চলারপথে ডেস্ক :
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা ভোট চোর, ভোট ডাকাত ছিল- তারাই এখন গণতন্ত্র চায়! ভোটের অধিকারের কথা বলে! যাদের জন্মই হয়েছে অবৈধভাবে, তাদের কাছ থেকে এসব কথা শুনতে হয়। এগুলো মাঠের কথা, মাঠেই থাকবে। আমরা জনতার সঙ্গে থাকব। জনতার পাশে থাকব। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করব। জনগণের জন্য কাজ করে যাব।
তিনি বলেন, জণগণের আস্থা বিশ্বাস অর্জন করে তাদের ভোটের মাধ্যমেই তো আমরা ক্ষমতায় এসেছি। মানুষের বিশ্বাস ও আস্থাটাই আমাদের একমাত্র শক্তি। আর কোনো শক্তি নাই। বাংলাদেশের জনগণই আওয়ামী লীগের একমাত্র বন্ধু- এটা মনে রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী হাসিনা তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ ১৭ মে বুধবার গণভবনে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়ে সেটাও কার্যকর করে যাচ্ছি। খুব স্বাভাবিকভাবেই এ অর্জনগুলো নৎসাত করতে, যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে- জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে তাদের একটা ষড়যন্ত্র চলতেই থাকবে। কিন্তু অনেস্টি (সততা) থাকলে এবং পারপাস (উদ্দেশ্য) যদি সততার সঙ্গে হয় তাহলে যেকোনো জায়গায় সাফল্য আনা যায়। এই কথাটাই সব সময় মনে রাখি। লক্ষ্য একটাই- দেশের মানুষের জীবনটা উন্নত করা, তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করে দেওয়া। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন- দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। সেই হাসি ফোটানোটাই আমার একমাত্র কর্তব্য এবং সেটাই করে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, আজকে যখন ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে ঘর দেই, ঘর পাওয়ার পরে তার মুখের হাসির চেয়ে বড় পাওয়া বা স্বার্থকতা আর কিছু নেই।
সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে সেটাই আমাদের প্রচেষ্টা। সেই সঙ্গে গণতন্ত্র, এটা নিয়ে অনেকেই কথা বলেন। বাংলাদেশে গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার কবে ছিল? পঁচাত্তর সালের পর থেকে জিয়াউর রহমান ভোট চুরি, ভোট কারচুপি, ভোট নিয়ে খেলা, মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা করেছে বরং আওয়ামী লীগেরই নানা পদক্ষেপের ফলে আজকে বিভিন্ন সংস্কার করে করে নির্বাচন পদ্ধতিটাকে গণমুখী করা, জনগণের ভোট সম্পর্কে তাদের সচেতন করা হয়েছে। ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’- স্লোগান দিয়ে মানুষকে ভোট সম্পর্কে সচেতন করা- এটা তো আওয়ামী লীগই করেছে, আর কেউ না। নির্বাচন কমিশন করার জন্য আইন করা হয়েছে, যেখানে ভুয়া ভোটার দিয়ে তালিকা হতো, সেখানে ছবিসহ ভোটার তালিকা হয়েছে, আইডি কার্ড- সবই তো আওয়ামী লীগেরই করে দেওয়া। সবই করে দিয়েছি আমরা। তারপরও যখন কেউ ভোট, গণতন্ত্র আর নির্বাচন নিয়ে আমাদের সবক দিতে আসে, সেখানে আর কিছু বলার নেই।
অনলাইন ডেস্ক :
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে কোনো ভুল করে থাকলে, তার জন্য করজোড়ে তরুণ প্রজন্মের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আজ ২ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে নাটোরে নিজ বাসভবনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মের কাছে যদি আমার কোনো ভুল হয়ে থাকে, আমি প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। ইন্টারনেট ব্যাহত হওয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ার দায় আমি নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছি। যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’
একই সঙ্গে জুনাইদ আহমেদ বলেছেন, তাঁদের কারও দায়িত্বকর্তব্যে অবহেলার কারণে তরুণ প্রজন্ম যদি তাঁদের ভুল বোঝে, ক্ষুব্ধ হয়, তাহলে সে দোষে যেন তাঁরা শাস্তি পান। যেকোনো সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নিতে রাজি আছেন। কিন্তু তাঁদের ব্যর্থতার কারণে প্রধানমন্ত্রীকে দোষারোপ করা হলে তাঁরা কষ্ট পান। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ভুল না বুঝতে আহ্বান জানান।
