চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি বোরো ধান সংগ্রহ শুরু করেছেন উপজেলা প্রশাসন। আজ ১৮ মে বৃহস্পতিবার পৌর শহরে অবস্থিত খাদ্য গুদামে কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ উদ্বোধন করা হয়। স্থানীয় কৃষক মো.ইয়াছিন মিয়ার কাছ থেকে তিন টন ধান ক্রয়ের মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের নিকট্ থেকে ধান ক্রয় কার্যক্রম শুরু করেন উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা খাদ্য অফিস।
কসবা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা কাওসার সজিবের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কসবা পৌরমেয়র গোলাম হাক্কানী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো.মনির হোসেন, কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি মো. সোলেমান খান, সহ-সভাপতি নেপাল চন্দ্র সাহা, সাধারন সম্পাদক আবুল খায়ের স্বপন, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেনসহ অন্যরা।
কসবা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় কৃষি এ্যাপের মাধ্যমে ধান বিক্রয়ে আবেদন করেন ১ হাজার ২৯ জন কৃষক। এদের মধ্যে ১ হাজার ২১ জন কৃষকের আবেদন গৃহীত হয়। ৮ জন কৃষকের আবেদন বাতিল বলে গন্য হয়। গৃহীত ১ হাজার ২১ জন কৃষকদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে ৩শ ২০ জন কৃষককে বাছাই করেন উপজেলা প্রশাসন। তাদের নিকট থেকে আগামী ৩১ আগষ্টের মধ্যে ১১শ ১৮ মেট্রিকটন ধান ক্রয় করা হবে বলেন জানান খাদ্য কর্মকর্তা। সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি কৃষকের নিকট থেকে সর্বোচ্চ তিন টন ধান ক্রয় করা হবে। প্রতি কেজি ধান ৩০ টাকা দরে ১২শ টাকা মন কেনা হবে এই ধান।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান জানান, লটারির মাধ্যমে বিজয়ী কৃষকদের কাছ থেকে কেনা হবে এই ধান । ধান বিক্রি করতে এসে কৃষক যেন কোনো প্রকার হয়রানীর শিকার না হয় সেদিকে নজরদারী থাকবে। কৃষক এবং গুদাম কর্মকর্তার মাঝখানে মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা না আসতে পারে সেদিকেও নজর থাকবে উপজেলা প্রশাসনের।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের দেলি পাত্তাইসার বাজারে সরকারি কৃষি বীজ সংরক্ষণাগারে ভাঙচুর চালিয়ে দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে শামসুল আলম নামে এক আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শামসুল আলম কৃষি বীজ সংরক্ষণাগারের সরকারি ভবনের একটি অংশ ভেঙে সেখানে দোকান স্থাপন করতে উদ্যোগ নেন। এতে এলাকাবাসীসহ খাড়েরা ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ বাধা প্রদান করেন। শামসুল আলম এ সময় দাবি করেন, তিনি সরকারি অনুমতি নিয়েই এ কাজ করছেন।
ঘটনার খবর পেয়ে কসবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম, কসবা উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে শামসুল আলম ও তার অনুসারীরা স্থান ত্যাগ করেন।
স্থানীয়রা জানান, বীজ সংরক্ষণাগারের ওই জমি ও স্থাপনা কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এবং বাজারের পশ্চিম-দক্ষিণ কোণে অবস্থিত। শামসুল আলম সেই সরকারি সম্পত্তিতে ব্যক্তিগত দোকান নির্মাণ করতে গেলে পুরো স্থাপনা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি জমি ও স্থাপনায় ব্যক্তিগতভাবে স্থাপনা নির্মাণ সম্পূর্ণ অবৈধ। এ ধরনের দখল বা ভাঙচুর মেনে নেওয়া হবে না। আমরা নির্দেশ দিয়েছি, অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করতে হবে। ভবিষ্যতে কেউ পুনরায় সরকারি স্থাপনায় হস্তক্ষেপ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, সরকারি সম্পত্তির ১ ইঞ্চিও অবৈধভাবে দখলের সুযোগ নেই।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় পুলিশের অভিযানে অ্যাম্বুল্যান্স থেকে ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। ৮ মার্চ শুক্রবার দুপুরে কসবা উপজেলার কসবা-সৈয়দাবাদ আঞ্চলিক সড়কের তালতলা এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অ্যাম্বুল্যান্সসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কুমিল্লা জেলার লাঙ্গলকোর্ট উপজেলার বাগমারা এলাকার কোরবান আলীর ছেলে শহিদ (৫৭), চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ উপজেলার মাইজের বাড়ি এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে মো. হাবিব (২০), একই জেলার কচুয়া উপজেলার নিশ্চিন্তপুর মাদরাসা এলাকার আলী এক্কাবর এলাকার মো. ফরহাদ হোসেন (২৮), ময়মনসিংহ জেলার মাঠখোলা বাজার এলাকার রফিক হাসান ওরফে রবির ছেলে মো. জনি মিয়া (২১)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাজু আহমেদ জানান, দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কসবা-সৈয়দাবাদ আঞ্চলিক সড়কের তালতলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় অ্যাম্বুল্যান্সে ৫০ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
