে নবজাতকদের মা কল্পনা খাতুনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তিনি সম্পূর্ণ বিনা খরচে কল্পনা খাতুনের চিকিৎসার নির্দেশ দেন। এ ছাড়া তিনি নবজাতকদের দেখে মিষ্টি বিতরণ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন তারা নাকি সংবিধানের বাইরে এক চুলও নড়বেন না। বিএনপিও সংবিধানের বাইরে যাবে না। তবে সেটা কোন সংবিধান? খায়রুলের সংবিধান নাকি বাংলাদেশের সংবিধান। আমরা চাই অখণ্ড সংবিধান, যে সংবিধানে এক চুলও কাটাছেঁড়া করা হয়নি।
আজ ১৯ জুলাই বুধবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে আব্দুল্লাহপুরের পলওয়েল মার্কেটের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, যে সংবিধান থেকে বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করা হয়েছে, ওই সংবিধান আমরা চাই না। আমরা চাই যে সংবিধানে কাটাকাটি ছিল না, পোস্টমর্টেম ছিল না। বাংলাদেশের জনগণ যে সংবিধান তৈরি করেছিল, সেই সংবিধানের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাবো। এছাড়া আপনাদের তৈরি, খায়রুল হকের তৈরি ওই সংবিধানের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাবো না।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ভোটের অধিকার আদায় করে নেবে। গত ১৫ বছর আপনাদের অত্যাচার আমরা সয়েছি। এ অত্যাচার আর সইবো না। আমরা আপনাদের অত্যাচারের জবাব দেবো। মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুরে আমাদের লোক মেরেছেন। আপনারা শান্তি মিছিলের নামে অশান্তি তৈরি করছেন। আমাদের মিটিং-মিছিলে ঝামেলা হয় না। আর আপনারা ঝামেলা তৈরি করতে চান।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা যেদিন মিছিল মিটিং করি সেদিন আপনারা কর্মসূচি দিয়েন না। আপনারা যেদিন করবেন আমরা দেবো নো। গণতান্ত্রিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে আমরা মিছিল মিটিং করবো। আপনারা বাংলা কলেজ থেকে ইট মারবেন পাথর মারবেন আমরা ছেড়ে দেবো এটা হবে না। ছেড়ে দেওয়ার দিন শেষ। এখন খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ। আর কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। আমাদের অধিকারকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল ইউনিয়নের রোয়াচালা গ্রামে ব্রিজ স্থাপনের দুই বছর পার হলেও সড়ক যোগযোগা এখনো বিচ্ছিন্ন। ফলে বাধ্য হয়ে তিন গ্রামের মানুষ ব্রিজে উঠানামায় ব্যবহার করতে হচ্ছে বাঁশের সাঁকো।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, গত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে এলজিএসপি-৩ এর আওতায় রোয়াচালা আহাদ মিয়ার বাড়ির সামনে কুড়াখাল রাস্তার ওপর ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার বরাদ্দে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। যা ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাস্তবায়নের পর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শ্রীকাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল বাহার। তবে ওই বরাদ্ধে ব্রিজের দুই পাশের সড়ক সংযোগের জন্য মাটির খরচ ধরা থাকলেও সেখানে মাটি ফেলা হয়নি। ফলে এপার-ওপার যেতে বাধ্য হয়ে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
রোয়াচালা গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাশেম জানান, শুধুমাত্র এই ব্রিজটির সংযোগ সড়ক না থাকায় রোয়াচালা বাজারে আসতে ও কুড়াখাল বাজারে যেতে প্রায় তিন কিলোমিটার হাটতে হয় আমাদের। পাশাপাশি কুড়াখাল ও কুরুন্ডি গ্রামে যে ৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেখানে যেতে শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ।
শ্রীকাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল বাহার মুঠো ফোনে জানান, ব্রিজটির দুই পাশে খুব গভীর হওয়ায় বরাদ্দের সময় সংযোগের জন্য যে টাকা ধরা হয়েছিল তা দিয়ে সম্ভব হয়নি। বর্তমানে বর্ষার পানির জন্য দূর থেকে মাটি আনা যাচ্ছে না। আগামী কিছুদিনের মধ্যে পানি কমলেই সেখানে মাটি ফেলে ব্রিজের সঙ্গে সংযোগ করে দেয়া হবে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন ভূঞা জনী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খুব দ্রুতই সেখানকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে সড়কের সঙ্গে ব্রিজটির সংযোগের ব্যবস্থা করা হবে।