সরকারের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, যে দূরত্ব হয়েছে, তাতে ছাত্রছাত্রীদের দোষ নেই। এটি আমাদের দোষ। এই দায় আমাদের, যারা আমরা দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছি। এই ব্যর্থতা আমাদের এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এই ব্যর্থতা আমারও।’
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে, এটা কখনোই তাদের প্রতি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে সমাধান সম্ভব নয়। সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সমাধান করতে হবে। কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে শাসনের পথ বেছে না নিয়ে আমরা যদি তাঁদের প্রতি সংবেদনশীল হই, স্নেহ–মমতা নিয়ে তাঁদের কাছে বসি, তাঁদের কথা শুনি, তাহলে আমাদের বিশ্বাস, অবশ্যই এই ভুল–বোঝাবুঝির দূরত্ব দূর হবে এবং ষড়যন্ত্রকারীরা সরকারের সঙ্গে যে চেষ্টা করছে, তা সফল হবে না।’
শোকসভায় বক্তব্যের শুরুতে জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘আমরা এমন একটি সময়ে আমাদের এই শোকসভা, আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করছি, উপস্থিত হয়েছি, যখন আমাদের এই বাংলাদেশ, শিশু, কিশোর, কিশোরী, আমাদের সন্তানেরা একটি আন্দোলনে আছে। যখন আমাদের সরকারের সঙ্গে এই ছাত্রছাত্রী ভাইবোনেদের একটি ভুল–বোঝাবুঝির কারণে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। সেই সময়ে দেশে–বিদেশে স্বাধীনতাবিরোধী, দেশবিরোধী, ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশকে অশান্ত করা ও দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অপপ্রচার বন্ধে ব্যর্থতা এবং ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ার সব দায়ভার আমার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ার দায় আমি নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা তাঁদের যৌক্তিক কোটাবিরোধী আন্দোলন রাজপথে শান্তিপূর্ণভাবে করেছেন। তাঁদের এক মাস আন্দোলনে কোথাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আওয়ামী লীগের বা ছাত্রলীগের কেউ তাঁদের কোনো জায়গায় কোনো আঘাত করেনি। তারাও কোনো বিশৃঙ্খলা করেনি। পুলিশ কোথাও শক্তি প্রয়োগ করেনি। কিন্তু মিথ্যা অপপ্রচার ছড়িয়ে ছাত্র মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে অশান্তির চেষ্টা করে বিএনপি–জামায়াত, ছাত্রদল–শিবির, জঙ্গি সন্ত্রাসীরা।
তবে সরকারের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, সেটা উল্লেখ করে জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘যে দূরত্ব ও ভুল–বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে, সেটা আমাদের দূর করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আমাদের ঘর, প্রতিবেশী ও প্রতিষ্ঠান থেকে করতে হবে। ছাত্রছাত্রী ভাইবোনদের চোখের ভাষা আমাদের বুঝতে হবে। তাঁদের মনের কথা বুঝতে হবে।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক প্রাণহানি এবং দেশ টানা ৫ দিন ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন থাকায় সরকারের পাশাপাশি প্রতিমন্ত্রীও সমালোচনার মুখে রয়েছেন। সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করলেও তিনি বলেছেন, মহাখালীতে ডেটা সেন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ও ফাইবার কেবল কাটা পড়ায় ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়।
প্রতিমন্ত্রী ইন্টারনেট বন্ধ থাকা প্রসঙ্গে বলেন, ‘দেশব্যাপী ইন্টারনেটের সেবা ব্যাহত হওয়ার জন্য যদি কেউ দায়ী হয়, তাহলে সে আমি। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দেশব্যাপী ইন্টারনেট ব্যাহত হওয়ার দায় আমার। দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে ব্যর্থ হওয়ার জন্য যদি কারও শাস্তি হয়, তাহলে আমার হওয়া উচিত। কিন্তু কেন প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করা হচ্ছে, তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনা করা হচ্ছে?’