অপারেশন ডেভিল হান্টে ঢাকায় গ্রেফতার হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এমরান উদ্দিন জুয়েল। গতকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছেন র্যাব-৪। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল কাদের। এমরান উদ্দিন জুয়েল পৌরসভার তালতলা গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। পট পরিবর্তনের পর জেলায় ও কসবা থানায় রুজুকৃত দুটি মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী করা হয়েছে তাকে।
জানা যায়, গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বিগত সরকারের পতনের পর গ্রেফতার হয় অনেক মন্ত্রী, এমপি। গ্রেফতার আতংকে আত্মগোপনে চলে যায় সারা দেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের পদধারী নেতাকর্মীরা। গ্রেফতার হন কসবা-আখাউড়ার সাবেক সাংসদ ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সারাদেশের ন্যায় কসবা উপজেলার নেতা-কর্মীরাও আত্মগোপনে চলে। এদের মধ্যে অনেক নেতাকর্মী পাড়ি দিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপের অনেক দেশে। কেউ কেউ আবার আত্মগোপনে ছিলেন দেশের বিভিন্ন এলাকায়। আত্মগোপনে থাকা তাদেরই একজন সাবেক মেয়র ও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এমরান উদ্দিন জুয়েল। ডেভিল হান্টে কসবায় এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল সহ ১০ জন। এছাড়াও কসবা থানায় রুজুকৃত মামলায় দেশের অন্যন্য থানায় গ্রেফতার হয়েছে আরো ৬ জন। গত ৪ আগষ্ট কসবায় ছাত্র-জনতার সরকার পতন আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে হামলার অভিযোগে ১৭ নভেম্বর কুটি ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা সিরাজুল ইসলাম ইমু বাদী হয়ে কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল ২৩ নং আসামী। তাছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় হওয়া একটি মামলার আসামীও তিনি।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, বুধবার রাতে তাকে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছেন র্যাব-৪। তার বিরুদ্ধে দুইটি মামলা রয়েছে। তাকে কোন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তার তথ্য হাতে এসে পৌঁছেনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় এক স্কুলশিক্ষক ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল ২৬ জানুয়ারি রবিবার রাতে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের গোপীনাথপুর নতুন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষক জসীম উদ্দিন পার্শ্ববর্তী আখাউড়া উপজেলার খরমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের মোঃ মতিউর রহমানের ছেলে তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্কুল শিক্ষক জসিম উদ্দিনের কাছে পার্শ্ববর্তী আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ গ্রামের কয়েকজন স্কুল ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে আসতো। স্কুলছাত্রীদেরকে রাস্তায় প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর নতুন বাজার এলাকার রাকিব মিয়া (২৫) শাকিব মিয়া (২২) নাইম মিয়া (২২) নামে তিন জন যুবক।
শিক্ষক জসীম উদ্দিন ওই তিন যুবককে ইভটিজিং করতে নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রবিবার রাতে তাদের বাড়ির পাশে রাস্তায় একা পেয়ে শিক্ষক জসীম উদ্দিনকে কুপিয়ে জখম করেন তারা। পরে স্কুল শিক্ষকের আহতের কথা শুনে তার বাবা এবং ভাই আসলে তাদেরকেও কুপিয়ে আহত করেন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।
শিক্ষকের পিতা মতিউর রহমানের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাকে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
আহত শিক্ষক জসিম উদ্দিন বলেন, তার কাছে প্রাইভেট পড়তে আসা-যাওয়ার পথে তিনজন যুবক প্রায়ই উত্ত্যক্ত করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় তারা তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে। খবর শুনে তার বাবা ও ভাইয়েরা উদ্ধার করতে গেলে তাদেরকেও মারধোর করেছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল কাদের বলেন, সংঘর্ষে দুই পক্ষেরই বেশ কয়েকজন লোক আহত হয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় বিদ্যুৎস্পর্শে শাকিব মিয়া (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের বড়ঠুটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শাকিব ওই গ্রামের আবু সামা মিয়ার ছেলে। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। শাকিব পেশায় রং মিস্ত্রি ছিলেন।
শাকিবের পিতা আবু সামা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঘরে বিদ্যুতের সমস্যা দেখা দেয়। শাকিব কিছু বিদ্যুতের কাজ জানতো। বিদ্যুতের সমস্যা দুর করতে মেইন সুইচের সংযোগ স্থলে কাজ করার সময় সে বিদ্যুতের শক খেয়ে ছিটকে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে সীমান্তবর্তী গ্রাম বড়ঠুটা থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহাম্মদ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।