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশে হামিদ কারজাই মার্কা সরকার বসানোর জন্য কিছু মুখোশধারী, চক্রান্তকারী টিভিতে ভালো মিষ্টি কথা বলছেন। এ ষড়যন্ত্র উদ্ঘাটন করতে সময় লাগবে।
গুজব প্রতিরোধ করতে ও সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যদি তিনি ব্যর্থ হন, সে জন্য আওয়ামী লীগ ও সংযোগী সংগঠনের সদস্যরা প্রতিমন্ত্রীকে দোষারোপ করতে পারেন বলেও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একে এম নাজমুল হাসান বলেন, মাদক চোরাচালান সহ সীমান্ত হত্যা কমিয়ে নিয়ে আসার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মাদক ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে আমাদের জিরু টলারেন্স।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পক্ষে থেকে চেষ্টা করছি মাদক যেন সীমান্ত দিয়ে কোনভাবে আমাদের দেশে প্রবেশ করতে না পারে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করেছে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন মাদকের মাধ্যমে ধ্বংস না হয়ে যায় সেইটি আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে। সীমন্ত দিয়ে মাছের বিনিময়ে মাদক আসে এই বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা চাই কোন অবস্থাতে যেন কোন মাদক না আসে।
আজ ০১ মার্চ বুধবার দুপুরে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সীমান্ত হত্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, সীমান্ত হত্যা কারোর ই কম্য না, কখন কোন পরিস্থিতি কোন ঘটনা ঘটছে, কারোর কাঙ্খিত না একটা জীবন মেরে ফেলুক, তারাও চাই না আমরাও চাই না। তারাও চাই আমরাও চাই সীমান্ত হত্যা যতটুকু নিচে নামিয়ে আনা যায়।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনি (বিএসএফ) এর বাধার মুখে কসবা রেলস্টেশন ও সালদা নদীর ব্রিজের কাজ বন্ধ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবি মহাপরিচালক আরো বলেন, ২০১৬ সালে কাজটি শুরু হেেয় ২০২০ সালে কাজটা বন্ধ হয়ে পরেছিল। এখন আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত যেন সমাধান হয়ে যায়। আমাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে আমার পক্ষে থেকে বিএসএফ সহ সংশ্লিষ্ট সবার সাথে অফিসিয়ালি যোগাযোগ হয়েছে। আমরা আশা করছি খুব দ্রুত একটি পজিটিভ ফলাফল আসবে এবং কসবা ও সালদা নদীর রেলওয়ে যে প্রজেক্ট আছে সেগুলোতে খুব দ্রুত এর কর্যক্রম শুরু হবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কে এম আজাদ ব্যুরো চিফ বিএসবি, লেফটেন্যান্ট কর্ণেল, মোহম্মদ আমির মজিদ পরিচালক বিএসবি, লেফটেন্যান্ট কর্ণেল তসলিম এহসান, লেফটেন্যান্ট কর্ণেল, মহিউদ্দিন পিএস টু ডিজি, মেজর, ফা – মিম আদনান এডিসি, সুলতানপুর ৬০ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, ২৫ বিজিবি সরাইলের রিজিওন কমান্টার ব্রিঃ জেঃ শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন আগামী ৭ জানুয়ারি রবিবার দেশের সব তফসিলি ব্যাংক বন্ধ থাকবে। আজ ৩১ ডিসেম্বর রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২৮ ডিসেম্বরের প্রজ্ঞাপন মোতাবেক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তফসিলি ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ ও ভোট গ্রহণের সুবিধার্থে আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন সচিবরা। আজ ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।
গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর এই প্রথমবারের মতো সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করছেন সরকারপ্রধান।
জানা গেছে, সাধারণত সচিব সভায় কয়েকটি নির্ধারিত গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডার বাইরেও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। এবার এ বৈঠকের জন্য বিস্তারিত এজেন্ডা থাকছে না। এছাড়া সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে সারা দেশে প্রশাসনিক কাজগুলো কীভাবে দ্রুত স্বাভাবিক ধারায় আনা যায়, এ-সংক্রান্ত পরামর্শ শুনতে চাইতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা। একই সঙ্গে তার সরকার এসব বিষয়ে কী ভাবছে, সে সংক্রান্ত নির্দেশনা সরাসরি সব সচিবকে দেবেন ড. ইউনূস।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিনই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। এরপর গত ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সরকারে রয়েছেন ২১ জন উপদেষ্টা।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে না গিয়েই ঘরে বসে গাজীপুর জেলার নাগরিকগণ মাইগভ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অনলাইনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ছয়টি সেবার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সরকারের এটুআই প্রকল্পের পরিচালক অতিরিক্ত সচিব ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবির আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মামুনুল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ) ওয়াহিদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোসাম্মৎ হাসিনা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মোরাদ আলী প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তারা জানান, মাইগভ প্ল্যাটফর্মে ইতোমধ্যে ৩২টি মন্ত্রণালয় এবং ১৭৮ টি দপ্তর সংস্থার মোট ১৭৫৫টি সেবা নাগরিকের জন্য উন্মুক্ত আছে। প্রথম পর্যায়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ছয়টি সেবা বৃহস্পতিবার নাগরিকগণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। পর্যায়ক্রমে অপর সেবাসমূহ মাইগভ প্ল্যাটফর্মে নাগরিকগণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে আলোচনা সভায় এটুআই পরিচালক নিশ্চিত করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ এর প্রধান চারটি স্তম্ভ স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট সরকার। এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রামের মাইগভ টিমের সহযোগিতায় স্মার্ট সরকারের আওতায় স্মার্ট অফিস বিনির্মাণের লক্ষ্যে পাইলট ভিত্তিতে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাগরিক সেবাসমূহের মধ্য হতে ১৬৮টি সেবাকে ইতোমধ্যে ডিজিটাইজড করার জন্য এ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটুআই এর মাইগভ টিম এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয় যৌথভাবে বিগত ৫ মাস নিরবিচ্ছিন্নভাবে ডিজিটাইজেশন কার্যক্রম পরিচালনা করে। মাইগভ এক ঠিকানায় সরকারি সেবার প্ল্যাটফর্ম এ নাগরিকদের জন্য ডিজিটাইজড সেবাসমূহ পর্যায়ক্রমে উন্মুক্ত করা হবে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, ডিজিটাইজড সেবাসমূহ উন্মুক্তকরণের ফলে নাগরিকগণকে আবেদন করার জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসার প্রয়োজন হবে না। ঘরে বসেই আবেদন করে নাগরিকগণ ঘরে বসেই সেবা পাবে। ফলে স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট সরকার এর সেবা গ্রহণে নাগরিকদের সময়, ব্যয় এবং যাতায়াত উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পাবে এবং সেবামানের উন্নতি সাধিত হবে।
জনগণ যে ছয়টি সেবা পাবে সে গুলো হচ্ছে – ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সনদ প্রাপ্তির আবেদন, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের সন্তান/নাতি/নাতনীদের প্রত্যয়ন, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের বিবিধ আবেদন, প্যারোলে মুক্তির আবেদন, ছাপাখানার নাম ও ঠিকানা পরিবর্তনের আবেদন এবং ওয়াজ বা জিকির মাহফিল/মহাযজ্ঞ ও লীলা কীর্তন/ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মাইক ব্যবহারের জন্য অনুমতি প্রাপ্তির আবেদন।